মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২
মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২

কুঞ্জলতা ফুড পার্ক:-গ্রামের বুকে ফুটে ওঠা এক সবুজ স্বপ্ন

মোঃ আলী শেখ, স্টাফ রিপোর্টার প্রকাশিত: সোমবার, ৩০ জুন, ২০২৫, ১১:০৩ পিএম | 36 বার পড়া হয়েছে
কুঞ্জলতা ফুড পার্ক:-গ্রামের বুকে ফুটে ওঠা এক সবুজ স্বপ্ন

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে গড়ে ওঠা একটি পার্ক শুধু একটি নির্মাণ নয়, এটি হয়ে ওঠে মানুষের আত্মার আশ্রয়স্থল, হয়ে ওঠে গ্রামের কোলাহলহীন শান্তির মাঝে বিনোদনের এক স্নিগ্ধ ঠিকানা। মাদারীপুর জেলার রাজৈর উপজেলার ইশিবপুর গ্রামের বুকে এমনই এক নিঃশব্দ আর স্বপ্নময় আলোকদীপ হলো কুঞ্জলতা ফুড পার্ক।

এটি কোনো কল্পনার রাজ্য নয়, বরং মাটির মানুষের হাতেই গড়া বাস্তবতার এক অনুপম নিদর্শন। মনোরম পরিবেশে ঘেরা এই পার্ক যেন এক কবিতার অন্ত্যমিল। গাছপালা, ফুলের বাগান, শিশুর হাসি আর মানুষের পদচারণায় প্রতিটি কোণ যেন জীবন্ত হয়ে ওঠে।

কুঞ্জলতা ফুড পার্কের বিশেষত্ব কেবল এর সৌন্দর্যে সীমাবদ্ধ নয়—বরং এর অন্তর্নিহিত তাৎপর্য আরও গভীর। এ যেন আধুনিকতার ছোঁয়ায় গ্রামীণ সৌন্দর্যকে রক্ষা করে নির্মিত এক নান্দনিক পরিসর। শিশুদের জন্য রয়েছে রঙিন দোলনা, পাকা পথ ধরে হেঁটে যাওয়া ছোট ট্রেনের মতো আনন্দযাত্রা, আর বিভিন্ন খেলনার ব্যবস্থা—যা শিশুদের হৃদয়ে আনন্দের কুসুম ফুটিয়ে তোলে। পরিবার-পরিজন নিয়ে আগত মানুষদের জন্য রয়েছে বিশ্রামের ছায়াময় স্থান ও স্বাদের বাহারে ভরা রেস্টুরেন্ট, যা আনন্দকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যায়।

এ পার্ক শুধু একটি ঘোরার জায়গা নয়—এটি গ্রামের মানুষকে যুগোপযোগী বিনোদনের স্বাদ দিয়েছে। আগের দিনে যেখানে গ্রামীণ মানুষকে শহরের বিনোদনের জন্য ছুটতে হতো, এখন তারা নিজ গাঁয়ের বুকে গড়তে পারছে এক অনবদ্য আনন্দভুবন। কুঞ্জলতা ফুড পার্ক তাই এক সামাজিক বিকাশের চিত্র, যা গ্রামের আত্মপরিচয়কে নতুন করে চিনিয়ে দিচ্ছে।

এই পার্ক আজ শুধু ইশিবপুর নয়, গোটা রাজৈর তথা মাদারীপুর জেলার মানুষের কাছে একটি গর্বের স্থাপনা। এটি বিনোদনের পাশাপাশি গ্রামের অর্থনীতিতেও যুক্ত করেছে নতুন দিগন্ত। আগত পর্যটকদের আনাগোনায় বাড়ছে স্থানীয় ব্যবসা, বেড়েছে পরিচিতি, জেগে উঠেছে এক সম্ভাবনার আলো।

সবশেষে বলা যায়, কুঞ্জলতা ফুড পার্ক শুধুমাত্র একটি পার্ক নয়, এটি একটি গ্রামীণ রেনেসাঁর প্রতীক—যেখানে সৌন্দর্য, সংস্কৃতি ও সভ্যতার এক অপূর্ব মিলন ঘটে। এ যেন সবুজ ঘাসে লেখা এক কবিতা, শিশুর হাসিতে বাঁধা এক গান, আর গ্রামের মাটিতে আঁকা এক রঙিন স্বপ্ন।

