বিতর্কে ক্ষোভে ফুঁসছে এলাকাবাসী
ঠাকুরগাঁওয়ে পাঁচ লাখ টাকার ঘুষ কেলেঙ্কারি নিয়ে তোলপাড়


ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ২১ নং ঢোলারহাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে ঘিরে জেলা ও সদর উপজেলা প্রশাসনের নাটকীয় ঘটনা নিয়ে এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় চলছে। একাধিক ইউপি সদস্যের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা অখিল চন্দ্র রায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মামলার চিহ্নিত আসামি। তিনি গত জুলাই মাসে গ্রেপ্তার হয়ে আদালতের মাধ্যমে জামিনে মুক্তি পান।
জামিন পাওয়ার কয়েকদিন আগেই গত ১ সেপ্টেম্বর তড়িঘড়ি করে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোঃ খায়রুল ইসলাম ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর প্যানেল চেয়ারম্যান নির্মলা টপ্য মিনাকে ইউনিয়নের আর্থিক ও অন্যান্য দায়িত্ব প্রদান করেন। তবে মাত্র কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে গত ২৫ সেপ্টেম্বর আরেকটি চিঠির মাধ্যমে চেয়ারম্যান অখিল চন্দ্র রায়কে পুনর্বহাল করা হয়।
ইউপি সদস্যদের অভিযোগ, অখিল চন্দ্র রায় জামিন পাওয়ার আগেই স্থানীয় প্রশাসনের কিছু ব্যক্তি অর্থের বিনিময়ে গোপন সমঝোতায় লিপ্ত হন। অভিযোগে বলা হয়, দায়িত্ব হস্তান্তরের পর থেকে চেয়ারম্যানের সঙ্গে প্রশাসনের বার্গেনিং চলতে থাকে এবং শেষ পর্যন্ত পাঁচ লাখ টাকায় সমঝোতা হয়। এরপর জেলা প্রশাসক ইউএনওকে নির্দেশনা দেন পুনর্বহাল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে। অভিযোগ অনুযায়ী, ২৪ সেপ্টেম্বর অখিল চন্দ্র রায় স্থানীয় এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা সুদের ভিত্তিতে নিয়ে সংশ্লিষ্ট মহলে পৌঁছে দেন এবং পরদিন ২৫ সেপ্টেম্বর পুনর্বহালের চিঠি ইস্যু করা হয়।
এ ঘটনায় স্থানীয় জনগণের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। ঘুষ কেলেঙ্কারি ও বিতর্কিত চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিতে ২৭ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টায় ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে জনসাধারণ। পরে বিকেলে ঠাকুরগাঁও–ঢোলারহাট সড়ক অবরোধ করে তারা অখিল চন্দ্র রায়কে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে অপসারণের দাবি জানান। ইউপি সদস্য শাজাহান আলী, সদস্য ইমান আলী, সমাজসেবক সাদেকুল ইসলাম, আব্দুর রহিম ও নজরুল ইসলামসহ বক্তারা দ্রুত দাবিদাওয়া মেনে না নিলে জেলা প্রশাসন ঘেরাও কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন তারা।