রবিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
রবিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

পর্যটন সার্ভিসে শতবর্ষী প্যাডেল স্টিমার ‘পি এস মাহসুদ’

ডেস্ক নিউজ
ডেস্ক নিউজ প্রকাশিত: রবিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২৫, ১২:৫৬ পিএম | 77 বার পড়া হয়েছে
পর্যটন সার্ভিসে শতবর্ষী প্যাডেল স্টিমার ‘পি এস মাহসুদ’

বাংলাদেশের নদীজ ঐতিহ্যের শেকড়কে নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরতে শতবর্ষী প্যাডেল স্টিমার ‘পি এস মাহসুদ’ এবার নতুন রূপে ফিরে এলো পর্যটন সার্ভিস হিসেবে। ঢাকা–বরিশাল ঐতিহ্যবাহী নৌরুটে জাহাজটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম. সাখাওয়াত হোসেন। দীর্ঘদিন বিআইডব্লিউটিসির হেফাজতে সংরক্ষিত থাকা এই ঐতিহ্যবাহী জলযানকে আধুনিক সুবিধা, নিরাপত্তা ও পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তিতে সাজিয়ে পুনরায় যাত্রী পরিবহনে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে।
উপদেষ্টা বলেন, “পি এস মাহসুদ শুধু একটি নৌযান নয়—এটি আমাদের নদীজ সভ্যতা, অর্থনীতি ও সংস্কৃতির ইতিহাস বহন করে। নতুন প্রজন্ম যেন দেখে, নদীই ছিল বাঙালির জীবনরেখা।” তিনি জানান, রিভার ট্যুরিজমকে সমৃদ্ধ করতে এই উদ্যোগে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনুসের বিশেষ আকাঙ্ক্ষা ছিল।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও জানানো হয়, আগামী ২১ নভেম্বর থেকে স্টিমারটি নিয়মিত পর্যটন সার্ভিস হিসেবে চলবে। নদীপথের অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগের সুযোগ দিতে এবার দিনের আলোয় যাত্রার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। শুক্রবার সকাল ৮টায় সদরঘাট থেকে ছাড়া স্টিমারটি রাতে বরিশাল পৌঁছাবে, এবং শনিবার বরিশাল থেকে ঢাকায় ফিরবে।
নৌপরিবহন সচিব ড. নুরুন্নাহার চৌধুরী এনডিসি বলেন, “ঐতিহ্যবাহী এই জলযান পর্যটকদের কাছে বিশেষ আকর্ষণ তৈরি করবে। দেশি খাবার, সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ও রাত্রিযাপনের ব্যবস্থা যুক্ত হওয়ায় অভিজ্ঞতাটি হবে অনন্য।
আধুনিকায়নের পর নতুন রূপের ‘পি এস মাহসুদ’
বিআইডব্লিউটিসির তত্ত্বাবধানে স্টিমারটির শতবর্ষী নকশা অক্ষুণ্ণ রেখে সম্পূর্ণ নবায়ন করা হয়েছে—
প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির ২২টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কেবিন
মোট ৪৪ যাত্রীর আবাসন
তৃতীয় শ্রেণির ডেকে ৫০ যাত্রীর বসার জায়গা
আধুনিক নেভিগেশন, জিপিএস, লাইফবোট ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সুবিধা
কম ধোঁয়া নির্গমনকারী পরিবেশবান্ধব ইঞ্জিন
২৫ জন প্রশিক্ষিত কর্মকর্তা ও নাবিকের টিম
আরও স্টিমার ফিরছে নদীপথে
উপদেষ্টা জানান, ‘পি এস মাহসুদ’-এর সফল পুনর্জাগরণের পর বিআইডব্লিউটিসি পি.এস অস্ট্রিচ, পি.এস লেপচা ও পি.এস টার্নসহ অন্যান্য ঐতিহাসিক স্টিমার সংস্কারের পরিকল্পনা করছে। নদীপথের ঐতিহ্যকে নতুনভাবে বিশ্বদরবারে তুলে ধরাই তাদের মূল লক্ষ্য।
তিনি আরও জানান, স্কুল–কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ রিভার ট্যুর আয়োজন করা হবে, যাতে তারা কাছ থেকে দেখতে পারে দেশের নদী ঐতিহ্য, জাহাজ নির্মাণ ইতিহাস এবং ঐতিহাসিক স্টিমারের ভেতরের বাস্তব কারিগরি রূপ।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয় ও বিআইডব্লিউটিসির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, চেয়ারম্যান মো. সলিম উল্লাহসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

মো : রাজিকুল ইসলাম, ​সিংড়া (নাটোর) প্রতিনিধি

সিংড়ায় প্রফেসর সাইদুর রহমানের পক্ষে জামায়াতের উঠান বৈঠক

মো : রাজিকুল ইসলাম, ​সিংড়া (নাটোর) প্রতিনিধি প্রকাশিত: রবিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১০:৫৮ এএম
সিংড়ায় প্রফেসর সাইদুর রহমানের পক্ষে জামায়াতের উঠান বৈঠক

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নাটোর-৩ (সিংড়া) আসনে জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থীর উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সিংড়া উপজেলার ১২ নং রামানন্দ খাজুরা ইউনিয়নের ভোগা গ্রামে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

