সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৪ বৈশাখ ১৪৩২
সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৪ বৈশাখ ১৪৩২

সাপের মনির গল্প

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: রবিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৫, ৪:৪২ পিএম | 61 বার পড়া হয়েছে
সাপের মনির গল্প

অনেক দিন আগের কথা। এক গাঁয়ে বাস করত গোপাল নামে এক গরিব কৃষক। গোপালের কিছুই ছিল না — একটা ছোট কুঁড়েঘর আর সামান্য জমি। তবু সে ছিল খুব সৎ আর পরিশ্রমী।
এক রাতে গোপাল যখন ক্ষেতে পাহারা দিচ্ছিল, হঠাৎ দেখতে পেল এক বিশাল সাপ একটি পুরনো গাছের গোড়ায় বসে আছে। আশ্চর্যের বিষয়, সাপের মাথার ওপর একটা ঝকঝকে আলো জ্বলছিল। প্রথমে ভয়ে জমে গেল গোপাল, কিন্তু সাহস করে একটু কাছে গেল। সে দেখল, সাপের মাথায় একটি মণি — যেটা থেকে আশ্চর্য রকমের আলো বের হচ্ছে। এই ছিল নাগমণি!
গোপাল শুনেছিল, সাপ তার মণি কাউকে দেয় না। যদি কেউ জোর করে নিতে চায়, তাহলে সাপ প্রাণপণ লড়ে। কিন্তু সাপ যদি নিজে কাউকে মণি দেয়, তাহলে সেই মণি যার হবে, তার জীবনে আর কোনো দুঃখ থাকবে না — চাওয়া মাত্র যা চাইবে, তা পাবে।
গোপাল কিছু করেনি। সে শুধু সাপকে নমস্কার করে বলল, “তুমি তোমার মণি নিয়ে সুখে থাকো। আমি তোমাকে কোনো কষ্ট দিতে চাই না।”
সাপ যেন গোপালের কথা বুঝতে পারল। কয়েক রাত পরে, যখন গোপাল আবার ক্ষেতে পাহারা দিচ্ছিল, সেই সাপ এসে চুপচাপ তার সামনে মণিটা রেখে গেল আর দূরে চলে গেল। গোপাল হতবাক হয়ে গেল! সে জানত, এই মণি এখন তার হয়ে গেছে।
মণি পেয়ে গোপাল কোনো লোভ করল না। সে প্রথমেই গ্রামের মানুষের জন্য একটা বড় কুয়ো খুঁড়ল যাতে সবাই পানি পায়, তারপর স্কুল বানাল ছেলেমেয়েদের জন্য। ধীরে ধীরে গাঁয়ে সুখ আর সমৃদ্ধি ফিরল। গোপাল নিজেও সুখে থাকত, কিন্তু কখনো অহংকার করেনি।
সবাই বলত, “গোপাল সত্যিই মণির যোগ্য মালিক।”
আর সাপ? লোকেরা বলে, মাঝে মাঝে দূর থেকে সেই সাপ এসে গোপালের ভালোবাসা আর সদয় মন দেখে হাসত। কারণ সাপ জানত — মণি সে সঠিক মানুষের হাতেই তুলে দিয়েছে।

আজ বাংলা চলচ্চিত্রের মেগাষ্টার” খ্যাত নায়ক উজ্জ্বল এর জন্মদিন

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: সোমবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৫, ৭:২২ এএম
আজ বাংলা চলচ্চিত্রের মেগাষ্টার” খ্যাত নায়ক উজ্জ্বল এর জন্মদিন

