সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২
সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২

মোঃ জিপরুল হোসাইন চলনবিল প্রতিনিধিঃ

তাড়াশে সুফলভোগীদের ১৯ টি পুকুর সংস্কার

মোঃ জিপরুল হোসাইন চলনবিল প্রতিনিধিঃ প্রকাশিত: সোমবার, ৩০ জুন, ২০২৫, ১১:১২ এএম | 105 বার পড়া হয়েছে
তাড়াশে সুফলভোগীদের ১৯ টি পুকুর সংস্কার

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে সুফলভোগীদের ১৯ টি পুকুর সংস্কার করে জলধারা বৃদ্ধি ও মৎস্য চাষে বিশেষ সুবিধা তৈরী করে পুকুর পাড়ে বসবাস করা সুফলভোগীদের জীবন মানের উন্ননে ব্যাপক সারা ফেলেছে উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর।এতে শত শত সুফলভোগীদের আর্থিক স্বচ্ছলতা ফিরেছে বলে জানিয়েছন সচেতন মহল।
সুত্র মতে, নিমগাছী সমাজ ভিত্তিক মৎস্য চাষ প্রকল্পের আওতায় তাড়াশ উপজেলায় পুরাতন ১৯ টি পুকুর সংস্থার করা হয়েছে। পুকুর পাড়ে বসবাসরত সুফলভোগীরা পুকুর গুলোতে মাছ চাষ করে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করছেন। মাছ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে প্রকল্পের আওতায় দরিদ্র সুফলভোগীদের প্রশিক্ষণ, মাছ চাষের আধুনিক উপকরণ, পানির মান পরীক্ষার যন্ত্র, এরেটর মেশিন, ইনসুলেটে ফিস বক্সসহ বিভিন্ন উপকরণ প্রদান করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে তাড়াশ উপজেরা মৎস্য কর্মকর্তা মশগুল আজাদ জানান, সরকার গৃহীত ব্যবস্থায় দরিদ্র সুফলভোগীরা মাছ চাষ করে তাদের জীবন মানের পরিবর্তন আনছেন।

রাজাপুরের চর পালট খেয়াঘাটে যাত্রীছাউনি নির্মান এলাকাবাসীর প্রাণের দাবী

আলমগীর শরীফ, ঝালকাঠি প্রতিনিধি প্রকাশিত: সোমবার, ৩০ জুন, ২০২৫, ১১:১৩ পিএম
রাজাপুরের চর পালট খেয়াঘাটে যাত্রীছাউনি নির্মান এলাকাবাসীর প্রাণের দাবী

ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার অন্তর্গত চল্লিশ কাহনিয়া লঞ্চঘাট ও খেয়াঘাটে যাত্রী ছাউনি না থাকায় বারিবর্ষণ ও প্রচন্ড রোদে চরম ভোগান্তিতে পরতে হয় বিষখালী নদীর এপার ওপারের দুই তিনটি উপজেলার সাধারন মানুষসহ শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও বিভিন্ন বাজারগামী ক্রেতা-বিক্রেতাদের।

