শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২ আশ্বিন ১৪৩২
শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২ আশ্বিন ১৪৩২

বিজিবি-বিএসএফ চুক্তি

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ২:৫২ পিএম | 90 বার পড়া হয়েছে
বিজিবি-বিএসএফ চুক্তি

বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের ৪ দিনব্যাপী (১৭-২০ ফেব্রুয়ারি) ৫৫তম সীমান্ত সম্মেলন ভারতের নয়াদিল্লীতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবারের সম্মেলনে সীমান্তে নিরস্ত্র নাগরিকদের ওপর গুলি চালানো, হত্যা, আহত বা মারধরের ঘটনা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার লক্ষ্যে সীমান্তের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় যৌথ টহল বৃদ্ধি, উভয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী উপকৃত হবে এমন তাৎক্ষণিক ও আগাম গোয়েন্দা তথ্য একে অপরের মধ্যে আদান-প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

পাশাপাশি সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে কোনো স্থাপনা, কাঁটাতারের বেড়া, প্রতিরক্ষায় ব্যবহৃত হয় এমন কোনো স্থাপনা বা বাংকার নির্মাণের ক্ষেত্রে উভয় দেশের যথাযথ কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত যৌথ পরিদর্শক দলের পরিদর্শন এবং যৌথ আলোচনার দলিল (জেআরডি) এর ভিত্তিতে নির্মাণের ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করা হয়।

ভারতের নয়াদিল্লীতে অনুষ্ঠিত ৫৫তম বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের সীমান্ত সম্মেলনের পর যৌথ প্রেস বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাতে বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম জানান, সম্মেলনে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকীর নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করেন।

অপরদিকে বিএসএফ মহাপরিচালক শ্রী দলজিৎ সিং চৌধুরীর নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের প্রতিনিধিদল সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন।

সম্মেলনে বিজিবি মহাপরিচালক সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিকদের নিহতের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং সীমান্ত হত্যার ঘটনা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিএসএফ মহাপরিচালকের প্রতি জোর আহ্বান জানান।

সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে যে কোনো স্থায়ী স্থাপনা এবং কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের ক্ষেত্রে উভয় দেশের যথাযথ কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত যৌথ পরিদর্শকদলের পরিদর্শন ও যৌথ আলোচনার দলিল (জেআরডি) এর ভিত্তিতে নির্মাণের ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করা হয়।

আঙ্গরপোতা-দহগ্রাম সীমান্তের শূন্যরেখায় কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের বিষয়টি তুলে ধরে সীমান্তে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করার বিষয়ে বিজিবি মহাপরিচালক বিএসএফ মহাপরিচালকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

এছাড়া সীমান্তবর্তী নদীর ভাঙন রোধে তীরবর্তী বাঁধ নির্মাণ ও সংস্কার কাজ এবং পূর্বাভাস না দিয়ে বাংলাদেশের উজানে বাঁধ খুলে পানি ছেড়ে দিয়ে বাংলাদেশে সৃষ্ট অনাকাঙ্ক্ষিত বন্যার ব্যাপারে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অবগত করার জন্য বিএসএফকে অনুরোধ জানানো হয়।

এছাড়া ভারত থেকে বাংলাদেশে মাদক ও অস্ত্র পাচার রোধ, স্বর্ণসহ অন্যান্য দ্রব্যাদির চোরাচালান রোধ, অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধ এবং সীমান্তে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মতো অপরাধ দমনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেওয়া হয়। সীমান্তে শান্তি-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ‘সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা’ কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন বিজিবি মহাপরিচালক।

বিএসএফ মহাপরিচালক মানুষের জীবন ও মানবাধিকার চেতনার প্রতি সর্বোচ্চ সম্মান রেখে সীমান্তে হত্যা নিরসনে বিএসএফ কর্তৃক ‘অ-প্রাণঘাতী’ নীতি অনুসরণের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি মাদক পাচার ও চোরাচালান রোধসহ সীমান্তে শান্তির জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে এমন যে কোনো ধরনের কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে পারস্পরিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখার কথাও পুনর্ব্যক্ত করেন।