আশরাফ উদ্দিন উজ্জ্বল যাকে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রের ‘’মেগাস্টার’’ বলা হতো । ৮০ ও ৯০ দশকের সিনেমা হলের দর্শক তাঁদের কাছে উজ্জ্বল মানেই বিশাল ক্যানভাসে নির্মিত জমজমাট কোন চলচ্চিত্র ।
❤️১৯৪৬ সালের ২৮ শে এপ্রিল সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে জন্ম নেয়া উজ্জ্বল ১৯৭০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ থেকে এম এ পাশ করেন । বিশ্ববিদ্যালয়ের থাকালিন সময়েই উজ্জ্বল মঞ্চ নাটক করতেন এবং ১৯৬৭ – ১৯৭০ সাল পর্যন্ত টেলিভিশনের নাটকেও অভিনয় করতেন । নাটক দেখেই ১৯৭০ সালে সুভাষ দত্ত উজ্জ্বল কে ‘বিনিময়’ চলচ্চিত্রে কবরীর বিপরীতে সর্বপ্রথম চলচ্চিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব দেন । ‘বিনিময়’ চলচ্চিত্র দিয়ে অভিষেকেই সফল হওয়া উজ্জ্বল। কবরী থেকে শুরু করে অঞ্জু ঘোষ পর্যন্ত যেসব নায়িকা ছিলেন তাদের সবার বিপরীতেই তিনি অভিনয় করেছিলেন।উজ্জ্বলের প্রথম নায়িকা হলেন কবরী। ‘বিনিময়’ ছবিতে কাজ করার জন্য উজ্জ্বলকে সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে যেতে হয়। সেখানে কবরীর সঙ্গে তার প্রথম পরিচয়। ‘বিনিময়’ ছবিটি উজ্জ্বলকে অসম্ভব খ্যাতি দিয়েছিল।
🎬ববিতার বিপরীতে তিনি প্রথম ‘অরুণোদয়ের অগ্নিসাক্ষী’তে প্রথম অভিনয় করেন। এ ছবিটি ১৯৭২ সালে মুক্তি পায়।
🌹যে উজ্জ্বল কে দর্শক প্রায় নিয়মিত মিস্টি রোমান্টিক ও পারিবারিক গল্পের অভিনয়ে দেখতে অভ্যস্ত সেই উজ্জ্বল যেন ৮০র দশকের শুরুতেই সম্পূর্ণ বদলে যান। মমতাজ আলী পরিচালিত ও উজ্জ্বল প্রযোজিত ‘’নসীব’’ , ‘’নালিশ’’, ‘’ নিয়ত’’ ‘’ঈমান’’ সহ টানা ৪টি চলচ্চিত্রে আগের উজ্জ্বল কে দর্শকরা দেখে সম্পূর্ণ ভিন্নরূপে ও ‘’ড্যাশিং’’, ‘’রাফ এন্ড টাফ’’ চরিত্রে। নতুন উজ্জলের টানা তিনটি চলচ্চিত্র হয়ে যায় সেই সময়ের মেগাহিট চলচ্চিত্র। এরপর থেকেই উজ্জ্বল মানেই বিশাল বাজেটের সিনেমা, উজ্জ্বল মানেই মেগাহিট চলচ্চিত্র এমন একটা ধারনা প্রযোজক, পরিচালক , প্রদর্শক ও দর্শকদের মনে ধারনা জন্ম নেয়। একে একে উজ্জলের মুক্তি পায় ‘’আমির ফকির’’, ‘’কুদরত’’, ‘’চোর ডাকাত পুলিশ’’, ‘’আমিই ওস্তাদ’’ , ‘’উসিলা’’র মতো দারুন সফল সব চলচ্চিত্র । উজ্জ্বল নিজেকে রোমান্টিক, সামাজিক ও অ্যাকশন সব ধারার চলচ্চিত্রে নিজেকে প্রমাণ করেন ।

অভিযোগ করেন উজ্জ্বল বাংলাদেশ র সম্পাদকের স্ত্রী মোছা: রেশমা সরকার

উজ্জ্বল বাংলাদেশ র সম্পাদকের স্ত্রীকে মোবাইলে উতক্ত করছে অটোচালক শরীফ

নিজস্ব প্রতিবেদক, উজ্জ্বল বাংলাদেশ প্রকাশিত: সোমবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৫, ৩:৪২ এএম
উজ্জ্বল বাংলাদেশ র সম্পাদকের স্ত্রীকে মোবাইলে উতক্ত করছে অটোচালক শরীফ

