বুধবার, ৬ আগস্ট ২০২৫, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২
বুধবার, ৬ আগস্ট ২০২৫, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২

মোঃ আব্দুল কাদের ইংরেজি বিভাগ তাড়াশ কলেজ, তাড়াশ, সিরাজগঞ্জ।

বহুমুখী যুদ্ধের মুখোমুখি ভারত: প্রতিবেশী বৈরিতায় পরিণতি

মোঃ আব্দুল কাদের ইংরেজি বিভাগ তাড়াশ কলেজ, তাড়াশ, সিরাজগঞ্জ। প্রকাশিত: রবিবার, ১১ মে, ২০২৫, ১২:০১ এএম | 410 বার পড়া হয়েছে
বহুমুখী যুদ্ধের মুখোমুখি ভারত: প্রতিবেশী বৈরিতায় পরিণতি

দক্ষিণ এশিয়া দীর্ঘদিন ধরেই ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে চিহ্নিত। এই অঞ্চলে বহু জাতিগোষ্ঠী, ধর্ম, ভাষা ও জাতীয়তাবাদের সহাবস্থান থাকলেও আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্পর্ক বরাবরই দ্বিধান্বিত ও সংঘাতপূর্ণ। ভারত দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম রাষ্ট্র এবং আঞ্চলিক শক্তি হিসেবে একসময় এর প্রতিবেশীদের ওপর পরোক্ষ কর্তৃত্ব ও প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম ছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক ভূরাজনৈতিক পরিবর্তন, কৌশলগত জোট পুনর্গঠন, অভ্যন্তরীণ সামাজিক মেরুকরণ এবং সামরিক ব্যয় বৃদ্ধি—সব মিলিয়ে ভারতের জন্য এক আশঙ্কাজনক বাস্তবতার সূচনা ঘটিয়েছে।
বর্তমানে ভারত এমন একটি সম্ভাব্য পরিস্থিতির মুখোমুখি, যেখানে তার চারপাশের প্রায় সব প্রতিবেশী রাষ্ট্র—পাকিস্তান, চীন, বাংলাদেশ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা এবং মিয়ানমার—বিভিন্ন কারণে ভারতের প্রতি সন্দেহ ও অসন্তোষ পোষণ করছে। একারণে ভারত এক বহুমুখী যুদ্ধ বা “মাল্টি-ফ্রন্ট ওয়ার” এর আশঙ্কা এখন শুধু সামরিক জল্পনা নয়, বরং কৌশলগত বিশ্লেষকদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ গবেষণার বিষয়বস্তু। এমন এক প্রেক্ষাপটে ভারতের পরিণতি কেমন হতে পারে, সেই বিষয়েই সম্প্রতি একটি গবেষণাধর্মী বিশ্লেষণ উপস্থাপন করা হয়েছে। গবেষণাটিতে মূলত তিনটি সম্ভাব্য যুদ্ধ-দৃশ্যপট, তাদের প্রতিটি ক্ষেত্রের সম্ভাব্য কৌশলগত এবং মানবিক প্রভাব, এবং ভারতের প্রতিরক্ষা কাঠামোর দুর্বলতা তুলে ধরা হয়েছে।
প্রথমতঃ ধরা যাক একটি সীমিত যুদ্ধের সম্ভাবনা। এই ধরনের যুদ্ধ সাধারণত স্বল্পমেয়াদী হয় এবং কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথ খোঁজা হয়। পাকিস্তান ও চীনের সঙ্গে সীমান্ত উত্তেজনা, অথবা বাংলাদেশ ও নেপালের সঙ্গে পানিবণ্টন ও সীমান্ত নির্ধারণ নিয়ে কোনো সংঘর্ষ যদি সাময়িক আকারে রূপ নেয়, তবে ভারত কিছু ভূখণ্ড বা কূটনৈতিক সুবিধা ছেড়ে দিয়ে রাজনৈতিকভাবে পরিস্থিতি সামাল দিতে পারে। তবে এমন সমঝোতা ভারতীয় জাতীয়তাবাদী রাজনীতির ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে, এবং অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক অস্থিরতা ডেকে আনতে পারে।
দ্বিতীয়তঃ দৃশ্যপটটি আরও উদ্বেগজনক। এটি হলো একটি প্রলম্বিত যুদ্ধ বা পূর্ণাঙ্গ সামরিক সংঘর্ষের রূপ। যদি চীন এবং পাকিস্তান একযোগে সামরিক অভিযান চালায়, এবং সেই সঙ্গে বাংলাদেশ, নেপাল কিংবা মিয়ানমার কৌশলগতভাবে ভারতের বিপক্ষে অবস্থান নেয়, তাহলে ভারতের প্রতিরক্ষা বাহিনীকে একাধিক ফ্রন্টে যুদ্ধ করতে হবে। এমন পরিস্থিতিতে ভারতের সামরিক সক্ষমতা, যেটি বহুবিধ প্রতিরক্ষা চুক্তি ও সরঞ্জামের উপর নির্ভরশীল, চরম পরীক্ষার মুখোমুখি হবে। অভ্যন্তরীণ অসন্তোষ, সংখ্যালঘু নিপীড়নের অভিযোগ, অর্থনৈতিক বৈষম্য এবং রাজনৈতিক দ্বিধা—সব মিলিয়ে ভারতের অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতাও নষ্ট হতে পারে।
