বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ১ কার্তিক ১৪৩২
বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ১ কার্তিক ১৪৩২

ডলার কেন মোড়ল?

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৩ মে, ২০২৫, ৪:৫৫ পিএম | 90 বার পড়া হয়েছে
ডলার কেন মোড়ল?

প্রতিটি দেশের নিজস্ব মুদ্রা রয়েছে। যা দিয়ে দেশটির নাগরিকরা লেনদেন করে, পণ্য বা সেবা গ্রহন করেন। কিন্তু যখন দুটি দেশের, দুটি ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে লেনদেন হয়, তখন সরাসরি আরেকটি পৃথক মুদ্রা বা সেই মুদ্রার তুলনায়, লেনদেন করতে হয়। আর এই তৃতীয় মুদ্রায় হিসেবে দুনিয়াজুড়ে সবচে ব্যবহৃত আর জনপ্রিয় ডলার। আর্থনীতিতে এই পুরো বিষয়কে বলা হয়, মুদ্রা বিনিময় হার।

১৯১০ দশকে স্বর্ণ মাননিয়ন্ত্রিত বিনিময় হার চালু। এ ধরনের মুদ্রাকে বলা হতো স্বর্ণমান মুদ্রা বা কমোডিটি–বেজড মানি। যার কাছে যত স্বর্ণের মজুদ, তার মুদ্রাও তত শক্তিশালী। কারণ তখন পর্যন্ত সোনার দার, বিশ্বব্যাপী সবচে স্থির সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করা হতো। ঠিক হয়, এক আউন্স সোনার দাম হবে ৩৫ ডলার। সেই ডলার নোটে লেখা থাকত, এই নোট যার হাতে থাকবে, সে যখন চাইবে তাকে সমমূল্যের স্বর্ণ ব্যাংক দেবে।

তবে দুটি ইস্যুতে এ ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে পড়ে। প্রথমটি, স্বর্ণের দামের পত। এদিকে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর মুদ্রার চাহিদা বাড়লেও সোনার মজুত সে হারে বাড়েনি। এমন বাস্তবতায়, ২য় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী অর্থনৈতিক সংকট কাটাতে পর্যাপ্ত স্বর্ণের মজুদ না থাকলেও, দেশগুলো ইচ্ছেমতো ডলার ছাপাতে শুরু করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের অর্থনৈতিকর পাশাপাশি ধাক্কা আসে এশিয়ার অর্থনীতিতেও। এ সময় অবস্থা সামাল দিতে, ১৯৪৪ মাঠে নামে আইএমএফ। এখান থেকেই শুরু ডলারে একচ্ছত্র অধিকারী হবার গল্প।

২য় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের পূর্ণ নির্মাণে এ সময় ‘মার্শাল প্ল্যান’ পরিকল্পনা নেওয়া হয়। ইউরোপিয়ান দেশগুলিকে ডলার সাহায্য দেওয়া হয়। ফলে দেশে দেশে রিজার্ভ কারেন্সি হিসেবে ডলারের ব্যবহার বাড়তে থাকে। আধিপত্যের সাথে মার্কিন সাবেক প্রেসিডেন্ট নিক্সনের নাম জড়িত। ১৯৭১ সালের ১৫ আগস্ট মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন মার্কিন ডলার সোনায় রূপান্তরের ক্ষমতা বাতিল করেন। এই পদক্ষেপকে বলা হয় ‘গোল্ডেন উইন্ডো’ বন্ধ করা। ইতিহাসে এই ঘটনাকে ‘নিক্সন শক’ বলে হয়। কেননা, তখন জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি ও উচ্চ মূল্যস্ফীতির পরিপ্রেক্ষিতে সব দেশই তখন বিপদে। তাই দেশ গুলোর কাছ রপ্তানির প্রতিযোগিতা ধরে রাখতে মুদ্রার অবমূল্যায়ন ছাড়া উপায় ছিলোনা।