এবারের সম্মেলনে গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ-

১. সীমান্তে নিরস্ত্র নাগরিকদের ওপর গুলি চালানো/হত্যা/আহত/মারধরের ঘটনা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার লক্ষ্যে সীমান্তের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় যৌথ টহল বৃদ্ধি, উভয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী উপকৃত হবে এমন তাৎক্ষণিক ও আগাম গোয়েন্দা তথ্য একে অপরের মধ্যে আদান-প্রদান, সীমান্তবর্তী এলাকায় বসবাসরত জনসাধারণের মধ্যে জনসচেতনতামূলক কর্মসূচি গ্রহণ এবং বিভিন্ন ধরনের আর্থ-সামাজিক ও উন্নয়নমূলক কর্মসূচি গ্রহণ এবং সীমান্তে যে কোনো হত্যা সংঘটিত হলে তার যথাযথ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে উভয়পক্ষ সম্মত হয়েছে।

২. আলোচনায় সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে কোন স্থাপনা, কাঁটাতারের বেড়া, প্রতিরক্ষায় ব্যবহৃত হয় এমন কোনো স্থাপনা বা বাংকার নির্মাণের ক্ষেত্রে উভয় দেশের যথাযথ কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত যৌথ পরিদর্শক দলের পরিদর্শন এবং যৌথ আলোচনার দলিল (জেআরডি) এর ভিত্তিতে নির্মাণের ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করা হয়। এছাড়া সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে বন্ধ থাকা অন্যান্য উন্নয়নমূলক কাজগুলোর ব্যাপারে যথোপযুক্ত পর্যায়ে জয়েন্ট ভেরিফিকেশনের মাধ্যমে দ্রুত সমাধানের ব্যাপারে আলোচনা হয়।

৩. বিভিন্ন ধরনের আন্ত:সীমান্ত অপরাধ দমন বিশেষ করে ফেনসিডিল, ইয়াবা ও গাঁজাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য ও গবাদিপশু পাচার রোধ, অবৈধ অনুপ্রবেশ, মানব পাচার, স্বর্ণ, অস্ত্র, জাল মুদ্রার নোট প্রভৃতি চোরাচালান রোধ এবং এসব অপরাধের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের সম্পর্কে তাৎক্ষণিক তথ্য আদান-প্রদান করতে উভয়পক্ষই সম্মত হয়েছে।

৪. আন্তর্জাতিক সীমানা আইন লঙ্ঘন করে উভয় দেশের নাগরিক ও বাহিনীর সদস্যদের অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের ফলে সৃষ্ট ভুল বোঝাবুঝি ও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সীমান্তে উভয় বাহিনীর নজরদারি বৃদ্ধির পাশাপাশি দুই দেশের সীমান্তবর্তী জনসাধারণকে অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করা থেকে বিরত রাখতে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করতে উভয়পক্ষ সম্মত হয়েছে।

৫. মানবপাচার রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ বিশেষ করে মানবপাচারের মত অমানবিক কার্ক্রমের সাথে জড়িত উভয় দেশের অপরাধী বা দালালচক্রের কার্যক্রম প্রতিরোধে পরস্পরকে সহায়তা এবং মানবপাচারের শিকার ব্যক্তিদেরকে সংশ্লিষ্ট দেশের প্রচলিত দেশের আইন অনুযায়ী উদ্ধার ও পুনর্বাসনে উভয়পক্ষ সম্মত হয়েছেন।

৬. এছাড়া আগরতলা থেকে আখাউড়ার দিকে প্রবাহিত সীমান্তবর্তী ৪টি খালের বর্জ্য পানি অপসারণে উপযুক্ত পানি শোধনাগার স্থাপন; জকিগঞ্জের কুশিয়ারা নদীর সাথে রহিমপুর খালের মুখ উন্মুক্তকরণ; আঞ্চলিক বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সম্ভাব্য অবস্থান ও তাদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়।

৭. উভয়পক্ষ ‘সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা (সিবিএমপি) এর আওতায় পারস্পরিক আস্থা বৃদ্ধির জন্য গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগ বাস্তবায়নে উভয় বাহিনীর পারস্পরিক সহযোগিতার প্রশংসা করেন। উভয়পক্ষ আগামী দিনে যৌথ খেলাধুলা ও জয়েন্ট রিট্রিট সিরিমনিসহ বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে সম্মত হয়েছে।

কালিগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধ: ভার্সিটি পড়ুয়া ছোট ভাইকে কুপিয়ে জখম করলো ২ বড় ভাই

হাফিজুর রহমান কালিগঞ্জ (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি: প্রকাশিত: শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৯:১৮ পিএম
কালিগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধ: ভার্সিটি পড়ুয়া ছোট ভাইকে কুপিয়ে জখম করলো ২ বড় ভাই

জমির মালিকানা নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধের জেরে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলায় আপন দুই বড় ভাইয়ের হাতে নৃশংস হামলার শিকার হয়েছেন এক ভার্সিটি পড়ুয়া ছোট ভাই। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল আনুমানিক ১০টার দিকে উপজেলার পূর্ব নারায়ণপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। আহত তরুণের নাম মনিরুল ইসলাম, যিনি গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং মৃত আলহাজ্ব আব্দুল আজিজ গাজীর পুত্র।

আহত মনিরুল ইসলাম ও তার ভাই জাকিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, বাবার মৃত্যুর পর থেকে মনিরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন। এই সুযোগে তার বড় ভাই রফিকুল ইসলাম এবং মেজ ভাই শফিকুল ইসলাম (কালিগঞ্জ আদর্শ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও আওয়ামী লীগ নেতা) জোরপূর্বক তার জমি দখল করে ভোগ-দখল করছিলেন।

গতকাল শনিবার সকালে নিজের প্রাপ্য জমি চাইতে গেলে বড় দুই ভাই ধারালো দা দিয়ে মনিরুলকে উপর্যুপরি কোপাতে থাকে। এই হামলায় মনিরুল ইসলাম রক্তাক্ত ও গুরুতর জখম হন। হামলার পর অভিযুক্তরা দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরে প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে কালিগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

এ বিষয়ে ঘটনার সত্যতা জানতে অভিযুক্ত বড় ভাই রফিকুল ইসলাম ও প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তারা ফোন রিসিভ করেননি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মেজ ভাই শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে স্কুলের শিক্ষক নিয়োগে অর্ধ লক্ষ টাকা বাণিজ্যের অভিযোগ রয়েছে। এই অভিযোগে তাকে বহিষ্কারের দাবিতে ছাত্র-অভিভাবকরা দীর্ঘ কয়েকমাস ধরে সড়ক অবরোধসহ আন্দোলন চালিয়ে আসছিলেন। সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার পর ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবকরা ঘরে ফেরেন। এরপর থেকে শফিকুল ইসলাম দীর্ঘদিন আত্মগোপনে ছিলেন।

বর্তমানে মনিরুল ইসলাম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এই ন্যাক্কারজনক ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বলে জানা গেছে।

আওয়ামী সন্ত্রাসীদের তা-বে বিএনপির কর্মীরা রেহাই পায়নি- রুহুল কবির রিজভী 

মো: রাসেল মোল্লা রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি প্রকাশিত: শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৯:১৬ পিএম
আওয়ামী সন্ত্রাসীদের তা-বে বিএনপির কর্মীরা রেহাই পায়নি- রুহুল কবির রিজভী 

