শাহবাগের সব আন্দোলনই কি তাহলে ফ্যাসিবাদের পক্ষে?


২০১৩ সালে যখন শাহবাগ আন্দোলন শুরু হয় তখন কিছু সুনির্দিষ্ট কারণে আমি সেই আন্দোলনের সমালোচনা শুরু করেছিলাম:
১। স্বৈরশাসক মুজিবকে পীর মেনে মুজিবের মেয়ের কাছে বিচার চাওয়া যায় না। (যেহেতু ওরা স্লোগান দিচ্ছিল- ‘মুজিবের বাংলায় রাজাকারের ঠাঁই নাই’)। এই একই ভুল কোটা সংস্কার আন্দোলনের কিছু নেতাও করেছিল (নাম নিচ্ছি না, তাদের এখন আগুন বরাবর জনপ্রিয়তা)। তারা স্লোগান দিচ্ছিল- ‘মুজিবের বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই’।
২। ২০১৩ সালের শাহবাগে অফিসিয়াল স্লোগান দেয়া হয়েছিল- ‘একটা একটা শিবির ধর ধরে ধরে জবাই কর’। অত্যন্ত জঘন্য একটা স্লোগান। আমি এটার কঠোর সমালোচনা করেছিলাম।
তৎকালীন শাহবাগীরা আমার উপর চরম খেপেছিল। আমার ছবি ব্যবহার করে ‘টাকলা ছাগু’ নামে পেজ খুলেছিল। আমাকে ‘পাকিস্তানের দালাল’ এবং ‘ছুপা জামাতি’ ডাকতো ওরা।
ঠিক এক যুগ পরে শাহবাগে আবারো আন্দোলন শুরু হয়েছে। সারা দেশের ছাত্রদের রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় আসার কথা বলে তাদের শাহবাগে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এবার শাহবাগের স্লোগান উঠেছে- ‘গোলাম আযমের বাংলায়, আওয়ামী লীগের ঠাঁই নাই’! এবং ‘একটা একটা লীগ ধর, ধরে ধরে জবাই কর’।
জিঘাংসার দিক দিয়ে দুই শাহবাগী গোষ্ঠী এক হবে এটা মেনে নিচ্ছি। কিন্তু গোলাম আযম কি বাংলাদেশের স্বাধীনতা চেয়েছিল? সে তো বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরেও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে ঘুরে ঘুরে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি না দেওয়ার জন্য তদবির করে বেরিয়েছে। তাহলে বাংলা কিভাবে গোলাম আযমের হয়!
শাহবাগের সব আন্দোলনই কি তাহলে ফ্যাসিবাদের পক্ষে!
(পুরাতন শাহাবাগীরা যেহেতু আমাকে ‘পাকিস্তানের দালাল’ এবং ‘ছুপা জামাতি’ গালি দিয়েছিল, নতুন শাহবাগীরা আমাকে ‘ভারতের দালাল’ এবং ‘ছুপা আম্লীগার’ বলে গালি দিতেই পারে)