মুলত একটি দেশ যদি অন্যকোন দেশ থেকে পণ্য-সেবা কিনতে যায়, তবে তার ডলার লাগবে। তার কাছে পর্যাপ্ত ডলার না থাকলে, তাকে আরো ডলার কিনতে হবে। অর্থনীতি প্রধানতম শর্ত চাহিদা। কোন কিছুর চাহিদা বাড়লে তার দাম্ও বাড়বে। তাই ডলারে দাম্ও দেশে দেশে বাড়তে শুরু করে। আর অভ্যন্তরীন মুদ্রা দাম হারাতে শুরু করে। এই প্রক্রিয়াই মুদ্রার অবমূল্যায়ন।

১৯৭১ স্বাধীন হবার পর বাংলাদেশে ডলারের বিনিময় হার ছিল ৭ দশমিক ২৭ টাকা। কিন্তু প্রতিনিয়ত আমদানির করবার প্রয়োজনের বিপরীতে বাংলাদেশের ডলারের প্রয়োজন বাড় থাকে। ডলার কিনতে চাই টাকা। টাকার যেহেতু বৈশ্বিক কোন চাহিদা নিই। তাই দিনদিন দাম হারাতে থাকে টাকা।

শুরুতে বাংলাদেশও তার রিজার্ভ হিসেবে ডলারের পাশাপাশি স্বর্ন রাখতো। তবে ২০০৮ এর বৈশ্বিক মন্দা আর ২০১৯ এর করোনার ধাক্কায় বাংলাদেশও স্বর্ণের উপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে আনে। এ কারণে আপনি শুনবে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার যে মজুদ তার সিংহভাগ মার্কিন ব্যাংকগুলো ডলার কিনে মজুদ রাখা। আবার ভারত-চীনের সাথে লেনদেন বাড়ায় রুপি- চীনের মুদ্রা্ও কিনে রাখ হয়। কারণ তাদের মুদ্রা দেশে না থাকেল ডলারে লেনদেন করতে হবে। তাতে আরো খরচ বাড়বে।

টাকার মান বাড়াতে হলে উপায়: আমদানি খরচ কমিয়ে রপ্তানী বাড়ানো। সেই সাথে রেমিট্যান্স। এক কথায় ডলারে মজুদ বাড়ানো। যখন বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছিলো তখন বাজারে প্রায় ৮৬ টাকায় ডলার কেনাবেচা হতো। তবে রিজার্ভ কমার সাথে সাথেই বাড়তে থাকে ডলারে দাম। মান হারায় টাকা।

দেশের মানুষ ক্ষমতার পালাবদল নয়, রাজনীতির গুণগত পরিবর্তন চায়  রুকন সম্মেলনেঃ  মুহাম্মদ শাহজাহান

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৫, ৯:২৬ পিএম
দেশের মানুষ ক্ষমতার পালাবদল নয়, রাজনীতির গুণগত পরিবর্তন চায়  রুকন সম্মেলনেঃ  মুহাম্মদ শাহজাহান

 

দেশের মানুষ ক্ষমতার পালাবদল নয়, রাজনীতির গুণগত পরিবর্তন চায়  রুকন সম্মেলনেঃ  মুহাম্মদ শাহজাহান

সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সার চট্টগ্রামঃ

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ শাহজাহান বলেছেন, এই দেশের মানুষ এখন আর ক্ষমতার পালাবদল চায় না, তারা চায় একটি গুণগত রাজনৈতিক পরিবর্তন—যেখানে সত্য, ন্যায়, জবাবদিহিতা এবং জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে।”

চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের উদ্যোগে আয়োজিত দেওয়ানবাজারস্থ ইসলামী একাডেমি (বিআইএ)মিলনায়তনে বিশেষ এক রুকন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, বর্তমান সময়ের রাজনৈতিক সংকট, সামাজিক অবক্ষয়, প্রশাসনিক দুর্নীতি এবং নৈতিক অবনতি থেকে জাতিকে মুক্ত করতে হলে প্রয়োজন আদর্শিক নেতৃত্ব ও সুসংগঠিত কর্মী বাহিনী। জামায়াতে ইসলামী সেই আদর্শিক রাজনীতির ধারক ও বাহক হিসেবে জনগনের আস্থার প্রতীক হয়ে কাজ করছে।

