বুধবার, ৬ আগস্ট ২০২৫, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২
বুধবার, ৬ আগস্ট ২০২৫, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২

৫০ বছর আগেও আমার পরিবারের সামর্থ্য ছিল: জারাকে সারজিস

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ, ২০২৫, ১০:৫৫ পিএম | 80 বার পড়া হয়েছে
৫০ বছর আগেও আমার পরিবারের সামর্থ্য ছিল: জারাকে সারজিস

জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম রাজনৈতিক দল গঠনের পর প্রথমবারের মতো নিজ এলাকা সফরে শতাধিক গাড়ি নিয়ে শোডাউন দিয়েছেন। তার এ শোডাউন নিয়ে বিভিন্ন পক্ষে-বিপক্ষে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা হচ্ছে। প্রশ্ন উঠেছে এ শোডাউনের অর্থায়নের উৎস নিয়ে।

একই প্রশ্ন তুলেছেন খোদ এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে ডা. তাসনিম জারা সারজিসের উদ্দেশে চিঠি লিখেছেন। এত বড় কর্মসূচি কীভাবে আয়োজন করেছেন, অর্থের উৎস কী- এসব বিষয়ে সাধারণ জনগণের কাছে পরিষ্কার ব্যাখ্যা দিতে সারজিসের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জারা।

এবার সেই আহ্বানে সাড়া দিয়েছেন সারজিস আলম। মঙ্গলবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে জবাব দেন তিনি।

সারজিস লিখেন,

“প্রিয় তাসনিম জারা আপু,

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

আপনার খোলা চিঠির উত্তরের পূর্বে দুটি বিষয় বলতে চাই।

প্রথমত, আমাদের চিন্তা-চেতনা, ধ্যান-ধারণা থেকে সবার আগে যে বিষয়টি বাদ দিতে হবে সেটি হচ্ছে- একজন নতুন করে জাতীয় রাজনীতিতে এসেছে মানেই তার পরিবার সহায়-সম্বলহীন, অসহায়, নিঃস্ব না। বিগত বছরগুলোতে আওয়ামী লীগের নেতারা চাঁদাবাজি, লুটপাট করে এসব কাজ করেছে বলে, একই কাজ করে অন্যরাও সেটা করবে বিষয়টি তেমনও নয়। আমার এ মুহূর্তে কয়েক লাখ টাকা খরচ করার সামর্থ্য নেই মানে এই নয় যে আমার পরিবার, আত্মীয়-স্বজনের সেই সামর্থ্য নেই।

দ্বিতীয়ত, কতিপয় সোশ্যাল মিডিয়া বুদ্ধিজীবী তাদের জায়গা থেকে যেভাবে রাজনীতিকে কল্পনা করেন সেটা কোনো আদর্শ পৃথিবীর চিত্র হতে পারে। কিন্তু বাংলাদেশের মতো বৈচিত্র্যময় চিন্তাধারা ধারণকারী জনগণ সম্বলিত একটি দেশের এ মুহূর্তের চিত্র নয়। এমনকি বাংলাদেশের একটি জেলার রাজনৈতিক কালচারের সঙ্গে অন্য একটি জেলার রাজনৈতিক কালচারেরও পুরোপুরি মিল নেই। তাই আমার চোখের সামনে আমার আসনে যা দেখছি সেটা দিয়ে অন্য আসনেও তুলনা করা যায় না। রাজনৈতিক পরিস্থিতি, দলগত অবস্থান বিবেচনায় সেই ইকুয়েশনগুলো ভিন্ন হয়।

আমরা নতুন বন্দোবস্ত চাই। কিন্তু নতুন বন্দোবস্ত বলতে আমরা যেটা কল্পনা করি সেটা ছয় মাসের মধ্যে এপ্লাই করলে অলমোস্ট শতকরা ৯৫- এর বেশি ক্ষেত্রে জামানত হারানোর সম্ভাবনা থাকবে। তার মানে কি আমরা নতুন বন্দোবস্ত চাই না? অবশ্যই চাই।

