বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

বিশ্বসভায় বাংলাদেশের নতুন পদচারণা

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৪:১১ এএম | 102 বার পড়া হয়েছে
বিশ্বসভায় বাংলাদেশের নতুন পদচারণা

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৯তম সম্মেলনে যোগদান শেষে ঢাকায় ফিরছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূস। তার প্রেস সচিব শফিকুল আলমের দাবি, বাংলাদেশের হয়ে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দেওয়া সরকার প্রধানদের সফরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে সফলতম হয়েছে এই সফর।

অবশ্য যথেষ্ট দৃঢ় যুক্তির ভিত্তিতেই এই দাবি করেছেন শফিকুল আলম। কারণ, মাত্র চার দিনের এই সফরে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট অজয় বাঙ্গা, আইএমএফের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা, ইতালির প্রধানমন্ত্রী জজিয়া মেলোনি, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু, নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি, চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই সহ মোট ১২টি দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ড. মুহম্মদ ইউনূস। অংশ নিয়েছেন সাধারণ পরিষদের অধিবেশনসহ ৪০টি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে।

প্রসঙ্গত, নানা কারণে প্রধান উপদেষ্টার এই সফরটি গুরুত্বপূর্ণ ছিল আগে থেকেই। প্রথমত, বাংলাদেশে গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার ভারতে পালিয়ে যাওয়া এবং ছাত্র-জনতার সমন্বয়ে নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর এবারের জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিয়েছে বাংলাদেশ।

দ্বিতীয়ত, মানবাধিকার ও গণতন্ত্র ইস্যুতে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ পশ্চিমা অনেক দেশের সাথে বাংলাদেশের একপ্রকার টানাপোড়েন চলছিল। মানবাধিকার সংস্থাগুলো বাংলাদেশের পরিস্থিতির কড়া সমালোচনা করে আসছিল।

ফলে এই সম্মেলনকে বাংলাদেশের জন্য ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধার ও পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের একটি প্রেক্ষাপট হিসেবে দেখেছেন অনেক বিশ্লেষক। বাংলাদেশে জাতিসংঘের সদস্যপদ প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্ণ হওয়ায় এবারের অধিবেশন ছিল বাংলাদেশের জন্য বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ।

প্রধান উপদেষ্টার সফরকালীন কার্যক্রম পর্যালোচনা করলে বোঝা যায়, এই একটি সফর থেকে যা যা অর্জন বা প্রাপ্তির কথা ছিল তার প্রায় সবই পূরণ হয়েছে। জাতিসংঘের অধিবেশনের আগে রোহিঙ্গা, পাচারকৃত অর্থ দেশে ফেরত আনাসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে কয়েকটি বৈঠক করেছেন তিনি।

রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন কর্মসূচিকে গতিশীল করতে জাতিসংঘের বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর মন্ত্রীদের সঙ্গে অন্তত দুটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেছেন তিনি। পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফেরত আনতে যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। নেপালের সঙ্গে জ্বালানি, বাণিজ্য এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদার করতে বৈঠক করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলির সঙ্গে। মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও একই ইস্যুতে বৈঠক করেছেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে যে বৈঠকটি তিনি করেছেন, সেটি প্রায় পুরোপুরি বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের ওপর হয়েছে। তৈরি পোশাক খাতে বাংলাদেশের ওপর ধার্য করা রপ্তানি শুল্ক কমানো এবং জিএসপি সুবিধা প্রদানে দাবি জানিয়েছেন ইউনূস। বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মার্কিনবিরোধী নীতির জন্য এতদিন এসব দাবি তোলা সম্ভব হয়নি।

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অভ্যুত্থানের চিত্র তুলে ধরেছেন এই নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ। তিনি বলেছেন, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অনুপ্রাণিত তরুণ প্রজন্ম তাদের পূর্বসূরীদের অনুসরণ করে বাংলাদেশ থেকে স্বৈরতান্ত্রিক ও দুর্নীতিগ্রস্ত শাসন ব্যবস্থাকে বিদায় জানিয়েছে।

ছাত্র-জনতার রক্তাক্ত অভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার স্বৈরশাসনের পতন ও পলায়নের পর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ৮ আগস্ট সরকার গঠনের পর ড. ইউনূসের এটাই প্রথম বিদেশ সফর।

প্রধান উপদেষ্টার জাতিসংঘ অধিবেশনে অংশগ্রহণের ওপর নজর ছিল বিশ্বনেতাদের। বিশেষ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকটি সবাইকে অবাক করে দিয়েছে। জাতিসংঘের স্থায়ী মিশনের কূটনীতিকরা বলেছেন, জাতিসংঘ অধিবেশনের ফাঁকে কোনো রাষ্ট্র বা সরকারপ্রধানের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্টের এমন বৈঠক বিরল ঘটনা! আর বাংলাদেশের জন্য এটি ছিল অনেকটা স্বপ্নের মতো, যা সম্ভব হয়েছে একমাত্র নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জন্য।

ভূঞাপুরে বিএনপির বিক্ষোভ ও পথসভা অনুষ্ঠিত

(টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি:  প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২৫, ১১:২১ পিএম
ভূঞাপুরে বিএনপির বিক্ষোভ ও পথসভা অনুষ্ঠিত

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে বিএনপির আয়োজনে ধানের শিষ প্রতীক নিয়ে ‘বাড়ি বাড়ি ভোট চাওয়া’ কর্মসূচি এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রীর দ্রুত ফাঁসি কার্যকরের দাবিতে একটি বিক্ষোভ মিছিল ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির আয়োজনে, শাখা বিএনপির সভাপতি মোঃ আলতাফ হোসেনের সভাপতিত্বে

