শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ২ কার্তিক ১৪৩২
শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ২ কার্তিক ১৪৩২

রেমিট্যান্সে রেকর্ড

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: বুধবার, ৯ এপ্রিল, ২০২৫, ২:৪৩ পিএম | 128 বার পড়া হয়েছে
রেমিট্যান্সে রেকর্ড

স্বর্ণ চোরাচালানের উৎস সন্ধানে গত বছরের ডিসেম্বরে দুবাই সফর করে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি পরিদর্শন দল। ফিরে এসে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরকে অবহিত করেন চোরাচালানের পুরো প্রক্রিয়া সম্পর্কে। এই পরিপ্রেক্ষিতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর সক্রিয় হয়।

গত ২৬ ডিসেম্বর সকালে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজ জব্দ করে সংস্থাটি। উড়োজাহাজটির আসনের নিচ থেকে সোয়া দুই কেজির বেশি স্বর্ণ উদ্ধার হয়। আটক হন একজন। এই ঘটনা বাংলাদেশের রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় আহরণে মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে বলে ধারণা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের। ওই উদ্যোগের ফলে দুবাইকেন্দ্রিক স্বর্ণচোরাচালানে ভাটা পড়েছে। যে কারণে বাংলাদেশের ইতিহাসের সর্বোচ্চ প্রবাসী আয় এসেছে মার্চে। মাসটিতে ৩ দশমিক ২৯ বিলিয়ন ডলার (প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা) রেমিট্যান্স এসেছে।

এর আগে ফেব্রুয়ারিতে ২ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন ডলার ও জানুয়ারিতে ২ দশমিক ১৮ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। মার্চের পূর্বে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ প্রবাসী আয় ছিল ২ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন ডলার; যা গত ডিসেম্বরে এসেছিল। প্রবাসী আয় রেকর্ড পরিমাণ বাড়লেও গেল বছরে বিদেশে কর্মী যাওয়ার পরিমাণ কমেছিল সাড়ে ২২ শতাংশ। জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর হিসাবে, ২০২৪ সালে প্রবাসে নতুন কর্মী গেছে ১০ লাখ ১২ হাজার জন। এর আগের বছরে গিয়েছিল ১৩ লাখ ৬ হাজার কর্মী। জনশক্তি রপ্তানি প্রায় এক চতুর্থাংশ কমার পরও প্রবাসী আয়ে জোয়ারের পেছনে চোরাচালান কমে যাওয়াকে গুরুত্বপূর্ণ কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, ফেব্রুয়ারির তুলনায় মার্চে প্রবাসী আয় বেড়েছে ৭শ ৬২ মিলিয়ন (৭৬ কোটি ২০ লাখ) ডলার। এর মধ্যে শুধু সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকেই বেড়েছে ১৭৩ দশমিক ৫ মিলিয়ন (১৭ কোটি ৩৫ লাখ) ডলার। দেশটি থেকে মার্চে ৫০ কোটি ৮৪ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। ফেব্রুয়ারিতে ৩৩ কোটি ৪৯ লাখ ডলার ও জানুয়ারিতে ২৪ কোটি ৯৫ লাখ ডলার প্রবাসী আয় এসেছিল।

বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা পরিদর্শন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, দুবাইভিত্তিক একটি বিশাল চক্র প্রবাসীদের থেকে বৈদেশিক মুদ্রা সংগ্রহ করে। আর বাংলাদেশে তাদের এজেন্টরা প্রবাসীদের আত্মীয়দের সমপরিমাণ টাকা বুঝিয়ে দেয়। প্রবাসীদের থেকে সংগৃহীত বৈদেশিক মুদ্রা দিয়ে ওই চক্রটি স্বর্ণের বার ক্রয় করে। এরপর নিজস্ব সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দুবাইফেরত উড়োজাহাজে এগুলো বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়।

পাচারকৃত স্বর্ণের ৯০ ভাগের বেশি সীমান্ত পার হয়ে ভারতে চলে যায়। এর এক অংশের বিনিময়ে ভারত থেকে চোরাচালানে আসে গরু, মাদকসহ বিভিন্ন পণ্য। বাকি অংশ হুন্ডির মাধ্যমে দেশে আসে। এতে বাংলাদেশ বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছে। কারণ, ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসী আয় না এলে সেটি দেশের রিজার্ভে যুক্ত হয় না। বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতির হিসাবে, বছরে অবৈধপথে ৯১ হাজার কোটি টাকার স্বর্ণালঙ্কার দেশে আসে।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ভোরের আকাশকে বলেন, আগেই আমরা ধারণা করেছিলাম, শুধু দুবাইকেন্দ্রিক স্বর্ণ চোরাচালান বন্ধ করতে পারলেই মাসে ৩ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স আয় করা সম্ভব। আমাদের ধারণা সত্য হয়েছে। এই ধারা ধরে রাখতে পারলে বৈদেশিক মুদ্রার জন্য বাংলাদেশকে কারো কাছে ধর্ণা দিতে হবে না।

