
আশরাফ উদ্দিন উজ্জ্বল যাকে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রের ‘’মেগাস্টার’’ বলা হতো । ৮০ ও ৯০ দশকের সিনেমা হলের দর্শক তাঁদের কাছে উজ্জ্বল মানেই বিশাল ক্যানভাসে নির্মিত জমজমাট কোন চলচ্চিত্র ।
❤️১৯৪৬ সালের ২৮ শে এপ্রিল সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে জন্ম নেয়া উজ্জ্বল ১৯৭০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ থেকে এম এ পাশ করেন । বিশ্ববিদ্যালয়ের থাকালিন সময়েই উজ্জ্বল মঞ্চ নাটক করতেন এবং ১৯৬৭ – ১৯৭০ সাল পর্যন্ত টেলিভিশনের নাটকেও অভিনয় করতেন । নাটক দেখেই ১৯৭০ সালে সুভাষ দত্ত উজ্জ্বল কে ‘বিনিময়’ চলচ্চিত্রে কবরীর বিপরীতে সর্বপ্রথম চলচ্চিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব দেন । ‘বিনিময়’ চলচ্চিত্র দিয়ে অভিষেকেই সফল হওয়া উজ্জ্বল। কবরী থেকে শুরু করে অঞ্জু ঘোষ পর্যন্ত যেসব নায়িকা ছিলেন তাদের সবার বিপরীতেই তিনি অভিনয় করেছিলেন।উজ্জ্বলের প্রথম নায়িকা হলেন কবরী। ‘বিনিময়’ ছবিতে কাজ করার জন্য উজ্জ্বলকে সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে যেতে হয়। সেখানে কবরীর সঙ্গে তার প্রথম পরিচয়। ‘বিনিময়’ ছবিটি উজ্জ্বলকে অসম্ভব খ্যাতি দিয়েছিল।
🎬ববিতার বিপরীতে তিনি প্রথম ‘অরুণোদয়ের অগ্নিসাক্ষী’তে প্রথম অভিনয় করেন। এ ছবিটি ১৯৭২ সালে মুক্তি পায়।
🌹যে উজ্জ্বল কে দর্শক প্রায় নিয়মিত মিস্টি রোমান্টিক ও পারিবারিক গল্পের অভিনয়ে দেখতে অভ্যস্ত সেই উজ্জ্বল যেন ৮০র দশকের শুরুতেই সম্পূর্ণ বদলে যান। মমতাজ আলী পরিচালিত ও উজ্জ্বল প্রযোজিত ‘’নসীব’’ , ‘’নালিশ’’, ‘’ নিয়ত’’ ‘’ঈমান’’ সহ টানা ৪টি চলচ্চিত্রে আগের উজ্জ্বল কে দর্শকরা দেখে সম্পূর্ণ ভিন্নরূপে ও ‘’ড্যাশিং’’, ‘’রাফ এন্ড টাফ’’ চরিত্রে। নতুন উজ্জলের টানা তিনটি চলচ্চিত্র হয়ে যায় সেই সময়ের মেগাহিট চলচ্চিত্র। এরপর থেকেই উজ্জ্বল মানেই বিশাল বাজেটের সিনেমা, উজ্জ্বল মানেই মেগাহিট চলচ্চিত্র এমন একটা ধারনা প্রযোজক, পরিচালক , প্রদর্শক ও দর্শকদের মনে ধারনা জন্ম নেয়। একে একে উজ্জলের মুক্তি পায় ‘’আমির ফকির’’, ‘’কুদরত’’, ‘’চোর ডাকাত পুলিশ’’, ‘’আমিই ওস্তাদ’’ , ‘’উসিলা’’র মতো দারুন সফল সব চলচ্চিত্র । উজ্জ্বল নিজেকে রোমান্টিক, সামাজিক ও অ্যাকশন সব ধারার চলচ্চিত্রে নিজেকে প্রমাণ করেন ।