রবিবার, ৩ আগস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২
রবিবার, ৩ আগস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২

বিয়েটা কনটেন্ট নাকি কমিটমেন্ট?

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই, ২০২৫, ৫:৩০ পিএম | 96 বার পড়া হয়েছে
বিয়েটা কনটেন্ট নাকি কমিটমেন্ট?

বিয়েটা কনটেন্ট নাকি কমিটমেন্ট?
― ইনফ্লুয়েন্সারদের ভিউয়ের জন্য বিয়ে ট্রেন্ডের সামাজিক প্রভাব
আজকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় একটা দৃশ্য খুব সাধারণ হয়ে উঠেছে।
একটা সুন্দর সাজসজ্জা, অভিজাত লোকেশন, হাসিমুখে বর-কনে, আর ব্যাকগ্রাউন্ডে ভাইরাল গান।
দেখে মনে হয়—কারো জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিন।
কিন্তু কয়েকদিন পরই ক্যাপশন আসে:
“This was just a content shoot. Not a real wedding.”
অথবা, লাইভে এসে ইনফ্লুয়েন্সার বলছেন—“ভিউয়ের জন্যই করেছিলাম। সত্যিকারের বিয়ে না।”
এই ট্রেন্ড এখন শুধু হাস্যকর নয়, বরং সামাজিকভাবে বিপজ্জনক। কারণ, এটা কেবল বিনোদনের নামে ব্যক্তিগত অনুভূতিকে নয়, সম্পর্ক, প্রতিশ্রুতি, বিশ্বাস এবং সামাজিক মানসিকতাকেও তুচ্ছ করে দিচ্ছে।
বিয়ে—সদ্য ভাইরাল হওয়া গিমিক নয়, এটা এক সামাজিক চুক্তি।
বিয়ে মানে কেবল সাজসজ্জা, ছবি তোলা বা ভিডিও বানানো নয়।
বিয়ে হলো দুইটি মানুষের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা, ভালোবাসা, দায়িত্ব ও প্রতিশ্রুতির সম্পর্ক।
আমাদের সমাজে বিয়ের গুরুত্ব বহুপ্রজন্ম ধরে তৈরি হয়েছে।
এটা কেবল একটি পারিবারিক উৎসব নয়—একটি সামাজিক, ধর্মীয় এবং মানসিক বন্ধন।
কিন্তু যখন কেউ শুধু ইউটিউব ভিউ বা রিলস ভিউয়ের জন্য “বিয়ে” নামের নাটক করে, তখন তারা সেই সম্পর্কের গাম্ভীর্যকে ছোট করে ফেলে।
এই ট্রেন্ড সমাজে কী বার্তা দিচ্ছে?
১. “বিয়ে মানে বিনোদন”—এই ভুল ধারণা প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে
অনেক তরুণ-তরুণী এখন ইনফ্লুয়েন্সারদের দেখে ভাবছে—বিয়েটাও একটা শো!
যেখানে আপনি চাইলে অভিনয় করতে পারেন, চাইলে পরে অস্বীকার করতে পারেন।
এর ফলে বিয়ের প্রতি মানুষের শ্রদ্ধা হারাচ্ছে।
২. বিশ্বাসভঙ্গকে স্বাভাবিক করা হচ্ছে
যখন কেউ বলে, “এইটা আসলে মজার ভিডিও ছিল, সত্যিকারের বিয়ে না”—তখন তারা বুঝতে পারে না যে তাদের ফলোয়ারদের মধ্যে অনেকেই হয়তো সেটা সত্যি ভেবেছিল।
তাদের চোখে আপনি প্রতারণা করছেন।
আর এই মিথ্যা বারবার দেখলে মানুষের মধ্যেও বিশ্বাস হারানোর প্রবণতা তৈরি হয়।
৩. বিয়ের আগেই মানসিক প্রস্তুতি কমে যাচ্ছে
যারা সত্যিকারে বিয়ে করতে যাচ্ছে, তাদের মধ্যেও একটা অনিশ্চয়তা তৈরি হয়—
“সত্যিই কি এটা সিরিয়াস কিছু? নাকি যে কেউ যখন তখন শেষ করে দিতে পারে?”
এই মনোভাব মানসিকভাবে মানুষকে কমিটমেন্ট-ভীতু করে তুলছে।
৪. ফলোয়ারদের ইমোশন নিয়ে খেলা
এগুলো কেবল “ফান কন্টেন্ট” নয়। অনেক ফলোয়ার ইনফ্লুয়েন্সারদের জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে—ভালোবাসে, অনুপ্রাণিত হয়, তাদের দেখে জীবন গুছাতে চায়।
তাদের চোখে এসব নাটক ভেঙে দেয় বিশ্বাস, এবং এক ধরনের হতাশা তৈরি করে।
তাহলে ইনফ্লুয়েন্সারদের দায় কতটুকু?
ইনফ্লুয়েন্সাররা কেবল “নিজের প্ল্যাটফর্ম” চালাচ্ছেন না—তারা সমাজের বহু তরুণ-তরুণীর রোল মডেল।
তারা যা দেখায়, তা অনেকেই সত্যি ভাবে।
তাই কোনো কিছু “মজার” বা “ভিউ পাওয়ার” অজুহাতে করলে, তার প্রভাব শুধু অনলাইনেই সীমাবদ্ধ থাকে না—তা সমাজের চিন্তাধারাকে ধ্বংস করে।
কী হতে পারে এর ইতিবাচক বিকল্প?
• সম্পর্ককে শ্রদ্ধা করে এমন কনটেন্ট তৈরি করা
• সত্যিকারের বিয়ের প্রস্তুতি, মানসিকতা, দায়িত্ব ইত্যাদি নিয়ে ভিডিও বানানো
• “ভিউ নয়, ভ্যালু”—এই নীতিতে কনটেন্ট বানানো
• কমিটমেন্টের গুরুত্ব নিয়ে কথা বলা
বিয়ে কোনো ট্রেন্ড নয়। বিয়ে কোনো ভাইরাল চ্যালেঞ্জ নয়। বিয়ে হলো জীবন গঠনের সূচনা।
ইনফ্লুয়েন্সারদের অনেক বড় প্ল্যাটফর্ম আছে, তাদের দায়িত্বও ততটাই বড়।
তারা যদি “মিথ্যা সম্পর্ক” দেখিয়ে দর্শকের আবেগ নিয়ে খেলেন, তাহলে সেটি কেবল সোশ্যাল মিডিয়ার ক্ষতি নয়—সমগ্র সমাজে একটা ভুল বার্তা ছড়িয়ে দেয়।
সুতরাং, কনটেন্টের নামে “ভিউয়ের জন্য বিয়ে” এক ধরনের সম্পর্ক বিকৃতি, যা আমাদের সংস্কৃতি ও সামাজিক মূল্যবোধকে চ্যালেঞ্জের মুখে ঠেলে দিচ্ছে।
ভিউ শেষ হবে একদিন।
কিন্তু সমাজের ভিত যদি নড়ে যায়, তার দায় আমরা কেউ এড়াতে পারবো না।

