বৃহস্পতিবার, ৫ জুন ২০২৫, ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
বৃহস্পতিবার, ৫ জুন ২০২৫, ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

✍️দিলরুবা আক্তার পারভীন

অভিমানের ভাষা

✍️দিলরুবা আক্তার পারভীন প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৩ মে, ২০২৫, ১:৪০ পিএম | 57 বার পড়া হয়েছে
অভিমানের ভাষা

অভিমানের ভাষা বিভিন্ন রকম হতে পারে, কারণ এটি নির্ভর করে ব্যক্তি, পরিস্থিতি এবং সম্পর্কের ওপর। তবে সাধারণত অভিমানের ভাষার কিছু সাধারণ বৈশিষ্ট্য থাকে:
সরাসরি প্রকাশ না করা
অভিমানী ব্যক্তি সরাসরি তার ক্ষোভ বা দুঃখ প্রকাশ করেন না। বরং, তিনি নীরবতা, মুখ গোমড়া করে থাকা, বা এড়িয়ে চলার মাধ্যমে তার অনুভূতি বোঝানোর চেষ্টা করেন। উদাহরণস্বরূপ, কেউ জিজ্ঞাসা করলে “কিছু হয়নি” বলে এড়িয়ে যেতে পারেন, যদিও তার আচরণে স্পষ্ট যে কিছু হয়েছে।
নীরবতা
অভিমানের একটি প্রধান দিক হলো নীরবতা। অভিমানী ব্যক্তি কথা বলা কমিয়ে দেন বা একেবারেই চুপ করে যান। এর মাধ্যমে তিনি বোঝাতে চান যে তিনি কষ্ট পেয়েছেন এবং অন্যজনের কাছ থেকে মনোযোগ বা জিজ্ঞাসা আশা করেন।
শারীরিক ভাষা
কথার পাশাপাশি অভিমানের প্রকাশ শারীরিক ভাষায়ও দেখা যায়। যেমন: মুখ গোমড়া করে রাখা, ভ্রু কুঁচকানো, পাশ ফিরে বসা বা দাঁড়ানো, চোখাচোখি এড়িয়ে যাওয়া ইত্যাদি।
ঠারেঠোরে কথা বলা
অনেক সময় অভিমানী ব্যক্তি সরাসরি অভিযোগ না করে ঠারেঠোরে বা পরোক্ষভাবে কথা বলেন। যেমন, “আমার কথা কি আর কারো মনে থাকে?” অথবা “আমি না থাকলে কি কারো কিছু আসে যায়?” – এমন ধরনের কথা বলে তিনি বোঝাতে চান যে তিনি অবহেলিত বোধ করছেন।
ছোট ছোট ইঙ্গিত
অভিমানী ব্যক্তি এমন কিছু ছোট ছোট ইঙ্গিত দিতে পারেন যা থেকে অন্যজন বুঝতে পারে যে তিনি অভিমান করেছেন। যেমন, পছন্দের জিনিস প্রত্যাখ্যান করা, সামান্য বিষয়ে খুঁতখুঁত করা বা অহেতুক রাগ দেখানো।
প্রত্যাশা
অভিমানের ভাষার পেছনে একটি গভীর প্রত্যাশা থাকে। অভিমানী ব্যক্তি চান যে অন্যজন তার অভিমানের কারণ খুঁজে বের করুক, তাকে বোঝানোর চেষ্টা করুক এবং তার যত্ন নিক। এটি এক প্রকার মনোযোগ আকর্ষণেরও চেষ্টা হতে পারে।
সম্পর্কের গভীরতা
অভিমান সাধারণত ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের মধ্যেই বেশি দেখা যায়। বাবা-মা, ভাই-বোন, বন্ধু বা প্রেমিক-প্রেমিকার মধ্যে অভিমান বেশি হয়, কারণ এই সম্পর্কগুলোতে একে অপরের প্রতি অধিকারবোধ এবং প্রত্যাশা অনেক বেশি থাকে।
সংক্ষেপে, অভিমানের ভাষা হলো এক প্রকার নীরব অভিযোগ বা পরোক্ষ আবেদন, যার মাধ্যমে একজন ব্যক্তি তার কষ্ট বা অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেন এবং অন্যজনের কাছ থেকে সহানুভূতি বা বোঝাপাপের প্রত্যাশা করেন।

লন্ডন ফিরছেন ডা. জুবাইদা রহমান

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৫ জুন, ২০২৫, ১১:৩০ এএম
লন্ডন ফিরছেন ডা. জুবাইদা রহমান

পরিবারের সঙ্গে এক মাস ব্যস্ত সময় কাটিয়ে লন্ডন ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান। সেখানেই স্বামী ও মেয়ের সঙ্গে ঈদুল আজহা উদযাপন করবেন তিনি।
বৃহস্পতিবার, জুন ৫, ২০২৫, বেলা ১১টায় কাতার এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে লন্ডন যাবেন তিনি। এরই মধ্যে গুলশানের বাসা থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন তিনি।
(ছবি-আর্কাইভ)

ভাঙ্গুড়ায় ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে বৃদ্ধা নিহত

Abdul Aziz প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৫ জুন, ২০২৫, ১১:২৬ এএম
ভাঙ্গুড়ায় ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে বৃদ্ধা নিহত

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় সিল্কসিটি ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে অজ্ঞাত নামা এক মানসিক ভারসাম্যহীন বৃদ্ধা নারী নিহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল পোনে ৯টার দিকে ঢাকা-ঈশ্বরদী রেলপথের ভাঙ্গুড়া পৌর সভার ৪নং ওয়ার্ডের মাটিয়া পুলের পূর্ব পাশ দঃ সারুটিয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

জীবন

দিলরুবা আক্তার পারভীন প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৫ জুন, ২০২৫, ১১:২১ এএম
জীবন

আমাদের জীবনকে আমরা যতটা ছোট আর সংক্ষেপিত ভেবে নেই আসলে কিন্তু তা না। আমরা যারা আজ পরিণত বয়সে এসে পৌঁছাতে পেরেছি। তার মানে হলো আমরা খুব সৌভাগ্যবান। পৃথিবীর অনেক মানুষ, অনেক প্রাণী, বৃক্ষ চারা গাছেই মরে যায়। তারা এত সুন্দর ধরণীর অনেক কিছুই অবলোকন করার ভাগ্য পায় না।
দীর্ঘ জীবনের ৫০ বছর পর হঠাৎই মনে হয় এই বুঝি জীবন শেষ। অথচ এইতো সেই দিন পুতুল নিয়ে খেলা করেছি, কতদিন দৌড়ে নুয়ে পড়া আকাশ ছুঁতে গেছি, ফড়িং ধরতে গিয়ে পায়ে কত কাঁটা ফুটিয়েছি। চাঁদনী রাতে উঠানে বসে ছোট মামার কাছে কত ভূতের গল্প শুনেছি, কিচ্ছা শুনেছি। এখন হঠাৎ করেই মনে হয় কখন বুড়িয়ে গেলাম। মেনে নিতে কষ্ট হয়।
মানুষ নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার নেশায় , উচ্চতায় পৌছাবার আকাঙ্ক্ষায়, জীবনের মূল্যবান অনেক কিছুই ফানুসের মতো উড়িয়ে দেয়। যখন স্তুত হয় নিজের জন্য অবসর মিলে। আয়নায় তার প্রতিবিম্ব তার কাছেই অচেনা লাগে।
কানের কাছে দু’চারটা পাকা চুল চোখে মোটা ফ্রেমের চশমা, ঠোঁটের কাছে লাভ লাইন সবকিছুই বয়সের কথা মনে করিয়ে দেয়। মৃত্যু চিরন্তন সত্য। সেই ভয়ংকর সত্যি কথাটা আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়।
আমার মনে হয় প্রতিটা মানুষই এই পরিস্থিতিতে মানসিকভাবে ভিতরে ভিতরে ভেঙে পড়ে বিষন্নতায় পেয়ে বসে, কিন্তু কাউকে বুঝতে দেয় না। এই বয়সটা মেয়েদের জন্য আরও বেশি কঠিন। নিজেদের বাহ্যিক পরিবর্তনটা মানিয়ে নিতে কষ্ট হয় তাদের তাথস্ত হতেও সময় লাগে। তাই হয়তো অনেকেই কৃত্তিম ভাবে বয়সটাকে কমিয়ে রাখার চেষ্টা করেন। বোটকস ফিলার আরো কত কি।
আমার মনে হয় বয়সের সাথে সামঞ্জস্য রেখে নিজের dress up সাজগোজ, ব্যক্তিত্ব ধরে রাখতে পারলেই আপনি সবার কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠতে পারবেন। কৃত্রিমতা সাময়িক। Bad effect ও আছে। কাজেই কঠিনেরে তুমি মানিয়া লহ সহজে।

error: Content is protected !!