রবিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
রবিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

“দি ইউনিভার্সিটি অফ কুমিল্লার সনদ দিয়ে এমপিও বেতন করতে সরকারী ভাবে কোন সমস্যা বাধানেই।

ডেস্ক নিউজ
ডেস্ক নিউজ প্রকাশিত: বুধবার, ১২ নভেম্বর, ২০২৫, ১১:১০ পিএম | 70 বার পড়া হয়েছে
“দি ইউনিভার্সিটি অফ কুমিল্লার সনদ দিয়ে এমপিও বেতন করতে সরকারী ভাবে কোন সমস্যা বাধানেই।

 

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ইউজিসি এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় অনুমতি অনুমোদন প্রাপ্ত,সরকারি ভাবে শিক্ষক,প্রভাষক,
গ্ৰন্থাগারিক নিয়োগ প্রাপ্তদের তাদের বেতন ও এমপিও পেতে কোন বাধা নেই।
দি ইউনিভার্সিটি অফ কুমিল্লা (ইউনিক)ঢাকা, বাংলাদেশ। বর্তমান চেয়ারম্যান ড.মাহফুজুর রাহমান বোর্ড অফ ট্রাস্টিজ দি ইউনিভার্সিটি অফ কুমিল্লা,এন্ড চেয়ারম্যান এটিএন বাংলা এন্ড এটিএন নিউজ লিমিটেড।
তিনি বলেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদ দিয়ে নিয়োগ প্রাপ্ত সকলের জন্য সুখবর,এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদ দিয়ে সরকারী বেসরকারী ইত্যাদি চাকুরী নিতে এবং বেতন ভাতা ইন্ডেক্স হতেও কোনো বাধা নেই। সরকার অনেক প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন দিয়েছেন,বিভিন্ন সময় অনেক বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে আবার পুনরায় চালু হয়েছে,এমন ঘটনা অনেক ঘটেছে। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এর ওয়েব সাইটে বর্তমানে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম বৈধ তালিকায় আপলোড রয়েছে। অনুমোদিত বৈধ ক্যাম্পাস থেকে ছাত্র ছাত্রী বিভিন্ন বিষয়ের উপর ডিগ্রী ও মাষ্টার ডিগ্রী অর্জন করেন। গ্ৰন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান বিষয়ে মাষ্টার ডিগ্রী অর্জন বৈধ সনদ,নিয়োগ পেতে সমস্যা নেই। কিছু কর্মকর্তার কারনে নিয়োগ প্রাপ্তগন এমন সমস্যায় সম্মুখীন হয়।সর্ব শেষ ২০১৫ সালের শেষ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে কমিটির মাধ্যমে অনেকেই নিয়োগ যোগদান বর্তমানে তাদের এখনো বেতন ভাতা হয়নি, ২০২৫সালে অডিড রিপোর্ট তাদের পক্ষে দিয়ে,বিভিন্ন স্কুল কলেজের তালিকা আঞ্চলিক পরিচালক মহোদয়গনকে, আগে এবং পরে অর্জিত সনদ কারো থাকলে মূল্যয়ন করে আপডেট তথ্য হালনাগাদ করে বিষয়টি মানবিক উন্নয়ন সৃষ্টি করতে অনুরোধ করা হলো।