ইলমে মারেফত علم معرفة

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১ জুলাই, ২০২৫, ৯:২০ এএম
ইলমে মারেফত علم معرفة

ফোরাত নদীর তীরে হযরত হাসান বসরী (রহঃ) দেখতে পেলেন হযরত রাবেয়া বসরী (রহঃ)-কে ধ্যানমগ্ন অবস্থায় বসে আছেন। হযরত হাসান বসরী (রহঃ), যিনি আধ্যাত্মিকতার এক উচ্চ মার্গের সাধক ছিলেন, অলৌকিকভাবে তাঁর জায়নামাজটি নদীর জলের উপর বিছিয়ে দিলেন। হাসিমুখে রাবেয়াকে উদ্দেশ্য করে বললেন, “আসুন, হে রাবেয়া, এখানে দুই রাকাত নামাজ আদায় করি।”
হযরত রাবেয়া বসরী (রহঃ), যিনি প্রকৃত জ্ঞান ও বিনয়ের প্রতিমূর্তি ছিলেন, শান্তভাবে প্রত্যুত্তর দিলেন, “হে হযরত, যখন আখিরাতের প্রার্থীর সামনে দুনিয়ার বাজার উপস্থাপন করা হয়, তখন এমন কারামত প্রদর্শন করা উচিত যা আপনার সমকক্ষ আর কেউ করতে না পারে।”
এই কথা বলার পরপরই, এক অভাবনীয় দৃশ্যের অবতারণা হলো। হযরত রাবেয়া বসরী (রহঃ) তাঁর জায়নামাজটি হাওয়ায় উড়িয়ে দিলেন, যা মুহূর্তে আকাশের দিকে উড়তে শুরু করলো। তিনি হযরত হাসান বsrী (রহঃ)-কে আহ্বান করে বললেন, “আসুন হযরত, এবার আকাশে ভ্রমণ করি।”
হযরত হাসান বসরী (রহঃ)-কে বিনয়ী রাখতে এবং প্রকৃত আধ্যাত্মিকতার মর্ম বোঝাতে, রাবেয়া বসরী (রহঃ) এরপর বললেন, “হে মাননীয় হযরত! আপনি যা প্রদর্শন করলেন, তা তো একটি মাছ বা হংসও করে থাকে। আর আমি যা দেখালাম, তা তো একটি মাছিও অনায়াসে করতে পারে। মনে রাখবেন, প্রকৃত অলৌকিকতা বা কারামত এই সব তুচ্ছ প্রদর্শনের বহু ঊর্ধ্বে। সত্যিকারের কাজ হলো আত্মশুদ্ধি, আল্লাহর প্রতি অগাধ প্রেম এবং বিনয়।”
এই ঘটনাটি কেবল দুটি অলৌকিক প্রদর্শনীই ছিল না, এটি ছিল আধ্যাত্মিকতার গভীরতার এক অনুপম দৃষ্টান্ত—যেখানে বাহ্যিক শক্তির চেয়ে আত্মিক পরিশুদ্ধি ও খোদাভীতিকেই শ্রেষ্ঠত্বের আসনে বসানো হয়েছে।

তুলতুল: ভালোবেসে খাগড়াছড়ির পাঠকরা রাজকন্যা উপাধি দেন।

তুলতুল প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১ জুলাই, ২০২৫, ৮:৩৫ এএম
তুলতুল: ভালোবেসে খাগড়াছড়ির পাঠকরা রাজকন্যা উপাধি দেন।

লেখাপড়ায় চরম ফাঁকিবাজ ছিলেন।
টিচার এলে নানা অজুহাতে তাড়াতেন। কিন্তু অতি ভালো রেজাল্ট না করেও তিনি ভালো ফলাফল করে দেশ সেরা কলেজের ছাত্রী ও বাংলাদেশের জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক।