তৃতীয়তঃ সবচেয়ে ভয়াবহ দৃশ্যপটটি হলো পারমাণবিক সংঘর্ষের সম্ভাবনা। ভারত, পাকিস্তান এবং চীন—তিনটি দেশই পারমাণবিক শক্তিধর। যদি যুদ্ধ এমন একটি পর্যায়ে পৌঁছায় যেখানে কৌশলগত অথবা আত্মরক্ষার দোহাই দিয়ে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করা হয়, তবে তা কেবল এই তিনটি দেশের জন্য নয়, বরং পুরো দক্ষিণ এশিয়ার জন্য একটি মানবিক বিপর্যয়ে রূপ নিতে পারে। লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রাণহানি, ব্যাপক পরিবেশগত ধ্বংস, অর্থনৈতিক বিপর্যয় এবং বিশ্বব্যাপী খাদ্য ও জ্বালানি সংকট—সবই এই এক মাত্র যুদ্ধের সম্ভাব্য পরিণতি হতে পারে।
প্রশ্ন উঠতে পারে, ভারত কেন এমন এক দুর্বল অবস্থানে এসে দাঁড়াল? এর উত্তর খুঁজতে গেলে তিনটি স্তর উঠে আসে: কৌশলগত, প্রতিরক্ষা এবং সামাজিক। কৌশলগতভাবে ভারত তার প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে আস্থা ও পারস্পরিক সহযোগিতার পরিবেশ গড়ে তুলতে ব্যর্থ হয়েছে। একদিকে যেমন চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (BRI) অঞ্চলজুড়ে প্রভাব বিস্তার করছে, অন্যদিকে ভারত একা একা প্রতিরোধ গড়ে তুলতে চেষ্টা করছে। নেপাল ও বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্ত সমস্যা, মিয়ানমারের সঙ্গে নিরাপত্তা বিভ্রান্তি, এবং শ্রীলঙ্কায় চীনের বিনিয়োগ—সবই ভারতের আঞ্চলিক আধিপত্য প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
প্রতিরক্ষা কাঠামোর দিক থেকেও ভারত বহু ফ্রন্টে যুদ্ধের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত নয়। যদিও ভারতের সামরিক বাহিনী বিশাল, তবু আধুনিকায়ন, প্রযুক্তিগত সমন্বয়, এবং দ্রুত প্রতিক্রিয়ার সক্ষমতা নিয়ে বড় ধরনের ঘাটতি রয়েছে। এছাড়া অভ্যন্তরীণ প্রতিরক্ষা শিল্প এখনও অনেকাংশে বিদেশ নির্ভর।
সবচেয়ে বড় দুর্বলতা হলো সামাজিক ঐক্যের অভাব। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ধর্মীয় মেরুকরণ, রাজনৈতিক মেরুকরণ, সংবাদমাধ্যমের বস্তুনিষ্ঠতার অভাব এবং অর্থনৈতিক বৈষম্য ভারতের অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতাকে হুমকির মুখে ফেলেছে। যুদ্ধের সময় এই ভাঙন আরও প্রকট হতে পারে এবং জাতীয় ঐক্য বিঘ্নিত হতে পারে।
এই ভাবনার আলোকে বলা যায়, ভারত যদি সময় থাকতে প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনর্গঠন না করে, তার প্রতিরক্ষা কাঠামোকে আধুনিক ও কার্যকর না করে এবং জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী না করে, তবে সামনে একটি চরম অনিশ্চয়তার মুখোমুখি হতে হবে। এমনকি ভারতের দীর্ঘমেয়াদী জাতীয় স্বার্থ বিপন্ন হয়ে পড়তে পারে।
অতএব, ভারতের উচিত এখনই চারটি ক্ষেত্রে পদক্ষেপ গ্রহণ করা: প্রথমত, প্রতিবেশীদের সঙ্গে বিশ্বাসভিত্তিক কূটনীতি পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা; দ্বিতীয়ত, প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে প্রযুক্তিনির্ভর ও দ্রুত প্রতিক্রিয়াশীল করে তোলা; তৃতীয়ত, অভ্যন্তরীণ ঐক্য ও সামাজিক সম্প্রীতি বজায় রাখা; এবং চতুর্থত, অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা অর্জনের দিকে দৃঢ় অগ্রসর হওয়া।
বিশ্ব ইতিহাসে বহু শক্তিধর রাষ্ট্রের পতনের পেছনে মূল কারণ ছিল তাদের অভ্যন্তরীণ অদূরদর্শিতা ও বহির্বিশ্বের বাস্তবতা অনুধাবনের ব্যর্থতা। ভারত যদি এই দুই ক্ষেত্রেই নতুন করে চিন্তা না করে, তবে তার পরিণতিও অতীতে ঘটিত সেইসব পরাশক্তির মতোই হতে পারে।
বিশ্ব এখন এমন এক সময়ে আছে যেখানে যুদ্ধ নয়, কৌশলগত সহযোগিতা ও অর্থনৈতিক পারস্পরিকতা ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে। ভারতের মতো একটি রাষ্ট্রের উচিত এই নীতিবোধ সামনে রেখে তার জাতীয় নীতিমালা পুনর্গঠন করা।