দি ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লা একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়, এটি ঢাকায় অবস্থিত, ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়,সেই প্রেক্ষিতে ড.মাহফুজুর রাহমান চেয়ারম্যান বোর্ড অফ ট্রাস্টিজ দি ইউনিভার্সিটি অফ কুমিল্লা এন্ড চেয়ারম্যান এটিএন বাংলা এন্ড এটিএন নিউজ লিমিটেড, বোর্ড অফ ট্রাস্টিজ এর চেয়ারম্যান বলেন আমাদের সনদ অনলাইন ও অফিস ভেরিফাইড যাচাইকৃত সঠিক, বেতন ভাতা এমপিও পেতে কোন বাধা নেই। সরকারি নিয়মে প্রতিষ্ঠান স্থাপন পরিচালনা ইত্যাদি অনুমতি রয়েছে। গত ২৮/০১/২০১৮ ইং তারিখের স্বারক নং ইউজিসি/প্রশা:/লিগ্যাল/৭০(১)২০১৪/৭৬৩
সূত্র -শিক্ষা/শা:১৭/১০এম-১৪/৮-৯(২)অংশ -১)/৮০০,
তারিখ ২৯/১১/২০১৭ পুনরায় শিক্ষা কার্যক্রম চালুকরনের অনুমতি আদেশ দেন। দি ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লা ৯বি পলওয়েল কর্নেশন, সেকশন -৮, উওরা, ঢাকা ১২৩০, একমাত্র প্রধান ক্যাম্পাস। এই ইউনিভার্সিটি স্থাপিত হয় ১৯৯৫ সালে। বোর্ড অফ ট্রাস্টি এর চেয়ারম্যান জনাব, প্রফেসর ড.মোঃ জিয়াউল করিম উজ্জ্বল, ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর জনাব মোঃ কালাম হোসেন তাদের বক্তব্য দি ইউনিভার্সিটি অফ কুমিল্লা এর সকল ছাত্র ছাত্রীদের সনদ পত্র বৈধ। তাদেরকে বিভিন্ন স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ নিয়ে যোগদান করে চাকুরী করার ন্যায্য অধিকার রয়েছে। এতদিন পরে এসে দয়া করে তাদের কোন সমস্যা করবেননা। তাদের মন্তব্য খুব চমৎকার করে দিতে আপনার দৃষ্টি কামনা করছি। সরকারি বিধি মোতাবেক এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদ দিয়ে সরকারী, বেসরকারী, স্বায়ত্তশাসিত, সকল ক্ষেত্রে চাকুরী করতে পারবেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ইন্ডেক্স ও বেতন দিতে কোনো বাধা নেই। সকল নিয়োগ প্রাপ্তদের ছাড় করনে আঞ্চলিক শিক্ষা অফিস পরিচালক মহোদয়গনকে, প্রশাসন নির্দেশ প্রদান করেছেন।
অনুলিপি: (১)মহাপরিচালক-২ মহোদয়ের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা,প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় তেজগাঁও ঢাকা
(২)জনাব হাসান আরিফ সাবেক এটর্নি জেনারেল, এডভোকেট সুপ্রিম কোর্ট, চেম্বার: সি-২/১২,আল বারাকা টাওয়ার ২৪২ এলিফ্যান্ট রোড ঢাকা ১২০৫ ।
(৩) উপ-পরিচালক, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগ, ইউজিসি ঢাকা ।
(৪) একান্ত সচিব (উপ-সচিব) চেয়ারম্যান মহোদয়ের দপ্তর ইউজিসি ঢাকা।
(৫) সিনিয়র সহকারী সচিব, সদস্য প্রফেসর ড.মো: আখতার হোসেন মহোদয়ের দপ্তর, ইউজিসি ঢাকা।
৬/ব্যক্তিগত কর্মকর্তা, সচিব মহোদয়ের দপ্তর,ইউজিসি ঢাকা। ৭-৮/নথি/ মহানতি।
উল্লেখ্য মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের ডিভিশন বেঞ্চে ১৬৭১/২০১৪ নং রীট পিটিশন চূড়ান্ত ভাবে আদেশ প্রদান করেন যে,দি ইউনিভার্সিটি অফ কুমিল্লা পুনরায় শিক্ষা কার্যক্রম চালুকরনের অনুমতি প্রাপ্ত হয়েছেন, দি ইউনিভার্সিটি অফ কুমিল্লা এর সনদ বৈধ, চাকুরী পেতে কোন সমস্যা নেই। ঠিকানা: শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমোদিত একাডেমিক ভবন: ৯/বি পল ওয়েল কর্নেশন, সেকশন -৮, উওরা, ঢাকা ১২৩০,
ট্রাস্ট অফিস: ২২৮/ক, কুড়িল প্রগতি স্বরনী, লেভেল -৩ (দক্ষিণ পাশে) ভাটারা, ঢাকা
১২২৯, email: unicedu.ac
যোগাযোগ
০১৯৭২১১১৭২১
ছাত্র ছাত্রী ভর্তি করে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করার অনুমতি পেয়েছেন। বাংলাদেশ সরকার, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন,সুপ্রিম কোর্ট অনুমতি ও আদেশ প্রদান করেছেন কোন সমস্যা নেই।
দি ইউনিভার্সিটি অফ কুমিল্লার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষগন পুনরায় শিক্ষা কার্যক্রম চালুকরনের অনুমতি আদেশ পাওয়ায় আন্তরিক ভাবে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেছেন।

