রবিবার, ৩ আগস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২
রবিবার, ৩ আগস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২

স্বাধীনতা পেয়ে বাড়াবাড়ি করবেন না: মাহমুদুর রহমান

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: রবিবার, ৬ অক্টোবর, ২০২৪, ৮:১৯ পিএম | 100 বার পড়া হয়েছে
স্বাধীনতা পেয়ে বাড়াবাড়ি করবেন না: মাহমুদুর রহমান

অতি উৎসাহীদের বাড়াবাড়ি না করার আহ্বান জানিয়েছেন দৈনিক ‘আমার দেশ’ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। তিনি বলেছেন বলেন, অতি ইসলামিকও হবেন না।

ফ্যাসিবাদের সময় আপনারা কিছু করতে পারেননি। এখন স্বাধীনতা পেয়ে বাড়াবাড়ি করবেন না। এর কারণে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে। যারা বাড়াবাড়ি করছেন আস্তিক আর নাস্তিক, হিন্দু ধর্ম নিয়ে; এতে ভারতীয় যে কৌশল তা আপনারা বাস্তবায়ন করবেন।

রোববার (৬ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় মাহমুদুর রহমান এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশে আসার পর যে পাঁচ দিন আমি কারাগারে ছিলাম। আমার জন্য যে পরিমাণ ভালোবাসা দেশের মানুষ ও দেশের বাইরে থেকে মানুষ দেখিয়েছেন, তার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ। আমি এর যোগ্য নই। আমি বিশিষ্ট ব্যক্তি নই, রাজনৈতিক ব্যক্তি নই। এরকম কোনো আকাঙ্ক্ষাও আমার নেই। আমি এদেশের আম-জনতার বর্ষীয়ান একজন প্রতিনিধি মাত্র।

তিনি বলেন, আমার দেশ স্বাধীনতার কথা বলে, এই বার্তা আমরা পত্রিকা থেকে দিতাম। এই কথাটা ছিল আওয়ামী ফ্যাসিবাদ ও ভারতের আধিপত্যবাদের বিরোধী কথা বলার ক্ষেত্রে একটি মেসেজ। এটি তারা বুঝতে পেরেছিল। বাংলাদেশের অধিকাংশ মিডিয়া এখনো ভারতীয় ফ্যাসিবাদীরা দখল করে বসে আছে। এটিই সত্য। মিডিয়ার মালিক বা সম্পাদক, এদের বেশিরভাগই ভারতের এজেন্ট।

‘মৌলবাদ’ শব্দ ব্যবহার না করতে সরকারকে সতর্ক করে আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক বলেন, অতি ইসলামিক এবং মৌলবাদ ট্যাগ ব্যবহারকারীদের প্রতিহত করতে হবে। বাংলাদেশ সরকারের একটি সংস্কার কমিটির দায়িত্বে আছেন ড. ইফতেখারুজ্জামান। তিনি বললেন, দেশে নাকি ‘মৌলবাদের’ উত্থান হচ্ছে। সরকারে থেকে এ ধরনের ব্যক্তিগত কথা বলা যায় না। তার বক্তব্য সরকারের বক্তব্য হয়ে যায়। তিনি এই ‘মৌলবাদ’ কোথায় পেলেন। এই ‘মৌলবাদ’র কার্ড ব্যবহার করে আওয়ামী লীগ ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা করেছে, এটি ব্যবহার করে আয়নাঘর হয়েছে, বিচারবহির্ভূত হত্যা হয়েছে, হাজার হাজার মানুষ হত্যা করেছে তারা। এখন ইফতেখারুজ্জামান আবার ‘মৌলবাদ’ কার্ড ব্যবহার করছেন, আপনার উদ্দেশ্য কী। নতুন কায়দায় ভারতীয় আধিপত্যবাদ বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠা করা আপনার উদ্দেশ্য। আপনি সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে কথা বলেন, আমরা আপনার সঙ্গে আছি। ‘মৌলবাদ’ শব্দ ব্যবহার করবেন না। তাই সরকারকে এ বিষয়ে আমি সতর্ক করে দিতে চাই।

ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য এতই পাওয়ারফুল যে তাকে এক এগারোর সরকারে নিতে আইন পরিবর্তন করতে হয়। বর্তমান সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আমেরিকায় সফরসঙ্গী হিসেবে অর্থ উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদ যাননি, গেছেন দেবপ্রিয়। এই দেবপ্রিয় ২০০৫ সাল থেকে এক-এগারোর সরকারের সময় পর্যন্ত দেশে ইন্ডিয়ান করিডোর দিতে প্রতিদিন ক্যাম্পেইন করতেন। বিদেশের টাকা নিয়ে প্রতিদিন ক্যাম্পেইন করেছেন তিনি। তার বক্তব্য সেদিন ছিল যে, করিডর থেকে দেশ যে শুল্ক পাবে তা দিয়ে বাংলাদেশ সিঙ্গাপুর হয়ে যাবে। তার কাছে আমরা জানতে চাই, গত ১৬ বছরে ট্রানজিট থেকে কত ডলার বাংলাদেশ আয় করেছে। এখন পর্যন্ত কেউ সরকারকে এ প্রশ্ন করেননি। আমরা দেখেছি সংবাদ সম্মেলনে কী করা হতো। আমার দেশ থাকলে এই প্রশ্ন করা হতো। এই দেবপ্রিয়কে তার মানুষকে স্বপ্ন দেখানোর জন্য ক্ষমা চাইতে হবে।

মাহমুদুর রহমান আরও বলেন, যে দলই ক্ষমতায় আসুক, বিএনপি, আওয়ামী লীগ, জামায়াত—যারাই আসুক; দিল্লির পক্ষে যারা কথা বলবে তাদের সঙ্গে আমাদের লড়াই চলবে। আমি যতদিন জীবিত আছি ততদিন আমার লড়াই চলবে। আমি সবাইকে কথা দিচ্ছি, জনগণের কাতারে থেকে জনগণের জন্য মৃত্যু পর্যন্ত লড়াই করবো।

সভায় মাহমুদুর রহমান অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে সাত দফা দাবি তুলে ধরেন। এগুলো হলো
১. ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের জন্য স্বাস্থ্য উপদেষ্টা, অর্থ উপদেষ্টা, শিল্প ও গণপূর্ত উপদেষ্টা এবং প্রধান উপদেষ্টার রাজনৈতিক সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করতে হবে;
২. বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে এক সপ্তাহের মধ্যে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা করে নিষিদ্ধ করতে হবে;
৩. যমুনা সেতুকে শহীদ আবু সাইদের নামে নামকরণ করতে হবে, যাতে মানুষ সেখান দিয়ে পার হওয়ার সময় শতাব্দীর পর শতাব্দী আবু সাইদকে দেখতে পায়;
৪. ২০০৯ সালের পর থেকে ভারতের সঙ্গে যত চুক্তি হয়েছে তার প্রত্যেকটা ধারা-উপধারা জনসম্মুখে প্রকাশ করতে হবে। ভারতের সঙ্গে কী কী চুক্তি হয়েছে তাজনগণকে জানাতে হবে। এগুলো পুনর্বিবেচনার জন্য একটি কমিটি গঠন করতে হবে, যেখানে ভারতের ও ফ্যাসিবাদের দোসর থাকতে পারবে না;
৫. বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউকে শহীদ আবরারের নামে নামকরণ করতে হবে, কারণ শহীদ আবরার এই ফ্যাসিবাদ আন্দোলনের প্রথম শহীদ। মনে রাখতে হবে, শেখ মুজিব বাংলাদেশের প্রথম স্বৈরাচার নেতা। আর শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদের আইকন হচ্ছে শেখ মুজিব;
৬. বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে ফ্যাসিস্ট হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের মনোনয়ন অনতিবিলম্বে বাতিল করতে হবে। কারণ এই পুতুলকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল জালিয়াতির মাধ্যমে;
৭. এবং আপিল বিভাগের একজন বিচারপতির নেতৃত্বে একটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে কারাগারে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুর রহিম এবং বিএনপি নেতা নাসির উদ্দিন পিন্টুর হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করতে হবে।

নওগাঁয় ৩৬০ টাকার কর ৪২ হাজার, বর্ধিত কর বৃদ্ধির প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ 

উজ্জ্বল কুমার সরকার নওগাঁ প্রতিনিধি প্রকাশিত: রবিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৫, ১০:১০ পিএম
নওগাঁয় ৩৬০ টাকার কর ৪২ হাজার, বর্ধিত কর বৃদ্ধির প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ 

নওগাঁ পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আব্দুল বাশির। এক বছর আগেও তার বাসাবাড়ির কর ছিল ৯০০ টাকা। এখন পৌরসভা থেকে নির্ধারণ করা হয়েছে ৯ হাজার টাকা।

