রবিবার, ৩ আগস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২
রবিবার, ৩ আগস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২

টবে আঙ্গুর চাষাবাদ পদ্ধতি

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: বুধবার, ১৯ মার্চ, ২০২৫, ৪:৪৫ পিএম | 63 বার পড়া হয়েছে
টবে আঙ্গুর চাষাবাদ পদ্ধতি

বাড়ির আঙিনা বা ছাদে টবে খুব সহজে আঙ্গুরের চাষ করতে পারেন। কারন জমি হতে ছাদের পরিবেশ ভিন্ন সেখানে আর্দ্রতা কম, সূর্যালোক বেশি এবং ছাদের মেঝে প্রায় বেশির ভাগ সময়ই শুষ্ক থাকে। ইচ্ছে করলে ছাদের টবের মধ্যে যেনো বৃষ্টির পানি না যায়, সে ব্যবস্থাও করা সম্ভব। এ ছাড়াও একটি আঙুরের গাছের ক্যানোপি অন্যান্য ফল গাছের তুলনায় কম বলে বড় সাইজের টবে, ড্রামে বা জিও ব্যাগে আঙুর গাছের জন্য প্রয়োজনীয় উপযুক্ত মাটি পানি ও পুষ্টির নিশ্চিত ব্যবস্থা করা সম্ভব।
জাত নির্বাচন:
আঙুরের যে জাতগুলো কম সময়ে পরিপক্ব হয়, সেই জাতকে ছাদে সহজেই চাষ করা সম্ভব। আগাম বা কম সময়ে পরিপক্ব হয় এমন জাতের মধ্যে বাইকুনুর, ব্ল্যাক ম্যাজিক, ডিক্সন, গ্রিন লং, লোরাস, নাডু সিডলেস ইত্যাদি জাত কম সময়ে পরিপক্ব হয়।
টবের আকার:
আঙুর গাছের শিকড় এক মিটার পর্যন্ত গভীরে যেতে অভ্যস্থ, তাই আঙুরের ফলনের জন্য এবং অনেক বছর গাছটিকে টবে রাখতে চাইলে ২৪ ইঞ্চি টব বা তার চাইতেও বড় মাপের টবে রাখতে হবে। আঙুর চাষের জন্য সদ্য প্রস্তুতকৃত টবে, ড্রামে বা জিও ব্যাগে চারা রোপণ না করে অপেক্ষা করতে হবে ৪ (চার) থেকে ৬ (ছয়) সপ্তাহ। তৈরি করে রাখা টবের মাটিতে প্রতি সপ্তাহে সীমিত পরিমাণ পানি সেচ দিতে হবে।
মাটি ব্যবস্থাপনা:
আঙুর গাছের পছন্দ বেলে দোঁ-আশ, বেলে লাল দোঁ-আশ, কাদা বেলে দোঁ-আশ, লাল দোঁ-আশ ইত্যাদি। টব প্রস্তুতির জন্য উল্লেখিত মাটি না পেলে নদীর বালি মাটি, পলিমাটি, ভার্মি কম্পোস্ট ইত্যাদি মিশ্রিত করে মাটি তৈরি করে নেওয়া যেতে পারে।
মাটি তৈরির সময় ২ ভাগ নদীর বেলে মাটি/ বেলে দোআঁশ মাটি, ২ ভাগ জৈবসার/ ভার্মি কম্পোস্ট, ১ ভাগ ১ ভাগ কোকোপিট, ১ কেজি হাড়ের গুঁড়া, ১ কেজি ডোমার বা সিলেট স্যান্ড মিশ্রিত করে আঙুরের টবের মাটি প্রস্তুত করে নিতে হবে। কোনো রকম নেমাটোড যেনো এই মাটিতে না থাকে সেজন্য মাটি শোধন করতে হবে। প্রস্তুতকৃত মাটি ছাদে পাতলা করে বিছিয়ে কালো পলিথিন দিয়ে বায়ুরোধী করে সপ্তাহখানেক ঢেকে রাখতে হবে। অন্য পদ্ধতি হিসাবে মাটি থেকে নেমাটোড মুক্ত করার জন্য কার্বোফিউরান বা ফিপ্রোনিল গ্রুপের কীটনাশক পরিমাণ মতো মিশ্রিত করে (২৪ ইঞ্চি টবে ২৪ গ্রাম হারে) নিতে হবে।
চারা নির্বাচন ও রোপণ:
আঙুর চারা রোপণের সঠিক সময় শীতের শেষে, বসন্তের শুরুতে। স্বাস্থ্যবান চারা নির্বাচন করতে হবে।
সার ও সেচ ব্যবস্থাপনা :
আঙুর গাছের পানি চাহিদা কম, তাই নিয়মিত অথচ স্বল্প সেচ এই ফলের জন্য যথেষ্ট। শুষ্ক মৌসুমে প্রতিদিন সকালে সেচ দিতে হবে। সকালে ছাদের ও টবের তাপমাত্রা সেচের পানির প্রায় সমান থাকে। প্রতিদিন বিকালে টবের মাটি পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে, বাড়তি সেচ প্রয়োজন হলে তা সকাল বেলা সেচের পানি বাড়িয়ে দিতে হবে। ছাদ ভিজিয়ে ও টবের মাটি স্যাঁতসেতে করে আঙুরের টবে সেচ দেওয়া একদম অনুচিত।
সার প্রয়োগের সময় খেয়াল রাখতে হবে, আঙুরের জন্য ভার্মিকম্পোস্ট, খৈল ও হাঁড়ের গুঁড়াকে প্রাধান্য দিতে হবে। ১ মুঠো সরিষার খৈল, ১ মুঠো ভার্মি কম্পোস্ট, ২ চামচ হাড় গুড়ো এবং ১ চামচ পটাশ একসাথে মিশিয়ে প্রতি মাসে একবার করে প্রয়োগ করতে পারেন। আঙুর গাছে ম্যাগনেসিয়াম, জিঙ্ক ও আয়রন ঘাটতি দেখা যায়। এই অণুখাদ্যগুলো টবের মাটিতে পানিতে গুলে দেয়া উত্তম। ছাদের গাছে অনুখাদ্য পাতায় স্প্রে করে দিতে চাইলে অবশ্যই অনুমোদিত মাত্রার চেয়ে কম মাত্রায় সকালে বা বিকেলে স্প্রে করতে হবে। আঙুরের টবে ইউরিয়া প্রয়োগ প্রয়োজন পড়বে না, টিএসপি ও পটাশ সারের প্রয়োজন থাকলে শীতের শেষে আঙুর গাছ প্রুনিংয়ের পরপর প্রয়োগ করতে হবে। পটাশ সারের ক্ষেত্রে সালফেট অব পটাশ নির্বাচন করা উত্তম।
গাছের কান্ড ছাঁটাই এবং পরিচর্যা করবেন যেভাবে
আঙ্গুরের বীজ বা চারা বপনের পরবর্তী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে মাচায় ছড়িয়ে থাকা আঙ্গুর গাছের কান্ড ছেঁটে দেওয়া উত্তম। এতে এই ফল গাছের ফলন বৃদ্ধি পাবে এবং ফুল ঝরে পড়াও অনেক কমে যায়। ছাঁটাই এর ৭ দিন আগে এবং পরে গাছের গোড়ায় হালকা পানি সেচ দিতে হবে।
চারা বপনের পর মাচায় ওঠা পর্যন্ত প্রধান কাণ্ড ছাড়া অন্য সকল পার্শ্বের শাখা ছাঁটাই করে দিতে হবে।
প্রথম ছাঁটাই:
মাচায় ৩৫ থেকে ৪৫ সে.মি. কান্ড ওঠার পর প্রধান কান্ডের শীর্ষদেশ কেটে দিতে হয় যাতে এই কান্ডের ২ দিক থেকে ২-৪ টি করে শাখা গজায়।
দ্বিতীয় ছাঁটাই:
গজানো শাখাগুলো বড় হয়ে ১৫ থেকে ২০ দিনের মাথায় ৪৫-৬০ সে.মি. লম্বা হবে তখন এগুলো শীর্ষদেশ কেটে দিতে হবে; এতে অনেক গুলো শাখা-পাশাখা গজাবে।
তৃতীয় ছাঁটাই:
এই শাখা-পাশাখা গুলো ১৫ থেকে ২০ দিনের মাথায় ৪৫-৬০ সে.মি. লম্বা হবে তখন আবার এদের শীর্ষদেশ কেটে দিতে হবে।
ফলন:
পরিমিত সার এবং উপযুক্ত পরিচর্যার মাধ্যমে একটি আঙ্গুর গাছ না হলেও ৩-৮ বছর ফলন দিতে পারে। একটি হিসাবে দেখা গেছে আমাদের দেশে ৯ বর্গমিটার জায়গায় ৪-৫টি আঙ্গুর গাছ লাগিয়ে বছরে সর্বোচ্চ ১৬ কেজির মত আঙ্গুরের উৎপাদন সম্ভব।