বিদ্যালয়ের সময়ের আগেই শিক্ষকদের বিদ্যালয় ত্যাগ! অভিভাবকদের উদ্বেগ

মোঃ পলাশ শেখ, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট, ২০২৫, ৭:৫৯ পিএম
বিদ্যালয়ের সময়ের আগেই শিক্ষকদের বিদ্যালয় ত্যাগ! অভিভাবকদের উদ্বেগ

সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার কয়েকটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়মিত শ্রেণিকক্ষ চলাকালীন সময়ের আগেই শিক্ষকদের বিদ্যালয় ত্যাগ করার অভিযোগ উঠেছে। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী বিদ্যালয়ের সময় শেষ হয় বিকেল ৪টায় ১৫ মিনিট , কিন্তু অভিযোগ রয়েছে, এসব বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা প্রতিদিনই প্রায় দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে বিদ্যালয় ত্যাগ করছেন।

এ ঘটনা ঘটে ৪ আগস্ট, সোমবার। অভিযোগ পাওয়া বিদ্যালয়গুলো হলো:

বিলধনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় – সহকারী শিক্ষক রুবেল ও রাসেল

ভাটিমেওয়াখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় – সহকারী শিক্ষক সবুজ ও ইউসুফ

বিশুড়ীগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় – সহকারী শিক্ষক হাবিব ও মিজান

উজান মেওয়াখোলা উত্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় – সহকারী শিক্ষক আইয়ুব হোসেন

এ বিষয়ে স্থানীয় অভিভাবকদের অভিযোগ, “শিক্ষকরা সময়মতো বিদ্যালয়ে আসেন না এবং সময়ের আগেই চলে যান। এতে শিক্ষার্থীরা সঠিকভাবে পাঠদান পাচ্ছে না।”

এ প্রসঙ্গে কাজিপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন,

> “আমি ইতোমধ্যে বিষয়টি শুনেছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনো শিক্ষক নিয়ম ভঙ্গ করলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস ও শহীদ স্মরণে নওগাঁর রাণীনগরে বিএনপির র‌্যালি-সমাবেশ

