মঙ্গলবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
মঙ্গলবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

ভারতীয় ভিসা জটিলতায় দেশীয় বাজারে নতুন সম্ভাবনা

ডেস্ক নিউজ
ডেস্ক নিউজ প্রকাশিত: শুক্রবার, ২১ মার্চ, ২০২৫, ৪:১৯ পিএম | 42 বার পড়া হয়েছে
ভারতীয় ভিসা জটিলতায় দেশীয় বাজারে নতুন সম্ভাবনা

প্রতি বছর ঈদ, বিয়ে ও অন্যান্য উৎসব উপলক্ষে বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশি নাগরিক ভারতে কেনাকাটা করতে যেতেন। ভারতের বড় শপিং মল এবং আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের প্রতি তাদের ব্যাপক আকর্ষণ ছিল। তবে এবার চিত্র বদলেছে। ভিসা জটিলতার কারণে ভারতমুখী কেনাকাটা ব্যাহত হওয়ায় স্থানীয় বাজারে নতুন গতি এসেছে। দেশের অর্থনীতি এতে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত হচ্ছে, এবং ব্যবসায়ীদের জন্যও নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে।

দ্বিপাক্ষিক সুসম্পর্কের কারণে দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশিরা ভারতের শপিং মল ও আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের প্রতি আকৃষ্ট ছিলেন। কিন্তু রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর ভিসা প্রক্রিয়ায় জটিলতা সৃষ্টি হওয়ায় বাংলাদেশিদের ভারতে যাওয়া কমেছে। তবে এতে দেশীয় ব্যবসায়ীদের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি হয়েছে। ঢাকার যমুনা ফিউচার পার্ক, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, রাজশাহী, বরিশালের শপিংমল ও বাজারে ক্রেতাদের ভিড় বেড়েছে।

এক বিক্রেতা জানান, “আগে আমাদের অনেক ক্রেতা ভারতে যেতেন, কিন্তু এবার তারা স্থানীয় বাজারেই কেনাকাটা করছেন। ফলে বিক্রি বেড়েছে, বিশেষ করে পোশাক, গয়না, কসমেটিক্স পণ্যে চাহিদা তুঙ্গে।”

ভারতে গিয়ে কেনাকাটার প্রবণতা কমায় দেশীয় ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মগুলোর বিক্রি বেড়েছে। দ্রুত ডেলিভারি, মূল্য ও গুণগত মান যাচাইয়ের সুযোগ থাকায় অনলাইন কেনাকাটায় মানুষের আগ্রহ বেড়েছে।

দেশীয় ফ্যাশন ব্র্যান্ডগুলো ডিসকাউন্ট অফার দিয়ে গ্রাহকদের আকৃষ্ট করছে। শপিংমলগুলো নতুন পণ্য সংযোজন করছে এবং দাম নাগালের মধ্যে রাখায় ক্রেতাদের আগ্রহ বাড়ছে। ব্যবসায়ীরা বাজার সম্প্রসারণের কৌশল নিচ্ছেন, যা দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

ভারতের ভিসা জটিলতার কারণে চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশিরা এখন চীন ও থাইল্যান্ডের দিকে ঝুঁকছেন। ইতোমধ্যে চীনের ইউনান প্রদেশে চিকিৎসা নিতে গেছেন অনেক বাংলাদেশি।

বাংলাদেশিদের বিদেশে ক্রেডিট কার্ড খরচে ভারত শীর্ষস্থান থেকে সাত নম্বরে নেমে এসেছে। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া ও যুক্তরাজ্যে বেশি খরচ হচ্ছে।

সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “ভারতে কেনাকাটার পরিবর্তে অনেকেই দেশেই খরচ করছেন, এতে দেশীয় পণ্যের বিক্রি বাড়ছে। পাশাপাশি, গ্লোবালাইজেশন বাড়ায় বাংলাদেশিরা এখন অন্যান্য দেশে খরচ করছেন।”

