রবিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
রবিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

ঢাকা-১৭ আসনের উন্নয়নে মানবতার ফেরিওয়ালা মুহাম্মদ রুবেল হোসেনের অঙ্গীকার: “আমি মানুষের শান্তির জন্য পরিবর্তন চাই”

ডেস্ক নিউজ
ডেস্ক নিউজ প্রকাশিত: বুধবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৫, ১০:৩৮ পিএম | 223 বার পড়া হয়েছে
ঢাকা-১৭ আসনের উন্নয়নে মানবতার ফেরিওয়ালা মুহাম্মদ রুবেল হোসেনের অঙ্গীকার: “আমি মানুষের শান্তির জন্য পরিবর্তন চাই”

 

বিদ্যুৎ চন্দ্র বর্মন, নিজস্ব প্রতিবেদক:

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় দেশবাসী—এই সম্ভাষণ দিয়েই নিজের বক্তব্য শুরু করলেন এক মানবিক হৃদয়ের মানুষ, যিনি নিজেকে পরিচয় দেন “মানবতার ফেরিওয়ালা” হিসেবে। তিনি আর কেউ নন, মুহাম্মদ রুবেল হোসেন, ঢাকা-১৭ আসনের এক সচেতন নাগরিক ও সমাজসেবক, যিনি আজ নিজের জীবন উৎসর্গের অঙ্গীকার নিয়ে মানুষের কল্যাণে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছেন।

রুবেল হোসেন বলেন,
আমি আপনাদের সুখ-দুঃখের সাথী হতে চাই। আমাদের এই এলাকায় অসহায়, গরিব ও হতদরিদ্র মানুষের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। অথচ বিগত সময়ে যারা এই আসনের এমপি বা মন্ত্রী ছিলেন, তারা নির্বাচনী ইস্তেহারে অনেক আশা-ভরসা দিলেও বাস্তবে তেমন কোনো কাজ করেননি। জনগণের সেই আশা এখন হতাশায় রূপ নিয়েছে।”

তিনি আরও বলেন,
এই পরিস্থিতিতে কেউ না কেউ জনগণের পাশে দাঁড়াতে হবে। তাই আমি নিজেকে মানবতার ফেরিওয়ালা হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। আমি চাই আমার এলাকার মানুষের শান্তি, নিরাপত্তা ও উন্নয়ন নিশ্চিত করতে। আমার জীবন আমি উৎসর্গ করতে প্রস্তুত।”

ঢাকা-১৭ আসন অন্তর্ভুক্ত মহাখালী, বনানী, গুলশান-১ ও ২, কালাচাঁদপুর, শাহজাদপুর, ভাষানটেক, কচুক্ষেত এবং ক্যান্টনমেন্ট এলাকা। এর মধ্যে কড়াইল বস্তি, সাততলা বস্তি ও ভাষানটেক বস্তিতে অসহায় মানুষের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি।
এই জনগোষ্ঠীর দুঃখ-দুর্দশা দূর করতে মানবতার ফেরিওয়ালা রুবেল হোসেন হাতে নিয়েছেন একগুচ্ছ বাস্তবধর্মী পরিকল্পনা ও অঙ্গীকার।

ঢাকা-১৭ আসনের জন্য ১১ দফা অঙ্গীকার:
১️⃣ নিরাপদ পানির ব্যবস্থা

তিনি বলেন, “বছরের পর বছর মানুষ দূষিত পানি খেয়ে নানা রোগে ভুগছে। আমি কথা দিচ্ছি, প্রতিটি এলাকায় বিশুদ্ধ ও নিরাপদ পানির সুব্যবস্থা করা হবে।”

২️⃣ নিরাপদ বাসস্থান

নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য নিরাপদ ও স্থায়ী আবাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়েছেন তিনি।

৩️⃣ বস্তির দুর্গন্ধমুক্ত আধুনিক পরিবেশ

বস্তির প্রতিটি পাড়া পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও দুর্গন্ধমুক্ত করে আধুনিক পাড়ায় রূপান্তরিত করার অঙ্গীকার করেন।

