বৃহস্পতিবার, ৭ আগস্ট ২০২৫, ২১ শ্রাবণ ১৪৩২
বৃহস্পতিবার, ৭ আগস্ট ২০২৫, ২১ শ্রাবণ ১৪৩২

ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডে পাশের হার কমলেও বেড়েছে জিপিএ ৫

মকবুল হোসেন ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৪, ৪:৩৫ পিএম | 87 বার পড়া হয়েছে
ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডে পাশের হার কমলেও বেড়েছে জিপিএ ৫

ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক এবারের ফলাফল প্রকাশ নিয়ে শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান সাংবাদিক সম্মেলন করে ফলাফলের সার্বিক বর্ণনা করেন।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বোর্ড ময়মনসিংহের অধীনে অনুষ্ঠিত উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি)-২০২৪ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল ৭৭ হাজার ৬২১ জন পরীক্ষার্থী যার মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ৪৯ হাজার ০৬৯ জন, পাশের হার ৬৩ দশমিক ২২ শতাংশ, যা গত বছর ছিল ৭০ দশমিক ৪৪ শতাংশ। এর মধ্যে জিপিএ ৫ পেয়েছে ৪ হাজার ৮২৬ জন, গত বছর (২০২৩ এ) পেয়েছিল ৩ হাজার ২৪৪ জন। ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ছাত্রদের চেয়ে ছাত্রীরা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ, উত্তীর্ণ এবং জিপিএ ৫ প্রাপ্তি সব সূচকেই এগিয়ে। পুরুষ পরীক্ষার্থীদের পাশের হার ৬১ শতাংশ ২৪ শতাংশ, জিপিএ ৫ পেয়েছে ২ হাজার ১০৯ জন। অপরদিকে নারী পরীক্ষার্থীদের পাশের হার ৬৫ দশমিক ৬ শতাংশ, জিপিএ ৫ পেয়েছে ২ হাজার ৭১৭ জন। বিজ্ঞান বিভাগে পাশ করেছে ৮৫ দশমিক ৮৯ শতাংশ শিক্ষার্থী, মানবিক শাখায় ৫৮ দশমিক ২০ শতাংশ এবং ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ৫০ দশমিক ৭৩ শতাংশ। ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের অধীন জেলাগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ পাশের হার জামালপুর (৬৫ দশমিক ৭৪ শতাংশ), সর্বনিম্ন শেরপুরে ( ৫৮ দশমিক ০১ শতাংশ)। মোট ৯৯ টি কেন্দ্রে বোর্ডের আওতাধীন ২৯৫ টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা জুন ও জুলাই মাসে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। আগস্টের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর ছাত্রদের আন্দোলনের মুখে গত ২৪ সেপ্টেম্ব অবশিষ্ট পরীক্ষাগুলো না নিয়ে সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে ফলাফল প্রস্তুত করা হয়। এবার ময়মনসিংহে শতভাগ পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৫টি, শতভাগ অনুত্তীর্ণ ৪ টি। গত চার বছরের এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, পরীক্ষায় পাশের হার ক্রমহ্রাসমান। ২০২১ সালে যেখানে পাশের হার ছিল ৯৫ দশমিক ২১ শতাংশ, ২০২২ সালে ৮০ দশমিক ২২ শতাংশ, ২০২৩ এ ৭০ দশমিক ৪৪ শতাংশ, এই বছর (২০২৪) তা ৬৩ দশমিক ২২ শতাংশে নেমে এসেছে।

ময়মনসিংহ জেলার অন্তর্গত তিনটি প্রতিষ্ঠানের ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, সরকারি আনন্দমোহন কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল ১ হাজার ০৬৪ জন, পাশের হার ৮৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ, জিপিএ ৫ পেয়েছে ৪৬৪ জন। সরকারি মুমিনুন্নেসা মহিলা কলেজ এর পরীক্ষার্থী ছিল ৯৯৭, পাশের হার ৯৭ দশমিক ১৮ শতাংশ, জিপিএ ৫ পেয়েছে ৬৫৬ জন এবং শহিদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিল ১ হাজার ২৭২, পাশের হার ৯৭.৭২, জিপিএ ৫ পেয়েছে ৭৪০ জন। ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা এবারে তুলনামূলক ভালো ফলাফল করেছে।

নরসিংদীর রায়পুরা মেঘনা নদীতে জলদস্যুতা ও চাঁদাবাজ নুরুল ইসলাম, হারুন, হান্নানের গ্রেপ্তার দাবিতে মানববন্ধন