কিন্তু সেটা কখনো ছয় মাসের ব্যবধানে ১৮০ ডিগ্রি উলটে যাবে না বরং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ১০% ২০% ৩০% এভাবে পরিবর্তিত হবে। এক সময় হয়ত শতভাগ নতুন বন্দোবস্ত দেখতে পাব।

ফেসবুকের রাজনীতি আর মাঠের রাজনীতি এক নয়। আপনার প্রতিপক্ষের সঙ্গে লড়াই করার জনবল এবং সামর্থ্য আপনার যদি না থাকে কিংবা আপনি দেখাতে না পারেন তাহলে মাঠের রাজনীতিতে দাঁড়ান সম্ভব নয়। অন্য নেতা তো দূরের কথা সাধারণ জনগণও আপনাকে গোনায় ধরবে না। কারণ মানুষ স্বভাবতই ক্ষমতামুখী। আমাদের যেমন নতুন বন্দোবস্তের দিকে যেতে হবে তেমনি মাঠের রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য পূর্বের যেই বন্দোবস্তগুলো চাইলেই এখনই ছুঁড়ে ফেলা সম্ভব নয় সেগুলোকেও পাশে রেখে আপাতত চলতে হবে। যেদিন সেগুলোও ছুঁড়ে ফেলার সুযোগ আসবে সেদিন সেগুলোর ছুড়ে ফেলতে হবে।

সোশ্যাল মিডিয়ার অনেক বুদ্ধিজীবী তাদের যে আইডিয়াগুলোকে বিভিন্ন ন্যারেটিভ দিয়ে স্টাবলিশ করার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা দেখায়, তারা সেই প্রসেসে বাংলাদেশের এই মানসিকতার জনগণের কাছে- এই ইলেকশনে মাঠে নামলেও জামানত হারাবে, একই প্রসেসে ৫ বছর পরে ইলেকশন করলেও জামানত হারাবে।

তারা শুধু আপনার পিছেই লাগতে পারে কিন্তু কোনো প্রসেসে আপনি মাঠে ইলেকশন করে জিতে আসতে পারবেন সেগুলো আপনাকে দেখাতে পারে না কিংবা দেখালেও অনেক ক্ষেত্রে সেগুলোর মাঠের বাস্তবতা নেই।

আমরা তো অনেকেই চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব, মামলা বাণিজ্য, হয়রানি এসবের বিরুদ্ধে কথা বলতে বলতে মুখে ফেনা তুলে ফেললাম। কিন্তু এই অভ্যুত্থানেরই একটি অংশ আবার ওই একই কাজগুলো করছে। আটকাতে পেরেছেন কি? পারেননি। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে আমরা আপনারা অনেকে কথাও বলতে পারছি না। আর বললেও তারা সে কথাকে কানে নেয় না। কথা বলতে পারছি সেই অল্প কিছু নতুন করে চিন্তা করা মানুষের বিরুদ্ধে যারা এখনো সেই কথা বলার স্পেসটা দেয় এবং সেই কথাগুলোকে রিসিভ করে।

এবার কিছু তিক্ত কথা বলতে চাই ।বাংলাদেশের রাজনৈতিক কালচার পরিবর্তন করতে হবে ।এটা আবশ্যক। কিন্তু যতদিন না আমজনতা তাদের চিন্তাভাবনার পরিবর্তন করছে ততদিন আপনি সরাসরি নতুন চিন্তাগুলোকে বাস্তবায়ন করতে গেলে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়বেন। আপনি আজকে একটি আসনে নির্বাচন করার ঘোষণা দিন। কাল থেকে সেই আসনের অসংখ্য মানুষ আপনার কাছে আসবে নানা তদবির নিয়ে আবদার নিয়ে। এর মধ্যে অনেক অনৈতিক চাওয়া থাকবে। আবার যাদের আবদার পূরণ করতে পারবেন না তারা আপনার বিরুদ্ধে কথা বলা শুরু করবে। অথচ তারা একটিবারও ভাববে না আপনার সেই সামর্থ্য আছে কিনা, বিষয়গুলো ন্যায় সঙ্গত কিনা। তারা শুধু নিজের স্বার্থটা ভাববে। আপনি দিলে আছে, না দিলে নাই।