পানির সুবিধার্থে বাসায় বসিয়েছেন সাবমারসিবল পানির পাম্প। তাতে কর দিতে হবে ১৫০০ টাকা। অথচ বাড়েনি কোন নাগরিক সুবিধা, হয়নি তেমন কোন রাস্তা ঘাটের উন্নয়ন। তাই জানালেন তীব্র প্রতিবাদ।

একইভাবে পৌরসভার বাসিন্দা আকতারুন আগে কর দিতেন ৩৬০ টাকা। হঠাৎ করে ৪২ হাজার ১ টাকা কর নির্ধারণ করে নোটিশ দেওয়া হয়েছে তাকে । এমন নোটিশ পেয়ে তার চোখ কপালে। মাথার উপর যেন আসমান ভেঙে পড়েছে। আজ কর দিতে এসে তিনিও ক্ষোভ নিয়ে প্রতিবাদ জানালেন।

তাদের মতো একই প্রতিবাদে রাস্তায় দাঁড়িয়েছেন ৩ ওয়ার্ডের রাশেদুজ্জামান ও জলিলুর রহমানসহ আরও অনেকে।

নওগাঁ প্রথম শ্রেনির পৌরসভা হিসেবে নাগরিক সেবার মানোন্নয়ন না করে অযৌতিক ভাবে কর বৃদ্ধির প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার ৩ আগষ্ট বেলা সাড়ে ১১ টায় শহরের মুক্তির মোড় পৌরভবনের সামনে নাগরিক অধিকার আন্দোলনের ব্যানারে ঘন্টাব্যাপী এ কর্মসূচী পালন করা হয়।

মানববন্ধন চলাকালে সেখানে উপস্থিত হয়ে তারা ক্ষোভের সহিত বলেন, আগে যে কর নির্ধারণ করা ছিল, সেগুলো আমরা সঠিক সময়ে পরিশোধ করে আসছি। কিন্তু হঠাৎ করে এমন অযৌক্তিক কর বৃদ্ধি করা হয়েছে, যেটা আমাদের পক্ষে দেওয়া সম্ভব না। যারা দিনমজুর হিসেবে কাজ করে দিন পার করছি, তাদের পক্ষে এমন অযৌক্তিক কর নির্ধারণ মরার উপর খাঁড়ার ঘাঁ। বৈষম্যহীন যে বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্ন আমরা দেখছি, জানিনা সেই স্বপ্ন কেমন ভাবে পুরণ হবে বলেও কেউ কেউ মন্তব্য করেন। তাই দ্রুত এমন কর নির্ধারণ বাতিল করে সামঞ্জস্য কর নির্ধারণের দাবি জানান তারা।

এসময় নাগরিক অধিকার আন্দোলনের আহ্বায়ক এস.এম আজাদ হোসেন মুরাদ এর সভাপতিত্বে শিক্ষক জাহিদ রব্বানি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) এর সমন্বয়ক জয়নাল আবেদিন মুকুলসহ অন্যরা বক্তব্য রাখেন। এসময় এক লাফে অযৌক্তিকভাবে বাড়ানো কর দিতে কষ্ট হবে এমন পৌরবাসীন্দাসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

বক্তারা বলেন- ১৯৬৩ সালে স্থাপিত নওগাঁ পৌরসভা ১৯৮০ সালে দ্বিতীয় শ্রেণিতে এবং ১৯৮৯ সালে প্রথম শ্রেণিতে উন্নীত হয়। প্রায় ৩৯ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের পৌরসভাটির বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় দুই লাখ। শহরের প্রায় ৩০০ কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে প্রধান সড়কের সংখ্যা ২০টি। এরমধ্যে পাকা রাস্তা হয়েছে ১৫০ কিলোমিটার আধা পাকা রয়েছে ৫০ কিলোমিটার এবং কাঁচা রাস্তা ১০০ কিলোমিটার। এর মধ্যে ৭০ শতাংশ রাস্তা চলাচলের অযোগ্য ও খানাখন্দে ভরা।

তিন দশকেরও বেশি সময় আগে প্রথম শ্রেণির পৌরসভায় উন্নীত হলেও বাস্তবে নওগাঁ শহরের চিত্র এখনও যেন মফস্বলেরও নিচে। রাস্তাঘাটের বেহাল দশা, বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা, অচল ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও অপ্রতুল নাগরিক সেবার কারণে দুই লাখ জনগণের এই শহরে প্রতিদিনের জীবন এক আতঙ্কের নাম। নাগরিক সেবা বঞ্চিত হয়েছে। ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা, ৩০ মিনিট বৃষ্টি হলে হাঁটু পানি জমে থাকে। সেই পানি নামতে লাগে ৫-৭ দিন। ভাঙা রাস্তায় চলাচলে জনদূর্ভোগ, সুপেয় পানির ব্যবস্থা না থাকা ও সন্ধ্যার পর লাইটিং না থাকায় পৌরবাসীকে দীর্ঘদিন থেকে দূর্ভোগে পোহাতে হচ্ছে।