রাজারহাটে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর ডিলার নিয়োগে অনিয়ম ও পুনরায় তদন্তের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

মোঃ আশিকুর সরকার (রাব্বি) প্রকাশিত: রবিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৫, ৪:৩৭ পিএম
রাজারহাটে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর ডিলার নিয়োগে অনিয়ম ও পুনরায় তদন্তের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

কুড়িগ্রামের রাজারহাটে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর আওতায় ডিলার নিয়োগে বৈষম্য ও অনিয়মের অভিযোগ এবং পুনরায় তদন্ত পূর্বক শতভাগ স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে পুনরায় লটারির দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারক লিপি প্রদান করেছে বঞ্চিত আবেদনকারীগণ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আবেদনের প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটির অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেছে,অনিয়মের মাধ্যমে যাচাই-বাছাইয়ে বাদ পরা ব্যাক্তিদের সুকৌশলে ডিলার নিয়োগ দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
নির্দিষ্ট এলাকার বাসিন্দা না হয়েও অনেকেই এই নিয়োগপ্রাপ্ত হন।নিয়োগ পাওয়ার যোগ্য অনেক ব্যক্তিকে সুকৌশলে বাদ দিয়ে নিয়ম বহি:ভূর্ত বাহিরের অনেক কে ডিলার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।ডিলার নিয়োগে এহেন বৈষম্যরোধে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে পুনরায় তদন্ত সাপেক্ষে লটারির আহবান জানান বঞ্চিত আবেদনকারীগণ।

