শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ২ কার্তিক ১৪৩২
শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ২ কার্তিক ১৪৩২

গ্যাস ও সয়াবিন তেলের দাম বৃদ্ধি

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৫, ২:১৯ পিএম | 156 বার পড়া হয়েছে
গ্যাস ও সয়াবিন তেলের দাম বৃদ্ধি

রাজস্ব আয় বাড়ানো ও ভর্তুকি ব্যয় কমাতে গিয়ে শিল্পগ্যাস ও সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানোর ফলে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্রভাব পড়েছে দ্রব্যমূল্যেও ওপর। ফলে, ইতোমধ্যে পেঁয়াজ, ডিম ও সবজির দাম বাড়তে শুরু করেছে। কমার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না আগে থেকেই বাড়তে থাকা চাল ও ডালের দামে। এছাড়া সরকারের মুদ্রানীতি ও রাজস্বনীতিতে সমন্বয় না থাকায় মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা খুব সফল হচ্ছে না। গত মাসেও সার্বিক মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের বেশি ছিল। যে কারণে মূল্যস্ফীতির চাপ আরো জেঁকে বসার শঙ্কা অর্থনীতিবিদ-রাজনীতিবিদদের।

এদিকে, প্রবৃদ্ধির পরিবর্তে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণকে প্রাধান্য দিয়ে বর্তমানে কঠোর মুদ্রানীতি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে বাজারে টাকার সরবরাহ কমে গেছে। সর্বনিম্ন অবস্থানে গেছে বেসরকরি খাতে বিনিয়োগ প্রবৃদ্ধি। সংকুচিত হয়েছে কর্মসংস্থান। বৃহত্তর স্বার্থে এই পরিস্থিতি মেনে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হলেও উল্টো পথে হাঁটছে সরকার।

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) গতকালের হিসাবে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে ঢাকার বাজারে দেশি পেঁয়াজ, মোটা চাল, খোলা আটা, সয়াবিন তেল, পাম তেল, ডিমের দাম বেড়েছে। দেশি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা। সবজির দাম বেড়েছে গড়ে ২০ টাকার মতো। প্রতি ডজন ডিমের দাম বেড়েছে ১০ টাকা।

এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার প্রতি লিটার তেলের দাম ১৪ টাকা বাড়িয়েছে সরকার। এতে সরকারের মাসে রাজস্ব আয় বাড়বে সাড়ে ৫শ কোটি টাকা। শিল্পে নতুন সংযোগের ক্ষেত্রে গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটারে বাড়ানো হয়েছে ৩৩ শতাংশ। পাশাপাশি পুরনো ব্যবহারকারীরা প্রতিশ্রুতির অতিরিক্ত গ্যাস ব্যবহার করলে একই হারে বাড়তি দাম দিতে হবে।

এতে সরকারের কী পরিমাণ ভর্তুকি কমে আসবে সেটি অবশ্য নির্দিষ্ট করে বলতে পারেনি বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কর্পোরেশন। তবে, এর প্রভাবে কারখানাগুলোর উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাবে বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা। কারণ, অনেক কারখানাই ঘোষিত লোডের অতিরিক্ত গ্যস ব্যবহার করে বাড়তি উৎপাদনের চাহিদা মেটাতে।

পেট্রোবাংলার হিসাবে, ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৪ সালের অক্টোবর পর্যন্ত শিল্পে অনুমোদিত লোডের চেয়ে ১৪ কোটি ৭৮ লাখ ঘনমিটার গ্যাস বাড়তি ব্যবহার করা হয়েছে। আর কারখানার নিজস্ব বিদ্যুৎকেন্দ্র (ক্যাপটিভ) ৫ কোটি ৭৬ লাখ ঘনমিটার গ্যাস বাড়তি ব্যবহার করা হয়েছে। নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী এই পরিমাণ গ্যাসের দাম বাড়তি হারে দিতে হবে শিল্প মালিকদের।

এর আগে গত ৯ ডিসেম্বর সর্বশেষ বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানো হয়েছিল। তখন বেড়েছিল লিটারে ৮ টাকা। এরপরও ব্যবসায়ীরা আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যবৃদ্ধির কথা জানিয়ে দাম বাড়ানোর চিঠি দিয়েছিলেন। তবে সরকার শুল্ক-করে ছাড় দিয়ে মূল্য বৃদ্ধি ঠেকিয়ে রাখে। গত ১৭ অক্টোবর ভোজ্যতেল আমদানি, উৎপাদন ও ব্যবসায়ী পর্যায়ে মূল্য সংযোজন করের হার (মূসক/ভ্যাট) ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করে সরকার। নভেম্বরে আরও কমিয়ে ভ্যাট ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়।