তিনি বলেন, দেশের রাজনীতি আজ মূল্যবোধহীনতার চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। নির্বাচন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে, বিচার বিভাগ প্রভাবিত, প্রশাসন পক্ষপাতদুষ্ট, এবং সাধারণ মানুষ ন্যূনতম নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত। এমন প্রেক্ষাপটে ইসলামি রাজনীতিই একমাত্র বিকল্প—যেখানে আল্লাহভীতির ভিত্তিতে পরিচালিত একটি কল্যাণমুখী রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব।

তিনি আরও বলেন, রুকনগণ হচ্ছেন দলের আদর্শিক প্রাণ। তাদের আত্মিক, চারিত্রিক ও সাংগঠনিক পরিশুদ্ধির মাধ্যমে জামায়াতের ভিত শক্তিশালী হবে।” তিনি সকল রুকনকে যুগের চাহিদা অনুযায়ী জ্ঞান, দক্ষতা ও নেতৃত্বগুণে নিজেদের সমৃদ্ধ করার আহ্বান জানান।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরীর সহকারী সেক্রেটারি মোহাম্মদ উল্লাহর সভাপতিত্বে উক্ত সম্মেলনে
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর চট্টগ্রাম অঞ্চল টিমের সদস্য অধ্যাপক মুহাম্মদ নুরুল আমিন চৌধুরী, নগর কর্মপরিষদ সদস্য হামেদ হাসান ইলাহী, বায়েজিদ থানা আমীর মাওলানা জাকির হোসাইন, খুলশী থানা আমীর অধ্যাপক আলমগীর ভূঁইয়া, আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনের সভাপতি প্রফেসর মুহাম্মদ নুরুন্নবী (সিসিএ)-এর সভাপতি মুহাম্মদ সেলিম জামান প্রমুখ।

উক্ত রুকন সম্মেলনে চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন থানার রুকনগণ উপস্থিত ছিলেন।

যশোর মুদ্রন শিল্প মালিক সমিতির নির্বাচন আজ ১৭ অক্টোবর

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৫, ৮:৫৭ পিএম
যশোর মুদ্রন শিল্প মালিক সমিতির নির্বাচন আজ ১৭ অক্টোবর

মালিকুজ্জামান কাকাঃ

যশোর জেলা মুদ্রন শিল্প মালিক সমিতির দ্বি বার্ষিক নির্বাচন ১৭ অক্টবর। প্রেসক্লাব যশোরে সকালে ভোট শুরু হবে। ১০১ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার এডভোকেট ইসাহক। বাকি দুই জন নির্বাচন কমিশনার হলেন এস এম তৌহিদুর রহমান ও অধ্যাপক ইবাদত খান।
নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ইবাদত খান বলেন, মোট ১৫টি পদে ভোট হবে। ২৮টি মনোনয়ন পত্র জমা পড়ে।
সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, সাব্বির মালিক বাবু, ইসমাইল হোসেন ও ফজলে রাব্বি মোপাসা। সহ সভাপতি পদে সফিয়ার রহমান, শরিফুল ইসলাম ও সুলতান আহম্মদ তিন প্রতিদ্বন্দ্বী। সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী প্রার্থী তিন এরা হলেন, নূর ইসলাম, সেলিম হোসেন ও শাহীন শা রানা।
এছাড়া সহ সাধারণ সম্পাদক পদে কামাল আহমেদ, আবু ইসাহক বাবু, আহমেদ মঞ্জুরুল করিম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে প্রার্থী তিন এরা হলেন ফিরোজ আক্তার লাল্টু, ওয়ারেস আলী খাজা ও মোয়াজ্জেম হোসেন মিন্টু।
প্রচার সম্পাদক পদে দুই প্রার্থী হলেন বিপ্লব মাহাবুব ও রিয়াজ মাহাবুব লালন।
দপ্তর সম্পাদক পদে ইস্রাফিল হোসেন ও এনামুল হক প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক রাহিমা খাতুন ও হাফিজ পাশা, ক্রীড়া ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক পদে কাসেম আলী লস্কর ও আবু বককার সিদ্দিকী দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী।
কোষাধক্ষ পদে প্রার্থী হলেন মাহমুদুল ইসলাম নাসিম ও ফিরোজ উদ্দীন তোতা। ১৫পদে প্রার্থী ২৮জন রয়েছেন। নির্বাহী সদস্য নির্বাচিত হবেন তিন জন। প্রার্থী হলেন রানা হোসেন, জাহিদুল ইসলাম ভুইয়া, কামাল হোসেন ও শরিফুল ইসলাম ল্যাবলু।
গত কয়েক দিন ধরে প্রেসক্লাব কেন্দ্রিক বড় বাজার মসজিদ লেন এলাকায় উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।

