শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২
শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২

স্টাফ রিপোর্টার মোঃ হাফিজুর রহমান

শাজাহানপুরে ইট বিছানো কাজের শুভ উদ্বোধন

স্টাফ রিপোর্টার মোঃ হাফিজুর রহমান প্রকাশিত: বুধবার, ১৮ জুন, ২০২৫, ৪:৩৯ পিএম | 55 বার পড়া হয়েছে
শাজাহানপুরে ইট বিছানো কাজের শুভ উদ্বোধন

বগুড়া শাজাহানপুর গোহাইল ইউনিয়ন ৩নং নম্বর ওয়ার্ডে শালিখা গ্রামে ২৫০ ফিট রাস্তা ইট বিছানো কাজের শুভ উদ্বোধন করেন শাজাহানপুর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোহাইল ইউনিয়নের বিএনপির সম্মানিত সভাপতি আব্দুল মান্নান মন্ডল,শাজাহানপুর উপজেলা বিএনপির সহ কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ও ১নং নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো,আরিফ হোসেন,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক,ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আবু জাফর।

গোলজার রহমান ধামইরহাট (নওগাঁ) প্রতিনিধি

ধামইরহাটে প্রশ্নপত্র ফাঁসের প্রতিবাদে মানববন্ধন

গোলজার রহমান ধামইরহাট (নওগাঁ) প্রতিনিধি প্রকাশিত: শনিবার, ২১ জুন, ২০২৫, ৬:২১ পিএম
ধামইরহাটে প্রশ্নপত্র ফাঁসের প্রতিবাদে মানববন্ধন

নওগাঁর ধামইরহাটে থানা হেফাজতে থাকা এইচএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র নষ্ট ও ফাঁস হওয়ার প্রতিবাদে সর্বস্তরের ছাত্র জনতার অংশগ্রহণে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (২১ জুন) দুপুর বারোটায় উপজেলা পরিষদের সামনে প্রধান সড়কে চুরি, মাদক, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি এবং সম্প্রতি থানা হেফাজতে থাকা প্রশ্নপত্র নষ্ট ও ফাঁসের অভিযোগে ঘণ্টাব্যাপী এই মানব বন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে অংশগ্রহণ করে মাদ্রাসা ও কলেজের শিক্ষার্থীরা এবং বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এসময় ‘প্রশ্নফাঁস বন্ধ কর শিক্ষায় দুর্নীতি চলবে না, আমরা ন্যায় বিচার চাই’ ইত্যাদি লেখা প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ জানায় তারা।

উল্লেখ্য রাজশাহী বোর্ড থেকে পাঠানো ২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের জন্য সিলগালা করা ট্রাঙ্কের দুটি তালা ভেঙে ট্রাঙ্কের ভেতরে থাকা ইতিহাসের দ্বিতীয় প্রশ্নপত্রের একটি প্যাকেট ছেঁড়া অবস্থায় ধামইরহাট থানা হাজতের ভেতরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়। এ সময় ট্রাঙ্কের বাহিরে সিলগালা অবস্থায় কোন তালা ও চাবি লাগানো ছিল না বলে জানা গেছে।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁস একটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা। এই ঘটনার সাথে জড়িতরা ধরা না পড়লে পরবর্তী প্রজন্মের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে। এবং থানা হেফাজতে থাকা অবস্থায় প্রশ্নপত্র কিভাবে নষ্ট ও ফাঁস হয় এর জবাব চায় বক্তারা। এই ঘটনার সুষ্ঠ তদন্তের দাবী করে তারা জড়িতদের শাস্তির দাবী করেন। সেইসাথে দায়িত্ব জ্ঞানহীনতার পরিচয় দেয়া ধামইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের অবিলম্বে অপসারণ করে যোগ্য ও দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেয়ার বেপারে জোর দেন।

 

পরিবারের মাঝে দুশ্চিন্তা

ভূরুঙ্গামারী ৩২ বছরের ছমির ৪০ ইঞ্চি উচ্চতা

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ প্রকাশিত: শনিবার, ২১ জুন, ২০২৫, ৫:৪৯ পিএম
ভূরুঙ্গামারী ৩২ বছরের ছমির ৪০ ইঞ্চি উচ্চতা