তেলকল মালিক সমিতি বলছে, ভ্যাট অব্যাহতির মেয়াদ গত ৩১ মার্চ শেষ হয়েছে। ফলে সয়াবিন তেলের এক লিটারের বোতলের দাম হওয়ার কথা ১৯৮ টাকা। তবে ভোক্তার স্বার্থ বিবেচনায় নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮৯ টাকা।গত মঙ্গলবার সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানো নিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা সেখ বশিরউদ্দীন।

বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এত দিন সরকার প্রতি মাসে প্রায় ৫৫০ কোটি টাকা রাজস্ব ছাড় দিয়েছে। রমজান পর্যন্ত গত কয়েক মাসে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ছাড় দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সরকার পরিচালনার ব্যয়ের কথা বিবেচনা করে এভাবে রাজস্ব ছাড় দেওয়ার ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা আছে।

মূল্যবৃদ্ধির প্রসঙ্গে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ভোক্তাপর্যায়ে আজ যে মূল্যবৃদ্ধি করতে বাধ্য হলাম, আমি মনে করছি, এই বাধ্যবাধকতা সাময়িক। অদূর ভবিষ্যতে এই দাম কমানো সম্ভব হবে।

তিনি বলেন, ভ্যাট অব্যাহতি আরেকটু দীর্ঘায়িত করা যেত কি না, সরকার সেই চেষ্টা করেছে। কিন্তু শেষমেশ দেখা গেল, এ মুহূর্তে ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া সরকারের জন্য খুবই সংবেদনশীল বিষয়।

এদিকে বাজারে অন্যান্য নিত্যপণ্যের দামও বাড়ছে। পবিত্র রমজান মাসে পেঁয়াজের দাম কম ছিল। ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি পেঁয়াজ কেনা গেছে। তবে গত চার দিন ধরে দাম বাড়ছে। গতকাল প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। জানা গেছে, চার দিন আগে পেঁয়াজের দাম হঠাৎ বাড়তে শুরু করেছে।

সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশও (টিসিবি) জানিয়েছে, দেশি পেঁয়াজের দর কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে। বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকায়।

ব্যবসায়ীরা জানান, চলতি বছর পেঁয়াজের ফলন ভালো হয়েছে। এ কারণে মৌসুমের শুরু থেকেই দাম গত বছরের তুলনায় কম ছিল। তবে এখন দাম বেড়ে গেছে।

মগবাজারের কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, ফার্মের মুরগির বাদামি এক ডজন ডিম বড় বাজারে ১২০-১২৫ টাকা এবং মহল্লার মুদি দোকানে ১৩০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। বিক্রেতাদের দাবি, এক সপ্তাহে ডজনে ১০ টাকার মতো বেড়েছে। পবিত্র ঈদুল ফিতরের পর চাহিদা কমায় বাজারে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম কমেছে।

বুধবার প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ১৬০-১৭০ টাকা এবং সোনালি মুরগি বিক্রি হয়েছে ২২০-২৬০ টাকায়। চালের দাম অনেক দিন ধরেই চড়া। নতুন করে দাম বাড়েনি বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

তবে টিসিবি জানাচ্ছে, খোলা আটার সর্বনিম্ন দাম কেজিতে ২ টাকা বেড়েছে। ডালের দাম আগের মতোই বেশি। নতুন করে হেরফের হয়নি। চিনির দামও আগের মতো রয়েছে, কেজি ১২০ টাকার আশপাশে। এদিকে বেড়েছে সবজির দাম।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, শীতের সবজির সরবরাহ শেষ। এখন গ্রীষ্মের সবজির চাহিদা বেশি। নতুন সবজি আসছে, দাম চড়া। কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ১৪টি সবজির দামের হিসাব দেয়।

গত বুধবারের হিসাবে দেখা যায়, এক মাসের ব্যবধানে সবজির দাম বেড়েছে ১৪ থেকে ৫৬ শতাংশ পর্যন্ত।

