বৃহস্পতিবার, ৭ আগস্ট ২০২৫, ২১ শ্রাবণ ১৪৩২
বৃহস্পতিবার, ৭ আগস্ট ২০২৫, ২১ শ্রাবণ ১৪৩২

গাজায় ১১০৯ মসজিদ ধ্বংস করেছে ইসরায়েল

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ২:৪৮ পিএম | 97 বার পড়া হয়েছে
গাজায় ১১০৯ মসজিদ ধ্বংস করেছে ইসরায়েল

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় এক হাজার ২৪৪টি মসজিদের মধ্যে এক হাজার ১০৯টি মসজিদই ধ্বংস করেছে দখলদারবাহিনী ইসরায়েল। এই তথ্য জানিয়েছে গাজা সরকারের আওকাফ ও ধর্মীয় বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে মিডলইস্ট মনিটর।

প্রতিবেদনে জানানো হয, গাজার ধর্মীয়বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা গাজার ধ্বংসপ্রাপ্ত ওমরি মসজিদের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য প্রদান করেছেন।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গাজার ৮৯ শতাংশ মসজিদ ধ্বংস হয়েছে। ৮৩৪টি মসজিদ পুরোপুরি ধ্বংস হয়েছে এবং ২৭৫টি মসজিদ ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।

গাজার ধর্মীয় ও প্রশাসনিক কেন্দ্র, ওয়াকফ সম্পত্তি, কবরস্থান এবং মসজিদের ধ্বংসের ফলে ৫০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি ক্ষতি হয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনী মসজিদ ছাড়াও গাজায় তিনটি গির্জা ধ্বংস করেছে।

ইসরায়েল বাহিনী গাজার কবরস্থানগুলোও লক্ষ্যবস্তু করেছে। ৬০টি কবরস্থানের মধ্যে ৪০টি কবরস্থান হামলার শিকার হয়েছে এবং ২১টি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। ৬৪৩টি ওয়াকফ অস্থাবর সম্পত্তি ধ্বংস হয়েছে এবং এই স্থানগুলোতে ধর্মীয় শিক্ষা পরিষেবা বন্ধ হয়ে গেছে।

মন্ত্রণালয়ের ৩১৫ জন ইমাম ও বক্তা ইসরায়েলের হামলায় শহীদ হয়েছেন এবং ২৭ জন মন্ত্রণালয়ের কর্মী ইসরায়েলি সেনাদের হাতে বন্দি রয়েছেন। ধ্বংস হওয়া মসজিদ এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলো পুনর্নির্মাণ করা হবে এবং মিনারেটস কোলিশন নামে একটি আন্তর্জাতিক উদ্যোগ শুরু করা হয়েছে।

এই কোলিশনটির লক্ষ্য হলো ধর্মীয় ও দানশীল প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গাজার ওয়াকফ প্রকল্পগুলোকে সহায়তা প্রদান করা।

মিনারেটস কোলিশন মসজিদ এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর পুনর্নির্মাণের জন্য অগ্রাধিকার প্রকল্প হিসেবে অস্থায়ী মসজিদ স্থাপন, ইমাম এবং ধর্মীয় কর্মকর্তাদের সহায়তা প্রদান, কুরআন পাঠের কোর্স শুরু করা এবং ধর্মীয় শিক্ষা কেন্দ্র চালু করার মতো প্রকল্পগুলোর পরিচয় দিয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায়, সামাজিক সাহায্য প্রকল্প যেমন ফ্রি কবরস্থান প্রদান, পানির কূপ খনন, শহীদ ও বন্দি পরিবারের জন্য সহায়তা প্রদানও পরিকল্পনা করা হয়েছে।

গাজার আওকাফ মন্ত্রণালয় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং ইসলামিক দেশগুলোর প্রতি ধ্বংস হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর পুনর্নির্মাণে সহায়তা করার আহ্বান জানিয়েছে। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে সমাজের সেবা পুনরায় শুরু করতে পারে, সেই বিষয়ে সাহায্য চাওয়া হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, মসজিদগুলো শুধু উপাসনালয় নয়, সেগুলো সমাজের আধ্যাত্মিক এবং সামাজিক কাঠামো শক্তিশালী করার কেন্দ্র হিসেবেও কাজ করে।