৪️⃣ ড্রেনেজ ও পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা

রাস্তায় জমে থাকা নোংরা পানি অপসারণ ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার আধুনিকায়নের মাধ্যমে একটি পরিচ্ছন্ন পরিবেশ গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দেন।

৫️⃣ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ

প্রতিটি বস্তিতে নিয়মিত নিরাপত্তা টহল ও পুলিশ পয়েন্ট স্থাপন করে জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন বলে ঘোষণা দেন তিনি।

৬️⃣ চাঁদাবাজি ও হয়রানি মুক্ত সমাজ

বস্তি ও নিম্নবিত্ত এলাকায় চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম্য বন্ধ করে শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনের উদ্যোগ নেবেন তিনি।

৭️⃣ বৈদ্যুতিক সংযোগের আধুনিকায়ন

প্রতিটি বাড়িতে বৈধ ও নিরাপদ বৈদ্যুতিক সংযোগ নিশ্চিত করে অগ্নি ও দুর্ঘটনা ঝুঁকি কমানোর উদ্যোগ নেবেন বলে জানান।

৮️⃣ ব্যবসা-বাণিজ্যে শৃঙ্খলা

প্রতিটি এলাকার দোকান ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে খোলা ও বন্ধ রাখার মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করা হবে।

৯️⃣ রাস্তার মোড়ে নিরাপত্তা ঘাঁটি

জননিরাপত্তা জোরদারে প্রতিটি মোড়ে পুলিশ পেট্রোলিং ঘাঁটি স্থাপন করার পরিকল্পনা নিয়েছেন তিনি।

🔟 সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ গঠন

বস্তিতে সন্ত্রাসীদের দৌরাত্ম্য রোধে বিশেষ কমিটি ও স্বেচ্ছাসেবক টিম গঠন করে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি করবেন।

১১️⃣ মাদকমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা

মাদক নির্মূলে বিশেষ অভিযান, পুনর্বাসন কর্মসূচি ও সচেতনতা প্রচার চালিয়ে সমাজকে মাদকমুক্ত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।

মুহাম্মদ রুবেল হোসেন বলেন, আমি ক্ষমতার লোভে রাজনীতি করতে চাই না, আমি পরিবর্তনের জন্য রাজনীতি করতে চাই। আমি চাই, এই বস্তির শিশুরা হাসুক, মায়েরা নিরাপদ থাকুক, এবং মানুষ সম্মানের সঙ্গে বাঁচুক। আমি বিশ্বাস করি—মানুষের ভালোবাসাই আমার সবচেয়ে বড় শক্তি।”

তিনি আরও যোগ করেন,
আমার লক্ষ্য একটাই—মানবতার কল্যাণে কাজ করা, সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা এবং একটি আধুনিক, মানবিক ঢাকা-১৭ গড়ে তোলা। এজন্য আমি সবার দোয়া, সহযোগিতা ও সমর্থন কামনা করছি।”

ঢাকা-১৭ আসনের অবহেলিত জনগণের কল্যাণে, উন্নয়ন ও মানবতার পুনর্জাগরণের বার্তা নিয়ে এগিয়ে এসেছেন একজন তরুণ সমাজপ্রেমী—মানবতার ফেরিওয়ালা মুহাম্মদ রুবেল হোসেন।
তাঁর এই ১১ দফা প্রতিশ্রুতি যদি বাস্তবায়িত হয়, তবে নিঃসন্দেহে ঢাকা-১৭ আসন একদিন হবে “মানবতার মডেল আসন” — যেখানে মানুষ বাঁচবে নিরাপদে, মর্যাদার সঙ্গে ও ভালোবাসার ছায়ায়।

শুভেচ্ছান্তে,
মুহাম্মদ রুবেল হোসেন
মানবতার ফেরিওয়ালা ও
ঢাকা-১৭ আসনের সর্বোচ্চ সচেতন নাগরিক।

সুলেখা আক্তার শান্তা

আলোছায়ার পথ

সুলেখা আক্তার শান্তা প্রকাশিত: রবিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৪:২৪ পিএম
আলোছায়ার পথ