তার উপর এখন আপনার কোনো অথরিটিও নাই। এক্ষেত্রে সরাসরি নতুন বন্দোবস্ত এপ্লাই করে দীর্ঘ মেয়াদে অপ্রাসঙ্গিক হওয়ার চেয়ে সাময়িকভাবে নতুন পুরনো মিশেলে এগিয়ে গিয়ে যদি আপনি একটি অথরিটি পান কিংবা নির্বাচিত হতে পারেন তখন বরং দীর্ঘমেয়াদে নতুন বন্দোবস্তের কালচার চালু করা এবং সেগুলো মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়ন করার সুযোগ বেশি থাকবে। আমি এটাকে মন্দের ভালো মনে করি।

আর আমার এলাকায় ফেরার সময় এত গাড়ি, এত মানুষ; তাদের আকাঙ্ক্ষা এবং ভালোবাসা নিয়ে আমার জন্য অপেক্ষা করবে এবং আমাকে সঙ্গ দিবে এটা আমিও কল্পনা করিনি।

আমার পরিবার, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব এবং জেলার অনেক শুভাকাঙ্ক্ষী তাদের ব্যক্তিগত উদ্যোগে অর্ধেকের বেশি গাড়ি নিয়ে গিয়েছিলেন। যেগুলোর ব্যয় আমাদের বহন করতে হয়নি। বাকি প্রায় ৫০ টার মতো গাড়ির ৬০০০ করে যে তিন লাখ টাকা ভাড়া দিতে হয়েছে সে টাকা দেওয়ার সামর্থ্য আমার পরিবারের আরো ৫০ বছর আগেও ছিল। এবং আমি বিশ্বাস করি অন্য কেউ না; শুধু আমার দাদা আমার জন্য যতটুকু রেখে গিয়েছেন, সেটা দিয়ে আমি আমার ইলেকশনও করে ফেলতে পারব ইনশাআল্লাহ।

ধন্যবাদ।”

পূর্বধলায় বর্ণিল আয়োজনে গণ অভ্যুত্থান দিবস পালিত

মোঃ মনিরুল ইসলাম খান, প্রতিনিধি ময়মনসিংহ প্রকাশিত: বুধবার, ৬ আগস্ট, ২০২৫, ৯:২৮ এএম
পূর্বধলায় বর্ণিল আয়োজনে গণ অভ্যুত্থান দিবস পালিত

কেন্দ্রীয় বিএনপির কর্মসূচির অংশ হিসাবে নেত্রকোনার পূর্বধলায় ঐতিহাসিক জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান দিবস বর্ণিল আয়োজনে পালন করে পূর্বধলা উপজেলা বি এন পি তার বিভিন্ন অঙ্গ সহযোগী সংগঠন। পূর্বধলা উপজেলা বিএনপির চারটি বিভক্ত গ্রুপ চারভাবে পৃথক বিজয় র‍্যালির আয়োজন করে।

মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) দুপুরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যক্ষ রাবেয়া আলী, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আবু তাহের তালুকদার, উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আলহাজ্ব বাবুল আলম তালুকদার ও জেলা বিএনপির সদস্য এ এস এম শহিদুল্লাহ ইমরান এর নেতৃত্বে পৃথক চারটি বিজয় মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অধ্যক্ষ রাবেয়া আলী’র নেতৃত্বে সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম ডাঃ মোহাম্মদ আলী বাসভবন, আলহাজ্ব আবু তাহের তালুকদার’র নেতৃত্বে হেলিপ্যাড মাঠ, আলহাজ্ব বাবুল আলম তালুকদার’র নেতৃত্বে পাটবাজার ও নেত্রকোনা জেলা বি এন পির সম্মানিত সিনিয়র সদস্য এ এস এম শহীদুল্লাহ ইমরান এর নেতৃত্বে রেলওয়ে স্টেশন ঈদগা মাঠ থেকে বিজয় মিছিল বের হয়ে উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে মিছিল গুলো শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়।

