সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৪ বৈশাখ ১৪৩২
সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৪ বৈশাখ ১৪৩২

শিয়াল পণ্ডিত

উপেন্দ্র কিশোর রায় চৌধুরী প্রকাশিত: রবিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৫, ৪:৪৪ পিএম | 54 বার পড়া হয়েছে
শিয়াল পণ্ডিত

কুমির দেখলে, সে শিয়ালের সঙ্গে কিছুতেই পেরে উঠছে না। তখন সে ভাবলে, ‘ও ঢের লেখাপড়া জানে, তাতেই খালি আমাকে ফাঁকি দেয়। আমি মূর্খ লোক, তাই তাকে আঁটতে পারি না।’ অনেকক্ষণ ভেবে কুমির এই ঠিক করল যে, নিজের সাতটা ছেলেকে শিয়ালের কাছে দিয়ে খুব করে লেখাপড়া শেখাতে হবে। তার পরের দিনই সে ছানা সাতটাকে সঙ্গে করে শিয়ালের বাড়ি গিয়ে উপস্থিত হল। শিয়াল তখন তার গর্তের ভিতরে বসে কাঁকড়া খাচ্ছিল। কুমির এসে ডাকলে,
‘শিয়াল পণ্ডিত, শিয়াল পণ্ডিত, বাড়ি আছ?’ শিয়াল বাইরে এসে বললে, ‘কী ভাই, কী মনে করে?’
কুমির বললে, ‘ভাই, এই আমার ছেলে সাতটাকে তোমার কাছে এনেছি। মূর্খ হলে করে খেতে পারবে না। ভাই, তুমি যদি এদের একটু লেখাপড়া শিখিয়ে দাও।’ শিয়াল বললে, ‘সে আর বলতে? আমি সাতদিনে সাতজনকে পড়িয়ে পণ্ডিত করে দেব।’ শুনে কুমির তো খুব খুশি হয়ে ছানা সাতটাকে রেখে চলে গেল।
তখন শিয়াল তাদের একটাকে আড়ালে নিয়ে বললে—
‘পড় তো বাপু— কানা খানা গানা ঘানা,
কেমন লাগে কুমির ছানা?’
এই কথা বলে, সেটার ঘাড় ভেঙে, খেয়ে ফেললে।
পরদিন যখন কুমির তার ছানা দেখতে এল, তখন শিয়াল তাদের একেকটি করে গর্তের বাইরে এনে দেখাতে লাগল। ছয়টিকে ছয়বার দেখালে, শেষেরটা দেখালে দুবার। বোকা কুমির তা বুঝতে না পেরে ভাবলে, সাতটাই দেখানো হয়েছে। তখন সে চলে গেল, আর অমনি শিয়াল ছানাগুলোর একটাকে আড়ালে নিয়ে বললে—
‘পড় তো বাপু— কানা খানা গানা ঘানা,
কেমন লাগে কুমির ছানা?’
এই কথা বলে, সেটার ঘাড় ভেঙে, খেয়ে ফেলল।
পরদিন কুমির তো ছানা দেখতে এল। শিয়াল একেকটি করে গর্তের বাইরে এনে, পাঁচবার পাঁচটাকে দেখাল, শেষেরটিকে দেখাল তিনবার। তাতেই কুমির খুশি হয়ে চলে গেল। তখন শিয়াল ঠিক আগের মতো করে আর একটা ছানাকে খেল।
এমনি করে সে রোজ একটি ছানা খায়, আর কুমির এলে তাকে ফাঁকি দিয়ে ভোলায়। শেষে যখন একটি ছানা বই আর রইল না, তখন সেই একটিকেই সাতবার দেখিয়ে সে কুমিরকে বোঝাল। তারপর কুমির চলে গেলে সেটিকেও খেয়ে ফেলল। তারপর আর একটিও রইল না।
তখন শিয়ালনী বললে, ‘এখন উপায়? কুমির এলে দেখাবে কি? ছানা না দেখতে পেলে তো অমনি আমাদের ধরে খাবে!’
শিয়াল বললে, ‘আমাদের পেলে তো ধরে খাবে। নদীর ওপারের বনটা খুব বড়, চল আমরা সেইখানে যাই। তা হলে কুমির আর আমাদের খুঁজে বার করতেই পারবে না।’
এই বলে শিয়াল শিয়ালনীকে নিয়ে তাদের পুরনো গর্ত ছেড়ে চলে গেল। এর খানিক বাদেই কুমির এসেছে। সে এসে ‘শিয়াল পণ্ডিত, শিয়াল পণ্ডিত’ বলে কত ডাকল, কেউ তার কথার উত্তর দিল না। তখন সে গর্তের ভিতর-বার খুঁজে দেখল—শিয়ালও নেই শিয়ালনীও নেই! খালি তার ছানাদের হাড়গুলো পড়ে আছে।