বলছি চট্টগ্রামের মেয়ে তরুণ লেখক ও কথাসাহিত্যিক শাম্মী তুলতুল। তিনি একাধারে একজন লেখক. কবি. উপন্যাসিক.গল্পকার. শিশুসাহিত্যিক.নজরুল অনুরাগী.রেডিও অনুষ্ঠান পরিচালক. খবর পাঠিকা ও দাবা খেলোয়াড়।বাংলাদেশের জনপ্রিয় জাতীয় পত্রিকায় লিখছেন ছোটবেলা থেকেই । যেমন. কালের কন্ঠ. প্রথম আলো। বাংলাদেশ প্রতিদিন.ইত্তেফাক.খোলা কাগজ.প্রতিদিনের সংবাদ.এন টিভি অনলাইন. মানবকন্ঠ.আজাদী. পূর্বকোণ. সরকারী পত্রিকা শিশু.নবারুণ সহ অন্যান্য পত্রিকায়। তাছাড়া তিনি এপার বাংলা আর ওপার বাংলা দুই জায়গায় সমান তালে লেখনি দিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। তাকে দুই বাংলার জনপ্রিয় লেখকও বলা হয়ে থাকে। লিখছেন জার্মানি, সিংগাপুর, অস্ট্রেলিয়ার. প্যারিসের বাংলা পত্রিকাগুলোতেও।

তার জন্ম একটি সাহিত্য.সাংস্কৃতিক রাজনৈতিক. মুক্তিযোদ্ধা ও অভিজাত পরিবারে।
বুকের ভেতর রয়েছে অফুরন্ত গল্পের বাস
সে সব গল্প বলে যেতে চান তার লেখায়।জন্ম চট্টগ্রামে হলেও গ্রাম রাউজান। গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে বিখ্যাত নদী হালদা।যার স্রোতের সাথে জুড়ে আছে একেক গল্প।তার মতে এসব গ্রামীণ গল্পই আমাদের প্রাণ.চলার পথে শেখার ভিত্তি।সে তার প্রতিটি লেখনীতে সমাজ পরিবর্তনের কোন না কোন ম্যাসেজ রাখেন।লেখালেখির হাতেখড়ি ছোট থেকেই পত্রিকাঅ দিয়ে শুরু।

একটি রক্ষনশীল পরিবার থেকে উঠে এসে নিজেকে সাহিত্যিক হিসেবে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করেছেন।।
।খুব অল্প বয়সেই তিনি দেশ ও দেশের বাইরে তার লেখনি দিয়ে জয় করছেন অজশ্র মানুষের ভালোবাসা।
দাদাও একজন লেখক. শিক্ষক.বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনের নেতা ছিলেন। ।নানীও কাজী লতিফা হক বেগম পত্রিকার সুপরিচিত লেখক ছিলেন। উল্লেখ্য যে দাদা আব্দুল কুদ্দুস মাষ্টার কবি কাজী নজরুল ইসলামের বাল্যকালের বন্ধু ছিলেন। এর উপর ভিত্তি করে তিনি লিখেছেন উপন্যাস একজন কুদ্দুস ও কবি নজরুল।
এই পর্যন্ত বইয়ের সংখ্যা ১৬ টি। ভারতে প্রকাশিয় হয়েছে ২০২২ কলকাতা বইমেলায় তার গল্পের বই “নরকে আলিঙ্গন”।বইটি পুরাঅ ভারত জুড়ে
ফ্লিপকার্ট অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে।
স্বরচিত ছড়া পাঠ করে প্রথম পুরস্কার অর্জন করেন শিশু বয়সেই।
একে একে লিখেছেন মুক্তিযুদ্ধের উপন্যাস অ চোরাবালির বাসিন্দা,অ বাল্যবিবাহের ওপর লিখিত উপন্যাস পদ্মবু, এইডসের ওপর লিখিত প্রেমের উপন্যাস মনজুয়াড়ি এই বইগুলো যথেষ্ট পাঠকপ্রিয়তা পেয়ে বেস্ট সেলার হয়েছে । লেখালেখির জন্য পেয়েছেন অনেক জাতীয় আর আন্তর্জাতিক পুরস্কার। উল্লেখ্যযোগ্য হলো মাদার তেরেসা এওয়ার্ড /মহাত্মাগান্ধী পিস এওয়ার্ড / সাউথ এশিয়া গোল্ডেন পিস এওয়ার্ড /নজরুল অগ্নীবীনা সাহিত্য পুরস্কার /দাদা সাহেব ফালকে এওয়ার্ড ( ভারত)/সোনার বাংলা সাহিত্য সম্মাননা/ রোটারী সম্মাননা /নারী দিবসে নারী সম্মাননা/সুপারস্টার এওয়ার্ড সিলেট জাগো দুর্গা সম্মাননা (ভারত)/পর্যটন নগরী খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক সম্মাননা/ভালোবেসে খাছড়াছড়ির পাঠকরা তাকে রাজকন্যা উপাধি দিয়েছিলেন। স্বাধীবাংলা সাহিত্য সম্মাননা/নারী দিবসে পেয়েছেন উইমেন পাওয়ার লিডারশীপ এওয়ার্ড ২০২৫/ সাইথ এশিয়া গোলডেন পিস এওয়ার্ড /সাইথ এশিয়া গোল্ডেন সিনে স্টার এওয়ার্ড৷ ২০২৫ / ময়ূরপঙ্খী স্টার এওয়ার্ড ২০২৫/প্রকাশনা সংস্থা বাঙালি
সাহিত্য সম্মাননা.দৈনিক আজাদী প্রতিষ্ঠাতা ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল খালেক সম্মাননা.সাপ্রতিক দেশকাল পত্রিকা সম্মাননা
সহ আরও অসংখ্য পুরস্কার।