​১২ নং রামানন্দ খাজুরা ইউনিয়ন ৮নং ওয়ার্ড জামায়াতের উদ্যোগে আয়োজিত এই উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী প্রফেসর সাইদুর রহমান। ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর হাবিবুর রহমান এর সভাপতিত্বে এবং ইউনিয়ন যুব জামায়াতের সভাপতি শহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভাটি পরিচালিত হয়।
​অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের শূরা ও কর্মপরিষদ সদস্য আফছার আলী, উপজেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক আ ব ম আমান উল্লাহ, উপজেলা সেক্রেটারী অধ্যাপক এনতাজ আলী সহ উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ।

​সভায় বক্তারা আগামী নির্বাচনে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে ন্যায় এবং ইনসাফ এর প্রতীক দাঁড়িপাল্লাকে বিজয়ী করার মধ্য দিয়ে দুর্নীতি চান্দাবাজ ও বৈষম্য মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। এছাড়াও এলাকার বিভিন্ন সমস্যা ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন এবং আসন্ন সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী প্রফেসর সাইদুর রহমানের পক্ষে সাধারণ মানুষের কাছে সমর্থন ও দোয়া কামনা করেন।

প্রকাশকঃ কামরুন নেছা তানিয়া

হ্নীলা নৌবাহিনীর অভিযানে বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র ও গ্রেনেড উদ্ধার

প্রকাশকঃ কামরুন নেছা তানিয়া প্রকাশিত: রবিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১০:৫৫ এএম
হ্নীলা নৌবাহিনীর অভিযানে বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র ও গ্রেনেড উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক: টেকনাফের হ্নীলায় নৌবাহিনীর বিশেষ অভিযানে বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার রাতে হ্নীলা ইউনিয়নের ৬নম্বর ওয়ার্ডের উলুচামারি কোনাপাড়া এলাকার শির্ষ সন্ত্রাসী মিজান ওরফে লম্বা মিজানের বাড়ীতে এ অভিযান চালানো হয়।
মিজান ওরফে লম্বা মিজানের বসতবাড়িতে বিপুল অস্ত্র মজুদ রয়েছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে নৌবাহিনীর বিশেষায়িত ফোর্স সোয়াডস এবং নৌবাহিনী কনটিনজেন্ট টেকনাফ যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করে।
১টি বিদেশি ও ২টি দেশি পিস্তল, ১টি একনলা বন্দুক,১০ টি গ্রেনেড,গোলাবারুদসহ দেশী ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধার করা অস্ত্র ও গোলাবারুদ পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য টেকনাফ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

ময়মনসিং জেলা প্রতিনিধি মোঃ আবুল কালাম

মুক্তাগাছায় জনতার মুখোমুখি এডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ

ময়মনসিং জেলা প্রতিনিধি মোঃ আবুল কালাম প্রকাশিত: রবিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১০:৫৩ এএম
মুক্তাগাছায় জনতার মুখোমুখি এডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ

ময়মনসিংহ-৫ (মুক্তাগাছা) আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের সেক্রেটারি এডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ শনিবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে মুক্তাগাছা পৌর শহরের লক্ষীখোলা এলাকায় জনতার মুখোমুখি হন। নারী-পুরুষসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ তাকে ঘিরে তাদের অভাব-অভিযোগ ও প্রত্যাশার কথা তুলে ধরেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা মৌখিকভাবে উন্নয়ন, শিক্ষা, কর্মসংস্থান, দুর্নীতি, জাতীয় রাজনৈতিক সংকট এবং মুক্তাগাছার দীর্ঘদিনের অবহেলিত সমস্যাগুলো নিয়ে প্রশ্ন করেন। প্রতিটি প্রশ্ন মনোযোগ দিয়ে শোনার পর তিনি তার পরিকল্পনা, প্রতিশ্রুতি ও বাস্তব সমস্যাগুলোর সমাধানে সম্ভাব্য কৌশল তুলে ধরেন।

এড. মতিউর রহমান আকন্দ বলেন—
“মুক্তাগাছার উন্নয়ন থেমে থাকবে না। দীর্ঘদিন ধরে যেসব সমস্যা অবহেলিত আছে, সেগুলোকে অগ্রাধিকার দিয়ে সমাধান করতে চাই। জনগণের সঙ্গে সরাসরি মতবিনিময়ই পরিবর্তনের পথ দেখায়।”

মাদক ও দুর্নীতি বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে তিনি বলেন—
“মাদক একটি পরিবারই নয়, পুরো সমাজকে ধ্বংস করে। এজন্য পরিবার, সমাজ এবং রাষ্ট্রকে সমন্বিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করাই আমার অবস্থান।”

শিক্ষা ও কর্মসংস্থান প্রসঙ্গে তিনি বলেন—
“যুব সমাজকে দক্ষ করে তোলা ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব নয়। মুক্তাগাছায় কারিগরি শিক্ষা সম্প্রসারণ ও তরুণদের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে হবে।”

জনতার সঙ্গে এ ধরনের উন্মুক্ত মতবিনিময় স্থানীয়দের মধ্যে ইতিবাচক সাড়া ফেলেছে। অনেকেই মনে করছেন, সাধারণ মানুষের সমস্যা ও প্রত্যাশাকে সামনে রেখে নেতার এভাবে সরাসরি কথা বলা রাজনৈতিক আস্থাকে আরও দৃঢ় করবে।