তখন তার খুব রাগ হল, আর সে চারদিকে ছুটাছুটি করে শিয়ালকে খুঁজতে লাগল। খুঁজতে-খুঁজতে নদীর ধারে গিয়ে দেখল, শিয়াল আর শিয়ালনী সাঁতরে নদী পার হচ্ছে।
অমনি ‘দাঁড়া হতভাগা।’ বলে সে জলে ঝাঁপ দিয়ে পড়ল। জলের নীচে ছুটতে কুমিরের মতো আর কেউ পারে না, দেখতে দেখতে সে গিয়ে শিয়ালের পিছনের একটা পা কামড়ে ধরল।
শিয়াল সবে তার সামনের দু-পা ডাঙায় তুলেছিল, শিয়ালনী তার আগেই উঠে গিয়েছিল। কুমির এসে শিয়ালের পা ধরতেই সে শিয়ালনীকে ডেকে বললে, ‘শিয়ালনী, শিয়ালনী, আমার লাঠিগাছা ধরে কে টানাটানি করছে। লাঠিটা বা নিয়েই যায়।’
একথা শুনে কুমির ভাবলে, ‘তাই তো, পা ধরতে গিয়ে লাঠি ধরে ফেলেছি। শিগগির লাঠি ছেড়ে পা ধরি।’
এই ভেবে যেই সে শিয়ালের পা ছেড়ে দিয়েছে, অমনি শিয়াল একলাফে ডাঙায় উঠে গিয়েছে। উঠেই বোঁ করে দে ছুট। তারপর বনের ভিতরে ঢুকে পড়লে আর কার সাধ্য তাকে ধরে।
তারপর থেকে কুমির কেবলই শিয়ালকে খুঁজে বেড়ায়। কিন্তু শিয়াল বড্ড চালাক,
তাই তাকে ধরতে পারে না। তখন সে অনেক ভেবে এক ফন্দি করল। কুমির একদিন চড়ায় গিয়ে হাত পা ছড়িয়ে মড়ার মতো পড়ে রইল। তারপর শিয়াল আর শিয়ালনী কচ্ছপ খেতে এসে দেখল, কুমির কেমন হয়ে পড়ে আছে। তখন শিয়ালনী বললে, ‘মরে গেছে। চল খাইগে!’ শিয়াল বললে, ‘রোস, একটু দেখে নিই।’ এই বলে সে কুমিরের আর-একটু কাছে গিয়ে বলতে লাগল, ‘না। এটা দেখছি বড্ড বেশি মরে গেছে। অত বেশি মরাটা আমরা খাই না। যেগুলো একটু-একটু নড়ে-চড়ে, আমরা সেগুলো খাই।’ তা শুনে কুমির ভাবলে, ‘একটু নড়ি-চড়ি, নইলে খেতে আসবে না।’ এই মনে করে কুমির তার লেজের আগাটুকু নাড়তে লাগল। তা দেখে শিয়াল হেসে বললে, ঐ দেখ, লেজ নাড়ছে! তুমি তো বলেছিলে মরে গেছে!’ তারপর আর কি তারা সেখানে দাঁড়ায়! তখন কুমির বললে, ‘বড্ড ফাঁকি দিলে তো! আচ্ছা এবারে দেখাব!’
একটা জায়গায় শিয়াল রোজ জল খেতে আসত। কুমির তা দেখতে পেয়ে সেখানে গিয়ে লুকিয়ে রইল। ভাবল শিয়াল জল খেতে এলেই ধরে খাবে। সেদিন শিয়াল এসে দেখল সেখানে একটাও মাছ নেই! অন্য দিন ঢের মাছ চলা-ফেরা করে। শিয়াল ভাবল, ‘ভালো রে ভালো আজ সব মাছ গেল কোথায়? বুঝেছি, এখানে কুমির আছে!’ তখন সে বললে, ‘এখানকার জল বেজায় পরিষ্কার। একটু ঘোলা না হলে কি খাওয়া যায়? চল শিয়ালনী, আর-এক জায়গায় যাই।’ এ কথা শুনেই কুমির তাড়াতাড়ি সেখানকার জল ঘোলা করতে আরম্ভ করলে। তা দেখে শিয়াল হাসতে-হাসতে ছুটে পালিয়েছে!
আর একদিন শিয়াল এসেছে কাঁকড়া খেতে। কুমির তার আগেই সেখানে চুপ করে বসে আছে। শিয়াল তা টের পেয়ে বললে, ‘এখানে কাঁকড়া নেই, থাকলে দু-একটা ভাসত।’
অমনি কুমির তার লেজের আগাটুকু ভাসিয়ে দিল। কাজেই শিয়াল আর জলে নামল না। এমনি করে বারবার শিয়ালের কাছে ঠকে গিয়ে, শেষে কুমিরের ভারি লজ্জা হল। তখন সে আর কী করে মুখ দেখাবে? কাজেই সে তার ঘরের ভিতরে গিয়ে বসে রইল।