উখিয়া-টেকনাফ শিক্ষার্থীদের স্বপ্নময় যাত্রার জন্য নতুন বাসের দাবী

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৫, ৮:৫৪ পিএম
উখিয়া-টেকনাফ শিক্ষার্থীদের স্বপ্নময় যাত্রার জন্য নতুন বাসের দাবী

 

কামাল উদ্দিন জয়
প্রতিনিধি, কক্সবাজার জেলা

উখিয়া ও টেকনাফ সীমান্ত এলাকার শিক্ষার্থীরা কক্সবাজার সিটি কলেজে ক্লাসে অংশগ্রহণে বড় সমস্যার মুখোমুখি। কলেজে আগে উখিয়া-টেকনাফ রোডের জন্য বরাদ্দকৃত বাসটি বর্তমানে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের খুটাখালী পর্যন্ত চলাচল করছে, ফলে সীমান্ত এলাকার শিক্ষার্থীরা নিরাপদ ও সুবিধাজনকভাবে কলেজে পৌঁছাতে পারছে না।

শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, উখিয়া-টেকনাফের শিক্ষার্থীদের কলেজে আসতে অন্যান্য শিক্ষার্থীর তুলনায় অনেক বেশি ঝামেলা ও বাধা রয়েছে। একদিকে তাদের মৌলিক শিক্ষার অধিকার সীমিত হচ্ছে, অন্যদিকে কলেজে ১০০% উপস্থিতি নিশ্চিত করতে বাধ্য করা হচ্ছে, যা শিক্ষার্থীদের জন্য চাপ সৃষ্টি করছে।

সমস্যার সমাধান হিসেবে শিক্ষার্থীরা কলেজ প্রশাসনের কাছে নতুন বাস বরাদ্দের জন্য স্মারকলিপি দিয়েছেন। তারা আশা প্রকাশ করেছেন, দ্রুত ব্যবস্থা নিলে সীমান্ত এলাকার শিক্ষার্থীরা নিয়মিত ক্লাসে যোগ দিতে পারবে এবং শিক্ষাজীবন স্বাভাবিকভাবে চালিয়ে যেতে পারবে।

স্থানীয় অভিভাবক ও সমাজকর্মীরা এই দাবিকে সমর্থন করে বলেন, “শিক্ষার্থীদের নিরাপদ ও সহজ যাতায়াত নিশ্চিত করা শিক্ষার মৌলিক অধিকার রক্ষার অংশ। কলেজ প্রশাসন যেন দ্রুত পদক্ষেপ নেয়।”

উখিয়া-টেকনাফের শিক্ষার্থীদের জন্য বাস সুবিধা চালু হলে শত শত শিক্ষার্থী সুবিধাজনক ও নিরাপদভাবে কলেজে পৌঁছাতে পারবে।