মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২
মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২

হাকিকুল ইসলাম খোকন

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন ১৯৭৩ বিকৃত করে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দমন

হাকিকুল ইসলাম খোকন প্রকাশিত: শুক্রবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৫, ৩:৪৪ পিএম | 85 বার পড়া হয়েছে
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন ১৯৭৩ বিকৃত করে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দমন

বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসে ১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধ, গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার একটি অবিস্মরণীয় অধ্যায়। এ উদ্দেশ্যে প্রণীত হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন ১৯৭৩, যার মূল লক্ষ্য ছিল মুক্তিযুদ্ধকালীন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিশ্চিত করা।এবিষয় যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের অন্যতম উপদেষ্টা,বাকসু’র সাবেক জিএস ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ড.প্রদিপ রজ্ঞন কর আইবিএননিউজকে বিস্তারিত ভাবে কিছু তথ্য তুলে ধরেছেন ।

তিনি বলেন, আইনটির উদ্দেশ্য ও সীমারেখা,এই আইনটি ছিল একটি বিশেষায়িত আইন, যা কেবলমাত্র ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধকালীন সময় সংঘটিত অপরাধের বিচার প্রক্রিয়ার জন্য প্রযোজ্য। সংবিধানের ৪৭(৩) ধারার মাধ্যমে এটিকে ভূতাপেক্ষা কার্যকারিতা (retrospective effect) দেওয়া হয়। আইনের আওতাধীন অপরাধের মধ্যে ছিল: মানবতাবিরোধী অপরাধ (Crimes against Humanity),শান্তিবিরোধী অপরাধ (Crimes against Peace),গণহত্যা (Genocide),যুদ্ধাপরাধ (War Crimes),১৯৪৯ সালের জেনেভা কনভেনশন বিরোধী কার্যক্রম ,আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় সংজ্ঞায়িত অন্যান্য অপরাধ বিকৃতি ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপব্যাখ্যা কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে এই বিশেষ আইনটিকে বিকৃত করার অপচেষ্টা চলছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম এমন বক্তব্য দিচ্ছেন যাতে বোঝানো হচ্ছে—বর্তমান সময়ের যেকোনো সহিংসতা বা হত্যাকাণ্ডকে “systematic attack” আখ্যা দিয়ে ১৯৭৩ সালের আইনের আওতায় বিচার করা সম্ভব। এটি আইনের মৌলিক উদ্দেশ্যের বিকৃতি এবং স্পষ্ট রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপব্যাখ্যা।

ফলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে যে এই আইনটি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পরিবর্তে রাজনৈতিক প্রতিশোধের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। ২০০৯ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইনে সংশোধনী আনা হয়, যা সর্বসম্মতিক্রমে সংসদে পাস হয়। ২১ ধারার পরিবর্তন এনে নতুন করে আপিলের সুযোগ সৃষ্টি করা হয়। এর ধারাবাহিকতায় ২০১০ সালের ২৫ মার্চ নতুন ট্রাইব্যুনাল, তদন্ত সংস্থা ও আইনজীবী প্যানেল গঠন করা হয়।

কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে সংসদীয় প্রক্রিয়া উপেক্ষা করে রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশের মাধ্যমে আইনটির কার্যকারিতা সম্প্রসারিত করা হয়েছে। এতে সংবিধানের ৩১ ও ৩৫ অনুচ্ছেদ লঙ্ঘিত হয়েছে এবং সংসদের কর্তৃত্ব অবমাননা করা হয়েছে।

সর্বশেষ সংশোধনীতে আইনে যুক্ত হয়েছে নতুন ধারা ৪এ, ১৩এ ও ২০এ এবং উপধারা ৩(৩) ও ১২(২)। একইসাথে পরিবর্তন আনা হয়েছে ৩(২)(এ), ৪(২) ও ১৯ ধারায়। এর মাধ্যমে মূল আইনটির প্রকৃত উদ্দেশ্যকে পাশ কাটিয়ে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দমনের পথ সুগম করা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩ ছিল মুক্তিযুদ্ধকালীন অপরাধীদের বিচারের জন্য একটি ঐতিহাসিক উদ্যোগ। অথচ আজ এটিকে বিকৃত করে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দমনে ব্যবহার করা হচ্ছে। ক্যাংগারু ট্রাইব্যুনালের মতো প্রহসনমূলক বিচারের মাধ্যমে জাতিকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চলছে, যা গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচারের জন্য গুরুতর হুমকি।

এটি কেবল আইন নয়, জাতির সঙ্গে এক নির্মম প্রহসন।

📸 ফটোঃ হাসপাতালের মেডিকেল অফিসারের চেয়ারে বসে রোগী দেখছেন মেটস শিক্ষার্থীরা

হোসেনপুরে চিকিৎসক সংকট: রোগী দেখছেন মেটস শিক্ষার্থীরা

হোসেনপুর (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি প্রকাশিত: সোমবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৫, ১১:৩৪ এএম
হোসেনপুরে চিকিৎসক সংকট: রোগী দেখছেন মেটস শিক্ষার্থীরা

হোসেনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট চরমে পৌঁছেছে। বর্তমানে হাসপাতালের মাত্র দুইজন চিকিৎসক কর্মরত থাকায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অনুপস্থিতিতে রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছেন মেটস কোর্সের শিক্ষার্থীরা। ৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সরজমিনে দেখা যায়, বহির্বিভাগের ১৪ ও ১৫ নম্বর কক্ষে মেটস শিক্ষার্থী পূনিমা আক্তার, মাসুম মিয়া ও নাসরিন আক্তার রোগীদের প্রেসক্রিপশন দিচ্ছেন। তারা জানান, সাধারণ জ্বর, সর্দি ও কাশি রোগীদের ওষুধ লিখে দিচ্ছেন। গোবিন্দপুর ইউনিয়নের লুলিকান্দি গ্রামের লাল মিয়া জানান, “পেটে তীব্র ব্যথা নিয়ে ভর্তি হয়েছি। ৬টি ট্যাবলেট দিয়েছে, বাইরে থেকে স্যালাইন এনেছি। দুই দিন হলো ডাক্তার এখনও আসেননি। উপজেলার ২৭টি চিকিৎসক পদ থাকলেও অনেক চিকিৎসক প্রশিক্ষণ, বদলি বা ছুটিতে থাকায় জরুরি বিভাগ, বহির্বিভাগ ও ভর্তি রোগীদের চিকিৎসায় তীব্র অস্থিরতা দেখা দিচ্ছে। ভর্তি রোগী মানিক মিয়া, জসিম উদ্দিন, রোকেয়া বেগম ও জোসনা আক্তারও অভিযোগ করেছেন, “চিকিৎসক অনুপস্থিত থাকায় অনেক সময় আমাদের চিকিৎসা ঠিকমতো হচ্ছে না। শিক্ষার্থীরা চেষ্টা করছেন, কিন্তু তারা অভিজ্ঞ নন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তানভীর হাসান জিকু বলেন, এই শিক্ষার্থীরা মূলত ট্রেনিংয়ের জন্য থাকেন, প্রেসক্রিপশন দেওয়ার কথা নয়। জেলা সিভিল সার্জন ডা. অভিজিত শর্ম্মা বলেন, যেদিন হাসপাতালে চিকিৎসক উপস্থিত থাকেন না, সেদিন শিক্ষার্থীরা রোগী দেখার ও প্রেসক্রিপশন দেওয়ার কাজ করতে পারেন।

 

মোঃ তুহিন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

গোমস্তাপুরে বিএনপি’র ৩১ দফা বাস্তবায়নে লিফলেট বিতরণ

মোঃ তুহিন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশিত: সোমবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৫, ১১:৩২ এএম
গোমস্তাপুরে বিএনপি’র ৩১ দফা বাস্তবায়নে লিফলেট বিতরণ

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার চৌডালা বাজারে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র পক্ষ থেকে রাষ্ট্র সংস্কার ও মেরামত করতে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষে আজ (১২অক্টোবর) রবিবার বিকালে লিফলেট বিতরণ করেছেন ৪৪, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের বিএনপি থেকে এমপি মনোনয়ন প্রত্যাশী আশরাফ হোসেন আলিম।
উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে চৌডালা বাজার সহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ৩১ দফা সম্বলিত লিফলেট বিতরণ করেন তিনি। এসময় উপস্থিত ছিলেন,চৌডালা ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি আলহাজ্ব গোলাম মোস্তফা,সিনিয়র সভাপতি হেলাল উদ্দিন,বোয়ালিয়া ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি আকতারুল ইসলাম,সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম,রাধানগর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রশিদ ,যুবনেতা বদিউজ্জামান সোহেল সহ বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন ইউনিটের নেতৃবৃন্দ।
লিফলেট বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনার সময় এমপি মনোনয়ন প্রত্যাশী আশরাফ হোসেন আলিম বলেন, আমি যদি দলীয় মনোনয়ন পায় তাহলে তিন উপজেলার, শিক্ষা ব্যবস্থা ,জলাবদ্ধতা নিরসন, বেকারত্ব দূরীকরণ, মাদকমুক্ত যুবসমাজ প্রতিষ্ঠা, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন সহ নানান উন্নয়নে কাজ করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যোগ্যতার মাপকাঠিতে দল আমাকে মূল্যায়ন করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

রুহুল আমিন রুকু কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ

উলিপুরে ভোটকেন্দ্র স্থানান্তর বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন

রুহুল আমিন রুকু কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ প্রকাশিত: সোমবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৫, ১১:৩০ এএম
উলিপুরে ভোটকেন্দ্র স্থানান্তর বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন

কুড়িগ্রামের উলিপুরে ভোটকেন্দ্র স্থানান্তর বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করেছে এলাকাবাসী।

রোববার (১২ অক্টোবর) দুপুরে কুড়িগ্রাম জেলা নিবাচন অফিসারের কার্যালয়ের সামনে উলিপুর ধরনীবাড়ী ইউনিয়নের ০২নং ওয়ার্ডের বাঁকারায় মধুপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোটকেন্দ্রটি স্থানান্তরিত না করার দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে সাবেক ইউপি সদস্য সাহের আলী বলেন, আমরা ধরণীবাড়ি ইউনিয়নের ০২নং ওয়ার্ডবাসী দেশ স্বাধীনের পর থেকে দীর্ঘ ৩৫ বছর যাবৎ অত্র বিদ্যালয়ে ভোট প্রদান করে আসছি। কিন্তু একটি কুচক্রী মহল হঠাৎ করে এই ভোটকেন্দ্রটি স্থানান্তরের ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে, কোনক্রমেই এটি মেনে নেওয়া হবে না।
এসময় ধরণীবাড়ি ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক এটিএম রাশেদুজ্জামান বলেন, বিগত আওয়ামী লীগের দোসররা এটি স্থানান্তরের চেষ্টা চালাচ্ছে।

সফিকুল ইসলাম বলেন, অত্র প্রতিষ্ঠানে ভোট প্রদানের যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ সকল সুযোগ সুবিধা বিদ্যমান রয়েছে। সুতারাং আমাদের প্রাণের দাবি ভোটকেন্দ্রটি বহাল রাখতে উধ্বর্তন কতৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
এরপর মানববন্ধন শেষে জেলা নির্বাচন অফিসার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।