নিজস্ব প্রতিবেদক, উজ্জ্বল বাংলাদেশ : জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল “উজ্জ্বল বাংলাদেশ” র সম্পাদক রাজিবুল করিম রোমিও র স্ত্রীকে ফোনে উতক্ত করছে অটোচালক শরীফ, এমনটাই অভিযোগ করেন উজ্জ্বল বাংলাদেশ র সম্পাদকের স্ত্রী মোছা: রেশমা সরকার।

জানা যায়, গত ২১ শে এপ্রিল, রোজ সোমবার, রাত থেকে প্রতিদিন রাতে অভিযোগকারীর মোবাইলে কল দিয়ে উতক্ত করে আসছে পাবনার জেলার ভাংগুড়া উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নের অটোচালক শরীফ।

উজ্জ্বল বাংলাদেশ র সম্পাদকের স্ত্রী, মোছা: রেশমা সরকার সাংবাদিকদের বলেন, গত ২১ শে এপ্রিল, রোজ সোমবার, দুপুরে শরীফের বোরাকে আমি আমার নানা বাড়িতে যাই। সেদিন রাত থেকে প্রতিদিন রাতে সে বারবার আমার মোবাইলে কল দিয়ে আমাকে নানা ভাবে উতক্ত করে এবং নানাবিধ হুমকি ও দেয়। আমি আজ ২৭ শে এপ্রিল রোজ রবিবার, আমার স্বামীর বাসায় এসে, আমার স্বামীকে, শরীফের উতক্ত করার কথা বিস্তারিত জানাই।

এই বিষয়ে অভিযুক্ত শরীফের মুঠো ফোনে, কল দিলে সে মোছা: রেশমা সরকারকে প্রতিরাতে কল করার কথা অস্বীকার করেন।

কিন্তু উজ্জ্বল বাংলাদেশ র সম্পাদক রাজিবুল করিম রোমিও, জিপি এপস থেকে শরীফের কলের বিস্তারিত প্রতিবেদন সাংবাদিকদের নিকট উপস্থাপন করেন।

এই বিষয়ে উজ্জ্বল বাংলাদেশ র সম্পাদক রাজিবুল করিম রোমিও, সাংবাদিকদের নিকট বলেন, শরীফের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সার্বিক প্রস্তুতি চলছে।

যেহেতু বিষয় টা স্পর্শকাতর, সেহেতু এই বিষয়ে আগামীতে বিস্তারিত সংবাদ প্রকাশ করা হবে।

এবিএম কাইয়ুম রাজ

মায়ের ভালোবাসা

এবিএম কাইয়ুম রাজ প্রকাশিত: সোমবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৫, ১২:০০ এএম
মায়ের ভালোবাসা

মায়ের ভালোবাসা আকাশের মতো,
অথই গভীরে হারায় শত শত।
ক্লান্ত পথিকের শান্তির ঠিকানা,
ভালোবাসায় ভরে দেয় হৃদয়খানা।

শিশিরভেজা সকালে মায়ের ডাক,
মুছে দেয় জীবনের সব দুঃখ-ভাক।
আঁধার রাতে তার কোমল ছায়া,
আলোর খোঁজে হয়ে ওঠে মায়াময় মায়া।

চোখের ইশারায় বুঝে নেয় ব্যথা,
মুখের হাসিতে ফোটে নতুন কথা।
বৃষ্টি দিনে, রোদেলা বিকেলে,
মায়ের ভালোবাসা জড়িয়ে রাখে অবিরত মেলেঃ

আমি তো চাই শুধু মায়ের হাত,
চাই না দুনিয়ার যশ, মান বা মাত।
মায়ের আশীর্বাদ, মায়ের দোয়ায়,
জীবনের পথ আলোকিত হয় স্নেহছায়ায়।

মায়ের ভালোবাসায় কাটুক শত বছর,
তার হৃদয়ে খুঁজে পাই জীবন-মধুর কবর।
যেমন নদীর জল হারায় না পথ,
মায়ের মায়ায় হারাই আমি অবিরত।

error: Content is protected !!