এমতাবস্থায় অতিব প্রয়োজন একটি যাত্রী ছাউনি। উল্লেখ্য যে, রাজাপুর উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ ও নলছিটি উপজেলার তেতুলবাড়িয়াসহ ১০ ইউনিয়নের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের যাওয়া আসার একমাত্র মাধ্যম বিষখালী নদীর খেয়া পারাপার। তবে রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাহুল চন্দ ইতোমধ্যে নিজ উদ্যোগে নদীর রাজাপুরের পারে একটি যাত্রী ছাউনি নির্মাণ করে দিয়েছেন। এখানে লঞ্চে যাতায়াতের ও খেয়াপারাপারের এক পারের যাত্রীদের ভোগান্তি নিরসন হলেও দুর্ভোগ রয়েগেছে নলছিটির ওপারের যাত্রীদের। এই স্থান থেকে ঢাকা, বরিশাল, ঝালকাঠি, খুলনা, রাজাপুর, কাঠালিয়া, ভান্ডারীয়া ও বড়ইয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা যাত্রী সাধারণ এই লঞ্চঘাটে আসে এবং নির্মিত যাত্রী ছাউনির সুবিধা ভোগ করেন। বিশেষ করে নদীপথ বিলুপ্ত প্রায় তারপরও এখান থেকে চল্লিশ কাহনিয়া খেয়া পার হয়ে চরপালট খেয়াঘাট হয়ে তেতুলবাড়িয়া, মোল্লার হাট, নলছিটির, বাকেরগঞ্জ ও বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিনিয়ত শতশত মানুষ এবং অসংখ্য মটরসাইকেল খেয়া পারের মাধ্যেমে যাতায়াত করে থাকে। অপরদিকে চরপালট খেয়াঘাটের মাধ্যমে নলছিটি, মোল্লারহাটসহ তেঁতুলবাড়িয়ার বহু মানুষ প্রতিদিন বড়ইয়া বাজার, বড়ইয়া কলেজ, উত্তমপুর বাজার, বড়ইয়া ইউনিয়ন পরিষদ, পুটিয়াখালী বাজার, রাজাপুর উপজেলা, ঝালকাঠি, ভান্ডারিয়া ও খুলনায় যাতায়াত করে থাকেন।

এ অবস্থায় চল্লিশকাহনিয়া ঘাটে রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কর্তৃক নির্মিত যাত্রী ছাউনিটিরন্যায় চরপালটেও একটি যাত্রী ছাউনি নির্মাণ করে দেওয়ার জন্য এলাকাবাসীর প্রানের দাবী।

জেলা প্রশাসক ফুটবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন নীলফামারী পৌরসভা

নীলফামারী প্রতিনিধি প্রকাশিত: সোমবার, ৩০ জুন, ২০২৫, ১১:০৭ পিএম
জেলা প্রশাসক ফুটবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন নীলফামারী পৌরসভা

নীলফামারীতে আজ ৩০ জুন জেলা প্রশাসক ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। এই ম্যাচে সৈয়দপুর উপজেলার মুখোমুখি হন নীলফামারী পৌরসভা।

ম্যাচ শুরু থেকেই দুই দলেই ছিলো বেশ ছন্দে। তবে কাজের কাজটি করতে পারেনি বিশ্রামে থাকার পর সৈয়দপুর দলটি,সেসময় ফলাফলটা ছিলো ০-১ ব্যবধনে।

দীপকের একমাত্র গোলে এগিয়ে যায় নীলফামারী পৌরসভা দলটি। ১-০ গোলেই মাঠ ছাড়তে হয় শক্তিশালী সৈয়দপুরকে। ম্যাচে গোলের দেখা মিলতো সৈয়দপুরের কিন্তু ভাগ্যক্রমে গোলের বারে লেগে ঘুরে চলে আসে বল। ভূবন মোহন রেফারির লম্বা বাঁশি বাজিয়ে জানিয়ে দেয় খেলা সমাপ্তি।

নীলফামারী পৌরসভা দলের হয়ে মাঠ মাতিয়েছেন এ সময়ের সেরা খেলোয়াড় আল আমিন সঙ্গে ছিলেন আরো আন্তর্জাতিক তারকা সাঈদ, দীপক সহ অনেকে। ম্যাচ সেরা হন দীপক। এই ম্যাচে তার একমাত্র গোল ছাড়াও গত ম্যাচে তার একায় আট গোলের দেখা।

কুঞ্জলতা ফুড পার্ক:-গ্রামের বুকে ফুটে ওঠা এক সবুজ স্বপ্ন

মোঃ আলী শেখ, স্টাফ রিপোর্টার প্রকাশিত: সোমবার, ৩০ জুন, ২০২৫, ১১:০৩ পিএম
কুঞ্জলতা ফুড পার্ক:-গ্রামের বুকে ফুটে ওঠা এক সবুজ স্বপ্ন

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে গড়ে ওঠা একটি পার্ক শুধু একটি নির্মাণ নয়, এটি হয়ে ওঠে মানুষের আত্মার আশ্রয়স্থল, হয়ে ওঠে গ্রামের কোলাহলহীন শান্তির মাঝে বিনোদনের এক স্নিগ্ধ ঠিকানা। মাদারীপুর জেলার রাজৈর উপজেলার ইশিবপুর গ্রামের বুকে এমনই এক নিঃশব্দ আর স্বপ্নময় আলোকদীপ হলো কুঞ্জলতা ফুড পার্ক।

এটি কোনো কল্পনার রাজ্য নয়, বরং মাটির মানুষের হাতেই গড়া বাস্তবতার এক অনুপম নিদর্শন। মনোরম পরিবেশে ঘেরা এই পার্ক যেন এক কবিতার অন্ত্যমিল। গাছপালা, ফুলের বাগান, শিশুর হাসি আর মানুষের পদচারণায় প্রতিটি কোণ যেন জীবন্ত হয়ে ওঠে।

কুঞ্জলতা ফুড পার্কের বিশেষত্ব কেবল এর সৌন্দর্যে সীমাবদ্ধ নয়—বরং এর অন্তর্নিহিত তাৎপর্য আরও গভীর। এ যেন আধুনিকতার ছোঁয়ায় গ্রামীণ সৌন্দর্যকে রক্ষা করে নির্মিত এক নান্দনিক পরিসর। শিশুদের জন্য রয়েছে রঙিন দোলনা, পাকা পথ ধরে হেঁটে যাওয়া ছোট ট্রেনের মতো আনন্দযাত্রা, আর বিভিন্ন খেলনার ব্যবস্থা—যা শিশুদের হৃদয়ে আনন্দের কুসুম ফুটিয়ে তোলে। পরিবার-পরিজন নিয়ে আগত মানুষদের জন্য রয়েছে বিশ্রামের ছায়াময় স্থান ও স্বাদের বাহারে ভরা রেস্টুরেন্ট, যা আনন্দকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যায়।

এ পার্ক শুধু একটি ঘোরার জায়গা নয়—এটি গ্রামের মানুষকে যুগোপযোগী বিনোদনের স্বাদ দিয়েছে। আগের দিনে যেখানে গ্রামীণ মানুষকে শহরের বিনোদনের জন্য ছুটতে হতো, এখন তারা নিজ গাঁয়ের বুকে গড়তে পারছে এক অনবদ্য আনন্দভুবন। কুঞ্জলতা ফুড পার্ক তাই এক সামাজিক বিকাশের চিত্র, যা গ্রামের আত্মপরিচয়কে নতুন করে চিনিয়ে দিচ্ছে।

এই পার্ক আজ শুধু ইশিবপুর নয়, গোটা রাজৈর তথা মাদারীপুর জেলার মানুষের কাছে একটি গর্বের স্থাপনা। এটি বিনোদনের পাশাপাশি গ্রামের অর্থনীতিতেও যুক্ত করেছে নতুন দিগন্ত। আগত পর্যটকদের আনাগোনায় বাড়ছে স্থানীয় ব্যবসা, বেড়েছে পরিচিতি, জেগে উঠেছে এক সম্ভাবনার আলো।

সবশেষে বলা যায়, কুঞ্জলতা ফুড পার্ক শুধুমাত্র একটি পার্ক নয়, এটি একটি গ্রামীণ রেনেসাঁর প্রতীক—যেখানে সৌন্দর্য, সংস্কৃতি ও সভ্যতার এক অপূর্ব মিলন ঘটে। এ যেন সবুজ ঘাসে লেখা এক কবিতা, শিশুর হাসিতে বাঁধা এক গান, আর গ্রামের মাটিতে আঁকা এক রঙিন স্বপ্ন।

error: Content is protected !!