ভূঞাপুরে দুই মাদক কারবারি আটক: ৫০ পিস ইয়াবা জব্দ

মোঃ মিজানুর সরকার টাঙ্গাইল প্রতিনিধি প্রকাশিত: রবিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৭:০১ এএম
ভূঞাপুরে দুই মাদক কারবারি আটক: ৫০ পিস ইয়াবা জব্দ

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে দুই মাদক কারবারিকে আটক করেছে ভূঞাপুর থানা পুলিশ। তাদের কাছ থেকে ৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়েছে। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে উপজেলার ফসলান্দি এলাকার ইব্রাহীম খাঁ সরকারি কলেজের ২নং গেটের পাশের একটি নির্মাণাধীন দোতলা ভবনে মাদক কেনাবেচার সময় শাকের আলী (৩৭) কে আটক করা হয়। সে ফসলান্দি গ্রামের শুকুর হাজীর ছেলে। অপর জন মুন্নাফ (৫২) মাটিকাটা গ্রামের আনছের আলীর ছেলে, তাকে তার নিজ এলাকা মাটিকাটা থেকে আটক করা হয়। দুই জনকে মাদক দ্রব্য আইনে রবিবার ৭ ডিসেম্বর টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। থানা সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভূঞাপুর থানা পুলিশের একটি অভিযানিক দল দুপুর ১টা ৫০ মিনিটের দিকে ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করেন। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্দেহভাজন এক ব্যক্তি দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে তাকে আটক করা হয়। উপস্থিত সাক্ষীদের সামনে তার দেহ তল্লাশি করা হলে, তার পরিহিত কালো ট্রাউজারের ডান পকেট থেকে একটি সাদা পলিথিনে মোড়ানো ৫০ পিস হালকা কমলা রঙের ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার হয়। ডিজিটাল পরিমাপক যন্ত্রে এর ওজন ৫ গ্রাম এবং আনুমানিক বাজার মূল্য ১৫ হাজার টাকা বলে জানা যায়।স্থানীয় দুই সাক্ষী এবং একজন পুলিশ সদস্যের উপস্থিতিতে জব্দ তালিকা তৈরি করে আলামত জব্দ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে শাকের আলী দাবি করে, এই ইয়াবা ট্যাবলেটগুলি সে মুন্নাফের কাছ থেকে সংগ্রহ করেছে। এই তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ মুন্নাফকেও তার নিজ এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। জানা যায়, আটককৃত উভয় আসামীর বিরুদ্ধেই আগে একাধিক মামলা রয়েছে। শাকের আলীর বিরুদ্ধে মাদক আইনে একটি মামলা রয়েছে। মুন্নাফের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, দ্রুত বিচার আইন এবং দণ্ডবিধির ধারায় মোট পাঁচটি মামলা বিচারাধীন আছে।

স্থানীয়দের দেওয়া তথ্য মতে, এই দুই জন দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত এবং তারা যুবসমাজসহ সাধারণ মানুষকে মাদকের জালে ফেলছে। এ-ই বিষয়ে ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম জানান, মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।

বিনিময়যোগ্য নয় শিশুপ্রাণ: ভূঞাপুরে মানবিকতার টোলবাজি

মোঃ আব্দুল হান্নান মিলন তালুকদার প্রকাশিত: শনিবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ২:৫৭ পিএম
বিনিময়যোগ্য নয় শিশুপ্রাণ: ভূঞাপুরে মানবিকতার টোলবাজি