‘গণঅভ্যুত্থানের বিজয়’ উদযাপন করতে গিয়ে প্রত্যেক গ্রুপ নিজস্ব ব্যানার ফেস্টুন ব্যবহার করে।

প্রতিটি গ্রুপ তাদের কর্মসূচিতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার প্রতি শ্রদ্ধা জানায় এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সকল গ্রোপ মিলে যোথভাবে প্রোগ্রাম করলে আরো সুন্দর হতো।

নিউইর্য়ক মহানগর দক্ষিন বিএনপি, যুক্তরাষ্ট্র

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: বুধবার, ৬ আগস্ট, ২০২৫, ৯:২৪ এএম
নিউইর্য়ক মহানগর দক্ষিন বিএনপি, যুক্তরাষ্ট্র

“জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান, শোক ও বিজয়ের বর্ষপূর্তি উদযাপন” উপলক্ষে এক সমাবেশ ও র‍্যালি-র আয়োজন করা হয়েছে নিউইয়র্ক মহানগর দক্ষিন বিএনপির উদ্যোগে গত ৪ আগস্ট সোমবার বিকালে নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটস এর ডাইভারসিটি প্লাজায়। ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ সোহরাব হোসেন এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ বদিউল আলমের সন্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও বহির্বিশ্ব বিএনপির সাংগঠনিক সমন্বয়ক সাবেক ছাত্রনেতা জনাব আনোয়ার হোসেন খোকন।

প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন নিউইয়র্ক মহানগর দক্ষিন বিএনপির সংগ্রামী সভাপতি সাবেক ছাত্রনেতা জনাব হাবিবুর রহমান সেলিম রেজা।

উক্ত সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন মৃধা, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক এমলাক হোসেন ফয়সাল, রুহুল আমিন নাসির, জিয়াউল হক মিশন, নাছির উদ্দিন, কামাল উদ্দিন দিপু, ব্রুকলিন বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম মাহমুদ, সদস্য সচিব মিজানুর রহমান মানিক এবং মহানগর দক্ষিন বিএনপির সাবেক সদস্য ফারদিন রনি।

উক্ত সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক জিয়াউল হক মিশন, সাবেক যুগ্ম সদস্য সচিব ছাইদুর খান ডিউক, সাবেক সদস্য মোঃ আব্বাস উদ্দিন, মিজানুর রহমান মিজান, নুরুল হুদা, জামালপুর রহমান চৌধুরী সহ হাসান মাহমুদ, মনিরুল ইসলাম মনির, মোঃ অহেদুজ্জামান নিলু, রাশেদ মিয়া, মোঃ আক্তারুজ্জামান, তোফাজ্জল রহমান, মোঃ সোহেল রানা ইমন, নুরে আলম চৌধুরী, মো: নাজমুল , মোঃ আমিনুল ইসলাম মিঠু , এস এম লুৎফর, চৌধুরী সিদ্দিক, আবু বকর, ইকবাল হোসাইন, শেখ উজ্জ্বল,জাহাঙ্গীর আলম অপু, মোঃ তারেক, মোঃ ওসমান গনি, মোঃ আরিফুল, ব্রুকলিন বিএনপি নেতা হুমায়ুন কবির, মোঃ বাহার, গোলাম কাদের, মোঃ মাহরুফ, শাফিয়াল ফামিন, মোঃ কামাল সহ আরো অনেকে।

লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি এক ভিডিও কলের মাধ্যমে প্রধান অতিথি জনাব আনোয়ার হোসেন খোকন তার বক্ত‍ব‍্যে বলেন ফ্যাসিবাদের পতন হলেও এক বছরে দেশে বিপ্লব পরবর্তী কাংখিত লক্ষ অর্জিত হয়নি। এখনো দেশী বিদেশী চক্রান্ত চলছে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে।জুলাই বিপ্লবকে ব্যর্থ করে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে ফ্যাসিবাদের দোসররা এখনো ফায়দা নিতে চায়। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের দুরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বদ্ধ পরিকর। বাংলাদেশে নির্বাচন পুর্ব বর্তমান পরিস্থিতিতে জাতীয়তাবাদী দলের সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানান জনাব আনোয়ার হোসেন খোকন।

