সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

কেমন হয় মহানায়কের বাড়ির বিশেষ লক্ষ্মী পূজা ?

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২৪, ৩:২৫ পিএম | 57 বার পড়া হয়েছে
কেমন হয় মহানায়কের বাড়ির বিশেষ লক্ষ্মী পূজা ?

ভবানীপুরের গিরিশ মুখার্জি রোড, বাংলা চলচ্চিত্রের মহানায়ক উত্তমকুমারের বাড়ি। সেই বাড়ির কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো নিয়ে সাধারণ মানুষের বরাবরই অশেষ কৌতূহল। শোনা যায়, ছেলে গৌতমের জন্মের পর উত্তমকুমার বাড়িতে লক্ষ্মীপুজো শুরু করেছিলেন। এখন পুজোর জাঁকজমক খানিক ম্লান হয়ে এলেও চট্টোপাধ্যায় বাড়ির তরুণ প্রজন্ম সেই ধারা কিন্তু ঠিকই বজায় রেখেছে। সম্পর্কে উত্তমকুমারের নাতবৌ, অর্থাৎ অভিনেতা গৌরব চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী দেবলীনা কুমার বলেন, আমাদের বাড়ির লক্ষ্মী প্রতিমার বিশেষত্ব হল তার মুখ। প্রথমবার আমার দিদিশাশুড়ির মুখের আদলে প্রতিমার মুখের ছাঁচ তৈরি হয়েছিল। আমাদের বাড়ির লক্ষ্মী পুজোয় সেই ধারা আজও বজায় রয়েছে।
অনেকেই জানেন, মহানায়কের বাড়ির লক্ষ্মী প্রতিমা তৈরি হয়েছিল তাঁর স্ত্রী গৌরীদেবীর মুখের আদলে। তার নেপথ্যে একটি ইতিহাসও রয়েছে। সে সময়ে ‘যদুভট্ট’ ছবির শুটিংয়ে মূর্তি গড়ছিলেন নিরঞ্জন পাল। শুটিং ফ্লোরের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময়ে সেই দৃশ্য চোখে পড়ে উত্তমকুমারের। তিনি শিল্পীকে বাড়িতে ডেকে পাঠান লক্ষ্মী প্রতিমা গড়ার বায়না দেবেন বলে। শিল্পী বাড়িতে পৌঁছে উত্তমকুমারের খোঁজ করতে দেখলেন, গৌরীদেবী ঘর মুছছেন। তিনি ঘোমটার ফাঁক থেকে এক ঝলক তাকিয়ে শিল্পীকে বসতে বললেন আর তার পরে উত্তমকুমারকে ডেকে দিলেন। কিন্তু ওই মুহূর্তেই শিল্পীর চোখে মা লক্ষ্মীর ছবি আঁকা হয়ে গেল। তিনি ছাঁচ ভেঙে গৌরীদেবীর মুখের আদলে লক্ষ্মীমূর্তি গড়লেন। সেই থেকে আজও ভবানীপুরে চট্টোপাধ্যায় বাড়ির লক্ষ্মী প্রতিমার মুখের গড়ন একই রকম হয়ে আসছে।
পুজোর আগের দিন কুমোরটুলি থেকে প্রতিমা আনা হয়। তবে সেই মূর্তির পরনে থাকে লাল পাড় সাদা শাড়ি। বাড়িতে আনার পর নতুন করে সেই প্রতিমাকে সাজানো হয়। দেবলীনা বলেন, প্রতি বার আত্মীয় – পরিজনের কেউ না কেউ শাড়ি দেন। এবার যেমন আমার মা বেনারসি দিয়েছেন। সেই শাড়িটিই প্রতিমার অঙ্গে উঠবে। সঙ্গে সোনা, সোনার জল করা বেশ কিছু রুপোর গয়নাও থাকবে। বিসর্জনের সময়ে আবার বেনারসি বদলে বাড়ির লক্ষ্মীকে সেই লাল পাড় সাদা শাড়িটি পরানো হয়। প্রথা মেনে দেবীর পরিহিত বেনারসিটি তুলে দেওয়া হয় বাড়ির বৌয়ের হাতে। দেবলীনা বলেন, বাড়ির বৌ বলতে এখন আমিই। তাই কয়েক বছর ধরে ওই শাড়িটি আমার ভাগ্যেই থাকে।
লক্ষ্মী এখানে ঘরের মেয়ে রূপে পূজিতা হন। তা সত্ত্বেও সব বাড়ির পুজোর নিয়ম তো এক নয়। পুজোর নিয়মে এ পার-ও পারের বিভেদও রয়েছে। আর পাঁচটি বাড়িতে যেমন ভোগ হয়, চট্টোপাধ্যায় বাড়িতেও দেবীর জন্য নানা রকম পদের আয়োজন করা হয়। তবে সেই ভোগ রাঁধার অধিকার সকলের নেই। পরিবারের দীক্ষিত সদস্যেরাই সেই ভোগ রাঁধতে পারেন। লুচি, পাঁচ রকম ভাজা, তরকারি, ডাল, চাটনি, মিষ্টিও থাকে। লক্ষ্মীপুজোয় নাড়ু থাকা আবশ্যক। তবে দেবলীনা জানিয়েছেন, মহানায়কের বাড়িতে নারকেল নাড়ু, তিলের নাড়ুর পাশাপাশি আনন্দ নাড়ুও থাকে। তিনি বলেন, আমরা তো এই দেশীয়। তাই বাড়ির রীতি মেনে তৈরি হয় আনন্দ নাড়ু। নারকেল, তিল বা ক্ষীরের নাড়ুর চেয়েও ওই নাড়ুটির গুরুত্ব এ বাড়িতে বেশি।
বাড়ির ছেলে-মেয়ে-বৌ সকলে মিলেই পুজোর কাজ ভাগ করে নেন। বাড়ির ছেলেরা সিল্কের জোড় পরে পুজোয় বসেন। পরের দিন আবার বদলে যায় দেবীর সাজ। চট্টোপাধ্যায় বাড়ির লক্ষ্মী প্রতিমা সেজে ওঠেন ফুলের সাজে। ফুলের মুকুট, মালা, বাজুবন্ধে তখন তিনি যেন বাড়ির নতুন বৌ। দেবীর সঙ্গে সঙ্গে ফুলের সাজে সাজানো হয় বাহনটিকেও। দেবলীনা বলেন, পুজোর পরের দিন, অর্থাৎ বিসর্জনের আগে দেবীকে ফুলের সাজে সাজিয়েই বিদায় জানানো হয়।