নাগরিক সেবা বঞ্চিত হওয়ার পরও উল্টো পৌরবাসীর ওপর করের বোঝা চাপানো হচ্ছে। বর্ধিত কর প্রত্যাহার করে পূর্বের নিয়মে কর আদায়ের দাবী জানানো হয়। অন্যথায় আগামী ৭দিনের মধ্যে কর প্রত্যাহার না করা হলে কঠোর কর্মসূচী পালন করা হবে বলে জানান বক্তারা।

জানতে চাইলে পৌরসভার প্রশাসক টি.এম.এ. মমিন মুঠোফোনে বলেন, অযৌক্তিক কর নির্ধারণ কথাটি ঠিক না। এটা অতিরিক্ত হতে পারে। আর এটা আমার সিদ্ধান্ত না, সরকারের সিদ্ধান্ত। তবে আমাদের কর নির্ধারণ মূল্যায়ন কমিটি আছে, সেখানে আবেদন করলে তারা পুনবিবেচনা করতে পারে।

তিনি আরও বলেন, অল্প দিনের মধ্যে ৩০ টি রাস্তার কাজ শুরু হবে। এছাড়া অন্যান্য রাস্তাগুলোরও কাজ করা হবে। আমি আশা করি আগামী তিন বছরের মধ্যে একটি রাস্তাও খারাপ থাকবে না। পাশাপাশি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে প্রতি সপ্তাহে পরিস্কার করার। সর্বোপরি এইগুলো অনেক পুরাতন সমস্যা, আমাকে সকলে মিলে সহযোগিতা করলে সমাধানের চেষ্টা করবো।

উল্লেখ, ২০২৫ সালের ১ জুলাই থেকে হোল্ডিং ট্যাক্স ও পানির বিল বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নওগাঁ পৌরসভার কর্তৃপক্ষ।

নরসিংদীর হাজিপুরে আলোচিত নেতা স্বপনের দেশত্যাগের প্রস্তুতি ,সম্পত্তি বিক্রি করে ভারতে পালানোর গুঞ্জনে এলাকায় তোলপাড়

তালাত মাহামুদ নরসিংদীর প্রতিনিধি প্রকাশিত: রবিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৫, ৮:৩০ পিএম
নরসিংদীর হাজিপুরে আলোচিত নেতা স্বপনের দেশত্যাগের প্রস্তুতি ,সম্পত্তি বিক্রি করে ভারতে পালানোর গুঞ্জনে এলাকায় তোলপাড়

নরসিংদী সদর উপজেলার হাজিপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দোসর ও বিতর্কিত যুবলীগ নেতা স্বপন বিশ্বাস কে ঘিরে আবার ও উত্তাল জনমত। অভিযোগ উঠেছে, তিনি তার ভিটেমাটি, মিল-কারখানা এবং অন্যান্য মূল্যবান সম্পত্তি একে একে বিক্রি করে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ইতোমধ্যে তার ভাই ভারত চলে গেছে বলে ও এলাকাবাসী জানিয়েছেন।

স্বপন বিশ্বাস নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক এবং স্থানীয় যুবলীগের একজন সক্রিয় নেতা ছিলেন। পাশাপাশি, তিনি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অর্থদাতা হিসেবেও পরিচিত ছিলেন। আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায় থেকে তিনি বিপুল বিত্তসম্পদের মালিক হন এবং ক্ষমতাসীনদের ঘনিষ্ঠতা কাজে লাগিয়ে বহু অপকর্মের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।

সম্প্রতি তার বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, মিল-কারখানা ও বসতভিটা বিক্রির বিষয়টি জনসম্মুখে আসার পর থেকেই এলাকায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। অনেকেই আশঙ্কা করছেন, স্বপন বিশ্বাস তার সমস্ত সম্পদ নগদ করে নিয়ে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে চিরতরে দেশ ছাড়ার পরিকল্পনা করছেন।