অভিযোগ করেন উজ্জ্বল বাংলাদেশ র সম্পাদকের স্ত্রী মোছা: রেশমা সরকার

উজ্জ্বল বাংলাদেশ র সম্পাদকের স্ত্রীকে মোবাইলে উতক্ত করছে অটোচালক শরীফ

নিজস্ব প্রতিবেদক, উজ্জ্বল বাংলাদেশ প্রকাশিত: সোমবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৫, ৩:৪২ এএম
উজ্জ্বল বাংলাদেশ র সম্পাদকের স্ত্রীকে মোবাইলে উতক্ত করছে অটোচালক শরীফ

নিজস্ব প্রতিবেদক, উজ্জ্বল বাংলাদেশ : জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল “উজ্জ্বল বাংলাদেশ” র সম্পাদক রাজিবুল করিম রোমিও র স্ত্রীকে ফোনে উতক্ত করছে অটোচালক শরীফ, এমনটাই অভিযোগ করেন উজ্জ্বল বাংলাদেশ র সম্পাদকের স্ত্রী মোছা: রেশমা সরকার।

জানা যায়, গত ২১ শে এপ্রিল, রোজ সোমবার, রাত থেকে প্রতিদিন রাতে অভিযোগকারীর মোবাইলে কল দিয়ে উতক্ত করে আসছে পাবনার জেলার ভাংগুড়া উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নের অটোচালক শরীফ।

উজ্জ্বল বাংলাদেশ র সম্পাদকের স্ত্রী, মোছা: রেশমা সরকার সাংবাদিকদের বলেন, গত ২১ শে এপ্রিল, রোজ সোমবার, দুপুরে শরীফের বোরাকে আমি আমার নানা বাড়িতে যাই। সেদিন রাত থেকে প্রতিদিন রাতে সে বারবার আমার মোবাইলে কল দিয়ে আমাকে নানা ভাবে উতক্ত করে এবং নানাবিধ হুমকি ও দেয়। আমি আজ ২৭ শে এপ্রিল রোজ রবিবার, আমার স্বামীর বাসায় এসে, আমার স্বামীকে, শরীফের উতক্ত করার কথা বিস্তারিত জানাই।

এই বিষয়ে অভিযুক্ত শরীফের মুঠো ফোনে, কল দিলে সে মোছা: রেশমা সরকারকে প্রতিরাতে কল করার কথা অস্বীকার করেন।

কিন্তু উজ্জ্বল বাংলাদেশ র সম্পাদক রাজিবুল করিম রোমিও, জিপি এপস থেকে শরীফের কলের বিস্তারিত প্রতিবেদন সাংবাদিকদের নিকট উপস্থাপন করেন।