রাজারহাটে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর ডিলার নিয়োগে অনিয়ম ও পুনরায় তদন্তের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

মোঃ আশিকুর সরকার (রাব্বি) প্রকাশিত: রবিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৫, ৪:৩৭ পিএম
রাজারহাটে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর ডিলার নিয়োগে অনিয়ম ও পুনরায় তদন্তের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

কুড়িগ্রামের রাজারহাটে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর আওতায় ডিলার নিয়োগে বৈষম্য ও অনিয়মের অভিযোগ এবং পুনরায় তদন্ত পূর্বক শতভাগ স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে পুনরায় লটারির দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারক লিপি প্রদান করেছে বঞ্চিত আবেদনকারীগণ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আবেদনের প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটির অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেছে,অনিয়মের মাধ্যমে যাচাই-বাছাইয়ে বাদ পরা ব্যাক্তিদের সুকৌশলে ডিলার নিয়োগ দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
নির্দিষ্ট এলাকার বাসিন্দা না হয়েও অনেকেই এই নিয়োগপ্রাপ্ত হন।নিয়োগ পাওয়ার যোগ্য অনেক ব্যক্তিকে সুকৌশলে বাদ দিয়ে নিয়ম বহি:ভূর্ত বাহিরের অনেক কে ডিলার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।ডিলার নিয়োগে এহেন বৈষম্যরোধে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে পুনরায় তদন্ত সাপেক্ষে লটারির আহবান জানান বঞ্চিত আবেদনকারীগণ।