বয়স ৩২ ছুঁইছুঁই উচ্চতাও ৪০ ইঞ্চি দেখতে অবিকল শিশুর মতোই কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীর আছর উদ্দিন ছমির। শুধু তাই নয়, শিশুসুলভ আচরণ নিয়ে সারাদিন খেলাধুলাও করছেন গ্রামের অন্য শিশুদের সঙ্গে।

উপজেলার তিলাই ইউনিয়নের পশ্চিম ছাট গোপালপুর গ্রামের চেয়ারম্যান পাড়ার আজিম উদ্দিন ও আছিয়া বেগম দম্পতির ছেলে আছর উদ্দিন ছমির। বর্তমানে তার দরিদ্র মা-বাবা দেখাশোনা করলেও আছর উদ্দিনের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত তার পরিবার।

উন্নত চিকিৎসায় জন্মগত ত্রুটির কারণে এমন রোগে আক্রান্ত এসব সন্তান কিছুটা ভালো হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এছাড়া অনেক রকম জন্মগত ত্রুটি মায়ের গর্ভকালীন উপযুক্ত পদক্ষেপ ও স্বাস্থ্য সচেতনতা দিয়ে প্রতিকার করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বাড়ির বাইরে ৪ থেকে ৭ বছর বয়সি শিশুদের সঙ্গে এক মনেই খেলাধুলা করছেন আছর উদ্দিন ছমির। এই শিশুদের দেখে বুঝার উপায় নেই সেখানে খেলা করছে ৩২ বছরের ছমির।

ছমিরের স্বজন ও সমবয়সীরা জানান, ভোটার আইডিতে বয়স কিছুটা কম হলেও তার বয়স আসলে ৩২ ছুঁইছুঁই। অথচ ৮ বছরের শিশুর মতোই তার দৈহিক আকৃতি ও মানসিক অবস্থা। এই দরিদ্র দম্পতির এক মেয়ে ও দুই ছেলের মধ্যে আছর উদ্দিন ছমির দ্বিতীয় এবং ছেলের মধ্যে বড়।

বৃষ্টি এবং নারী

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: শনিবার, ২১ জুন, ২০২৫, ৫:২৫ পিএম
বৃষ্টি এবং নারী