এই বিষয়ে উজ্জ্বল বাংলাদেশ র সম্পাদক রাজিবুল করিম রোমিও, সাংবাদিকদের নিকট বলেন, শরীফের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সার্বিক প্রস্তুতি চলছে।

যেহেতু বিষয় টা স্পর্শকাতর, সেহেতু এই বিষয়ে আগামীতে বিস্তারিত সংবাদ প্রকাশ করা হবে।

এবিএম কাইয়ুম রাজ

মায়ের ভালোবাসা

এবিএম কাইয়ুম রাজ প্রকাশিত: সোমবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৫, ১২:০০ এএম
মায়ের ভালোবাসা

মায়ের ভালোবাসা আকাশের মতো,
অথই গভীরে হারায় শত শত।
ক্লান্ত পথিকের শান্তির ঠিকানা,
ভালোবাসায় ভরে দেয় হৃদয়খানা।

শিশিরভেজা সকালে মায়ের ডাক,
মুছে দেয় জীবনের সব দুঃখ-ভাক।
আঁধার রাতে তার কোমল ছায়া,
আলোর খোঁজে হয়ে ওঠে মায়াময় মায়া।

চোখের ইশারায় বুঝে নেয় ব্যথা,
মুখের হাসিতে ফোটে নতুন কথা।
বৃষ্টি দিনে, রোদেলা বিকেলে,
মায়ের ভালোবাসা জড়িয়ে রাখে অবিরত মেলেঃ

আমি তো চাই শুধু মায়ের হাত,
চাই না দুনিয়ার যশ, মান বা মাত।
মায়ের আশীর্বাদ, মায়ের দোয়ায়,
জীবনের পথ আলোকিত হয় স্নেহছায়ায়।

মায়ের ভালোবাসায় কাটুক শত বছর,
তার হৃদয়ে খুঁজে পাই জীবন-মধুর কবর।
যেমন নদীর জল হারায় না পথ,
মায়ের মায়ায় হারাই আমি অবিরত।

ফেনীর সমস্যা নিয়ে জেলা প্রশাসক কে স্মারক লিপি দিয়েছেন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ

মশি উদ দৌলা রুবেল ফেনী: প্রকাশিত: রবিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৫, ১১:০৭ পিএম
ফেনীর সমস্যা নিয়ে জেলা প্রশাসক কে স্মারক লিপি দিয়েছেন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ

ফেনীতে প্রস্তাবিত”চীন-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশীপ হাসপাতাল” স্থাপন,মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা,মুসাপুর ক্লোজার পুর্ন:নির্মাণ,বল্লামুখা বেড়িবাঁধ দ্রুত নির্মাণ,লালপুলে আন্ডারপাস অথবা ফ্লাইওভার ব্রীজ নির্মাণ এবং রেলগেইট ক্রসিং এ ফ্লাইওভার নির্মাণের বিষয়ে অদ্য রবিবার বিকেলে ফেনী জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারক লিপি দিয়েছে ফেনীর বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিরা।এই সময় তারা জেলা প্রশাসককে জানান বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য রেমিটেন্স সমৃদ্ধ,সম্ভাবনাময় ও আন্তঃসংযোগ জেলা হিসেবে ফেনী একটি পরিচিত নাম।শমসের গাজী,জহির রায়হান,ভাষা শহীদ সালাম ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জন্মস্থান ফেনী।দেশের সর্ববৃহৎ শিল্পাঞ্চল প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে ফেনী জেলার সোনাগাজী উপজেলা লাগোয়া।ফেনী জেলা বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জেলা হওয়া সত্বেও বহুবিধ সমস্যায় জর্জরিত এই জেলাটি।জনগনের মৌলিক অধিকার চিকিৎসা সেবা।দেশের অধিকাংশ জেলায় মেডিকেল কলেজ থাকলেও ফেনীতে কোন মেডিকেল কলেজ নেই।নেই উচ্চ শিক্ষার জন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় বা কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়।মুসাপুর ক্লোজার ভেঙ্গে ফেনী ও নোয়াখালী ২টি জেলার মানুষের মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে।ফেনীর পরশুরাম সীমান্তে বল্লামুখা বাঁধ ভেঙ্গে ২০২৪ সালের আগস্ট মাসে ইতিহাসের ভয়াবহ বন্যায় ফেনী,কুমিল্লা,নোয়াখালী ও চট্টগ্রাম জেলার লক্ষ লক্ষ মানুষের হাজার হাজার কোটি টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে।প্রাণহানি ঘটেছে অসংখ্য মানুষের।ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়ের লালপুল ক্রসিং দিয়ে ফেনী সদর উপজেলা,সোনাগাজী উপজেলা এবং নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার কয়েক লক্ষ মানুষের যাতায়াত।এখানে আন্ডারপাস বা ফ্লাইওভার ব্রীজ না থাকায় প্রায় প্রতিদিন প্রাণহানি ঘটছে।ফেনী শহরের গুদাম কোয়টার এলাকায় ঢাকা চট্টগ্রাম রেল ক্রসিং এ প্রতিদিন আটকে পড়ে থাকে শতশত রোগী, স্কুল কলেজের হাজার ছাত্র-ছাত্রী ও পথচারী। অনেক রোগী রাস্তার উপর মৃত্যুকোলে ঢলে পড়ে।এইসব সমস্যার সমাধান ও দাবী আদায়ের লক্ষ্যে ফেনী জেলার সকল শ্রেনী পেশার মানুষ মিছিল,মিটিং ও মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করার পরও ফেনীবাসী আজও কোন সমাধান পায়নি।২৪ এর গনঅভ্যুত্থানে ঢাকার বাহিরে ফেনীতে ছাত্র-জনতা ঐতিহাসিক ভূমিকা রেখেছে, এখানে ০৪ আগষ্ট ১১টি তাজা প্রাণ ঝরে পড়ে এবং আহত হয় সহস্রাধিক তরুণ ছাত্র জনতা।এমতাবস্থায় ফেনী জেলা ও ফেনী জেলার সাথে প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত প্রায় পঞ্চাশ লক্ষ এবং পরোক্ষভাবে জড়িত আরো প্রায় এককোটি গণমানুষের স্বাস্থ্য সেবায় ফেনীতে প্রস্তাবিত ১টি চীন-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশীপ হাসপাতাল স্থাপন,১টি পূর্ণাঙ্গ মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা অথবা ফেনী সদর হাসপাতালকে মেডিকেল কলেজে রূপান্তর,উচ্চ শিক্ষা নিশ্চিত করনের লক্ষ্যে একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা,একটি কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা,মুসাপুর ও বল্লামুখা পয়েন্টে টেকসই ক্লোজার ও বেড়িবাঁধ নির্মাণ, লালপুলে ঢাকা চট্টগ্রাম হাইওয়ে ক্রসিং এ আন্ডারপাস অথবা ফ্লাইওভার ব্রীজ নির্মাণ,ফেনী শহরের গুদাম কোয়াটার রেলক্রসিং এ ফ্লাইওভার ব্রীজ নির্মাণ করে ফেনী জেলার গণ মানুষের মৌলিক অধিকার সংরক্ষন ও জীবনমরণ সমস্যা সমাধানে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার সদয় দৃষ্টি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়।এই সময় উপস্থিত ছিলেন ফেনী জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক,মোঃএয়াকুব নবী,গাজী হাবিব উল্লাহ মানিক,জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলাল,বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ফেনী জেলা সেক্রেটারি মুহাম্মদ আবদুর রহীম,ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ফেনী জেলা সেক্রেটারী মাওলানা একরামুল হক ভূইয়া,হেফাজতে ইসলাম ফেনী জেলা সেক্রেটারী মাওলানা ওমর ফারুক,এবি পার্টি ফেনী জেলা সদস্য সচিব অধ্যাপক ফজলুল হক,জাতীয় নাগরিক পার্টি,এনসিপির কেন্দ্রীয় সদস্য জাহিদুল ইসলাম সৈকত,বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ফেনীর সাবেক সমন্বয়ক আবদুল কাইয়ুম সোহাগ প্রমুখ।

error: Content is protected !!