ক্ষুধার্ত পথশিশুদের একবেলার আহার সমাজের বিবেকে প্রশ্নচিহ্ন

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২৫, ১২:৪৬ এএম
ক্ষুধার্ত পথশিশুদের একবেলার আহার সমাজের বিবেকে প্রশ্নচিহ্ন

রুবিনা শেখঃ

রাজধানীর ব্যস্ত এক মোড়ে ফুটপাতের পাশে বসে কয়েকজন ক্ষুদে শিশু এক থালা ভাত ভাগাভাগি করে খাচ্ছে। কারও গায়ে মলিন জামা, কারও শরীর প্রায় উলঙ্গ, কেউবা কাগজের গ্লাসে পানি খাচ্ছে— কিন্তু সবার মুখে একটাই অনুভূতি, ক্ষুধা মিটিয়ে বেঁচে থাকার আনন্দ।
তাদের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষগুলো ব্যস্ত, কেউ তাকায় না। যেন এই দৃশ্যটা এখন খুব স্বাভাবিক হয়ে গেছে শহরের প্রতিটি অলিতে গলিতে।
এই শিশুরা কারও সন্তান নয়— অথচ সবাই কারও না কারও সমাজের অংশ।
এক প্লেট খাবারের জন্য যেভাবে তারা একত্রে বসে খাচ্ছে, তা শুধু দারিদ্র্যের ছবি নয়, আমাদের বিবেকের এক নীরব প্রশ্নচিহ্ন।
বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের পথে— বলা হয় আমরা মধ্যম আয়ের দেশে। শহরে উঁচু অট্টালিকা, শপিংমল, বিলাসবহুল রেস্তোরাঁ বাড়ছে প্রতিদিন।
তবু এই ক্ষুদে মুখগুলো কেন আজও ফুটপাতে ভাত খায়, এই প্রশ্নের উত্তর কেউ দেয় না।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজধানীতে এখন হাজার হাজার পথশিশু প্রতিদিন ক্ষুধার সঙ্গে যুদ্ধ করছে।
সরকারি আশ্রয়কেন্দ্র, বেসরকারি সংস্থার তৎপরতা— সবকিছুর পরও বাস্তবতা হচ্ছে, রাস্তায় এদের সংখ্যা কমছে না; বরং প্রতিদিন বাড়ছে।
সমাজের বিত্তবান শ্রেণি প্রতিদিন কোটি কোটি টাকা ব্যয় করছে আরাম-আয়েশে।
কিন্তু তাদের একটুখানি দয়া, একবেলার খাবারের দান, বা একটি আশ্রয় দিলে হয়তো এই শিশুরাও নতুন ভবিষ্যৎ পেতে পারত।
এই ছবিটি তাই শুধু এক মুহূর্তের দৃশ্য নয়, এটি আমাদের সমাজের আয়নায় এক নগ্ন প্রতিচ্ছবি—
যেখানে উন্নয়নের রঙিন আলোয় লুকিয়ে আছে ক্ষুধার্ত মুখের নীরব কান্না।
ছবির ক্যাপশন:
রাজধানীর এক গলিতে এক থালা ভাত ভাগাভাগি করে খাচ্ছে ক্ষুধার্ত পথশিশুরা। পাশে কেউ নেই আছে শুধু ক্ষুধা আর টিকে থাকার লড়াই।

অবিলম্বে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে মশাল প্রজ্জলন!!

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৫, ১১:২৬ পিএম
অবিলম্বে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে মশাল প্রজ্জলন!!

 

-মোঃআশিকুর সরকার (রাব্বি)
-রাজারহাট কুড়িগ্রামঃ

অবিলম্বে দেশীয় অর্থে তিস্তা মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবিতে কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়ন বুড়ির হাট,তিস্তা নদীর তীরে মশাল প্রজ্বলন করেছে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন।
বৃহস্পতিবার(১৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রংপুর বিভাগের তিস্তা নদীর দুই তীরের ১১টি স্থানে একযোগে এ মশাল প্রজ্বলন কর্মসুচির উদ্বোধন করেন তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক কেন্দ্রীয় বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক উপমন্ত্রী আসাদুল হাবিব দুলু।
এ মশাল প্রজ্বলন কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাই সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি নজরুল ইসলাম হাক্কানী।এছাড়াও রংপুর ডালিয়া এলাকায় কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার হাসান রাজীব প্রধান।
বক্তারা বলে,আগামী ফেব্রুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই নিজস্ব অর্থায়নে তিস্তা মেগা প্রকল্পের কাজ শুরু করতে হবে। অন্যথায় বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলে রংপুরকে অচল করে দেয়ার হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা। এ সময় উক্ত মশাল মিছিলে, লাখো মানুষের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।

‎লালমনিরহাটে জমি দখলে ব্যর্থ হামলাকারী জাহাঙ্গীর আলম মাস্টার গ্রেফতার!!

