শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২ আশ্বিন ১৪৩২
শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২ আশ্বিন ১৪৩২

বিয়েটা কনটেন্ট নাকি কমিটমেন্ট?

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই, ২০২৫, ৫:৩০ পিএম | 124 বার পড়া হয়েছে
বিয়েটা কনটেন্ট নাকি কমিটমেন্ট?

বিয়েটা কনটেন্ট নাকি কমিটমেন্ট?
― ইনফ্লুয়েন্সারদের ভিউয়ের জন্য বিয়ে ট্রেন্ডের সামাজিক প্রভাব
আজকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় একটা দৃশ্য খুব সাধারণ হয়ে উঠেছে।
একটা সুন্দর সাজসজ্জা, অভিজাত লোকেশন, হাসিমুখে বর-কনে, আর ব্যাকগ্রাউন্ডে ভাইরাল গান।
দেখে মনে হয়—কারো জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিন।
কিন্তু কয়েকদিন পরই ক্যাপশন আসে:
“This was just a content shoot. Not a real wedding.”
অথবা, লাইভে এসে ইনফ্লুয়েন্সার বলছেন—“ভিউয়ের জন্যই করেছিলাম। সত্যিকারের বিয়ে না।”
এই ট্রেন্ড এখন শুধু হাস্যকর নয়, বরং সামাজিকভাবে বিপজ্জনক। কারণ, এটা কেবল বিনোদনের নামে ব্যক্তিগত অনুভূতিকে নয়, সম্পর্ক, প্রতিশ্রুতি, বিশ্বাস এবং সামাজিক মানসিকতাকেও তুচ্ছ করে দিচ্ছে।
বিয়ে—সদ্য ভাইরাল হওয়া গিমিক নয়, এটা এক সামাজিক চুক্তি।
বিয়ে মানে কেবল সাজসজ্জা, ছবি তোলা বা ভিডিও বানানো নয়।
বিয়ে হলো দুইটি মানুষের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা, ভালোবাসা, দায়িত্ব ও প্রতিশ্রুতির সম্পর্ক।
আমাদের সমাজে বিয়ের গুরুত্ব বহুপ্রজন্ম ধরে তৈরি হয়েছে।
এটা কেবল একটি পারিবারিক উৎসব নয়—একটি সামাজিক, ধর্মীয় এবং মানসিক বন্ধন।
কিন্তু যখন কেউ শুধু ইউটিউব ভিউ বা রিলস ভিউয়ের জন্য “বিয়ে” নামের নাটক করে, তখন তারা সেই সম্পর্কের গাম্ভীর্যকে ছোট করে ফেলে।
এই ট্রেন্ড সমাজে কী বার্তা দিচ্ছে?
১. “বিয়ে মানে বিনোদন”—এই ভুল ধারণা প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে
অনেক তরুণ-তরুণী এখন ইনফ্লুয়েন্সারদের দেখে ভাবছে—বিয়েটাও একটা শো!
যেখানে আপনি চাইলে অভিনয় করতে পারেন, চাইলে পরে অস্বীকার করতে পারেন।
এর ফলে বিয়ের প্রতি মানুষের শ্রদ্ধা হারাচ্ছে।
২. বিশ্বাসভঙ্গকে স্বাভাবিক করা হচ্ছে
যখন কেউ বলে, “এইটা আসলে মজার ভিডিও ছিল, সত্যিকারের বিয়ে না”—তখন তারা বুঝতে পারে না যে তাদের ফলোয়ারদের মধ্যে অনেকেই হয়তো সেটা সত্যি ভেবেছিল।
তাদের চোখে আপনি প্রতারণা করছেন।
আর এই মিথ্যা বারবার দেখলে মানুষের মধ্যেও বিশ্বাস হারানোর প্রবণতা তৈরি হয়।
৩. বিয়ের আগেই মানসিক প্রস্তুতি কমে যাচ্ছে
যারা সত্যিকারে বিয়ে করতে যাচ্ছে, তাদের মধ্যেও একটা অনিশ্চয়তা তৈরি হয়—
“সত্যিই কি এটা সিরিয়াস কিছু? নাকি যে কেউ যখন তখন শেষ করে দিতে পারে?”
এই মনোভাব মানসিকভাবে মানুষকে কমিটমেন্ট-ভীতু করে তুলছে।
৪. ফলোয়ারদের ইমোশন নিয়ে খেলা
এগুলো কেবল “ফান কন্টেন্ট” নয়। অনেক ফলোয়ার ইনফ্লুয়েন্সারদের জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে—ভালোবাসে, অনুপ্রাণিত হয়, তাদের দেখে জীবন গুছাতে চায়।
তাদের চোখে এসব নাটক ভেঙে দেয় বিশ্বাস, এবং এক ধরনের হতাশা তৈরি করে।
তাহলে ইনফ্লুয়েন্সারদের দায় কতটুকু?
ইনফ্লুয়েন্সাররা কেবল “নিজের প্ল্যাটফর্ম” চালাচ্ছেন না—তারা সমাজের বহু তরুণ-তরুণীর রোল মডেল।
তারা যা দেখায়, তা অনেকেই সত্যি ভাবে।
তাই কোনো কিছু “মজার” বা “ভিউ পাওয়ার” অজুহাতে করলে, তার প্রভাব শুধু অনলাইনেই সীমাবদ্ধ থাকে না—তা সমাজের চিন্তাধারাকে ধ্বংস করে।
কী হতে পারে এর ইতিবাচক বিকল্প?
• সম্পর্ককে শ্রদ্ধা করে এমন কনটেন্ট তৈরি করা
• সত্যিকারের বিয়ের প্রস্তুতি, মানসিকতা, দায়িত্ব ইত্যাদি নিয়ে ভিডিও বানানো
• “ভিউ নয়, ভ্যালু”—এই নীতিতে কনটেন্ট বানানো
• কমিটমেন্টের গুরুত্ব নিয়ে কথা বলা
বিয়ে কোনো ট্রেন্ড নয়। বিয়ে কোনো ভাইরাল চ্যালেঞ্জ নয়। বিয়ে হলো জীবন গঠনের সূচনা।
ইনফ্লুয়েন্সারদের অনেক বড় প্ল্যাটফর্ম আছে, তাদের দায়িত্বও ততটাই বড়।
তারা যদি “মিথ্যা সম্পর্ক” দেখিয়ে দর্শকের আবেগ নিয়ে খেলেন, তাহলে সেটি কেবল সোশ্যাল মিডিয়ার ক্ষতি নয়—সমগ্র সমাজে একটা ভুল বার্তা ছড়িয়ে দেয়।
সুতরাং, কনটেন্টের নামে “ভিউয়ের জন্য বিয়ে” এক ধরনের সম্পর্ক বিকৃতি, যা আমাদের সংস্কৃতি ও সামাজিক মূল্যবোধকে চ্যালেঞ্জের মুখে ঠেলে দিচ্ছে।
ভিউ শেষ হবে একদিন।
কিন্তু সমাজের ভিত যদি নড়ে যায়, তার দায় আমরা কেউ এড়াতে পারবো না।