তালাত মাহামুদ বিশেষ প্রতিনিধি প্রকাশিত: বুধবার, ৬ আগস্ট, ২০২৫, ১১:১৮ পিএম
নরসিংদীর রায়পুরা মেঘনা নদীতে জলদস্যুতা ও চাঁদাবাজ নুরুল ইসলাম, হারুন, হান্নানের গ্রেপ্তার দাবিতে মানববন্ধন

নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলায় মেঘনা নদীতে জলদস্যুতা ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে , প্রতিবাদ ,মানববন্ধন, কর্মসূচি পালন করেন কিশোরগঞ্জের ভৈরবে । নৌপথে চলাচলকারী ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের উদ্যোগে এ মানববন্ধনে , অংশ নেন ভৈরব ও রায়পুরা এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, মির্জাচরের আওয়ামী লীগের দোসর রসুনের ছেলে নুরুল ইসলাম, বাশগাড়ির যুবলীগ নেতা হারুন ও নিলক্কার হান্নান দীর্ঘদিন ধরে স্পোর্টস বোট ও ট্রলারে করে মেঘনা নদীতে , সশস্ত্র তাণ্ডব চালাচ্ছে। গরু ব্যবসায়ী ও মোদি ব্যবসায়ীদের মালামাল ছিনতাই, অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজি ,ও জনসাধারণের উপর গুলি চালানোর মতো ঘটনাও ঘটিয়েছে চিহ্নিত দুর্বৃত্তরা।

এছাড়া ও নদীর চরাঞ্চলে অবৈধভাবে চুম্বুক , ড্রেজার বসিয়ে মাটি উত্তোলনের অভিযোগ ইতিপূর্বে একাধিকবার করা হয়েছে। নদীপথে চলাচল কারী কার্গো ট্রলার থেকে চাঁদা আদায়ের মতো ঘটনা , প্রতিনিয়ত চালিয়েছে বলে জানায় বিশ্বস্ত সূত্র।

এ ব্যাপারে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে , বিএনপির কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সহ-সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল, বলেন“এই অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা আমাদের দলের কেউ নয়।” রায়পুরা উপজেলার বিএনপির , সাধারণ সম্পাদক ,আব্দুর রহমান খোকন ,বলেন “নুরুল ইসলাম, হান্নান ও হারুন আওয়ামী লীগের দোসর। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অনুরোধ করছি, তাদের পরিচয় নিশ্চিত করে দ্রুত গ্রেপ্তার করুন।” সন্ত্রাস চাঁদাবাজদের বিএনপি দলে কোন স্থান নেই । এই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয় । ইতি পর্বে নুরুল ইসলাম গং মির্জাচরে মানববন্ধনে গুলি বর্ষন করেন এবং গ্রামবাসীকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।

তাদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রায়পুরা থানায় আছে । তৎকালীন সময়ের বহু ঘটনা জাতীয় দৈনিক পত্রিকা সহ নরসিংদী জেলার বিভিন্ন দৈনিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকায় একাধিক নিউজ পোর্টালে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে

এ ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত ও অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী ।

সৌরভ চত্বরের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে থাকা আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার

  তৌহিদুর রহমান শেরপুর প্রতিনিধি প্রকাশিত: বুধবার, ৬ আগস্ট, ২০২৫, ১১:০৪ পিএম
সৌরভ চত্বরের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে থাকা আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার

শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে ‘সৌরভ চত্বর’-এর মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বিতর্কিত এক ব্যক্তির উপস্থিতিকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা আলোচনা-সমালোচনা দেখা দিয়েছে। তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আশরাফুল আলম রাসেল এসব অভিযোগকে ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আখ্যা দিয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

৫ আগস্ট, মঙ্গলবার সকালে ঝিনাইগাতী থানা মোড়ে শহীদ ছাত্রনেতা সৌরভের নামে নির্মিত ‘সৌরভ চত্বর’-এর মোড়ক উন্মোচন করেন, ইউএনও মো. আশরাফুল আলম রাসেল। এ সময় শহীদ সৌরভের পিতা, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আল আমিন, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, সাংবাদিকসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