ভূঞাপুরে যমুনা সেতুর আঞ্চলিক সড়কের জিগাতলা নামক একটি স্থানে সংঘটিত এক করুণ ঘটনা আমাদের জাতীয় বিবেকের মূলে কুঠারাঘাত করেছে। মাত্র দশ বা পাঁচ টাকার জন্য-পথচারীদের, সম্ভবত নিরীহ শিশুদের পর্যন্ত ছুরিকাঘাতের এই চিত্র আমাদের সমাজের এক শ্রেণির মানুষের নৈতিক অবক্ষয়ের যে গভীরতা ও নিষ্ঠুরতার পরিচয় দিয়েছে, তা ভাষাহীন করে দেয়। এ কেবল একটি আইনি অপরাধ নয়, এ হল আমাদের সামষ্টিক মনুষ্যত্বের বিপর্যয়ের প্রতীকী অভিব্যক্তি। যেখানে অবকাঠামো উন্নয়ন ও মানবিকতার বিপর্যয় মিলিত হয় এই নির্মমতা যে স্থানে সংঘটিত, তা নিছক কাকতালীয় নয়। টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর এলাকা দীর্ঘদিন যাবৎ যোগাযোগ ব্যবস্থার চরম দুরবস্থা ও জনদুর্ভোগের কেন্দ্রস্থল। প্রধান মহাসড়কে যানজট এড়াতে উত্তরবঙ্গ থেকে আগত যানবাহনগুলোকে প্রায়শই ভূঞাপুর-এলেঙ্গা আঞ্চলিক সড়কের ২৯ কিলোমিটার পথ ঘুরে যেতে হয়। এই বর্ধিত পথেও পাথাইলকান্দি, সিরাজকান্দি, ন্যাংড়া বাজার, ভূঞাপুর বাসস্ট্যান্ডের মতো এলাকায় যানজট ও ধীরগতির যন্ত্রণা পোহাতে হয় যাত্রী ও চালকদের। এমনকি সাম্প্রতিক সময়েও যমুনা সেতুর আগে ২৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানবাহন ধীরগতিতে ও থেমে থেমে চলাচল করছে। একদিকে প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হলেও দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা রেল সংযোগ, অন্যদিকে দুর্বল তদারকিতে বারবার দূর্ঘটনাকবলিত সেতু-এসব দৃশ্যপট আমাদের সামনে অবকাঠামোগত সাফল্য ও ব্যবস্থাপনাগত ব্যর্থতার এক দ্বৈত চিত্র উপস্থাপন করে। কিন্তু জিগাতলার ঘটনা আমাদের দেখিয়ে দিল, এই ব্যবস্থাপনাগত ও নৈতিক ব্যর্থতা কখনও কখনও রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে পথচারীদের হাতে ছুরে ফেলা উরটাকা ধরতে কমল মতি শিশু দের ব্যাবহার করা হচ্ছে। শিশুটি প্রানের যুকি নিয়ে সে-ই টাকা ধরতে ছুটা ছুটি করতে দেখা যায়। শিশু নিরাপত্তা আজ প্রশ্নের মুখে। দশ টাকার লোভে একজন মানুষের জীবন বিপন্ন করার এই মানসিকতা সমগ্র জাতির জন্য এক ভয়াবহ সতর্কবার্তা। বাংলাদেশে

শিশুদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য যথেষ্ট আইন ও নীতিমালা রয়েছে। কিন্তু আইনের বইয়ের পাতা এবং রাস্তার বাস্তবতার মধ্যে এক দুস্তর পার্থক্য বিদ্যমান। আইন তখনই কার্যকর হয় যখন তা সমাজের প্রতিটি স্তরে মানবিক মূল্যবোধ ও নৈতিক চেতনার ওপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে থাকে। একটি শিশুর জীবনকে দশ টাকার বিনিময়যোগ্য মনে করা যে পতিত মানসিকতার পরিচয় দেয়, তার বিরুদ্ধে কেবল ফৌজদারি বিধিই যথেষ্ট নয়। প্রয়োজন গোটা সমাজের এক ঐক্যবদ্ধ, সাহসী ও নৈতিক অবস্থান।

জিগাতলার ঘটনার মতো যেকোনো নৃশংসতার বিরুদ্ধে শুধু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সীমিত না থেকে সক্রিয় ও জোরালো সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলা খুবই প্রয়োজন।

আমাদের প্রত্যেকের উচিত নিজের আশেপাশের শিশুদের নিরাপত্তার প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখা। পথেঘাটে শিশুর প্রতি সহিংসতার ঘটনা দেখলে তাৎক্ষণিকভাবে কর্তৃপক্ষকে জানানো এবং প্রয়োজনে সামাজিকভাবে বাধা দেওয়া। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে মানবিক মূল্যবোধ, সহমর্মিতা ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধার শিক্ষা জোরদার করা খুবই প্রয়োজন।

