সোমবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
সোমবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

রুহুল আমিন রুকু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ

কুড়িগ্রামে যে -৯ কলেজে এইচএসসি পরীক্ষায় পাস করেনি কেউ

ডেস্ক নিউজ
ডেস্ক নিউজ প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৫, ৪:০৫ পিএম | 99 বার পড়া হয়েছে
কুড়িগ্রামে যে -৯ কলেজে এইচএসসি পরীক্ষায় পাস করেনি কেউ

দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত ২০২৫ সালের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষায় কুড়িগ্রাম জেলায় ৯টি কলেজের কেউই পাস করতে পারেনি। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকালে প্রকাশিত ফলাফলে এমন চিত্র উঠে এসেছে।

এবার দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে মোট পাসের হার ৫৭ দশমিক ৪৯ শতাংশ হলেও কুড়িগ্রামের ৯টি কলেজ শতভাগ ফেল করেছে। গত বছর (২০২৪) এ জেলায় শতভাগ ফেল করা কলেজের সংখ্যা ছিল ২টি।

শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, এবারের পরীক্ষায় দিনাজপুর বোর্ডের ৬৬৬টি কলেজ থেকে শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়। এর মধ্যে ৪৩টি কলেজ থেকে কেউ পাস করতে পারেনি। শূন্য পাস করা এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কুড়িগ্রামের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি—৯টি।

কুড়িগ্রামের শতভাগ ফেল করা কলেজগুলো হলো—
১. সিংগার ডাবড়ী হাট বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ
২. চর শৌলমারী আদর্শ মহিলা কলেজ
৩. বাগুয়া অনন্তপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ
৪. দাশিয়ার ছড়া মহাবিদ্যালয় (পূর্ব নাম: রাশেদ খান মেনন মহাবিদ্যালয়)
৫. টাপুরচর স্কুল অ্যান্ড কলেজ
৬. নাগেশ্বরী মহিলা ডিগ্রি কলেজ (পূর্ব নাম: সোশ্যাল কল্যাণ মহিলা কলেজ, নাগেশ্বরী, কুড়িগ্রাম)
৭. চিলাখানা মডেল কলেজ
৮. কুটি পয়ড়াডাঙ্গা স্কুল এন্ড কলেজ
৯. ধলডাঙ্গা বি.এল. উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ।

ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, কুড়িগ্রামের পাশের হার গত বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। শিক্ষা বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে কুড়িগ্রামের দুইটি কলেজ শতভাগ ফেল করেছিল—রৌমারীর শৈলমারী এম এল স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং নাগেশ্বরীর গোপালপুর এম আর হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ।

স্থানীয় শিক্ষাবিদদের মতে, বছরের পর বছর ধরে শিক্ষক সংকট, পাঠদানে অনিয়ম এবং শিক্ষার্থীদের ক্লাসে অনুপস্থিতি এই ফলাফলের জন্য দায়ী।
দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মীর সাজ্জাদ আলী জানান, “আমরা ইতোমধ্যে ফলাফল বিশ্লেষণ শুরু করেছি। যেসব কলেজের ফলাফল শূন্য, সেগুলোর বিষয়ে বিশেষ প্রতিবেদন তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।”

এদিকে, শিক্ষার মানোন্নয়নে কুড়িগ্রামের অভিভাবক ও সচেতন মহল সরকারি উদ্যোগ বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন।

অন্তর জামী জানুক মনের ব্যথা

কলমে:- কামরুন তানিয়া প্রকাশিত: সোমবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১০:১৬ এএম
অন্তর জামী জানুক মনের ব্যথা

মনের গহীনের শত ব্যথা অন্তর জামী জানুক,
বাহিরের চাকচিক্য মিশ্রিত মেকি হাসিটা
অবশিষ্ট থাকোক পৃথিবীর মিচে মায়ায়।
তুমি শব্দের মাঝে আজ আর নেই চাওয়ার প্রাপ্তি।
মিথ্যে কোলাহলে জমে থাকা
সব সাধ আহ্লাদের হোক মৃত্যু।
তবুও ভালো থাকোক
ভালোবাসা,তবুও ভালো থাকোক
তুমার তুমিতে বিরাজমান মিচে মায়া কান্না,মিচে ভালোবাসা।
এই আমার অভিমান নয়,নয় কোন অভিযোগ,নয় কোন অভিশাপ,
পৃথিবীর রঙ্গ লীলায় আমি বেমানান এক পরাজিত সৈনিক।
ভালোবাসা নাইবা পেলাম পৃথিবীর তরে
ওপারে যেনো পাইগো যেনো ব্যথাহীন ভালোবাসা
অন্তর জামী জানুক আমার মনের আকুলতা 💔💔

কামরুন তানিয়া

নারী নির্যাতন: গ্রামীণ বাংলাদেশে স্বাভাবিক নাকি অস্বাভাবিক?