ভারতের ভিসা জটিলতা দেশীয় ব্যবসার জন্য একটি নতুন সুযোগ তৈরি করেছে। এটি ভবিষ্যতে দেশের বাজারে স্থায়ী পরিবর্তন আনতে পারে এবং স্থানীয় অর্থনীতিকে আরও চাঙা করতে সহায়ক হবে।

জনপ্রিয় অভিনেতা ডিপজল কি বললেন তার বোনদের

উজ্জ্বল বাংলাদেশ ডেস্ক প্রকাশিত: সোমবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১১:৪২ পিএম
জনপ্রিয় অভিনেতা ডিপজল কি বললেন তার বোনদের

সম্প্রতি আমার কিছু বোন আমাকে নিয়ে যে মিথ্যা অপবাদ ছড়িয়ে দিয়েছে, তার বিষয়ে আমি আপনাদের সামনে কিছু বাস্তবতা তুলে ধরতে চাই।

প্রথমেই পরিষ্কার করে বলতে চাই—এই বক্তব্য দেওয়ার উদ্দেশ্য কাউকে অসম্মান করা নয়। বরং আমার প্রতি ছড়ানো ভুল ধারণা ও মিথ্যা অপবাদের বিষয়ে সত্য তুলে ধরা। মামলার আইনি জবাব আমি আইন অনুযায়ী দেবো, ইন শা আল্লাহ।

আমার বোনদের আমি সবসময় সম্মান, ভালোবাসা ও সাধ্যমতো সহযোগিতা করে এসেছি—এ কথা আমার এলাকার মানুষ ও আশেপাশের পরিচিত সবাই জানেন।

একজন বোন ক্যামেরার সামনে কাঁদতে কাঁদতে বলেছেন, তাঁর অসুস্থ সন্তানের খোঁজ কেউ নেয়নি। অথচ, তাঁর সন্তানের চিকিৎসার জন্য আল্লাহর দেওয়া সামর্থ্য অনুযায়ী আমি আমার পক্ষ থেকে একটি বড় অংকের সহায়তা করেছি এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা ভারতে পর্যন্ত করেছি। আজ ক্যামেরার সামনে তিনি যেন সব ভুলে গেলেন! পর্দায় অভিনয় আমি করি, বাস্তব জীবনে নয়। যদি জানতাম কোনোদিন বাস্তব জীবনে এমন অভিনয়ের সম্মুখীন হতে হবে, তাহলে হয়তো প্রতিটি কাজের প্রমাণ রেখে দিতাম।

আরেক বোন বলেছেন, ১১ বছর ধরে নাকি আমার সঙ্গে তাঁর কোনো যোগাযোগ নেই। অথচ মাত্র দুই মাস আগেই তাঁকে ও তাঁর সন্তানকে যথেষ্ট পরিমাণ অর্থ সাহায্য করা হয়েছে। আমার সাধ্যের মধ্যে সবসময়ই আমি তাঁদের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। এতো কিছু লিখে শেষ করা সম্ভব নয়।

৩৫ বছর পর আজ হঠাৎ তারা কেন এবং কার প্ররোচনায় এমন মিথ্যা বলছে—এ প্রশ্ন আমারও আছে। যদি সত্যিই কোনো দাবি থাকত, ভালোবাসার সম্পর্ক ধরে সরাসরি বললেই আমি তাদের ২/৩ গুণ বেশি দিয়ে দিতে প্রস্তুত ছিলাম। আমি ডিপজল—আমার সাধ্যের মধ্যে কাউকে ফিরিয়ে দেই না আল্লাহর রহমতে, আর তারা তো আমার আপন ভাইবোন।

যে বোন পর্দা করেন বলে প্রতিটি অনুষ্ঠানে আমি আলাদা কক্ষের ব্যবস্থা করেছি, সেই বোনের মুখেই আজ এমন কথা শুনতে হলো—এটা সত্যিই কষ্টের।

আমি দেশবাসীকে অনুরোধ করছি—মামলার সব কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। আদালতেই সত্য প্রকাশ পাবে, ইন শা আল্লাহ।
যদি আইন অনুযায়ী তারা মালিক হোন, তবে তাদের প্রাপ্য অংশ অবশ্যই তারা পাবেন।