কেন বৃষ্টি ও নারী নিয়ে এত গান, এত কবিতা? বৃষ্টির ছোঁয়ায় মেয়েদের মন বেশি পুলকিত হয় কেন?
✓শুধু আবেগ নয় এই প্রশ্নের উত্তরে- রয়েছে মনস্তত্ত্ব, নারীবাদী চেতনা, প্রকৃতির প্রতীকী তাৎপর্য এবং গভীর আধ্যাত্মিক ভাবনা।
বৃষ্টির ছোঁয়ায় মেয়েরা পুলকিত হয় কেন? চলো, প্রথমে এই বিষয়টি আলোচনা করি-
🌧️ ১. নারী ও বৃষ্টির মিল (উর্বরতা, সৃষ্টিশীলতা, কোমলতা):
নারী ও প্রকৃতি -দুটিই সৃষ্টিশীল, উর্বর, এবং ধারণক্ষমতা সম্পন্ন। বৃষ্টি যেমন মাটিকে জাগিয়ে তোলে, তেমনি নারীর মনও স্নিগ্ধতা, করুণা ও সৃষ্টির সম্ভাবনায় ভরপুর।
নারীর হৃদয় কোমল সংবেদনশীল- আর বৃষ্টি সেই সংবেদনশীল অনুভবগুলিকে আলতো করে জাগিয়ে তোলে। এ যেন ভেতর থেকে এক ‘স্ত্রীপ্রকৃতি’র পুনর্জাগরণ। এ যেন এক অপার প্রেমের মাতামাতি- সৃষ্টি সুখের উল্লাসে।
🌿 ২. আবেগ প্রকাশে নারীরা বেশি সপ্রতিভ, আর বৃষ্টি যেন সেই আবেগের ভাষা:
বৃষ্টি হলো এক চাপা কান্না, সুদূরে হারিয়ে যাওয়া কোন প্রেম, না বলা অনুভব… যা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না, কেবল অনুভবে ধরা যায়। আর আবেগ, অনুভব, অনুভূতি প্রকাশে নারীরা অত্যন্ত প্রবণ ও স্পর্শকাতর। তাই বৃষ্টি এলে, সেই সব আবেগ- যা হয়তো হৃদয়ের কোণে এতদিন জমে ছিল, তা অবলিলায় বেরিয়ে এসে হৃদয় প্লাবিত করে তুলে।
🎶 ৩. নান্দনিকতা ও কল্পনাশক্তির ক্ষেত্রেও নারীরা বৃষ্টির মতো:
মেয়েদের কল্পনাশক্তি, রোমান্টিকতা ও সৌন্দর্যবোধ প্রাকৃতিক নিয়ামক গুলোর (বৃষ্টি, ফুল, আকাশ, নদী, হাওয়া, খোলা প্রান্তর) স্পর্শে এসে উদ্বেলিত হয়ে উঠে এবং পাখা মেলে দিতে চায় নিরোদ্দেশের পথে।
বৃষ্টি মানে শুধু জলের ফোঁটা নয়; গান, নাচ, কল্পনা, স্মৃতি, অপেক্ষা- সব মিলিয়ে এক মায়াবী আবহের পরশ।
অনেক নারী বলেন, “বৃষ্টিতে ভিজলে, আমি যেন পুরোনো আমিকে খুঁজে পাই।”
এই নিজেকে ফিরে পাওয়ার যে অনুভূতি, তা এক অপার আনন্দের উৎস হয়ে হৃদয়ে নেচে উঠে।
💖 ৪. প্রেম ও বৃষ্টির আধ্যাত্মিক যোগ- নারীর হৃদয়ে গভীরতর প্রভাব ফেলে:
বৃষ্টি আদি থেকেই প্রেমের প্রতীক এবং প্রেম জাগানিয়া এক শক্তি। যে শক্তি নারীর হৃদয়বিণায় প্রেমের সুর তোলার অছিলা খোঁজে চলে অহর্নিশ।
তাছাড়া নারী সবকিছুকে যেমন হৃদয় দিয়ে ভালোবাসতে জানে, তেমনি বৃষ্টিকে তারা অনুভব করে আত্মার গভীর স্তর থেকে।
যখন আকাশ ভেঙ্গে বৃষ্টি নামে, তখন নারীদের মনে এই রুপ অনুভূতি জেগে উঠে যে,
“এই আকাশ, এই মাটি, এই মুহূর্ত- সব কিছু যেন আমাকে জড়িয়ে ধরছে।”
এ যেন এক ধরনের অন্তরাত্মার আলিঙ্গন।
….এ যেন নাচুনে বুড়ির ঢোলের বাড়ি!!
🔮 ৫. নারীর ভেতরে এক ‘প্রাকৃতিক ছন্দ’ আছে, যা বৃষ্টির ছন্দে সাড়া দেয়:
নারীর দেহ ও মন চলাফেরা করে এক বিশেষ ধরণের চক্রের মধ্য দিয়ে- যা প্রকৃতির ঋতুচক্রের সঙ্গেও সামঞ্জস্যপূর্ণ। বৃষ্টি সেই প্রাকৃতিক ছন্দেরই একটি অংশ। তাই নারীরা কখনও বুঝে, কখনও না বুঝেই বৃষ্টির অবারিত সেই ছন্দে একাত্ম হয়ে পুলকিত হয়ে উঠে।