তবে অনুষ্ঠান শেষে ফটোসেশনে ঝিনাইগাতী উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এবং ২০২৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের হওয়া একটি মামলার আসামি সারোয়ার হোসেনের ছবি ছড়িয়ে পড়লে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। অনেকেই অভিযোগ করেন, জনপ্রশাসনের কিছু কর্মকর্তা রাজনৈতিক সুবিধাভোগীদের পুনর্বাসনের কৌশল হিসেবে এমন আয়োজন করছেন।

এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি ভাইরাল হলে উপজেলা প্রশাসনের তৎপরতায় ও পুলিশের বিশেষ উদ্যোগে বিতর্কিত ব্যক্তি সারোয়ার হোসেনকে গ্রেপ্তার করে ঝিনাইগাতী থানা পুলিশ।

বিষয়টি নিয়ে ইউএনও আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, “আমি সারোয়ার হোসেন নামে কাউকে চিনি না, তাকে আমন্ত্রণ জানানো তো দূরের কথা। শহীদ সৌরভের বাবা তাঁকে আত্মীয় হিসেবে নিজেই সঙ্গে এনেছেন। তিনি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত কিংবা মামলার আসামি, এসব তথ্য আমার জানা ছিল না। আমি এই ভিত্তিহীন অপপ্রচারের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি।”

তিনি আরও বলেন, “স্মৃতিচারণমূলক এ অনুষ্ঠানটি ছিল সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক এবং একটি শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর নিঃস্বার্থ প্রয়াস। অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে কোনো বিতর্কিত ব্যক্তি উপস্থিত থাকলে সেটিকে প্রশাসনের অভিপ্রায় হিসেবে ব্যাখ্যা করা অনুচিত।”

সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে ইউএনও বলেন, “সত্যতা যাচাই না করে বিভ্রান্তিকর মন্তব্য ও গুজব ছড়ানো সামাজিক দায়িত্বের পরিপন্থী। একজন শহীদের নামের সাথে জড়িত অনুষ্ঠানে অহেতুক বিতর্ক সৃষ্টি করাও অত্যন্ত দুঃখজনক।”

দশঘর মাদরাসা কমিটিতে আওয়ামীলীগের দোসর নাসির সভাপতি হওয়ার পায়তারা:এলাকায় ক্ষোভ

স্টাফ রিপোর্টারঃ প্রকাশিত: বুধবার, ৬ আগস্ট, ২০২৫, ১১:০১ পিএম
দশঘর মাদরাসা কমিটিতে আওয়ামীলীগের দোসর নাসির সভাপতি হওয়ার পায়তারা:এলাকায় ক্ষোভ

ছাতকের গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের রাজ্জাকীয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসা,দশঘরের ম্যানেজিং কমিটিতে আওয়ামীলীগের দোসর এমপি মানিকের ঘনিষ্টজন দশঘর গ্রামের মাষ্টার নাসির উদ্দীন সভাপতি হওয়ার পায়তারা চালাচ্ছেন বলে জানা গেছে।

এতে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে প্রতিষ্টানের প্রধান উলামালীগের সদস্য মাও:মুশাহিদ আলী তাঁর বিগত দিনের নিজের অপকর্ম যাতে প্রকাশ না পায় এজন্য এই আওয়ামী ডেবিলকে সভাপতি করতে তৎপরতা চালাচ্ছেন।

মাদরসার অভিভাবকদের বক্তব্য হচ্ছে ,আওয়ামীলীগের এই দোসরকে সভাপতি করলে মাদরাসা উন্নয়ন কাজ থেকে বঞ্চিত হবে।সরকারের নির্দেশনা রয়েছে।

বর্তমানে কোন শিক্ষা প্রতিষ্টানের কমিটিতে যেন নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামীলীগের কোন দোসর সভাপতি হতে না পারে।মাষ্টার নাসির উদ্দিন যে আওয়ামীলীগের নেতা ও এমপি মানিকের একনিষ্ট সহযোগী ছিল, তা ছাতকের রাজনৈতিক মহলে সবার জানা।তাই নাসির উদ্দনীন সভাপতি হলে আগামী নির্বাচনে যারাই অত্র আসনে এমপি বা উপজেলা চেয়ারম্যান হবেন স্বাভাবিক ভাবে এ কারণে অত্র মাদরাসা উন্নয়ন কাজে আগ্রহী হবেন না বলে আশংকা করা হচ্ছে।

তাই,দশঘর মাদরাসায় যাতে নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামীলীগের কোন ডেভিল সভাপতি হতে না পারে এজন্য এলাকাবাসী ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

error: Content is protected !!