ওই কর্মকর্তা বলেন, বিদেশ ফেরত একজন ব্যক্তি বিনাশুল্কে ১শ গ্রাম স্বর্ণালঙ্কার আনতে পারেন। ভারতে এই সুবিধায় মাত্র ২০ গ্রাম স্বর্ণ আনা যায়। বাংলাদেশে এই সীমা কমিয়ে আনলে অর্থ পাচার আরও কমে আসবে।

ক্ষুধার্ত পথশিশুদের একবেলার আহার সমাজের বিবেকে প্রশ্নচিহ্ন

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২৫, ১২:৪৬ এএম
ক্ষুধার্ত পথশিশুদের একবেলার আহার সমাজের বিবেকে প্রশ্নচিহ্ন

রুবিনা শেখঃ

রাজধানীর ব্যস্ত এক মোড়ে ফুটপাতের পাশে বসে কয়েকজন ক্ষুদে শিশু এক থালা ভাত ভাগাভাগি করে খাচ্ছে। কারও গায়ে মলিন জামা, কারও শরীর প্রায় উলঙ্গ, কেউবা কাগজের গ্লাসে পানি খাচ্ছে— কিন্তু সবার মুখে একটাই অনুভূতি, ক্ষুধা মিটিয়ে বেঁচে থাকার আনন্দ।
তাদের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষগুলো ব্যস্ত, কেউ তাকায় না। যেন এই দৃশ্যটা এখন খুব স্বাভাবিক হয়ে গেছে শহরের প্রতিটি অলিতে গলিতে।
এই শিশুরা কারও সন্তান নয়— অথচ সবাই কারও না কারও সমাজের অংশ।
এক প্লেট খাবারের জন্য যেভাবে তারা একত্রে বসে খাচ্ছে, তা শুধু দারিদ্র্যের ছবি নয়, আমাদের বিবেকের এক নীরব প্রশ্নচিহ্ন।
বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের পথে— বলা হয় আমরা মধ্যম আয়ের দেশে। শহরে উঁচু অট্টালিকা, শপিংমল, বিলাসবহুল রেস্তোরাঁ বাড়ছে প্রতিদিন।
তবু এই ক্ষুদে মুখগুলো কেন আজও ফুটপাতে ভাত খায়, এই প্রশ্নের উত্তর কেউ দেয় না।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজধানীতে এখন হাজার হাজার পথশিশু প্রতিদিন ক্ষুধার সঙ্গে যুদ্ধ করছে।
সরকারি আশ্রয়কেন্দ্র, বেসরকারি সংস্থার তৎপরতা— সবকিছুর পরও বাস্তবতা হচ্ছে, রাস্তায় এদের সংখ্যা কমছে না; বরং প্রতিদিন বাড়ছে।
সমাজের বিত্তবান শ্রেণি প্রতিদিন কোটি কোটি টাকা ব্যয় করছে আরাম-আয়েশে।
কিন্তু তাদের একটুখানি দয়া, একবেলার খাবারের দান, বা একটি আশ্রয় দিলে হয়তো এই শিশুরাও নতুন ভবিষ্যৎ পেতে পারত।
এই ছবিটি তাই শুধু এক মুহূর্তের দৃশ্য নয়, এটি আমাদের সমাজের আয়নায় এক নগ্ন প্রতিচ্ছবি—
যেখানে উন্নয়নের রঙিন আলোয় লুকিয়ে আছে ক্ষুধার্ত মুখের নীরব কান্না।
ছবির ক্যাপশন:
রাজধানীর এক গলিতে এক থালা ভাত ভাগাভাগি করে খাচ্ছে ক্ষুধার্ত পথশিশুরা। পাশে কেউ নেই আছে শুধু ক্ষুধা আর টিকে থাকার লড়াই।

অবিলম্বে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে মশাল প্রজ্জলন!!

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৫, ১১:২৬ পিএম
অবিলম্বে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে মশাল প্রজ্জলন!!