✨ সংক্ষেপে বললে:
বৃষ্টির স্পর্শে মেয়েরা পুলকিত হন, কারণ তারা নিজের ভেতরের সেই আলো, জল, কান্না ও ভালোবাসার গভীর স্তরগুলো স্পর্শ করতে পারেন- যা হয়তো অন্য সময়ে চাপা পড়ে থাকে।
“বৃষ্টির প্রতিটি ফোঁটা যেন নারীর হৃদয়ে অঙ্কিত এক কবিতা, যা কেবল অনুভব করা যায়- বোঝানো যায় না।”
——
বৃষ্টি প্রসঙ্গে আরো কিছু আধ্যাত্মিক কথাঃ
✓প্রাচীন ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক ভাবনায়, বৃষ্টি পাপ ধুয়েমুছে, মাটি ও মানুষ- উভয়কে শুদ্ধ করে। যেমন ইসলামে বৃষ্টির পানি পবিত্র, হিন্দু দর্শনে গঙ্গাজলের মতোই তা জীবন দানকারী।
আধ্যাত্মিকভাবে, বৃষ্টি আমাদের অন্তর্গত ক্লান্তি, গ্লানি ও কষ্ট ধুয়ে দিয়ে এক নতুন জীবনবোধের জন্ম দিয়ে থাকে।
✓মেঘ জমে যেমন আকাশ অন্ধকার হয়, তেমনি মানুষের মনেও ক্লান্তির মেঘ জমে।
আর বৃষ্টি? সেই মেঘভরা অন্তরকে স্বস্তি, কান্না বা আনন্দের রূপে প্রকাশিত করে। অনেকেই বলে, “আমি কান্না চাপা দিতে বৃষ্টিতে বের হই” -কারণ বৃষ্টি মানে একটা নির্ভরযোগ্য আবরণ, যেখানে মানুষ নিজের আবেগকে ভয় ছাড়াই ঢেলে দিতে পারে।
✓বৃষ্টি হলো সৃষ্টি ও প্রেমের প্রতীক।
সব বীজ ঘুমিয়ে থাকে বৃষ্টি না আসা পর্যন্ত।
আধ্যাত্মিকভাবে, এই বীজ হলো আমাদের গভীর সম্ভাবনা। বৃষ্টি আসলে সৃষ্টির রহস্যে ঘেরা এক মহাজাগতিক আলিঙ্গন।
আর প্রেম? প্রেমও তো তেমনই- না দেখা এক আকাঙ্ক্ষা, যা ছুঁয়ে গেলে হৃদয় অঙ্কুরিত হয়ে জেগে উঠে।
তাই প্রেমিকেরা বৃষ্টিতে একসাথে ভিজতে চায়- এ যেন আবেগীয় এক আত্মিক মিলন।♥️
✓বৃষ্টি পড়লেই আধুনিক ব্যস্ততা স্তব্ধ হয়ে হঠাৎ করেই সময় থমকে যায় এবং আমরা নিজের সঙ্গে সচেতন ভাবে দেখা করি। এই ‘দেখা’ অনেকটা ধ্যানের মতো, যেখানে শব্দ নেই, কেবল অনুভব আছে। আধ্যাত্মিকভাবে, এই মুহূর্তটি হচ্ছে ‘বর্তমান’ ও ‘অমরতার’ স্পর্শ।
বৃষ্টি ঈশ্বরের কান্নাও হতে পারে। বিভিন্ন কবিতায় বা আধ্যাত্মিক ভাবনায় বলা হয়,
“আকাশ কাঁদে, পৃথিবী শান্ত হয়”-
এ যেন সৃষ্টিকর্তার হৃদয় নিঃসৃত করুণা, যা বাস্তবতার আঘাতে কঠিন হয়ে যাওয়া আমাদের মনকে গলিয়ে দেয়। এই কান্না মানবতার প্রতি এক নিরব আশীর্বাদ।
🌿 তাহলে, কেন মানুষ বৃষ্টি ও নারী নিয়ে এত গান, কবিতা রচনা করে?
কারণ বৃষ্টির আবহ এবং নারীর চিরায়ত রূপ আমাদের এমন এক অনুভূতির দরজা খুলে দেয়, যেখানে ভালোবাসা, শূন্যতা, তৃষ্ণা, অপেক্ষা আর পরিপূর্ণতা সব একসাথে বিরাজ করে।
আমরা যখন বৃষ্টি দেখি কিংবা নারীর অবারিত নান্দনিক রূপ-
পক্ষান্তরে আমরা আসলে নিজেকেই দেখি আর নিজের না বলা কথা শুনি।
তাই ‘নারী ও বৃষ্টি, শব্দ দুটি সেই অনুসঙ্গ, যা মূলতঃ আমাদের আত্মার ক্ষণিক পুনর্জাগরণ ঘটিয়ে থাকে।
✨ শেষ কথাঃ
“নারী কিংবা বৃষ্টি’ মূলতঃ প্রকৃতির নয়, আত্মার ভাষা। যা বাইরে থেকে নয়, আমাদের ভিজিয়ে দেয়- ভেতর থেকে।”🥰