এক রোদেলা দুপুর। অফিসে নিজের কাজে মগ্ন ছিল নাফিজা। হঠাৎ চোখ তুলতেই দেখে সহকর্মী রিফাত গভীর দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে তার দিকে। নাফিজা মুহূর্তে থমকে যায়। মনে মনে ভাবতে থাকে, এভাবে তাকিয়ে আছে কেন? সে অস্বস্তি ঢাকতে টেবিলের উপর কলম দিয়ে টুং টাং শব্দ করে। রিফাত মাথা ঝাঁকিয়ে হেসে ফেলে। ইশারায় নাফিজা জানতে চায়, কী হয়েছে? রিফাত হেসে বলে, কিছু না। অফিসে তাদের টেবিল পাশাপাশি। কিন্তু তেমন কথা হয় না।
পরদিন টেবিলে বসেই নাফিজা দেখে একটি সতেজ সবুজ পাতা, হালকা কুড়ানো, যেন টেবিলের উপর রেখে যাওয়া এক নিঃশব্দ বার্তা। প্রথমে ভেবেছিল, বাতাসে এসে পড়েছে। কিন্তু পরপর কয়েকদিন একইরকম পাতা দেখে। নাফিজা পিয়ন দুলালকে ডাকে, এই পাতা তুমি রাখো?
দুলাল অবাক, না ম্যাডাম, আমি জানিনা!
তাহলে কে?
দুই হাত প্যান্টের পকেটে, চোখে একরাশ উদ্বেগ নিয়ে রিফাত এগিয়ে এলো নাফিজার দিকে। সে হাসিমুখে বলল, এই পাতা কে রাখে ভাবছো?
হ্যাঁ।
জানতে চাও?
জানতে চাই? কিন্তু বুঝে উঠতে পারছি না কে রাখে।
রিফাত একটু থেমে বলল, অফিস শেষে বের হয়ে বলবো।
সন্ধ্যার আলোয় দুজনে হাঁটছে পাশাপাশি। হঠাৎ রিফাত থেমে বলল, এই পাতাটা যতক্ষণ জীবনের রস ধরে রাখতে পারে, ততক্ষণ সতেজ থাকে। ঠিক সেরকম, যতক্ষণ তুমি আমার দৃষ্টির সীমানায় থাকো, আমি সতেজ থাকি। আর তুমি যখন চোখের আড়ালে যাও… আমি ও পাতার মতো শুকিয়ে যাই। তুমি আড়ালে গেলে ঠিক এই শুকনো পাতার মতো আমি। প্রাণশক্তি হারিয়ে ফেলি।
নাফিজা বিস্ময়ে হয়ে বলে, বা! আমি কারো প্রাণশক্তি? রিফাত হেসে ওঠে, তোমাকে না দেখলে আমি প্রাণহীন হয়ে পড়ি। এটুকুতেই সমস্ত অপ্রকাশিত অনুভূতির ঢেউ আছড়ে পড়ে নাফিজার মনে।
পরদিন অফিসে টেবিলে সে একটি পাতা দেখে, রিফাতের দিকে তাকায়, এবার তার ঠোঁটে হালকা এক হাসি। দুজনে মাঝে মাঝেই চোখে চোখ রাখে, শব্দহীন ভালোবাসার ভাগাভাগি।
সন্ধ্যায় রাস্তার মোড়ে দিয়ে দু’জনে হেঁটে যাচ্ছিলো হঠাৎ রিফাত ধীরে বলে উঠলো, আমি তোমাকে ভালোবাসি নাফিজা। এক পলকের নীরবতা। নাফিজার কাছ থেকেও ভালোবাসার সম্মতি। উদার মনে বলে রিফাত, ভালোবাসা শুধু অনুভব নয়, তা দায়িত্বও বটে।
মাস তিনেক পর একদিন, রিফাত বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। নাফিজা একটু চমকে গিয়ে বলে, এখনি? বিয়ে তো করব, তবে পরিবারের সম্মতি ছাড়া নয়। পরিবারকে জানিয়ে। ঠিক আছে পরিবারকে জানিয়েই বিয়ে হবে। আমি আমার দিকে বলবো তুমি তোমার দিকে বলো। আমার তো শুধু মা আছে, বলে নাফিজা। ঠিক আছে তুমি তাঁকে জানাও।
দুজনই পরিবারের সম্মতি নেয়। নাফিজার মা রেবেকা বলেন, যদি তোমরা একে অপরকে বিয়ে করতে চাও, ঠিক আছে। আশীর্বাদ রইলো।
বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক হয়। নাফিজা সবকিছুর প্রস্তুতি নিজেই নিচ্ছিল। নাফিজা তার মায়ের একমাত্র মেয়ে সবকিছু তার নিজেরেই করতে হয়। স্বপ্ন তার বাস্তব হবে। কিন্তু সেই স্বপ্ন ভেঙে যায় এক অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনায়। মার্কেট থেকে ফেরার পথে, হঠাৎ একটি গাড়ি ধাক্কা দেয় নাফিজাকে। রাস্তায় রক্তে ভেসে যায় তার স্বপ্ন। আর পথচারীরা ছুটে নিয়ে যায় নাফিজাকে হাসপাতালে। চিকিৎসা চলে। অনেক চেষ্টা করেও ভালো করা যায় না তার একটা পা। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে থাকা নাফিজা চোখ মেলে দেখে, রিফাত পাশে দাঁড়িয়ে। সে হাত ধরে বলে, তোমার কিছুই হয়নি নাফিজা। তুমি এখনো সেই মানুষ, যাকে দেখলে আমার মন আনন্দে থাকে। পা থাক বা না থাক, তাতে কি আসে যায়?
হাসপাতালের বিছানায় নিস্তব্ধ শুয়ে থাকা মেয়েকে দেখে রেবেকা ভেঙে পড়েন। দু’চোখ দিয়ে ঝরে পড়া অশ্রুর সঙ্গে কণ্ঠ ফেটে বেরিয়ে আসে হৃদয়ের আর্তনাদ। আমার মেয়ের এমন কেন হলো আল্লাহ্? এখন আমি কীভাবে বাঁচব? আমার তো ও ছাড়া আর কেউ নেই! রিফাত চুপচাপ দাঁড়িয়ে, চোখে জল, কিন্তু মুখে স্থিরতা। সে ধীরে বলে, ভেঙে পড়বেন না মা। আল্লাহর উপর ভরসা রাখুন। রেবেকা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলেন, হ্যাঁ, তাঁরই উপর তো ভরসা আছে। এই কষ্ট কীভাবে সইব জানি না।
দীর্ঘ হাসপাতালে কাটানো দিন শেষে নাফিজাকে বাড়ি ফিরিয়ে আনা হয়। কিন্তু জীবন আর আগের মতো নেই। দেহে এখন এক পায়ের শূন্যতা, আর মনের কোণে বেদনার ঘূর্ণি। পঙ্গুত্বের কারণে চাকরি চলে যায়, সংসারের পথ আরও কঠিন হয়ে পড়ে। রেবেকা অসহায় হয়ে ভাবেন। মেয়ের কী হবে! কে হবে আশ্রয়? এই বাস্তবতার মুখে কেমন করে চলবে দিন?
নাফিজা–রিফাত যখন একসাথে সুখের স্বপ্ন বুনছিল, তখনই এক কালো মেঘ এসে ঢেকে দিলো তাদের আকাশ। রিফাত পরিবারের কাছে বলে, আমি নাফিজাকে বিয়ে করতে চাই। বাবা, মোহন খান শব্দের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বললেন, পঙ্গু মেয়েকে ঘরের বউ করা যাবে না। ওর তো চাকরিও নেই এখন। তুমি ওর জীবন থেকে সরে দাঁড়াও, ওর বোঝা আমাদের ঘাড়ে তুলে নিব কেন? রিফাত বলল, বাবা, এমন স্বার্থপর কেন হচ্ছেন? ভালোবাসা তো দয়া নয়। আমি নাফিজাকে ভালোবাসি ওর দেহকে নয় ওর মানসিকতাকে। মোহন খান ধমকের স্বরে বললেন, তর্ক করো না! আমার চোখের সামনে থেকে চলে যাও।