১০ হাজার টাকা জরিমানা

পাইকগাছায় নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগ কারেন্ট জাল জব্দ

শেখ খায়রুল ইসলাম পাইকগাছা(খুলনা) প্রতিনিধি:- প্রকাশিত: সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৩:৩০ পিএম
পাইকগাছায় নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগ কারেন্ট জাল জব্দ

রবিবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগ ও কারেন্ট জাল জব্দ করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।পাইকগাছার গদাইপুর ইউনিয়নের মেলেক পুরাইকাটি গ্রামের সাধু পাড়ায় নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগ কারেন্ট জাল আছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান পরিচালনা করে।এসময় মেলেক পুরাইকাটি গ্রামের প্রণব সাধুর বাড়ি থেকে ৩১৪ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগ উদ্ধার করে এবং তাকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে ৬ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করে।একই গ্রামের সত্য সাধুর বাড়ি থেকে ৪২ কেজি নিষিদ্ধ ঘোষিত কারেন্ট জাল উদ্ধার করে এবং তাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৪ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করে।জব্দকৃত ৩১৪কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগ, ৪২কেজি কারেন্ট জাল আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়। উক্ত নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগ ও কারেন্ট জালের বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় আনুমানিক ১লক্ষ ২০হাজার টাকা।অভিযান পরিচালনাকালে স্যানিটারি ইন্সপেক্টর উদয় কুমার মন্ডল,পুলিশ উপপরিদর্শক বাবলা দাশ,উপজেলা আনসার ভিডিপি প্রশিক্ষক মোঃ আলতাফ হোসেন,পেশকার মোঃ ইবরাহীম হোসেন উপস্থিত ছিলেন।উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহেরা নাজনীন বলেন,নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন ব্যাগ ও কারেন্ট জাল পরিবেশের জন্য হুমকিস্বরূপ।এগুলো ক্রয় বিক্রয় মজুদ দণ্ডনীয় অপরাধ।উপজেলা প্রশাসনের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

মুন্সীগঞ্জে মামলার রহস্য উদঘাটনে গোয়েন্দা পুলিশকে স্বীকৃতি প্রদান

মোঃ সুজন বেপারী প্রকাশিত: সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৩:১০ পিএম
মুন্সীগঞ্জে মামলার রহস্য উদঘাটনে গোয়েন্দা পুলিশকে স্বীকৃতি প্রদান

মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর থানাধীন পদ্মা সেতুর মহাসড়কের বাইপাস লেন-এ একটি ক্লু-লেস হত্যা মামলা রহস্য উদঘাটন এবং শ্রীনগর থানাধীন মহাসড়ে ক্লু- লেস রোড ডাকাতি মামলার রহস্য উদঘাটন সহ দ্রুত সময়ের মধ্যে অপরাধীদের গ্রেপ্তার এবং হত্যা কান্ড ব্যবহৃত বিদেশি পিস্তল উদ্ধার এবং ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত বিদেশী পিস্তলসহ উদ্ধারসহ লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করায় মুন্সিগঞ্জ জেলার সুযোগ্য ও মানবিক পুলিশ সুপার জনাব মুহম্মদ শামসুল আলম সরকার মহোদয় অদ্য ইং ২৩/১২/২০২৪ তারিখ সকাল ১০.০০ ঘটিকার সময় মুন্সিগঞ্জ পুলিশ লাইন্স শহিদ কনস্টবল বোরহান উদ্দিন খান মিলনায়তন-এ মাসিক কল্যাণ সভার সভাপতি মুন্সিগঞ্জ জেলার সুযোগ ও পুলিশ সুপার মহোদয় ক্লু-লেস হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার করায় এবং ক্লু-লেস ডাকাতি মামলার আসামি গ্রেফতার করায় এবং লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধার করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করায় তদন্তকারী সাব-ইন্সপেক্টর হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় ভালো কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ মুন্সিগঞ্জ জেলার সুযোগ্য ও মানবিক পুলিশ সুপার মহোদয় আমাকে সম্মাননা স্মারক হিসেবে নগদ অর্থ পুরস্কার প্রদান করেন।

উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) জনাব মোহাম্মদ বদিউজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এ্যান্ড অপস্) জনাব মোঃ ফিরোজ কবির, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(ডিএসবি) জনাব কাজী হুমায়ূন রশিদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মুন্সিগঞ্জ সদর সার্কেল) জনাব মোঃ বিল্লাল হোসেন মহোদয়।

ক্লু-লেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন ও আসামি গ্রেফতার এবং ক্লু-লেস ডাকাতি মামলার রহস্য উদঘাটন ও লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধার ও ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত আসামিদের গ্রেফতার করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা প্রদান সহ অভিযানের সাহস এবং অভিযানের বিষয় সার্বিক সহযোগিতা করেন মুন্সিগঞ্জ জেলার মাননীয় পুলিশ সুপার জনাব মুহাম্মদ শামসুল আলম সরকার মহোদয় এবং অফিসার ইনচার্জ জনাব মোঃ ইশতিয়াক আহমেদ রাসেল, জেলা গোয়েন্দা শাখা মুন্সিগঞ্জ মহোদয়।

মাধবপুরে মুফতি গিয়াস উদ্দিন ত্বাহেরী নামে মামলা প্রত্যাহারের দাবী তে মানববন্ধন করছেন

হবিগঞ্জ ( মাধবপুর প্রতিনিধি )ফোরকান উদ্দিন রোমান  প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৫:১৮ পিএম
মাধবপুরে মুফতি গিয়াস উদ্দিন ত্বাহেরী নামে মামলা প্রত্যাহারের দাবী তে মানববন্ধন করছেন

আজ( ২১শে ডিসেম্বর ) শনিবার সকাল ১১ টা দিকে মাধবপুর উপজেলা গেইটের সামনে

মুফতি গিয়াস উদ্দিন ত্বাহেরী নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবী তে মানববন্ধন পালন করছেন,

মাধবপুর উপজেলা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত ও সকল সহযোগী অঙ্গ সংগঠন এবং সকল পীর মাশায়েখগন।

মুফতি দুলাল ইসলাম বীন নুরী বলেন, মুফতি গিয়াস উদ্দিন আত তাহেরীর নামে যে মামলাটি করেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, আমরা তার নামে মিথ্যা মামলাটি প্রত্যাহার চাই,

শেখ তানভীর হোসাইন আরিফ বলেন, মুফতি গিয়াস উদ্দিন আত তাহেরি আমাদের গর্ব, উনার বিরুদ্ধে যে মিথ্যা মামলা হয়েছে তা প্রত্যাহার করা হোক,

মাধবপুর আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের অনেক নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন,