মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট ২০২৫, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২
মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট ২০২৫, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২

রেফারেন্সেই চাকরি

মেধার মূল্য কোথায়?

মামুন হোসেন, উপজেলাঃ চাটমোহর প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৬ মে, ২০২৫, ২:০৬ পিএম | 396 বার পড়া হয়েছে
মেধার মূল্য কোথায়?

স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেড—পাবনা জেলার মানুষের জন্য স্বপ্নের কর্মস্থল। তবে এই স্বপ্নে পৌঁছানোর পথ যেন ক্রমেই কঠিন হয়ে উঠছে হাজারো মেধাবী তরুণের জন্য। কারণ, প্রতিষ্ঠানটির নিয়োগ ফরমেই স্পষ্টভাবে লেখা: “রেফারেন্স ছাড়া আবেদন গ্রহণযোগ্য নয়।”

এই একটি বাক্য অনেক সম্ভাবনার দরজা বন্ধ করে দিয়েছে। সম্প্রতি স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যাল এর একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়, শালগাড়ীয়ার স্কয়ার গেটে দেখা যায় উপচে পড়া ভিড়- হাজারো চাকরি প্রত্যাশীরা এসেছেন শুধুই একটা ফরম পাওয়ার আশায়। কিন্তু রেফারেন্স না থাকলে আবেদন করাই যেন অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে।

রেফারেন্স কারা দিতে পারে?
কোম্পানির স্থায়ী কর্মী, নিকট আত্মীয়, বিশেষ করে যারা পদমর্যাদায় উঁচুতে, অথবা এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তি—এই তিন’ধরনের মানুষদের রেফারেন্সই চাকরি পাওয়ার একমাত্র সিঁড়ি।

প্রশ্ন উঠছে—তাহলে মেধার স্থান কোথায়?
এই প্রশ্ন এখন পাবনার হাজারো তরুণ-তরুণীর মুখে। একজন স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী, অভিজ্ঞ, দক্ষ ও কর্মক্ষম ব্যক্তি যদি শুধুমাত্র রেফারেন্স না থাকার কারণে আবেদনও করতে না পারেন, তবে সেটি একটি বড় সামাজিক বৈষম্য নয় কি?

পাবনায় বিকল্প কর্মসংস্থান নেই বললেই চলে। পাবনা শহরে স্কয়ার ছাড়া তেমন কোনো বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান বা গার্মেন্টস নেই, যেখানে শিক্ষিত বেকাররা আত্মনিয়োগ করতে পারে। সরকারিভাবে কর্মসংস্থানের সুযোগও খুব সীমিত। তাই সবাই মুখ চেয়ে থাকে স্কয়ার গ্রুপের দিকে। কিন্তু এখানেও যদি পরিচয়ের, নিকটাত্মীয়তার দৌড়ই শেষ কথা হয়, তাহলে কীভাবে ঘুচবে বেকারত্ব?

জনগণের দাবি:
পাবনার মানুষের একটি প্রধান দাবি হলো—স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যালস এবং স্কয়ার গ্রুপ যেন মেধা, যোগ্যতা ও প্রতিযোগিতার ভিত্তিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া চালায়। রেফারেন্সের নামে বৈষম্য ও স্বজনপ্রীতির অবসান ঘটানো হোক। একটি উন্মুক্ত এবং স্বচ্ছ নিয়োগ পদ্ধতিই পারে পাবনার তরুণ সমাজকে আশার আলো দেখাতে।

জনসাধারণের প্রস্তাবনা:
১. রেফারেন্স প্রথা বাতিল করে মেধায় পরীক্ষার ব্যবস্থা।
২. অনলাইন আবেদন চালু করা।
৩. স্থানীয় প্রশাসনের তদারকি।
৪. সরকারিভাবে পাবনায় নতুন শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়া।

“হংকং থেকে ১২৩ কোটি টাকার চোরাচালান! ন্যাশনাল প্রতারক ইব্রাহিম এখন পলাতক

টঙ্গী প্রতিনিধি প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট, ২০২৫, ২:০৪ পিএম
“হংকং থেকে ১২৩ কোটি টাকার চোরাচালান! ন্যাশনাল প্রতারক ইব্রাহিম এখন পলাতক

২০১৫ সালে ইতালি পাঠানোর নামে বাংলাদেশ থেকে ৪২ জনের পাসপোর্ট ও নগদ অর্থ হাতিয়ে নেয় ইব্রাহিম শেখ নামের এক প্রতারক। প্রতারণার সেই অঙ্ক তখনই দাঁড়িয়েছিল প্রায় দুই কোটি তিন লাখ টাকায়। এরপর থেকেই ইব্রাহিম যেন হয়ে ওঠেন আন্তর্জাতিক চোরাকারবারির ‘প্রতীক’।

পরবর্তীতে ২০১৬ সালে অবৈধ পথে দালালের মাধ্যমে হংকং পাড়ি জমান তিনি। হংকংয়ে পৌঁছেই সেখানে গড়ে তোলেন একাধিক প্রতারণার নেটওয়ার্ক। ইউরোপ পাঠানোর নামে টাকা আত্মসাৎ, নকল আইফোন ও সোনা বিক্রি, এমনকি বাংলাদেশ থেকে নকল পণ্য পাচার—সবই চলতে থাকে একই ছকের ভেতরে।

স্থানীয় সূত্র বলছে, হংকং-এ অবস্থানকালে ইব্রাহিম একাধিক বিয়ে করেছেন পরিচয় গোপন করে। তার প্রতিটি প্রতারণার পেছনে ছিল সুপরিকল্পিত জালিয়াতি।

সম্প্রতি গোয়েন্দা তথ্যে উঠে এসেছে, হংকং থেকে বাংলাদেশে ফিরেও থেমে থাকেননি এই ‘ন্যাশনাল প্রতারক’। আনুমানিক ১২৩ কোটি টাকা হুন্ডির মাধ্যমে দেশে এনে লুকিয়ে রেখেছেন একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্টে। এমনকি মাদক ব্যবসার সাথেও জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

অভিযোগ রয়েছে, প্রতারণা, মাদক, চোরাচালান—সবকিছুতে সম্পৃক্ত এই ইব্রাহিম এখন দেশের ভেতরেই অবস্থান করছেন ছদ্মবেশে।

এখন প্রশ্ন উঠেছে, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে কীভাবে এতদিন ধরেই তার অপকর্ম চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হলো? প্রতারিত পরিবারগুলো চাইছেন দ্রুত এই চক্রের মূলহোতা ইব্রাহিমকে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির মুখোমুখি করা হোক।

কাহালুতে ভাসমান অবস্থায় যুবকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার

মো:স্বাধীন খান বিশেষ প্রতিনিধি প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট, ২০২৫, ২:০১ পিএম
কাহালুতে ভাসমান অবস্থায় যুবকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার

বগুড়ার কাহালুতে জমির ড্রেনের পানিতে ভাসমান অবস্থায় অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (৫ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে কর্নিপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতের বয়স আনুমানিক ৩০-৩৫ বছর। তাঁর পরিচয় শনাক্তে কাজ করছে পুলিশ বলে জানিয়েছেন কাহালু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নিতাই চন্দ্র সরকার।

কুড়িগ্রাম সদরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের বেতারাঘাতে ছাত্র অসুস্থ 

রুহুল আমিন, রুকু, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট, ২০২৫, ১:৫৪ পিএম
কুড়িগ্রাম সদরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের বেতারাঘাতে ছাত্র অসুস্থ 

কুড়িগ্রাম সদরের হরিম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকার বেতারাঘাতে এক ছাত্র অসুস্থ হয়ে পড়েছে। গত ৪ আগস্ট ২০২৫ ইং দুপুরে বিদ্যালয়ের শ্রেনী কক্ষে এই ঘটনা ঘটে।

জানাযায়, বিদ্যালয়ের ৫ ম শ্রেনীর ক্লাসে হাসিনা খাতুন নামের এক শিক্ষিকা বেতারাঘাত করেন। এ সময় হাতে প্রচন্ড ব্যাথা শুরু হলে রাকিবুল হাসান রাকিবকে বিদ্যালয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাটিয়ে দেয়া হয়। এর পর বাড়িতে হাত ফুলে গিয়ে প্রচন্ড ব্যাথা শুরু হলে তাকে সন্ধ্যায় তার অভিভাবক কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন। রাকিব বলেন, হাসিনা আপা বড় বড় তিনটি প্রশ্ন লেখতে বলেন। আমি একটু পড়ে লেখতে চাইলেই বেত দিয়ে আমাকে খুব জোড়ে মারেন।এখন আমার হাতে অনেক ব্যাথা হচ্ছে। রাকিবের বাবা আব্দুস সালাম বলেন, আমার ছেলেকে পড়া-লেখা শিখানোর জন্য স্কুলে দিয়েছি। শিক্ষকের মার খেয়ে হাসপাতালে আসার জন্য নয়। আমি এর বিচার চাই। বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা শাহনাজ বেগম বলেন,ঘটনার সময় আমি স্কুলের বাহিরে ছিলাম। শুনেছি হাসিনা বেত দিয়ে মেরেছে এতেই রাকিব ব্যাথা পায়। হাসিনা বেগম বলেন, আমি তাকে পড়ার জন্য মারিনি,মেরেছি নির্দাশিকা লাঠি দিয়ে দুষ্টুমি করার জন্য। উপজেলা সহকারি প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আলহাজ্ব বুলবুল হোসেন বলেন,আমি আমার অফিসের এক স্টাফ এর নিকট বিষয়টি শুনলাম। প্রধান শিক্ষিকাকে ফোনে পাইনি। কাল ছুটি আছে অফিস খুললেই জেনে ব্যবস্তা নিবো।

error: Content is protected !!