 

-মোঃআশিকুর সরকার (রাব্বি)
-রাজারহাট কুড়িগ্রামঃ

অবিলম্বে দেশীয় অর্থে তিস্তা মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবিতে কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়ন বুড়ির হাট,তিস্তা নদীর তীরে মশাল প্রজ্বলন করেছে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন।
বৃহস্পতিবার(১৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রংপুর বিভাগের তিস্তা নদীর দুই তীরের ১১টি স্থানে একযোগে এ মশাল প্রজ্বলন কর্মসুচির উদ্বোধন করেন তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক কেন্দ্রীয় বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক উপমন্ত্রী আসাদুল হাবিব দুলু।
এ মশাল প্রজ্বলন কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাই সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি নজরুল ইসলাম হাক্কানী।এছাড়াও রংপুর ডালিয়া এলাকায় কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার হাসান রাজীব প্রধান।
বক্তারা বলে,আগামী ফেব্রুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই নিজস্ব অর্থায়নে তিস্তা মেগা প্রকল্পের কাজ শুরু করতে হবে। অন্যথায় বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলে রংপুরকে অচল করে দেয়ার হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা। এ সময় উক্ত মশাল মিছিলে, লাখো মানুষের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।

‎লালমনিরহাটে জমি দখলে ব্যর্থ হামলাকারী জাহাঙ্গীর আলম মাস্টার গ্রেফতার!!

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৫, ১১:২২ পিএম
‎লালমনিরহাটে জমি দখলে ব্যর্থ হামলাকারী জাহাঙ্গীর আলম মাস্টার গ্রেফতার!!

 

 

চয়ন কুমার রায়
‎লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি

 

লালমনিরহাটে জমি দখলে ব্যর্থ হামলায় দুইজন আহত ও একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ৭ জনসহ ২০/২২ জন অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে লালমনিরহাট সদর থানায় একটি মামলা দায়ের হওয়ায় পুলিশ জাহাঙ্গীর আলম মাস্টারকে গ্রেফতার করেছেন।

‎মামলার বিবরণে জানা যায়, সদর উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়নের রতিপুর গ্রামের এরশাদুল হক দুদুর সাথে হাড়ীভাঙ্গা আরডিআরএস অফিসের পূর্ব পার্শ্বের জাহাঙ্গীর আলম মাস্টারের সাথে জমিজমা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল।

‎এরেই জের ধরে বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ১০টায় জাহাঙ্গীর আলম মাস্টার (৫২), রতিপুর বসুনিয়াপাড়া গ্রামের আলমগীর (৪৭), মাহফুজ (৪৯), হাছান আলী (৩০), হাবিব (২৭), শফিকুল (৫০), ও জাহেদুল ইসলাম (৫০) সহ ২০/২২জন অজ্ঞাতনামা ব্যাক্তি হাতে লাঠিসোটা, লোহার রড, ধারালো ছোড়া, দেশীয় অস্ত্রে স্বস্ত্রে সজ্জিত হয়ে দলবদ্ধ ভাবে রতিপুর গ্রামে দুদুর ভোগ দখলীয় জমি দখলের চেষ্টায় টিনের চালা ঘর ভাংচুর চালান। এতে দুদু বাঁধা নিষেধ করলে তাকে এলোপাতাড়ীভাবে মারপিটে মাথা ও পা সহ শরীরের বিভিন্নস্থানে ছেলা ফুলা হাড় ভাঙ্গা জখম সৃষ্টি হয়। এমনকি তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গলাটিপে ধরায় তার আত্মচিৎকারে ছেলে হৃদয় বাবাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে তার দুই পায়ে এলোপাতাড়ীভাবে মারপিটে ছেলা ফুলা ও রক্তাক্ত জখম হয়।

‎ছেলে হৃদয়ের আত্মচিৎকারে তার মা বিথী বেগম এগিয়ে আসলে তাকেও চুলের মুঠি ধরিয়া টানাহেচরা করে এবং শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাত করে কাপড় টানাহেচরা করে শ্রীলতাহানী ঘটায়।

‎ওই সময় হামলাকারী জাহাঙ্গীর আলম মাস্টার গংরা বিথী বেগমের গলায় থাকা ১ভরি ওজনের স্বর্নের চেইন, যার মূল্য ২লক্ষ ১৫ হাজার টাকা। কানে থাকা ৮আনা ওজনের স্বর্নের দুল, যার মূল্য ১লক্ষ ৭হাজার ৫শত টাকা জোর পূর্বক ছিনাইয়া নেয়।

‎এতে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে চলে যান। পরে এলাকাবাসী আহত দুদু ও তার ছেলে হৃদয়কে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তৃতীয় তলা, বেড নং-৩৩ ও ৩৬, ভর্তির তারিখ-১৫/১০/২৫।

‎এ ঘটনায় এরশাদুল হক দুদুর ভাতিজা ওয়ালি উল্লাহ বাদী হয়ে ওই ৭ জনসহ ২০/২২ জন অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে লালমনিরহাট সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-জিআর ৬১২/২৫। তারিখ-১৫/১০/২৫। এ মামলা দায়ের পর ১নং আসামী জাহাঙ্গীর আলম মাস্টারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

‎এ বিষয়ে লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ নুরনবী বলেন, জমি নিয়ে মারামারির ঘটনায় জাহাঙ্গীর নামের একজনকে গ্রেফতার করে আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে। অন্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।