এবং আমার প্রিয় বোনদের বলছি—তোমরা জানো আমি খুব অসুস্থ। জীবনে যতটুকু পেরেছি, আমি তোমাদের জন্য করেছি আল্লাহর রহমতে; যদি আল্লাহ আরো সময় দিতেন, হয়তো আরও করতাম। জীবনের শেষ প্রান্তে এসে এমন আচরণ সত্যিই কষ্টদায়ক।

সম্মান দেওয়ার ও সম্মান রক্ষা করার মালিক একমাত্র আল্লাহ। আল্লাহই সবকিছুর উত্তম বিচারক।

— আলহাজ্ব মনোয়ার হোসেন ডিপজল

—তার ফেসবুক পেজ থেকে নেওয়া

কামরুন নেসা তানিয়া, প্রকাশক, দৈনিক উজ্জ্বল বাংলাদেশ

দৈনিক উজ্জ্বল বাংলাদেশ-পরিবারের নতুন সদস্যকে আন্তরিক শুভেচ্ছা

কামরুন নেসা তানিয়া, প্রকাশক, দৈনিক উজ্জ্বল বাংলাদেশ প্রকাশিত: সোমবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৮:৪০ পিএম
দৈনিক উজ্জ্বল বাংলাদেশ-পরিবারের নতুন সদস্যকে আন্তরিক শুভেচ্ছা

দৈনিক উজ্জ্বল বাংলাদেশ-পরিবারের নতুন সদস্যকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।

আপনার সততা, নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্ব আমাদের দৈনিক উজ্জ্বল বাংলাদেশ পরিবারের শক্তি বৃদ্ধি করবে এই বিশ্বাস রাখি।

সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার মাধ্যমে সমাজের কল্যাণে কাজ করার অঙ্গীকার আমরা সবাই মিলে আরও দৃঢ়ভাবে পালন করবো, ইনশাআল্লাহ।

ধন্যবাদন্তে:
কামরুন নেসা তানিয়া,
প্রকাশক,
দৈনিক উজ্জ্বল বাংলাদেশ।

হাফিজুর রহমান টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

টাঙ্গাইলে নবাগত পুলিশ সুপারের সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

হাফিজুর রহমান টাঙ্গাইল প্রতিনিধি প্রকাশিত: সোমবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৮:৩০ পিএম
টাঙ্গাইলে নবাগত পুলিশ সুপারের সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

টাঙ্গাইলে নবাগত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শামসুল আলম সরকারের সাথে জেলার কর্মরত সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার (৮ডিসেম্বর)দুপুরে টাঙ্গাইল পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শামসুল আলম সরকারের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক কাজী জাকেরুল মওলা, সাবেক সভাপতি আতাউর রহমান আজাদ, উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ পরিষদের সভাপতি মোঃ আরিফুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক শামীম আল মামুন প্রমুখ। সভায় জেলার প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার শতাধিক সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।

মতবিনিময় সভায় পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শামসুল আলম সরকার বলেন, টাঙ্গাইলের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা, মাদক নিয়ন্ত্রণ, সন্ত্রাস দমন এবং জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই আমার প্রধান লক্ষ্য। সাংবাদিকরা সমাজের দর্পণ বলে উল্লেখ করেন। তিনি আরো বলেন,আপনাদের ইতিবাচক সহযোগিতা ও গঠনমূলক সমালোচনা আমাদের কাজে দিক নির্দেশনা দেবে। টাঙ্গাইলকে একটি নিরাপদ ও অপরাধমুক্ত জেলা হিসেবে গড়ে তুলতে পুলিশ বাহিনী সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব বজায় রেখে কাজ করবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বিশেষ অভিযানসহ আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর কথাও উল্লেখ করেন তিনি।

সভায় উপস্থিত সাংবাদিকরা নবাগত এসপিকে স্বাগত জানিয়ে জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন এবং গণমাধ্যমের জন্য সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করার অনুরোধ জানান।
তিনি সকালে সুস্থ্য কামনা করেন।