শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২
শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বঙ্গে একজন প্রতিবন্ধী প্রার্থী কে বাদ দিয়ে 

চাকরি হারালেন ছাব্বিশ হাজার শিক্ষক

কলকাতা থেকে নিউজ দাতা মনোয়ার ইমাম প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৩ এপ্রিল, ২০২৫, ৪:২৮ পিএম | 46 বার পড়া হয়েছে
চাকরি হারালেন ছাব্বিশ হাজার শিক্ষক

আজ সকালেই ভারতের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি শ্রী সঞ্জীব খান্না র কলমের খোঁচায় চাকরি হারালেন ছাব্বিশ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষিকা। পশ্চিম বাংলা সরকারের 2016, সালের এস এস সি শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া ছিল নির্ভুল ও অস্বচ্ছতা মধ্যে দিয়ে। এবং অর্থনৈতিক ভাবে লেনদেন শুরু হয় চাকরি প্রার্থীদের। এবং বহু ক্ষেত্রে অসফল চাকরি প্রার্থীরা টাকা পয়সা র বিনিময়ে চাকরি নিয়োগ পেয়েছেন। সেক্ষেত্রে বহু সফল চাকরি প্রার্থীরা চাকরি পাননি। এবং অবৈধ ভাবে চারা চাকরি পেয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের মাননীয় বিচারপতি শ্রী অভিষেক গঙ্গোপাধ্যায় কাছে আবেদন করেন। সাবেক বিচারপতি শ্রী অভিষেক গঙ্গোপাধ্যায় সেই 2016, সালের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া কে অনিয়ম ও অস্বচ্ছতা মধ্যে দিয়ে হয়েছে বলে রায় দেয়। তার ফলে বহু চাকরি প্রার্থীরা চাকরি হারাতে বসে। এবং সফল চাকরি প্রার্থীরা চাকরি শুরু করে। কিন্তু এই ঘটনার পর চাকরি হারা প্রার্থীরা এবং বহু সফল চাকরি প্রার্থীরা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ এ আপিল করে। এবং হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া টি বাতিল করে দেন। এরপর ভারতের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি কাছে আবেদন করে। দীর্ঘদিন ধরে উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আজ নির্দেশ দিয়েছেন যে 2016, সালের এস এস সি পরীক্ষা প্রক্রিয়া টি বেআইনি। এবং বহুক্ষেত্রে অসফল চাকরি প্রার্থীরা চাকরি পেয়েছেন। এবং সফল চাকরি প্রার্থীরা চাকরি পাননি। এই চাকরি কেলেঙ্কারি ফাঁস হয়ে বর্তমানে, পশ্চিম বাংলা সরকারের সাবেক মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জেল হাজতে রয়েছে। সেই বহু সরকারি আমলা ও বিধায়ক কে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।আজ সকালে পশ্চিম বাংলার 2016, সালের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া টি বাতিল করে দেন। এবং সাথে সাথেই একজন প্রতিবন্ধী চাকরি প্রার্থী বাদে সকল চাকরি প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বাতিল করে দেন।এর ফলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও শিক্ষক ও শিক্ষিকা মিলে মোট ছাব্বিশ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষিকা চাকরি হারাতে বসেছে।

মুন্সীগঞ্জে বাল্যবিবাহ ছড়িয়ে পরেছে তা নিয়ে সতর্ক বার্তা জেলা প্রশাসকের

মোঃ সুজন বেপারী প্রকাশিত: শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫, ১:৩০ এএম
মুন্সীগঞ্জে বাল্যবিবাহ ছড়িয়ে পরেছে তা নিয়ে সতর্ক বার্তা জেলা প্রশাসকের