রিফাত নাফিজার সামনে হাজির হয়। কিন্তু কণ্ঠে স্থিরতা, বলল রিফাত, নাফিজা আমরা বিয়ে করব। নাফিজা একটু থেমে, মুখ ঘুরিয়ে বলে, রিফাত, তুমি এখন বিয়ে করতে চাও, সেটা করুণা। আমি কারো করুণা চাই না। রিফাত হতভম্ব হয়ে বলল, করুণা? ভালোবাসা করুণার নয় একটি সম্মানের সম্পর্ক। তোমাকে ভালোবাসি, সম্মান করি। তুমি আজও আমার প্রাণশক্তি, আমার জীবন। নাফিজা গম্ভীর গলায় বলে, তোমার পরিবার যখন আমায় গ্রহণ করছে না, তখন তুমি কীভাবে এই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখবে? রিফাত নিঃশ্বাস ফেলে বলে, আমি তোমাকে ছুড়ে ফেলতে ভালোবাসি নেই। তোমাকে ভালোবেসেছি আমার জীবন সাথী হিসেবে পাওয়ার জন্য। তোমাকে ছেড়ে যাওয়া মানে আমার আত্মাকে অস্বীকার করা। তোমার পাশে থাকব এই দুঃসময়ে এটা দায়িত্ব নয়, এটাই আমার ভালোবাসা। রেবেকা পাশে দাঁড়িয়ে সব শুনছিলেন। মুগ্ধ হয়ে মেয়েকে বলেন, মা, ছেলেটা সত্যিই ভালো। এমন ভালোবাসা জীবনে খুব কম পাওয়া যায়। ওকে গ্রহণ কর মা। মা রেবেকার চোখে জল, কিন্তু তাতে আনন্দের ঝিলিক। ও তোকে ভালোবাসে মা। এমন ছেলে ভাগ্যে কজনের জোটে? তুই ওকে গ্রহণ কর, সে তো তোকে হারাতে চায় না। নাফিজার চোখে তখন ভীষণ প্রশান্তি। রিফাতের ভালোবাসা, তার সংকল্প, তার সমস্ত দুর্বলের ওপর এক অটল আশ্রয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সে রিফাতের হাত ধরে বলে, আমি চাই… আমি চাই তোমার সঙ্গে বাকি জীবনটা কাটাতে। নাফিজার মুখে এ কথা শোনার পর রিফাতের যেন এক অচিন্তনীয় উচ্ছ্বাস। সে নিজেই বিয়ের সমস্ত আয়োজন করে। শাড়ি থেকে অলঙ্কার, নিজে হাতে ফুল দিয়ে বাসর ঘর সাজিয়ে তোলে।
বিয়ের দিনে, যখন ঘোমটার আড়াল থেকে বেরিয়ে এলো নাফিজা, রিফাত নিঃশ্বাস আটকে তাকিয়ে থাকে। “মাশা’আল্লাহ! কী অপূর্ব লাগছে তোমায়।” দুজন মধুময় বাসরে রাত কাটায়, নয়নজুড়ে স্নিগ্ধ ভালোবাসা আর হৃদয়ে অটুট প্রতিশ্রুতি।
বিয়ের কিছুদিন পর হঠাৎ একদিন… মোহন খান সোজা এসে দাঁড়ান রিফাতের সামনে, চোখে স্নিগ্ধতা। আমার বউমাকে নিয়ে যেতে এসেছি, বলেন তিনি নিঃশব্দ গলায়। চলো বাবা, বউমাকে নিয়ে ঘরে। রিফাত এক মুহূর্ত স্তব্ধ, চোখ ঝলমলিয়ে ওঠে আনন্দে। সে ধীরে নাফিজার দিকে এগিয়ে যায়। হাত ধরে বলে, চলো, আমার ঘরের আলো। নাফিজা এক বিন্দু অশ্রু নিয়ে বলে, আজ নিজেকে বড় ভাগ্যবতী মনে হচ্ছে। যে ভালোবাসা আমি পেয়েছি, তা কল্পনারও বাইরে। ঘরভর্তি আনন্দ, চোখভর্তি স্বপ্ন, জীবনে যেন বসন্তের পুণর্জন্ম। তাদের সংসার হয়ে ওঠে ভালোবাসার ঠিকানা।
নাফিজার মনে এক গভীর প্রশান্তি। যে জীবন থেমে যেতে পারতো, সেই জীবনই এখন বেঁচে আছে এক অনন্য ভালোবাসার উচ্ছ্বাসে। আমি ভাগ্যবতী, কারণ এমন একজন মানুষকে পেয়েছি, সে আমার পাশে ছায়া মতো দাঁড়িয়ে আছে। সম্পর্ক টিকে সম্মান, ভালোবাসা আর পারস্পরিক আস্থার উপর। সব ভালোবাসা পূর্ণতা পাক। থাক বিশ্বাস, সম্মান আর ভালোবাসার মলাটে বাঁধা।

ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: মো: আব্দুল আজিজ

ভাঙ্গুড়ায় বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: মো: আব্দুল আজিজ প্রকাশিত: রবিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ২:৩৩ পিএম
ভাঙ্গুড়ায় বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী পল্লী চিকিৎসক এ্যাসোসিয়েশনের ভাঙ্গুড়া উপজেলা শাখার উদ্যোগে বিএনপির চেয়ারপার্সন সাবেক সফল প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার দুপুরে উপজেলার বিএনপি কার্যালয়ে এ দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে উপজেলা পল্লী চিকিৎসক দলের সভাপতি মোঃ আব্দুল মান্নান মিয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ আরিফুল ইসলাম স্বপনের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও পাবনা জেলা পল্লী চিকিৎসক দলের সভাপতি মোঃ ফারুক খান হিমেল,অনুষ্ঠানের উদ্বোধক ভাঙ্গুড়া উপজেলা বিএনপির আহব্বায়ক নুর মোজাহিদ স্বপন,প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ভাঙ্গুড়া পৌর বিএনপির সভাপতি মোঃ রফিকুল ইসলাম,আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন পাবনা জেলা পল্লী চিকিৎসক দলের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলহাজ্ব খান,সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আবু সাইদ,বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহব্বায়ক মোঃ আব্দুল আজিজ,যুগ্ম আহব্বায়ক মোঃ বরাত আলী, আবু হেনা মোস্তফা কামাল রেজা,আলতাব হোসেন,পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাইদুল ইসলাম বুরুজ, পল্লী চিকিৎসক দলের ইশ্বরদী উপজেলা শাখার সভাপতি জুয়েল সরকার,আটঘরিয়া উপজেলা শাখার সভাপতি আমিনুল ইসলাম,উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের আহব্বায়ক মোঃ হুমায়ুন কবির প্রমুখ৷

আলোচনা শেষে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় বিশেষ মোনাজাত ও পরে ভাঙ্গুড়া উপজেলা পল্লী চিকিৎসক এ্যাসোসিয়েশনের অনুমোদিত ২১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির কাগজ নব-নির্বাচিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের হাতে তুলে দিয়ে ফুলের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: মো: আব্দুল আজিজ

নির্বাহী সম্পাদকঃ অঞ্জনা চৌধুরী

কাজিপুর উপজেলায় যমুনা নদীতে নতুন চর জেগে ওঠায় নাব্যতা সংকট দেখা দিয়েছে

নির্বাহী সম্পাদকঃ অঞ্জনা চৌধুরী প্রকাশিত: রবিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১২:০২ পিএম
কাজিপুর উপজেলায় যমুনা নদীতে নতুন চর জেগে ওঠায় নাব্যতা সংকট দেখা দিয়েছে

সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলায় যমুনা নদীতে নতুন চর জেগে ওঠায় নাব্যতা সংকট দেখা দিয়েছে, যা মনসুরনগর চরের শিক্ষার্থীদেরসহ স্থানীয়দের যাতায়াতে চরম ভোগান্তি সৃষ্টি করছে; বিশেষ করে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যেতে ও স্কুলে যেতে তাদের ডুবোচরের উপর দিয়ে হেঁটে যেতে হচ্ছে, যা একটি বড় সমস্যায় পরিণত হয়েছে।
মূল সমস্যা: শুষ্ক মৌসুমে জেগে ওঠা অসংখ্য ডুবোচর যাতায়াতে বাধা দিচ্ছে।
প্রভাব: ছাত্রছাত্রী, রোগীসহ সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।
উদাহরণ: মনসুরনগর চরের লোকজন কাজিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যেতে ও শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে যেতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।