রোববার দুপুরে ১২:০০ টা উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরের মেইন গেটের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।উক্ত
মানববন্ধনে অংশ নিয়ে বক্তব্য রাখেন,আব্দুল মোত্তালেব,আজিজুল ইসলাম,ফখরুল ইসলাম, রাজু ইসলাম, আহসান, সহিদুল ইসলাম,রোকেয়া বেগম,দৌলত হোসেন,আব্দুল লতিফ,সেকেন্দার আলী লিমন,হান্নান মিয়া আব্দুল লতিফ বাবলুসহ আরও অনেকে।

হরিপুরে পাটের জাগ নিয়ে বিড়ম্বনায় কৃষক

সিরাজুল ইসলাম ঠাকুরগাঁও প্রকাশিত: রবিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৫, ৪:৩৬ পিএম
হরিপুরে পাটের জাগ নিয়ে বিড়ম্বনায় কৃষক

ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে শুরু হয়েছে বিভিন্ন মাঠের পাট কাটা। তবে খালবিলে ও মাঠে পানি না থাকায় পাট জাগ দেওয়া নিয়ে সংকটে পড়েছেন চাষিরা। রাস্তার পাশে খাল ও পুকুরের পানি দিয়ে পাট জাগ দেওয়া শুরু হলেও আঁশের মান তেমন ভালো হচ্ছে না। এতেই বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা।

পাট চাষিরা জানান, হরিপুরে উপজেলায় দুটি বড় বিলের পাশে পানি না থাকার কারণে পাট পচানো সমস্যা হয়েছে । পানি সরাসরি বিলের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় পাটের জাগ নিয়ে সংকট দেখা দিয়েছে।

পাট চাষি মো. আবদুল মালেক ও সারোয়ার হোসেন বলেন খালবিলে, নদীনালায়, পুকুরে পানি নেই; পাট জাগ দেওয়ার জায়গাও নেই। এখন আমরা পাট নিয়ে সংকটে পড়েছি। এজন্য হরিপুর উপজেলায় পার্শ্ববর্তী বিলে আমরা পাট জাগ দিয়েছি।

সমির হোসেন নামে আরেকজন বলেন, বৃষ্টিতে পাটক্ষেতে অল্প পানি জমেছে, এতে পাটের গোড়া নষ্ট হয়ে গেছে। ক্ষেতে বেশি পানি হলে পাটের গোড়া পচন ধরত না। ক্ষেতের পাট ক্ষেতেই জাগ দেওয়া যেত। এখন পিকআপ ও ভ্যান ভাড়া করে পাট জাগ দিতে অন্য জায়গায় নিয়ে যেতে হচ্ছে। এতে আমাদের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে।

মিনাপুর গ্রামের সারোয়ার হোসেন বলেন, আমাদের হরিপুর ইউনিয়নের মাঠে-ঘাটে কোথাও পানি নেই। পাট কেটে জাগ দিতে অনেক কষ্ট হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রুবেল হুসেন জানান, এ বছর হরিপুরে ৪৭০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জায়গায় পাটের আবাদ হয়েছে। পানি না থাকায় পাটের জাগ দেওয়া নিয়ে সমস্যা পড়ছেন কৃষকরা। কেউ কেউ পুকুরে নদীতে পাটের জাগ দিচ্ছে।

সম্পর্কটা কোথাও যেন আটকে যাচ্ছে

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: রবিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৫, ৪:৩৪ পিএম
সম্পর্কটা কোথাও যেন আটকে যাচ্ছে

”আমার সম্পর্কটা কোথাও যেন আটকে যাচ্ছে”
যখন আশেপাশে শুনি —
“এটা তো সময়ের ব্যাপার, একটু ধৈর্য ধরো”
“তুমি কেন এত ভাবছো? সব ঠিক হয়ে যাবে”
“এটা তো সম্পর্কের অংশ, মানিয়ে নিতে হবে”
তখন সেই শূন্যতা কোথায় যাবে?
হুরায়রা কনসালটেন্সি এমন একটা জায়গা,
যেখানে আপনি আপনার সম্পর্কের টানাপোড়েন খুলে বলতে পারেন,
কেউ আপনাকে ছোট করবে না,
কেউ আপনাকে দোষী মনে করবে না।
আমরা জানি, সম্পর্কের মাঝে এই অনিশ্চয়তা অনেক সময় ভয়াবহ হতে পারে,
আপনি একা নন,
আমি হুরায়রা শিশির এবং আমার টিম পাশে আছি।
চলুন, একসাথে চেষ্টা করি কিভাবে একটু একটু করে ভালো থাকা যায়।

error: Content is protected !!