বাংলাদেশ থেকে ভার্চুয়ালি ভিডিও কলের মাধ‍্যমে প্রধান বক্তা জনাব সেলিম রেজা তার বক্তব‍্যে বলেন স্বৈরাচার শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আমরা গত ১৬ বছর আন্দোলন সংগ্রামে লিপ্ত ছিলাম, তারই ধারাবাহিকতায় ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে। কিন্ত ফ্যাসিবাদের দোসররা এখনো দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে রাজনৈতিক পরিস্থিতি ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করতে চান। কিন্তু দেশ বিরোধী যে কোন চক্রান্ত রুখে দিতে আমরা বদ্ধপরিকর। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করে যথাশীঘ্র সুষ্ঠ নির্বাচন আয়োজনের মধ্য দিয়ে গনতান্ত্রিক ধারায় ফিরতে আহ্বান জানান।

এবং তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য বলেন দেশনায়ক তারেক রহমান অচিরেই বীরের বেশে বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করবেন তখন সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে ৩১ দফার ভিত্তিতে রাষ্ট্র কাঠামো বিনির্মাণের মাধ্যমে জাতিকে নতুন বাংলাদেশ উপহার দিবেন।

সভাপতির বক্তব্যে মোহাম্মদ সোহরাব হোসেন বলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল দীর্ঘ ১৬ বছর ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলন সংগ্রাম করেছে বাংলাদেশে গনতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য। গনতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে সুষ্ঠ নির্বাচন অপরিহার্য তাই বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে সুষ্ঠ নিরপেক্ষ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে বলে আশা প্রকাশ করেন। নিউইয়র্ক মহানগর দক্ষিন বিএনপির উপস্থিত সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে এবং সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানিয়ে সমাবেশ সমাপ্ত করেন।

বিদ্যালয়ের সময়ের আগেই শিক্ষকদের বিদ্যালয় ত্যাগ! অভিভাবকদের উদ্বেগ

মোঃ পলাশ শেখ, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট, ২০২৫, ৭:৫৯ পিএম
বিদ্যালয়ের সময়ের আগেই শিক্ষকদের বিদ্যালয় ত্যাগ! অভিভাবকদের উদ্বেগ

সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার কয়েকটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়মিত শ্রেণিকক্ষ চলাকালীন সময়ের আগেই শিক্ষকদের বিদ্যালয় ত্যাগ করার অভিযোগ উঠেছে। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী বিদ্যালয়ের সময় শেষ হয় বিকেল ৪টায় ১৫ মিনিট , কিন্তু অভিযোগ রয়েছে, এসব বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা প্রতিদিনই প্রায় দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে বিদ্যালয় ত্যাগ করছেন।

এ ঘটনা ঘটে ৪ আগস্ট, সোমবার। অভিযোগ পাওয়া বিদ্যালয়গুলো হলো:

বিলধনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় – সহকারী শিক্ষক রুবেল ও রাসেল

ভাটিমেওয়াখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় – সহকারী শিক্ষক সবুজ ও ইউসুফ

বিশুড়ীগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় – সহকারী শিক্ষক হাবিব ও মিজান

উজান মেওয়াখোলা উত্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় – সহকারী শিক্ষক আইয়ুব হোসেন

এ বিষয়ে স্থানীয় অভিভাবকদের অভিযোগ, “শিক্ষকরা সময়মতো বিদ্যালয়ে আসেন না এবং সময়ের আগেই চলে যান। এতে শিক্ষার্থীরা সঠিকভাবে পাঠদান পাচ্ছে না।”

এ প্রসঙ্গে কাজিপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন,

> “আমি ইতোমধ্যে বিষয়টি শুনেছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনো শিক্ষক নিয়ম ভঙ্গ করলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

error: Content is protected !!