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৫, ১১:২২ পিএম
‎লালমনিরহাটে জমি দখলে ব্যর্থ হামলাকারী জাহাঙ্গীর আলম মাস্টার গ্রেফতার!!

 

 

চয়ন কুমার রায়
‎লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি

 

লালমনিরহাটে জমি দখলে ব্যর্থ হামলায় দুইজন আহত ও একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ৭ জনসহ ২০/২২ জন অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে লালমনিরহাট সদর থানায় একটি মামলা দায়ের হওয়ায় পুলিশ জাহাঙ্গীর আলম মাস্টারকে গ্রেফতার করেছেন।

‎মামলার বিবরণে জানা যায়, সদর উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়নের রতিপুর গ্রামের এরশাদুল হক দুদুর সাথে হাড়ীভাঙ্গা আরডিআরএস অফিসের পূর্ব পার্শ্বের জাহাঙ্গীর আলম মাস্টারের সাথে জমিজমা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল।

‎এরেই জের ধরে বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ১০টায় জাহাঙ্গীর আলম মাস্টার (৫২), রতিপুর বসুনিয়াপাড়া গ্রামের আলমগীর (৪৭), মাহফুজ (৪৯), হাছান আলী (৩০), হাবিব (২৭), শফিকুল (৫০), ও জাহেদুল ইসলাম (৫০) সহ ২০/২২জন অজ্ঞাতনামা ব্যাক্তি হাতে লাঠিসোটা, লোহার রড, ধারালো ছোড়া, দেশীয় অস্ত্রে স্বস্ত্রে সজ্জিত হয়ে দলবদ্ধ ভাবে রতিপুর গ্রামে দুদুর ভোগ দখলীয় জমি দখলের চেষ্টায় টিনের চালা ঘর ভাংচুর চালান। এতে দুদু বাঁধা নিষেধ করলে তাকে এলোপাতাড়ীভাবে মারপিটে মাথা ও পা সহ শরীরের বিভিন্নস্থানে ছেলা ফুলা হাড় ভাঙ্গা জখম সৃষ্টি হয়। এমনকি তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গলাটিপে ধরায় তার আত্মচিৎকারে ছেলে হৃদয় বাবাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে তার দুই পায়ে এলোপাতাড়ীভাবে মারপিটে ছেলা ফুলা ও রক্তাক্ত জখম হয়।

‎ছেলে হৃদয়ের আত্মচিৎকারে তার মা বিথী বেগম এগিয়ে আসলে তাকেও চুলের মুঠি ধরিয়া টানাহেচরা করে এবং শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাত করে কাপড় টানাহেচরা করে শ্রীলতাহানী ঘটায়।

‎ওই সময় হামলাকারী জাহাঙ্গীর আলম মাস্টার গংরা বিথী বেগমের গলায় থাকা ১ভরি ওজনের স্বর্নের চেইন, যার মূল্য ২লক্ষ ১৫ হাজার টাকা। কানে থাকা ৮আনা ওজনের স্বর্নের দুল, যার মূল্য ১লক্ষ ৭হাজার ৫শত টাকা জোর পূর্বক ছিনাইয়া নেয়।

‎এতে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে চলে যান। পরে এলাকাবাসী আহত দুদু ও তার ছেলে হৃদয়কে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তৃতীয় তলা, বেড নং-৩৩ ও ৩৬, ভর্তির তারিখ-১৫/১০/২৫।

‎এ ঘটনায় এরশাদুল হক দুদুর ভাতিজা ওয়ালি উল্লাহ বাদী হয়ে ওই ৭ জনসহ ২০/২২ জন অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে লালমনিরহাট সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-জিআর ৬১২/২৫। তারিখ-১৫/১০/২৫। এ মামলা দায়ের পর ১নং আসামী জাহাঙ্গীর আলম মাস্টারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

‎এ বিষয়ে লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ নুরনবী বলেন, জমি নিয়ে মারামারির ঘটনায় জাহাঙ্গীর নামের একজনকে গ্রেফতার করে আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে। অন্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।