অনুষ্ঠানে বক্তারা দলীয় ধানের শিষ প্রতীক নিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের সঙ্গে মতবিনিময় ও ভোট প্রার্থনা কার্যক্রম জোরদার করার উপর গুরুত্বারোপ করেন। একইসঙ্গে, তারা দলীয় নেতা-কর্মীদের ওপর চলমান রাজনৈতিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিচারিক রায় অনুযায়ী দ্রুত ফাঁসি কার্যকরের দাবি জানান। পথসভায় বক্তব্য রাখেন ভূঞাপুর থানা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ কামরুল ইসলাম প্রামাণিক, গোবিন্দাসী ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ শিবলী সাদিক এবং ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল জলিল মন্ডল প্রমুখ। বক্তারা আরও বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীকে জয়ী করতে ও ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক গণসংযোগ করাই এ কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য। অনুষ্ঠানটি স্থানীয় জনগণের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলে এবং শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়।

টাঙ্গাইলে ডাকাতি চেষ্টা: অস্ত্রসহ ৬ জন আটক

মোহাম্মদ সোহেল (বিশেষ) প্রতিনিধি: প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২৫, ২:০২ পিএম
টাঙ্গাইলে ডাকাতি চেষ্টা: অস্ত্রসহ ৬ জন আটক

ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে অস্ত্র ও সরঞ্জামসহ ছয় সন্দেহভাজনকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার ভোর রাতে কালিহাতী উপজেলার হাতিয়া এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। যমুনা সেতু পূর্ব থানার পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ থেকে পাবনাগামী পামওয়েল বোঝাই একটি ট্রাক (ঢাকা মেট্রো ট-১৪-৭৫৭৯) হাতিয়া এলাকায় পৌঁছালে একটি প্রাইভেটকার (ঢাকা মেট্রো গ-৪৩-৫৪৮৬) ও একটি পাজেরো গাড়ি (ঢাকা মেট্রো ঘ-২১-৭৬৯৯) ট্রাকটির গতিরোধ করে। এসময় টহলরত পুলিশের নজরে পড়ে। পুলিশের পুলিশের তল্লাশিতে ১টি লাইসেন্সকৃত শর্টগান, ৬টি সিসা কার্তুজ, ১টি লেজার লাইট, ২টি সিগন্যাল লাইট, ৪টি শর্ট ওয়াকি-টকি

২টি কাঠের লাঠি উদ্ধার করা হয়েছে।

আটককৃত ছয় সন্দেহভাজনের বিরুদ্ধে ডাকাতির প্রস্তুতি ও অবৈধ অস্ত্র রাখার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ সূত্র নিশ্চিত করেছে। এ বিষয়ে যমুনা সেতু পূর্ব থানার একজন কর্মকর্তা বলেন, “ডাকাতির প্রস্তুতিমূলক সকল উপকরণসহ সন্দেহভাজনদের আটক করা হয়েছে। ঘটনাটি আরও তদন্ত চলছে।

আমিনপুরে ৮ বছরের শিশু ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যাক্তি গ্রেফতার

মোঃ ওমর ফারুক (সানি), স্টাফ রিপোর্টার প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২৫, ১:৪১ পিএম
আমিনপুরে ৮ বছরের শিশু ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যাক্তি গ্রেফতার

পাবনার আমিনপুর থানার বুলন্দর চর এলাকায় ৮ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় ৭৫ বছর বয়সী তাকাই প্রামানিক নামে এক বৃদ্ধকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনায় শিশুটির বাবা আমিনপুর থানায় মামলাটি করেন। ধর্ষণের শিকার শিশুটি বর্তমানে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গ্রেফতার বৃদ্ধ একই গ্রামের মৃত ছবেদ প্রামানিকের ছেলে।

লিখিত এজাহার থেকে জানা গেছে, শনিবার (১৫ নভেম্বর) বিকালে শিশুটি চাচার বাড়ির সামনে অন্য শিশুদের সঙ্গে খেলাধুলা করছিল। এ সময় বৃদ্ধ তাকাই প্রামানিক তাকে খাবারের লোভ দেখিয়ে পাশের একটি ফাঁকা ঘরে নিয়ে যায়। সেখানে শিশুটিকে ধর্ষণ করে। পরে টাকা দেওয়ার প্রলোভন ও হত্যার হুমকি দিয়ে শিশুটিকে কাউকে কিছু বলতে নিষেধ করে। সন্ধ্যায় শিশুটির রক্তপাত শুরু হয়ে অসুস্থ হলে পরিবার বিষয়টি বুঝতে পারে।

শিশুটির ভাইয়ের স্ত্রী লাবনী খাতুন জানান, তিনি তাকাই প্রামানিককে ওই ঘর থেকে বেরিয়ে যেতে দেখেন এবং কিছুক্ষণ পর শিশুটিকেও সেখান থেকে বের হতে দেখেন। পরিবারের জিজ্ঞাসাবাদে শিশুটি ধর্ষণের কথা জানায়।

আমিনপুর থানার ডিউটি অফিসার এসআই রেজাউল করিম বৃদ্ধকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মামলা হয়েছে। ভিকটিমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আসামি থানায় রয়েছে।

জেলার এক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সুজানগর ও আমিনপুর সার্কেল) নাম না প্রকাশ করে জানান, আসামি গ্রেফতার করা হয়েছে। যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করে তাকে আগামীকাল আদালতে পাঠানো হবে।