এধরণের ঘটনায় দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে, যাতে একটি উদাহরণ স্থাপিত হয় যে শিশুর প্রতি সহিংসতার কোনো সহ্যযোগিতা নেই।ভূঞাপুরের এই করুণ ঘটনা আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়, প্রকৃত উন্নয়ন শুধু সেতু, সড়ক বা রেললাইনে মাপা যায় না। প্রকৃত উন্নয়নের মাপকাঠি হল, একটি শিশু তার বাড়ি থেকে স্কুলে যাওয়ার পথে কতটা নির্ভয়ে ও নিরাপদে হাঁটতে পারে। আসুন, আমরা সম্মিলিত কণ্ঠে বলি-একটি শিশুর প্রাণ, একটি পরিবারের ভবিষ্যৎ, আমাদের জাতির সম্ভাবনা, কোনোভাবেই দশ কিংবা পাঁচ টাকার বিনিময়যোগ্য নয়। আমাদের সমবেত সচেতনতাই পারে এই নৈতিক টোলবাজি রোধ করতে এবং আগামী প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ ও মানবিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে।

টাঙ্গাইলে বিরল দৃষ্টান্ত: বিএনপির মনোনয়ন পেলেন আপন দুই ভাই পিন্টু ও টুকু

মোঃ খন্দকার আউয়াল ভাসানী, টাঙ্গাইল প্রকাশিত: শনিবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৭:০৮ এএম
টাঙ্গাইলে বিরল দৃষ্টান্ত: বিএনপির মনোনয়ন পেলেন আপন দুই ভাই পিন্টু ও টুকু

টাঙ্গাইলের রাজনীতিতে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে এক অভূতপূর্ব ঘটনা—একই দলে আপন দুই ভাইয়ের দলীয় মনোনয়নপ্রাপ্তি। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইলের দুটি গুরুত্বপূর্ণ আসনে দুই ভাইকে প্রতীক ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচনী লড়াইয়ে পাঠিয়েছে। টাঙ্গাইল–২ (ভূঞাপুর–গোপালপুর) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম পিন্টু। দীর্ঘ ১৬ বছরের কারাবরণ শেষে তিনি ইতোমধ্যে “মজলুম জননেতা” হিসেবে এলাকায় বিশেষ পরিচিতি লাভ করেছেন। উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড ও তৃণমূল রাজনীতিতে তার সক্রিয় ভূমিকা মনোনয়নের পর এলাকা জুড়ে রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়িয়েছে। অন্যদিকে টাঙ্গাইল–৫ (সদর) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন তার ছোট ভাই, বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। ছাত্রদল থেকে রাজনীতির দীর্ঘ পথচলায় টুকু বিএনপির মুখপাত্র হিসেবে জাতীয় পর্যায়ে পরিচিত মুখ। তার মনোনয়ন প্রাপ্তিতে দলে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে, বিশেষ করে তরুণ ভোটারদের কাছে তিনি যথেষ্ট গ্রহণযোগ্য নেতা হিসেবে বিবেচিত। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, দুই ভাইয়ের একসাথে মনোনয়ন পাওয়া শুধু টাঙ্গাইলেই নয়, সারাদেশেই ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এ ঘটনাকে বহুজন ‘টাঙ্গাইলের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক বিরল দৃষ্টান্ত’ হিসেবে আখ্যায়িত করছেন।

মনোনয়ন ঘোষণার পর থেকেই ভূঞাপুর, গোপালপুর ও টাঙ্গাইল শহরে বিএনপি সমর্থকদের মধ্যে উৎসবমুখর পরিবেশ দেখা যায়। দলীয় কার্যালয়গুলোতে ভিড়, মিষ্টি বিতরণ এবং শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে কর্মীরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। স্থানীয় নেতাদের আশা—পিন্টু ও টুকুর রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা, জনপ্রিয়তা ও মাঠ-পর্যায়ের কর্মক্ষমতা দলকে সাংগঠনিকভাবে আরও শক্তিশালী করবে এবং টাঙ্গাইলের রাজনৈতিক সমীকরণেও গুরুত্বপূর্ণ বদল আনতে পারে। বিএনপির তৃণমূল মনে করছে, দীর্ঘদিনের আন্দোলন-সংগ্রামের স্বীকৃতি হিসেবেই দুই ভাইয়ের এ মনোনয়ন দলীয় সংগঠনকে সামনে নতুন প্রাণশক্তি দেবে এবং নির্বাচনী প্রস্তুতির ক্ষেত্রেও তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।