– মুন্সীগঞ্জের জেলায় বাল্যবিবাহ ছড়িয়ে পরেছে স্কুল ও মাদ্রাসা পড়ুয়া মেয়েদের কে প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে একশ্রেণির বখাটে ছেলেরা গোপনে কাজী অফিসে গিয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে পালিয়ে যায় এমন প্রশ্নের অভিযোগ উঠেছে সাধারণ জনসম্মুখেে তা এনিয়ে সতর্ক বার্তা জেলা প্রশাসক।

এছাড়াও রেজিস্ট্রারের বিভিন্ন জায়গায় বর ও কনের জন্মের তারিখ লিপিবদ্ধ করা হয় না। এমনকি বিবাহ পড়ানো ব্যক্তি, সাক্ষী, কনে ও কাজির সই ও থাকে না। বেআইনি প্রক্রিয়ায় অবৈধভাবে অর্থ আদায়ের জন্য এ সব অভিনব কৌশল অবলম্বন করা হয় বলে কাজিদের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের দুর্নীতি রয়েছে।

প্রসঙ্গত, বাল্যবিয়ে হলো অপ্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির আনুষ্ঠানিক অথবা অনানুষ্ঠানিক বিয়ে। বাংলাদেশে ‘বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭’ অনুযায়ী মেয়েদের বিয়ের বয়স ১৮ এবং ছেলেদের ২১ বছর। এর আগে বিয়ে করলে সেটি বাল্যবিয়ে বলে গণ্য হবে।

বাল্যবিয়ের শাস্তি এই আইনের ৭ ধারায় বলা হয়েছে, প্রাপ্তবয়স্ক কোনও নারী বা পুরুষ বাল্যবিয়ে করলে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। তার জন্য দুই বছর কারাদণ্ড অথবা এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। তবে উভয় দণ্ড পেলে অর্থদণ্ড অনাদায়ে তিন মাস কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

এ ছাড়া অপ্রাপ্তবয়স্ক কোনও নারী বা পুরুষ বাল্যবিয়ে করলে এক মাসের আটকাদেশ কিংবা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় ধরনের শাস্তি পাবেন। বাল্যবিয়ে সংশ্লিষ্ট বাবা-মাসহ অন্যান্য অভিভাবকের শাস্তি আইনের ৮ ধারায় বলা হয়েছে, বাবা-মা অভিভাবক অথবা অন্য কোনও ব্যক্তি, আইনগতভাবে বা আইনবহির্ভূতভাবে কোনও অপ্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির ওপর কর্তৃত্ব সম্পন্ন হয়ে বাল্যবিয়ে সম্পন্ন করলে অথবা করার অনুমতি বা নির্দেশ দিলে অথবা নিজেদের অবহেলার কারণে বিয়ে বন্ধ করতে ব্যর্থ হলে এটি অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। তার জন্য তিনি দুই বছর অথবা ন্যূনতম ছয় মাস কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। তবে উভয় দণ্ড পেলে অর্থদণ্ড অনাদায়ে তিন মাস কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

মুন্সীগঞ্জ জেলার জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ফাতেমা তুল জান্নাত মহোদয় বলেন ,আমাদের বাল্যবিবাহ সচেতনতামূলক প্রতিরোধে সার্বক্ষণিক আমরা কার্যক্রম চলমান রয়েছে ও বিভিন্ন সকল ইউএনওদের এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো কনভিন্স বিষয়টি নজরে রাখার নির্দেশনা রয়েছে বলে এতথ্য নিশ্চিত করেন।

তেহরানে ইরানের রাষ্ট্রপতির সাথে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সাক্ষাৎ

জান্নাতুল ফেরদৌস আশাঃ সৌদি আরব প্রতিনিধি- প্রকাশিত: শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫, ১:২৮ এএম
তেহরানে ইরানের রাষ্ট্রপতির সাথে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সাক্ষাৎ