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আওয়ামী সন্ত্রাসীদের তান্ডবে বিএনপির নেতা কর্মীরা রেহাই পায়নি। শেখ হাসিনা বলেছিলেন- দরকার হলে আকাশ থেকে হেলিকপ্টার দিয়ে বোম্বিং করো। এমন রক্ত পিপাসু খুনি মানসিকতার ব্যক্তি এতদিন দেশ চালিয়েছিলেন। পত্র-পত্রিকায় ও অডিও রেকর্ডে তাদের এমন কথোপকথন দেশবাসী শুনেছে। ২৭ সেপ্টেম্বর শনিবার আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীদের হামলায় গুরুতর আহত রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদল নেতা দোলন ভুঁইয়াকে দেখতে তার ভুলতা ইউনিয়নের আতলাশপুর গ্রামের বাড়িতে এসে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীদের হামলায় গুরুতর আহত রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদল নেতা দোলন ভুঁইয়ার চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এ সময় তিনি তারেক রহমানের পক্ষ থেকে দোলনের চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তা তুলে দেন এবং তার চিকিৎসার খোঁজখবর নেন। ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর একটি প্রতিনিধি দল দোলনের বাড়িতে আসেন। আহত ছাত্রদল নেতা দোলনের প্রতি তারেক রহমানের সহমর্মিতার বার্তা তাঁরা পৌঁছে দেন এবং সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব ও সংগঠনটির প্রধান উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর আহ্বায়ক আতিকুর রহমান, সংগঠনের উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার মোস্তফা-ই-জামান সেলিম, সদস্য মাসুদ রানা লিটন, শাকিল আহমেদ, ফরহাদ আলী সজীব, শাহাদত হোসেন, জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ডা. জাহিদুল কবির জাহিদ, নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি জামিল হোসেন, বুয়েট ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবু হানিফ, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আরিফুর রহমান তুষার, যুবদল নেতা সাইয়াম সিকান্দার পাপ্পু, ছাত্রদল নেতা মশিউর রহমান প্রমুখ।

উল্লেখ্য, গত ২০২৪ সালের ৪সেপ্টেম্বর আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসী হামলায় দোলন ভুঁইয়া মারাত্মকভাবে আহত হন। ভূমিদস্যু কাওসারের নেতৃত্বে হামলাকারীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে ছাত্রদল নেতা দোলন ভুইয়াকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এতে তার ডান হাত সম্পূর্ণ অকেজো হয়ে যায়।

মুন্সিগঞ্জবাসীকে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে শুভেচ্ছা বার্তা জানালেন ডিসি

মোঃ সুজন বেপারী প্রকাশিত: শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৯:১৪ পিএম
মুন্সিগঞ্জবাসীকে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে শুভেচ্ছা বার্তা জানালেন ডিসি

মুন্সিগঞ্জ জেলায় শারদীয় দুর্গাপূজা ২০২৫ হিন্দু সম্প্রদায় উপলক্ষ্যে জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এর শুভেচ্ছা বার্তা জানিয়েছেন জনাব ফাতেমা তুল জান্নাত মহোদয়।

আজ ২৭ শে সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট একশুভেচ্ছা বার্তায় ফাতেমা তুল জান্নাত মহোদয় বলেন, সম্মানিত মুন্সিগঞ্জবাসী আসন্ন দুর্গাপূজা ২০২৫ উপলক্ষে জেলা প্রশাসন মুন্সিগঞ্জের পক্ষ থেকে সকলকে শারদীয় শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। সনাতন ধর্মে সবচেয়ে বড় ধর্মীও উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা সমাজে শান্তিপ্রতিষ্ঠান লক্ষ্যে আবহমান কাল ধরে দেশের হিন্দু সম্প্রদায় বিপুল উৎসাও উর্তিপনার মাধ্যমে দুর্গাপূজা উদযাপন করে আসছেন। দুর্গাপূজা ২০২৫ শে সকল অনুষ্ঠান সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পাদনের জন্য সকল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ অন্যান্য অনুষ্ঠানিক সমন্বয়ে জেলা মনিটরিং টিম গঠন করা হয়েছে।

জেলা ও সদর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদ ও হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদে প্রতিনিধিগণদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে। এছাড়াও সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রয়োজনীয় এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগসহ জেলায় কন্ট্রোল রুম খোলা রয়েছে, সোসাল মিডিয়া অন্য যে কোন মাধ্যমে ছড়ানো গুজব অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হয়ে যে কোন তথ্য আমাদের কন্ট্রোল রুমে নাম্বারে জাতীয় সেবা জরুরি সেবা নাম্বারে জানানোর জন্য অনুরোধ করা হলো। শারদীয় দুর্গাপূজা উৎসব সত্তুরসুন্দর আলোতে হয়ে উঠুক। ধর্মবর্ন নির্ভিশেষে সম্প্রতি বন্ধনকে আরো সুসংগত একামনা করছি সকলকে আবারও শুভেচ্ছা শুভ শারদীয়া।