খ: আওয়াল জেলা প্রতিনিধি টাঙ্গাইল প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১০:১৭ পিএম

ঘর,প্রেম ও মানবতার গান

===================

    🖊️হায়দার খালীদ

মাটির ঘরে সকাল আসে, ধোঁয়া ওঠে চুলোর ধারে,

মায়ের গলায় ঘুমপাড়ানি গান, শিশুরা ঘুম ভাঙে কারে?

খেজুর পাতার খড়ের ছাওয়া, পুকুরঘাটে ভেজা জল,

গৃহস্থালীর মায়া-গন্ধে বেঁচে ওঠে প্রাণের দল।

চাষার ঘামে সোনার দানা, মাঠে জন্মে ফসলের গান,

স্ত্রীর চোখে নীল দিগন্তে স্বপ্ন রাখে সারা প্রাণ।

কিশোর কিশোরী প্রেমে ভেসে নদীর তীরে বাঁধে আশা,

চিঠির পাতায় অক্ষর হয়ে ফুটে ওঠে ভালবাসা।

কিন্তু সমাজ! হায় সমাজ! আঁধার মাখা দেয়াল ঘেরা,

সত্যকে করে তুচ্ছ তারা, মিথ্যা পায় সোনার সেরা।

অসঙ্গতির বিষাক্ত শ্বাসে নষ্ট হয় কত হৃদয়,

অন্যায়ের রুদ্র ঝড়ে কেঁদে ওঠে দিগন্তময়।

তবুও প্রেম থামে না কিছুতেই—

হাতে হাত রেখে দু’জন মানুষ

বলে যায় ধ্বনি—আহবান,

“মানুষের আগে ধর্ম নয়,

মানবতার আগুনে জ্বলে সব আলোর নিশান।”