সৌদি আরবের নেতৃত্বের নির্দেশনায়, প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্রিন্স খালিদ বিন সালমান বিন আব্দুল আজিজ বৃহস্পতিবার তেহরানের রাষ্ট্রপতি প্রাসাদে ইসলামিক প্রজাতন্ত্র ইরানের রাষ্ট্রপতি ডঃ মাসুদ পেজেশকিয়ানের সাথে সাক্ষাত করেছেন। সাক্ষাতের সময়, প্রতিরক্ষামন্ত্রী দুই পবিত্র মসজিদের খাদেম বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ আল সৌদ এবং তাঁর রাজকীয় মহামান্য প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান বিন আব্দুল আজিজ আল সৌদ, ক্রাউন প্রিন্স এবং প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা জানান, পাশাপাশি ইরানের সরকার এবং ভ্রাতৃপ্রতিম জনগণের জন্য অব্যাহত অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির কামনা করেন। পরিবর্তে, রাষ্ট্রপতি পেজেশকিয়ান দুই পবিত্র মসজিদের খাদেম এবং তাঁর রাজকীয় মহামান্য ক্রাউন প্রিন্সের প্রতি তার শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। বৈঠকে সৌদি-ইরান সম্পর্ক বৃদ্ধির উপায়গুলি অনুসন্ধান করা হয় এবং বিভিন্ন আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন এবং সেগুলি সমাধানের জন্য করা প্রচেষ্টা নিয়ে আলোচনা করা হয়। বেশ কয়েকজন উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

লিবিয়া এলএনএ স্থল বাহিনী ৬০৩ তম পদাতিক ব্যাটালিয়নকে সর্বাধুনিক সরঞ্জামে সজ্জিত করেছে

মোঃ নাসির আলীঃ- লিবিয়া প্রতিনিধি- প্রকাশিত: শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫, ১:২৬ এএম
লিবিয়া এলএনএ স্থল বাহিনী ৬০৩ তম পদাতিক ব্যাটালিয়নকে সর্বাধুনিক সরঞ্জামে সজ্জিত করেছে

লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মির স্থল বাহিনীর প্রধান (২১) ব্রিগেডের সাথে যুক্ত ৬০৩তম পদাতিক ব্যাটালিয়নকে সর্বশেষ সামরিক সরঞ্জাম এবং সক্ষমতা দিয়ে সজ্জিত করার ঘোষণা দিয়েছেন।

চিফ অফ স্টাফের মতে, এই পদক্ষেপের লক্ষ্য হল এর যুদ্ধ দক্ষতা এবং মাঠ প্রস্তুতি বৃদ্ধি করা।
এতে ব্যাখ্যা করা হয়েছে যে এই সহায়তা লিবিয়ার সেনা ইউনিটগুলি বিকাশের একটি বিস্তৃত পরিকল্পনার অংশ হিসাবে এসেছে, উল্লেখ করে যে ৬০৩ তম ব্যাটালিয়নকে সর্বশেষ সরঞ্জাম দিয়ে সজ্জিত করা এলএনএ জেনারেল কমান্ডের স্বদেশ রক্ষা এবং উচ্চ দক্ষতা এবং কার্যকারিতার সাথে দক্ষিণ লিবিয়াকে সুরক্ষিত করার প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত করে।
চিফ অফ স্টাফ জোর দিয়ে বলেন যে এই পদক্ষেপটি প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য একটি সমন্বিত কৌশলের অংশ, যা যেকোনো সম্ভাব্য হুমকি মোকাবেলায় বাহিনীর সক্ষমতা নিশ্চিত করে এবং সারা দেশে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার ভিত্তি সুসংহত করতে অবদান রাখে।
এটি আরও জোর দিয়ে বলেছে যে জেনারেল কমান্ড বর্তমান এবং ভবিষ্যতের নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জগুলির সাথে সামঞ্জস্য রেখে সামরিক অবকাঠামো আধুনিকীকরণ এবং তার কর্মীদের কর্মক্ষমতা উন্নত করার প্রতিশ্রুতি অব্যাহত রেখেছে।

error: Content is protected !!