সতর্ক করলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা

ভুরুঙ্গামারী ইউএনও’র পরিচয়ে প্রতারণা

কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৭ আগস্ট, ২০২৫, ৪:৩৩ পিএম
ভুরুঙ্গামারী ইউএনও’র পরিচয়ে প্রতারণা

কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বা তাঁর স্ত্রীর পরিচয়ে ফোন করে টাকা দাবি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই বিষয়ে সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকতে আহ্বান জানিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন ইউএনও।

বুধবার (৬ আগস্ট) রাতে ইউএনও তাঁর অফিসিয়াল ফেসবুক আইডিতে দেওয়া পোস্টে লিখেন, সাম্প্রতিক সময়ে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, ইউএনও অথবা ইউএনও’র সহধর্মিণীর পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন নম্বর থেকে কল করে অর্থ চাওয়া হচ্ছে। এটি সম্পূর্ণ প্রতারণা। ইউএনও বা তাঁর স্ত্রী কখনোই কারো কাছে টাকা চাইবেন না। কেউ এ ধরনের ফোন পেলে কোনো অবস্থাতেই কাউকে টাকা দেবেন না। সবাইকে এই বিষয়ে সচেতন থাকার অনুরোধ জানাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, প্রশাসনের নাম ব্যবহার করে কেউ ব্যক্তিগতভাবে অর্থ দাবি করলে সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় প্রশাসন বা থানাকে অবহিত করতে হবে। এই ধরনের প্রতারণা রোধে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।

রুবিনা শেখ

সরকারি ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক মেডিক্যাল শিক্ষার্থীদের স্বতন্ত্র কাউন্সিল গঠনের দাবি

রুবিনা শেখ প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৭ আগস্ট, ২০২৫, ৪:৩০ পিএম
সরকারি ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক মেডিক্যাল শিক্ষার্থীদের স্বতন্ত্র কাউন্সিল গঠনের দাবি

৭ কর্মদিবসের মধ্যে( BUAMC) কাউন্সিল গঠনের স্টেকহোল্ডারদের সাথে পর্যালোচনা সভা করতে হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবের সভাপতিত্বে ( BUAMC) কাউন্সিলের ব্যাপারে স্টেক হোল্ডারদের নিয়ে ৭ কর্মদিবসের মধ্যে মিটিং এর তারিখ দেওয়ার লক্ষ্যে সকাল ১০ ঘটিকায় শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে আল্টিমেটাম ও বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়।

স্বতন্ত্র কাউন্সিল গঠনের দাবিতে সরকারি ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক মেডিক্যাল কলেজ শিক্ষার্থীরা টানা ৩৮ দিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। এই ন্যায্য দাবির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেছেন দেশের সকল ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক এবং সংশ্লিষ্ট পেশাজীবী সংগঠনসমূহ। আন্দোলনের অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীরা ক্লাস ও একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন করায় মিরপুর-১৩ নম্বরে অবস্থিত সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসটিতে গত ৩৮ দিন ধরে অচলাবস্থা বিরাজ করছে।

বৃহস্পতিবার ৭ আগস্ট, রাজধানীর প্রেস ক্লাবে আয়োজিত মানববন্ধনে অংশ নেন তিনটি প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৩ শতাধিক শিক্ষার্থী—সরকারি ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক মেডিক্যাল কলেজ, রওশন জাহান ইস্টার্ন মেডিক্যাল কলেজ, লক্ষ্মীপুর, এবং হামদর্দ ইউনানি মেডিক্যাল কলেজ, বগুড়া।

আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে আলাদা কাউন্সিল ছাড়া এ চিকিৎসা শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। বারবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলেও কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। অথচ ১৯৯৬ সালের নীতিমালায় স্পষ্টভাবে ইগউঈ-এর আদলে একটি পৃথক কাউন্সিল গঠনের কথা বলা হয়েছিল।