পাহাড় ডাক দেয় শক্তির মতো,

তাদের বুকে দাঁড়িয়ে থাকে শত সহস্র বছর,

নদী গেয়ে যায় চিরন্তন স্রোতের সুরে—

কখনো শান্ত, কখনো প্রলয় ভরা মহাস্বর।

যখন বন্যা নেমে আসে—

চোখের জলে ভেসে যায় ঘর,

শিশুরা হারায় নৌকার খোঁজে,

ধানের খেতে জমে শুধু শোকের ঘোর।

আবার কখনো খরা এসে,

পুড়িয়ে দেয় ধানের স্বপ্ন,

ফেটে যায় মাটির বুক,

শুকিয়ে যায় নদীর কণ্ঠ।

তবু এই অন্ধকার ভেদ করে

মানুষ দাঁড়ায় মানুষের পাশে,

ভাঙা ঘরে, ক্ষুধার রাতে

এক মুঠো ভাতও ভাগ হয় ভালোবাসায়।

প্রেম তখন শুধু দেহের নয়,

প্রেম তখন মানুষ বাঁচানোর হাত,

মানবতার গান হয়ে ওঠে

দুর্ভিক্ষের বুক ভেদ করা শক্তির বাতাস।

যতই আঁধার নামুক সমাজে,

যতই অন্যায় ছড়াক বিষ,

ঘরের আলো, প্রেমের গান,

পাহাড়-নদীর ডাক, আর মানবতা—

সবাই মিলে হয়ে ওঠে এক মহাকাব্য,

জীবনকে শেখায়—

“মানুষের জন্য মানুষই আশ্রয়,

মানবতার আগুনেই বাঁচে আগামী।”

কুড়িগ্রামে রাজারহাটে পাওনা টাকা চাওয়ায় স্বামী ও ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারীর উপর ব্যাপক মারধর

মোঃ নাহিদ হাসান রাজারহাট কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৪:৩১ পিএম
কুড়িগ্রামে রাজারহাটে পাওনা টাকা চাওয়ায় স্বামী ও ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারীর উপর ব্যাপক মারধর

কুড়িগ্রামে রাজারহাটের, রাজারহাট ইউনিয়নের,দেবী চরণ গ্রামে আজ সকাল ১০ঃ৩০ মিনিটে এ ঘটনা ঘটে। মোহাম্মদ আনিসুর রহমান জানান, আমরা পাওনা টাকা চাইতে গেলে আমি ও আমার স্ত্রী পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা আফরোজা বেগমকে নির্মমভাবে মারধর করে লুৎফর রহমান ও তাঁর দুই ছেলে। আনিসুর রহমান বলেন, আমি ও আমার স্ত্রী কে রামদা দিয়ে হাত এবং মাথায় কুপিয়ে মারার চেষ্টা করে অভিযোগ এনে আনিসুর রহমান আরো বলেন, আমার মাথায় চোট লাগে এবং আমার স্ত্রী আমাকে বাঁচাতে গেলে তার আমার স্ত্রীর হাতে ব্যাপক মারধর করে, যদিও আমার স্ত্রী পাঁচ মাসের অন্তসত্ত্বা থাকায় পেটের মধ্যে পা দিয়ে লাথি মারার কারণে এখন হাসপাতালে অজ্ঞান অবস্থায় আছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, আনিসুর রহমানের কাছে থেকে ৫৫ হাজার টাকা কেড়ে নেয়। এবং পাওনা টাকা চাইতে গেলে, এই ঘটনাটির শিকার হয় আনিসুর রহমান ও তার পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর লুৎফা রহমান ও তার দুই ছেলে উপর অনেক ক্ষোভ প্রকাশ করে তাদের বিচারের দাবি করে ও আইনের আওতায় এনে দ্রুত শাস্তি দাবি জানায় এলাকাবাসী।

কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন: রবি সভাপতি, সাঈদ সম্পাদক, দেলোয়ার সাংগঠনিক সম্পাদক

ডেস্ক নিউজ প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৩:২১ পিএম
কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন: রবি সভাপতি, সাঈদ সম্পাদক, দেলোয়ার সাংগঠনিক সম্পাদক

বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বগুড়ার কাহালু রেল স্টেশনের সংলগ্ন কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের অস্থায়ী কার্যালয়ে প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও ৭১ ভিশনের স্টাফ রিপোর্টার মোঃ মোরশেদুল ইসলাম রবি। আলোচনার পর সর্বসম্মতিক্রমে ৯ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।

নবগঠিত কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন মোঃ মোরশেদুল ইসলাম রবি এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন দৈনিক দেশ সেবার কাহালু উপজেলা প্রতিনিধি মোঃ আবু সাঈদ। সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশের স্টাফ রিপোর্টার মোঃ দেলোয়ার হোসেন।

এছাড়াও অন্যান্য সদস্যরা হলেন—

সহ-সভাপতি: মোঃ নজরুল ইসলাম (কাহালু উপজেলা প্রতিনিধি, দৈনিক আমার সোনার দেশ)

দপ্তর সম্পাদক: মোঃ রাসেল হোসেন (কাহালু উপজেলা প্রতিনিধি, দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ)

কার্যকরী সদস্য: মোঃ আব্দুল মান্নান, মোঃ আলামিন হোসেন, সেলিম চৌধুরী।

সভা শেষে প্রেসক্লাবের উন্নয়ন ও সাংবাদিকদের পেশাগত মান উন্নয়নে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।