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: সোমবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১০:১২ এএম
নারী নির্যাতন: গ্রামীণ বাংলাদেশে স্বাভাবিক নাকি অস্বাভাবিক?

🟦 নারী নির্যাতন—গ্রামীণ বাংলাদেশে স্বাভাবিক নাকি অস্বাভাবিক?
মানবাধিকার সংস্থার কর্মকর্তারা মনে করেন—
“এটি শুধু একটি পরিবারের সমস্যা নয়; এমন ঘটনা গ্রামীণ নারীদের নিরাপত্তা ও অধিকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। স্বর্ণ চুরির মতো আর্থিক শোষণের অভিযোগও অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে হবে।”

🟦 আইন–শৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্ব ও তদন্তের ধাপ
থানা পুলিশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন—
“এটি সংবেদনশীল মামলা। সাক্ষ্য–প্রমাণ সংগ্রহ, ফোন কল রেকর্ড যাচাই, স্বর্ণ চুরি তদন্ত, মেডিকেল রিপোর্ট—এসব কিছু মিলিয়েই পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে। কোনো পক্ষকে ছাড় দেওয়া হবে না।”

আইনজীবীরা মনে করছেন—
নাজমার অভিযোগ সত্য হলে মামলা ধারা–নির্ভরভাবে শারীরিক নির্যাতন, চুরি, হত্যাচেষ্টা, অবৈধ আটক—সব মিলিয়ে বেশ কয়েকটি গুরুতর দণ্ডবিধির ধারা যুক্ত হতে পারে।

🔶 শেষ অংশ – মানবিক গল্প
আলমপুর গ্রামের একটি ছোট উঠানে বসে নাজমা আক্তার এখনো ঘটনাটির মানসিক আঘাত কাটিয়ে উঠতে পারেননি। তার কথায়—
“মারধর তো সইলাম, কিন্তু জানে মারার হুমকি শুনে মনে হয়েছে সব শেষ হয়ে যাবে…। আমি শুধু ন্যায়বিচার চাই।”

পরিবার, আইন–শৃঙ্খলা বাহিনী, মানবাধিকার সংগঠন—সবার নিজস্ব বক্তব্য আছে।
কিন্তু তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত সত্য পুরোপুরি স্পষ্ট হবে না।

মো: রাজিবুল করিম রোমিও

ইশ 💔

মো: রাজিবুল করিম রোমিও প্রকাশিত: সোমবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১০:০৯ এএম
ইশ 💔

আপনারে পাইতে পাইতেই হারাইলাম—
এমনটাই হয় বোধহয়,
যারে সবচেয়ে বেশি চাই,
সেই মানুষটাকেই সময় কেমন করে যেন
আঙুল ফসকে ছাই বানাইয়া দেয়…

আপনি গেলে বুকের ভিতর
একটা পোড়া গ্রামের মতো নীরবতা নামছে,
যেখানে বাতাস বইলেই
মন কেমন করে কেঁপে উঠে—
ঠিক ৯০ দশকের পুরান ব্যথার সিনেমাখানা মতো…

কানে বাজে রেডিওর হালকা সোঁ সোঁ শব্দ,
মনের ভিতর বাজে একটাই নাম—আপনি…
যেন পুরান চিঠিতে শুকায়ে থাকা গোলাপের গন্ধ,
যারে ছুঁইলে আজও বুকের ভেতরটা
হঠাৎ কেমন করে ব্যথায় ভিজে যায়…

আপনি জানেন?
হারানো প্রেমের সুর আজও গলির মাথায়
দুপুরবেলা গরম হাওয়া দিয়া যায়,
আর সেই বাতাসেই আমি শুনি—
আপনার চলে যাওয়ার কাহিনী…

মানুষ কই? কেউ বলে ভুলে যাও,
কেউ বলে সময় সব ঠিক করে দিবে…
কিন্তু আমার ভাঙা বুকের ভেতর এখনও
আপনারই নামের ধুলো জমছে,
এখনও রাত নামলেই মনে হয়—
আপনি বুঝি ফের ডাক দেবেন…

হয়তো সেই ডাক আর কোনোদিন আসবে না,
তবুও আমার মন আপনারে কই—
একবার থাইকা যান,
আবার হারাইয়া যাইয়েন না…

কারণ কিছু প্রেম পাইতে পাইতেও শেষ হয়,
কিছু মানুষ হারাইয়াও বুকের ভিতর রইয়া যায়—
আর কিছু ব্যথা…
আজীবন ৯০ দশকের গল্প বইয়া যায়…

আপনি হারাইয়া গিয়াছেন ভালই হইছে
আপনি না হারাইলে
আমার এই দেখা হয়তো কখনো পূর্ণই হইতো না..

মো: রাজিবুল করিম রোমিও