গত ৩১ জুলাই, স্বাস্থ্য সচিব স্যারের সভাপতিত্বে কাউন্সিল নিয়ে মিটিংটা সম্পূর্ণ হয়, বাকি প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করে এই সিস্টেমকে যেন অন্ধকারাচ্ছন্ন অবস্থা থেকে নিষ্কৃতি দেওয়া হয়, তার স্পষ্ট বার্তা দেওয়ার দাবিতে আজ সকল শিক্ষার্থীদের মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করা হয়।

এইসময় শেষ বর্ষের এক শিক্ষার্থী বলেন, “১৯৯৬ সালের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নীতিমালায় বলা হয়, অস্থায়ীভাবে রেজিস্ট্রেশন প্রদানের পাশাপাশি একটি স্বতন্ত্র কাউন্সিল গঠন করা হবে। কিন্তু ২৯ বছর পেরিয়ে গেলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। ফলে চিকিৎসকদের আইনি জটিলতা, উচ্চশিক্ষায় বাধা, নিয়োগ-সংক্রান্ত সমস্যা ও পেশাগত নিরাপত্তার ঘাটতির মতো গুরুতর সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে।”

এদিকে, সরকারিভাবে ৩৬ তম ব্যাচে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম শুরু হলেও আন্দোলনের কারণে ১৩ জুলাই পর্যন্ত কেউ ভর্তি হতে পারেনি। উল্লেখ্য, প্রতি বছর ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক বিভাগে যথাক্রমে ২৫ জন করে মোট ৫০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হন। কিন্তু চলমান অচলাবস্থার কারণে এই বছর ভর্তি কার্যক্রম প্রায় ব্যর্থ হতে চলেছে। শিক্ষার মৌলিক অধিকার থেকে তারা বঞ্চিত হচ্ছেন।

গত ১৩ জুলাই শেষ দিন হলেও আন্দোলনের প্রেক্ষিতে হয়তো এবারও কেউ ভর্তি হতে পারবে না।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, স্বতন্ত্র কাউন্সিল গঠন না হওয়া পর্যন্ত তারা কাউকে ভর্তির সুযোগ দিতে প্রস্তুত নন। তাদের দাবি—বর্তমান ও ভবিষ্যৎ চিকিৎসক-শিক্ষার্থীদের নিরাপদ ভবিষ্যতের জন্য এই কাউন্সিল জরুরি। তাই প্রধান উপদেষ্টার সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা। দাবি আদায় না হলে আরও কঠোর কর্মসূচিতে যাওয়ার ঘোষণাও দেওয়া হয়েছে।

পরিশেষে, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা স্পষ্ট করে জানান-যদি নতুন ভর্তি সময়সূচি ঘোষণা করা হয়, তবুও তারা ক্যাম্পাসে অবস্থান করে তা প্রতিহত করার কর্মসূচি অব্যাহত রাখবেন।

তৌহিদুর রহমান শেরপুর

ঝিনাইগাতীতে পুকুরে উল্টে গেল বাস: আহত ২০, নিখোঁজ ১

তৌহিদুর রহমান শেরপুর প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৭ আগস্ট, ২০২৫, ৪:২৬ পিএম
ঝিনাইগাতীতে পুকুরে উল্টে গেল বাস: আহত ২০, নিখোঁজ ১

শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুকুরে উল্টে পড়ে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন এবং এক শিশু নিখোঁজ রয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার খৈলকুড়া এলাকায় শেরপুর-ঝিনাইগাতী সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আহতদের স্থানীয়রা দ্রুত উদ্ধার করে ঝিনাইগাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। নিখোঁজ শিশুটিকে উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ যৌথভাবে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুর্ঘটনার সময় ‘আকাশ বিকাশ’ পরিবহনের ওই বাসটিতে প্রায় ৩০-৩৫ জন যাত্রী ছিল। চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে বাসটি রাস্তার পাশে একটি বড় পুকুরে পড়ে যায়।
ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যান ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আশরাফুল আলম রাসেল, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আল আমিন এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন মাস্টার আব্দুল মান্নান। তারা উদ্ধার কার্যক্রম তদারকি করেন।
এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে চরম আতঙ্ক ও শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

error: Content is protected !!