মোঃ আব্দুল মালেক, রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট, ২০২৫, ৭:৫৬ পিএম
জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস ও শহীদ স্মরণে নওগাঁর রাণীনগরে বিএনপির র‌্যালি-সমাবেশ

জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস ও শহীদ স্মরণে নওগাঁর রাণীনগরে র‌্যালি ও সমাবেশ করেছে উপজেলা বিএনপি। মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলা বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে এই র‌্যালি ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। র‌্যালিতে উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেয়। র‌্যালি শেষে সদর বাজারের বিএনপির মোড়ে সমাবেশ করেছে উপজেলা বিএনপি।

রাণীনগর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মখলেছুর রহমান বাবুর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সমবায় বিষয়ক সম্পাদক নজমুল হক ছনি, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শফিউল আজম রানা, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য নুরে আলম মিঠু, জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রওশন উল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোসারব হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মেজবাউল হক লিটন, উপজেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মোজাক্কির হোসেন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহ্বায়ক মতিউর রহমান উজ্জল, সদস্য সচিব মাহমুদ হাসান বেলাল, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জাহিদ হাসান শিমুল, উপজেলা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন টনি, উপজেলা জিয়া সাইবার ফোর্সের সভাপতি শামীম হোসেন, উপজেলা মহিলা দলের সভাপতি ফাহিমা প্রমুখ।

সিরাজগঞ্জ জেলা মানবাধিকার সংস্থার জেলা কমিটি গঠন: সভাপতি মাকসুদা সিদ্দিকা সাথী, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আশরাফুল ইসলাম

কে এম শামীম হাসান সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট, ২০২৫, ৭:৫০ পিএম
সিরাজগঞ্জ জেলা মানবাধিকার সংস্থার জেলা কমিটি গঠন: সভাপতি মাকসুদা সিদ্দিকা সাথী, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আশরাফুল ইসলাম

সিরাজগঞ্জ জেলা মানবাধিকার সংস্থার নতুন জেলা কমিটি গঠিত হয়েছে। সর্বসম্মতিক্রমে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন মাকসুদা সিদ্দিকা সাথী এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন মোঃ আশরাফুল ইসলাম।

মঙ্গলবার (০৫ আগস্ট ২০২৫) শহরের একটি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত মানবাধিকারকর্মীদের উপস্থিতিতে নতুন কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। কমিটি গঠনের পুরো প্রক্রিয়া ছিল গণতান্ত্রিক, স্বচ্ছ এবং সম্মানজনক।

নবনির্বাচিত সভাপতি মাকসুদা সিদ্দিকা সাথী বলেন,

“মানবাধিকার সংস্থা মানুষের অধিকার রক্ষার জন্য একটি শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম। আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে পালন করব। সমাজের নির্যাতিত, নিপীড়িত মানুষের পাশে থাকাই আমাদের প্রধান অঙ্গীকার।”

সাধারণ সম্পাদক মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেন,

“আমি মানবাধিকারের আদর্শে বিশ্বাসী। নতুন কমিটির মাধ্যমে আমরা জেলার প্রতিটি স্তরে মানবাধিকার বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধি করবো এবং আইনি সহায়তা ও সেবার প্রসার ঘটাবো।”

নতুন জেলা কমিটিতে আরও রয়েছেন—

সিনিয়র সহ-সভাপতি: মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম

সহ-সভাপতি বিশ্বনাথ সাহা নন্দন

সাংগঠনিক সম্পাদক: কে এম শামীম হাসান

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক: শামসুল আলম

সহকারী সম্পাদক: মোঃ সাইদুল রহমান

অর্থ সম্পাদক: আব্দুল করিম

কার্যকরী সদস্য: মুন্নাফ সাকি

সদস্য: শহিদুল ইসলাম

কমিটির অন্যান্য সদস্যদের নাম দ্রুত সময়ের মধ্যেই আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।

এই নবগঠিত কমিটি সিরাজগঞ্জ জেলার প্রতিটি এলাকায় মানবাধিকার রক্ষায় কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করবে – এমনটাই প্রত্যাশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

error: Content is protected !!