অবিভাজ্য মানবতার সবচেয়ে বেশি মজলুম নারীরা
নারীদের সম্পদ ও রক্তের বিনিময়ে কায়েমকৃত ইসলাম থেকে নারীরাই বিতাড়িত


সেহলী পারভীন / মানবাধিকারকর্মী
ইসলামের প্রথম শহীদ একজন মা- আম্মাজান সুমাইয়া রাদিআল্লাহু আনহা। নারীদের রক্ত মুবারকের বিনিময়ে কায়েমকৃত এই ইসলামের মধ্যে আজ লাখো লাখো ইজারাদার অনুপ্রবেশ করেছে। যারা নারীদেরকে ইসলাম থেকে বিতাড়িত করার ইজারা নিয়েছে।
প্রথম কালিমা গ্রহণকারী ও ইসলামের জন্য অর্থ-সম্পদ সকল কিছু উজার করে যিনি আল্লাহ ও আল্লাহর রাসুলের প্রেমে ইসলাম কায়েমে সর্বোচ্চ ত্যাগ ও জান-মাল উৎসর্গ করেছেন তিনি আম্মাজান খাদিজাতুল কুবরা রাদিআল্লাহু আনহা।
ইজারাদাররা নারীকে সালাতু সালামে, মসজিদে, মাজার শরীফে, ইমানিয়াত ও ইনসানিয়াতের কর্মসূচিতে কোথাও সহ্য করতে পারে না। ইসলামের সকল জায়গা থেকে তারা নারীদের বিতাড়িত করে ইসলামকে পুঃলিঙ্গ ভিত্তিক একটা যৌনবাদী লিঙ্গবাদী সমিতিতে পরিণত করে রেখেছে।
ইসলামের বিকৃত, লিঙ্গবাদী ভার্ষনকে কালিমার বিপরীতে দাঁড় করানো হয়েছে।
হযরত ইমাম হায়াত বলছেন,–“আমাদের দ্বীন পূর্ণাঙ্গ, কালিমা পূর্ণাঙ্গ, এই পূর্ণাঙ্গতা ভাইবোন সবাইকে নিয়ে আকীদা আধ্যাত্মিক রাজনৈতিক সর্বদিক থেকে পূর্ণাঙ্গ। যেই পূর্ণাঙ্গতা অস্বীকার করলে কলেমা অস্বীকার হয়ে যায়”।
ওই ইজারাদারদের তো আর সেই খবর নাই যে, ফিলিস্তিনের সবচেয়ে বেশি জুলুমের শিকার নারীরা। কাশমীরে সবচেয়ে বেশি জুলুমের শিকার নারীরা। আরাকানে সবচেয়ে বেশি জুলুমের শিকার নারীরা। মুসলিম অমুসলিম নির্বিশেষে অবিভাজ্য মানবতার সবচেয়ে বেশি মজলুমও নারীরা।
লিঙ্গ পূজা থেকে, লিঙ্গবাদ থেকে, গোত্রবাদ থেকে মুক্তির নাম-ই ইসলাম। ভাষা-পেশা-বর্ণসহ সকল বস্তুর দাসত্ব থেকে উর্ধ্বে উঠিয়ে মানুষ ও মানবতার মুক্তির জন্য এই ধরায় এসেছিলেন নবী মোহম্মদ (স)।