শিশু- কিশোরদের জন্য সফল একজন গল্পকার তুলতুল। বড়দের পাশাপাশি শিশুদের জন্য লিখছেন প্রচুর।
বাংলাদেশের সকল বই পাওয়া যাচ্ছে অনলাইন বইয়ের বাজার রকমারি ডট কম, প্রথম আলোর অনলাইন ওয়েবসাইট প্রথমা ডট কম, দারাজ ডট কমে। জনপ্রিয় ই বুক বইঘরে তার বই যেখোনো প্রান্ত থেকে তার পাঠক রা পড়তে পারবেন। তিনি চট্টগ্রাম টেলিভিশনে নিয়মিত আবৃত্তিও করে থাকেন।

তার লিখিত গল্প পিঁপড়ে ও হাতির যুদ্ধ জনপ্রিয় টিভি চ্যানেল দিপ্ত টিভিতে নাটক হিসেবে প্রকাশিত হয়।।তাছাড়া তার রচনায় লাল শরবত নাটক প্রচারিত হয় সিটি এফ এম এ।
তিনি কিছুদিন আগে বেগম রোকেয়া চরিত্রে একটি ম্যাগাজিনের কাভার মডেল হন। তিনি বলেন, বেগম রোকেয়া আমাদের আইডল। তাঁর চরিত্রে মডেল হতে পেরে একজন লেখক হিসেবে আমি গর্বিত। সব চেয়ে বড় কথা তিনিও লেখক ছিলেন। তিনি বলেন,লেখনি দিয়ে বিশ্বে নিজেকে তুলে ধরতে চান ।
চট্টগ্রামের মেয়ে হয়ে পুরো বাংলাদেশ ভারত এবং আন্তর্জাতিক অংগনে নিজ লেখা দিয়ে বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি। লেখালেখিকে আপন ঠিকানা করে আরও সামনে এগিয়ে যেতে চান তুলতুল।

লামা উপজেলায় পাহাড় কেটে ইটভাটা পরিচালনার অভিযোগে দুই ইটভাটাকে ২ লাখ টাকা জরিমানা

শাহাদাত হোসেন বাপ্পি বান্দরবান প্রতিনিধি প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১ জুলাই, ২০২৫, ৮:২৮ এএম
লামা উপজেলায় পাহাড় কেটে ইটভাটা পরিচালনার অভিযোগে দুই ইটভাটাকে ২ লাখ টাকা জরিমানা

সোমবার (৩০ জুন) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার ফাইতং ইউনিয়নের ওয়াইএসবি ব্রিকস ও ইউবিএম ব্রিকস-এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযানে নেতৃত্ব দেন লামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মঈন উদ্দিন। অভিযানে ফায়ার সার্ভিস ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও অংশ নেন।

অভিযানকালে দেখা যায়, উল্লিখিত দুই ইটভাটা পাহাড় কেটে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি করছে। এ কারণে ওয়াইএসবি ব্রিকস ও ইউবিএম ব্রিকসকে ১ লাখ টাকা করে মোট ২ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।ইউএনও মো. মঈন উদ্দিন জানান, বনাঞ্চল, পাহাড়ি ও জনবসতিপূর্ণ এলাকায় ইটভাটা স্থাপন নিষিদ্ধ। এসব ভাটার কোনো বৈধ কাগজপত্র নেই এবং সম্পূর্ণ অবৈধভাবে পরিচালিত হচ্ছিল। পরিবেশ রক্ষায় এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।

error: Content is protected !!