রোববার দুপুরে ১২:০০ টা উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরের মেইন গেটের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।উক্ত
মানববন্ধনে অংশ নিয়ে বক্তব্য রাখেন,আব্দুল মোত্তালেব,আজিজুল ইসলাম,ফখরুল ইসলাম, রাজু ইসলাম, আহসান, সহিদুল ইসলাম,রোকেয়া বেগম,দৌলত হোসেন,আব্দুল লতিফ,সেকেন্দার আলী লিমন,হান্নান মিয়া আব্দুল লতিফ বাবলুসহ আরও অনেকে।

হরিপুরে পাটের জাগ নিয়ে বিড়ম্বনায় কৃষক

সিরাজুল ইসলাম ঠাকুরগাঁও প্রকাশিত: রবিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৫, ৪:৩৬ পিএম
হরিপুরে পাটের জাগ নিয়ে বিড়ম্বনায় কৃষক

ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে শুরু হয়েছে বিভিন্ন মাঠের পাট কাটা। তবে খালবিলে ও মাঠে পানি না থাকায় পাট জাগ দেওয়া নিয়ে সংকটে পড়েছেন চাষিরা। রাস্তার পাশে খাল ও পুকুরের পানি দিয়ে পাট জাগ দেওয়া শুরু হলেও আঁশের মান তেমন ভালো হচ্ছে না। এতেই বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা।

পাট চাষিরা জানান, হরিপুরে উপজেলায় দুটি বড় বিলের পাশে পানি না থাকার কারণে পাট পচানো সমস্যা হয়েছে । পানি সরাসরি বিলের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় পাটের জাগ নিয়ে সংকট দেখা দিয়েছে।

পাট চাষি মো. আবদুল মালেক ও সারোয়ার হোসেন বলেন খালবিলে, নদীনালায়, পুকুরে পানি নেই; পাট জাগ দেওয়ার জায়গাও নেই। এখন আমরা পাট নিয়ে সংকটে পড়েছি। এজন্য হরিপুর উপজেলায় পার্শ্ববর্তী বিলে আমরা পাট জাগ দিয়েছি।

সমির হোসেন নামে আরেকজন বলেন, বৃষ্টিতে পাটক্ষেতে অল্প পানি জমেছে, এতে পাটের গোড়া নষ্ট হয়ে গেছে। ক্ষেতে বেশি পানি হলে পাটের গোড়া পচন ধরত না। ক্ষেতের পাট ক্ষেতেই জাগ দেওয়া যেত। এখন পিকআপ ও ভ্যান ভাড়া করে পাট জাগ দিতে অন্য জায়গায় নিয়ে যেতে হচ্ছে। এতে আমাদের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে।

মিনাপুর গ্রামের সারোয়ার হোসেন বলেন, আমাদের হরিপুর ইউনিয়নের মাঠে-ঘাটে কোথাও পানি নেই। পাট কেটে জাগ দিতে অনেক কষ্ট হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রুবেল হুসেন জানান, এ বছর হরিপুরে ৪৭০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জায়গায় পাটের আবাদ হয়েছে। পানি না থাকায় পাটের জাগ দেওয়া নিয়ে সমস্যা পড়ছেন কৃষকরা। কেউ কেউ পুকুরে নদীতে পাটের জাগ দিচ্ছে।

সম্পর্কটা কোথাও যেন আটকে যাচ্ছে

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: রবিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৫, ৪:৩৪ পিএম
সম্পর্কটা কোথাও যেন আটকে যাচ্ছে

”আমার সম্পর্কটা কোথাও যেন আটকে যাচ্ছে”
যখন আশেপাশে শুনি —
“এটা তো সময়ের ব্যাপার, একটু ধৈর্য ধরো”
“তুমি কেন এত ভাবছো? সব ঠিক হয়ে যাবে”
“এটা তো সম্পর্কের অংশ, মানিয়ে নিতে হবে”
তখন সেই শূন্যতা কোথায় যাবে?
হুরায়রা কনসালটেন্সি এমন একটা জায়গা,
যেখানে আপনি আপনার সম্পর্কের টানাপোড়েন খুলে বলতে পারেন,
কেউ আপনাকে ছোট করবে না,
কেউ আপনাকে দোষী মনে করবে না।
আমরা জানি, সম্পর্কের মাঝে এই অনিশ্চয়তা অনেক সময় ভয়াবহ হতে পারে,
আপনি একা নন,
আমি হুরায়রা শিশির এবং আমার টিম পাশে আছি।
চলুন, একসাথে চেষ্টা করি কিভাবে একটু একটু করে ভালো থাকা যায়।

error: Content is protected !!