📸 ফটোঃ হাসপাতালের মেডিকেল অফিসারের চেয়ারে বসে রোগী দেখছেন মেটস শিক্ষার্থীরা
হোসেনপুরে চিকিৎসক সংকট: রোগী দেখছেন মেটস শিক্ষার্থীরা


হোসেনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট চরমে পৌঁছেছে। বর্তমানে হাসপাতালের মাত্র দুইজন চিকিৎসক কর্মরত থাকায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অনুপস্থিতিতে রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছেন মেটস কোর্সের শিক্ষার্থীরা। ৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সরজমিনে দেখা যায়, বহির্বিভাগের ১৪ ও ১৫ নম্বর কক্ষে মেটস শিক্ষার্থী পূনিমা আক্তার, মাসুম মিয়া ও নাসরিন আক্তার রোগীদের প্রেসক্রিপশন দিচ্ছেন। তারা জানান, সাধারণ জ্বর, সর্দি ও কাশি রোগীদের ওষুধ লিখে দিচ্ছেন। গোবিন্দপুর ইউনিয়নের লুলিকান্দি গ্রামের লাল মিয়া জানান, “পেটে তীব্র ব্যথা নিয়ে ভর্তি হয়েছি। ৬টি ট্যাবলেট দিয়েছে, বাইরে থেকে স্যালাইন এনেছি। দুই দিন হলো ডাক্তার এখনও আসেননি। উপজেলার ২৭টি চিকিৎসক পদ থাকলেও অনেক চিকিৎসক প্রশিক্ষণ, বদলি বা ছুটিতে থাকায় জরুরি বিভাগ, বহির্বিভাগ ও ভর্তি রোগীদের চিকিৎসায় তীব্র অস্থিরতা দেখা দিচ্ছে। ভর্তি রোগী মানিক মিয়া, জসিম উদ্দিন, রোকেয়া বেগম ও জোসনা আক্তারও অভিযোগ করেছেন, “চিকিৎসক অনুপস্থিত থাকায় অনেক সময় আমাদের চিকিৎসা ঠিকমতো হচ্ছে না। শিক্ষার্থীরা চেষ্টা করছেন, কিন্তু তারা অভিজ্ঞ নন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তানভীর হাসান জিকু বলেন, এই শিক্ষার্থীরা মূলত ট্রেনিংয়ের জন্য থাকেন, প্রেসক্রিপশন দেওয়ার কথা নয়। জেলা সিভিল সার্জন ডা. অভিজিত শর্ম্মা বলেন, যেদিন হাসপাতালে চিকিৎসক উপস্থিত থাকেন না, সেদিন শিক্ষার্থীরা রোগী দেখার ও প্রেসক্রিপশন দেওয়ার কাজ করতে পারেন।