এলাকাবাসীরা জানান, “স্বপনের পরিবার ইতোমধ্যে ভারতে গিয়ে বসবাস শুরু করেছে। এখন স্বপন নিজেও দেশের সকল সম্পদ বিক্রি করে পালানোর চেষ্টা করছে। আমরা সরকারের কাছে তার অবিলম্বে গ্রেফতার ও জিজ্ঞাসাবাদের দাবি জানাচ্ছি।”

স্থানীয় সূত্র মতে, স্বপনের বিরুদ্ধে বিগত দিনে একাধিক অভিযোগ থাকলেও রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থাকায় কোন আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। অথচ এখন তার আচরণ ও সম্পদ বিক্রির ঘটনা প্রমাণ করছে, কিছু না কিছু গোপন অপকর্মের প্রমাণ মুছে ফেলতেই তিনি দেশত্যাগের ছক কষছেন।

এ বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে সচেতন মহল মনে করছেন, তদন্ত করে সত্য উদঘাটন ও প্রয়োজনে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা আরও বাড়বে।

এলাকার সাধারণ মানুষ এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, “স্বপন বিশ্বাস আওয়ামী লীগ সরকারের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে কোটি কোটি টাকা ইনকাম করেছে। এখন সবকিছু গুটিয়ে পালানোর মানেই হচ্ছে—তার অপকর্ম ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা।”

স্থানীয়রা স্বপন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসন ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তারা মনে করছেন, তাকে আইনের আওতায় এনে জবাবদিহির মুখোমুখি করা না গেলে এর চেয়ে বড় দৃষ্টান্তহীনতা আর হতে পারে না। এ ব্যাপারে স্বপন বিশ্বাসের বক্তব্য নিতে গেলে তাকে এলাকায় পাওয়া যায়নি এলাকাবাসী জানিয়েছেন তিনি নরসিংদীতে থাকেন

কাঁঠালিয়া টিউবওয়েল চুরির হিড়িক, থানায় সাধারণ ডায়েরি 

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: রবিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৫, ৮:২৭ পিএম
কাঁঠালিয়া টিউবওয়েল চুরির হিড়িক, থানায় সাধারণ ডায়েরি 

কাঁঠালিয়া উপজেলা টিউবওয়েল চুরির হিড়িক পড়েছে। চোরদের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না বসতঘর মসজিদ-মাদ্রাসাসহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের টিউবওয়েলও।

জানা গেছে, ৩০ জুলাই উপজেলার সদর ৪ নং ইউনিয়ন দক্ষিণ আউরা গ্রাম থেকে ১০টির বেশি টিউবওয়েল চুরি হয়েছে। এছাড়া, হাস- মুরগী, রড সহ বিভিন্ন মালাম চুরির ঘটনা ঘটেছে।

এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী দক্ষিন আউরা গ্রামের রফিকুল ইসলাম পলাশ জমাদ্দার।

সাধারণ ডায়েরি সূত্রে জানা গেছে, অজ্ঞাতনামা বিবাদীরা চিশতীয়া দরবার শরীফের টিউবওয়েল, জমাদ্দার বাড়ির জামে মসজিদের টিউবওয়েল চুরি করে নিয়ে গেছে। একইভাবে ওই এলাকার আলম হাওলাদারের বসতঘরের টিউবওয়েলটিও চুরি হয়ে গেছে। এছাড়া, খাদিজাতুল কুবরা মাদ্রাসার টিউবওয়েল সহ আরো অনেকে’র”

ভুক্তভোগী রফিকুল ইসলাম পলাশ জমাদ্দার জানান, দক্ষিন আউরা গ্রাম থেকে ১০টির বেশি টিউবওয়েল চুরি হয়েছে। চোরদের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না মসজিদ, মাদ্রাসা সহ বসতঘরের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের টিউবওয়েলও।

মাদকসেবী ও ছিচকে চোরেরা একের পর এক টিউবওয়েল চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। এতে এলাকার গরীব ও দরিদ্র পরিবারগুলোতে বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। মাদ্রাসা ও মসজিদ বসতঘর টিউবওয়েল চুরির ফলে শিশু শিক্ষার্থী ও মুসল্লিরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।

তারা আরও জানান, শুষ্ক মৌসুমে খাল-পুকুরে পর্যাপ্ত পানি থাকেনা এবং টিউবওয়েল চুরি হয়ে যাওয়া পানির চরম সংকট দেখা দিতে পারে। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সুদৃষ্টি কামনা ও নজরদারির দাবি জানান ক্ষতিগ্রস্তরা।

error: Content is protected !!