রবিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
রবিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

এস. এম. শিমুল, লেখক ও ফিচার কলামিস্ট

উজ্জ্বল আলোকবর্তিকা: খানমরিচ বিএম কলেজ

ডেস্ক নিউজ
ডেস্ক নিউজ প্রকাশিত: রবিবার, ৯ নভেম্বর, ২০২৫, ১০:৫২ এএম | 62 বার পড়া হয়েছে
উজ্জ্বল আলোকবর্তিকা: খানমরিচ বিএম কলেজ

“এসো নবীন দলে দলে —
বিএম কলেজের পতাকা তলে”
এই আহ্বান আজ বাস্তবে রূপ নিচ্ছে ভাঙ্গুড়া উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত খানমরিচ বিএম কলেজে, যেখানে শিক্ষা শুধু পাঠ্যপুস্তকে সীমাবদ্ধ নয় — বরং মিশে গেছে প্রকৃতি, নান্দনিকতা ও মানবিক মূল্যবোধের সঙ্গে।
শিক্ষার সবুজ বাতায়ন : ভাঙ্গুড়া উপজেলার অন্তর্গত এই প্রতিষ্ঠানটি যেন প্রকৃতির কোলে লালিত এক স্বপ্নবীথি। কলেজ প্রবেশ মুখেই কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া, আর রঙিন ফুলে ভরা পরিবেশ ছাত্রছাত্রীদের মনকে করে প্রফুল্ল ও মনোযোগী। শিক্ষার্থীরা এখানে শুধু কারিগরি জ্ঞানই নয়, শিখছে মানুষ হওয়ার পাঠও।
কলেজের প্রতিটি প্রাঙ্গণ যেন শিক্ষার মন্দির — যেখানে বইয়ের পাতার সঙ্গে মিশে আছে ফুলের সুবাস ও প্রকৃতির সৌন্দর্য।
কারিগরি শিক্ষায় উৎকর্ষের প্রতীক:
প্রতিষ্ঠার পর থেকেই খানমরিচ বিএম কলেজ নিজেকে ভাঙ্গুড়া উপজেলার কারিগরি শিক্ষার শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
বিগত কয়েক বছর ধরে প্রতিষ্ঠানটি বোর্ড পরীক্ষায় অসাধারণ সাফল্য অর্জন করে সরকারি স্বীকৃতি ও পুরস্কার লাভ করেছে।
কলেজের শিক্ষকবৃন্দ নিয়মিত ক্লাস পরিচালনা করেন নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে। এরই ফল — প্রতিটি ব্যাচে উৎকৃষ্ট ফলাফল ও শৃঙ্খলাপূর্ণ শিক্ষার্থীসমাজ।
প্রতিষ্ঠাতার দূরদৃষ্টি ও নেতৃত্ব:
এই প্রতিষ্ঠানের স্বপ্নদ্রষ্টা ডা. মোঃ আমজাদ হোসেন, যিনি শিক্ষা ও মানবকল্যাণের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন।
তার হাত ধরেই তৃণমূলে শুরু হয়েছিল এই কারিগরি শিক্ষার যাত্রা — যাতে এলাকার ছেলে-মেয়েরা সময়োপযোগী শিক্ষা অর্জন করে আত্মনির্ভর হতে পারে।
প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ মোঃ মোফাজ্জল হোসেন সাগর – তার মেধা, প্রজ্ঞা ও নিবেদিত নেতৃত্বে কলেজটিকে আজকের অবস্থানে নিয়ে এসেছেন।
তার মনণশীল চিন্তা-চেতনা ও উন্নয়নমনস্ক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে আজ কলেজটি ফুলে ফুলে সুশোভিত — যেন জ্ঞানের এক বাগান, যেখানে শিক্ষার্থীরা জ্ঞানচর্চার পাশাপাশি অনুভব করে ফুলের সুবাস ও প্রকৃতির ছোঁয়া।
নবীনদের প্রতি আহ্বান:
প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে নবীন শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান—
“এসো নবীন দলে দলে, বিএম কলেজের পতাকা তলে।
নিয়মিত ক্লাস করো, মনোযোগ দিয়ে পড়ো —
সাফল্য তোমার নাগালেই।”
যারা এই কলেজে ভর্তি হতে চায়, তাদের জন্য এটি হতে পারে জীবনের একটি সঠিক পদক্ষেপ — একটি ভবিষ্যৎমুখী সিদ্ধান্ত।
খানমরিচ বিএম কলেজ আজ শুধু একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নয়, বরং ভাঙ্গুড়া উপজেলার শিক্ষাক্ষেত্রে এক উজ্জ্বল আলোকবর্তিকা।
এখানে শিক্ষা মানেই জীবন গঠনের উপকরণ, আর শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সম্পর্ক যেন পরিবারের মতো আন্তরিক।
যেমনটি প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ স্বপ্ন দেখেছিলেন —
“শিক্ষা হবে জীবনের জন্য, পরীক্ষার জন্য নয়।”
ভাঙ্গুড়ার মানুষ গর্বিত এই প্রতিষ্ঠানকে ঘিরে; আর শিক্ষার্থীদের মুখে প্রতিধ্বনিত হয় একটাই স্লোগান —
“খানমরিচ বিএম কলেজ মানেই গুণগত শিক্ষা, নৈতিকতার পাঠ।”

এস. এম. শিমুল, লেখক ও ফিচার কলামিস্ট

মো : রাজিকুল ইসলাম, ​সিংড়া (নাটোর) প্রতিনিধি

সিংড়ায় প্রফেসর সাইদুর রহমানের পক্ষে জামায়াতের উঠান বৈঠক

মো : রাজিকুল ইসলাম, ​সিংড়া (নাটোর) প্রতিনিধি প্রকাশিত: রবিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১০:৫৮ এএম
সিংড়ায় প্রফেসর সাইদুর রহমানের পক্ষে জামায়াতের উঠান বৈঠক

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নাটোর-৩ (সিংড়া) আসনে জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থীর উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সিংড়া উপজেলার ১২ নং রামানন্দ খাজুরা ইউনিয়নের ভোগা গ্রামে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

​১২ নং রামানন্দ খাজুরা ইউনিয়ন ৮নং ওয়ার্ড জামায়াতের উদ্যোগে আয়োজিত এই উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী প্রফেসর সাইদুর রহমান। ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর হাবিবুর রহমান এর সভাপতিত্বে এবং ইউনিয়ন যুব জামায়াতের সভাপতি শহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভাটি পরিচালিত হয়।
​অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের শূরা ও কর্মপরিষদ সদস্য আফছার আলী, উপজেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক আ ব ম আমান উল্লাহ, উপজেলা সেক্রেটারী অধ্যাপক এনতাজ আলী সহ উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ।

​সভায় বক্তারা আগামী নির্বাচনে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে ন্যায় এবং ইনসাফ এর প্রতীক দাঁড়িপাল্লাকে বিজয়ী করার মধ্য দিয়ে দুর্নীতি চান্দাবাজ ও বৈষম্য মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। এছাড়াও এলাকার বিভিন্ন সমস্যা ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন এবং আসন্ন সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী প্রফেসর সাইদুর রহমানের পক্ষে সাধারণ মানুষের কাছে সমর্থন ও দোয়া কামনা করেন।

প্রকাশকঃ কামরুন নেছা তানিয়া

হ্নীলা নৌবাহিনীর অভিযানে বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র ও গ্রেনেড উদ্ধার

প্রকাশকঃ কামরুন নেছা তানিয়া প্রকাশিত: রবিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১০:৫৫ এএম
হ্নীলা নৌবাহিনীর অভিযানে বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র ও গ্রেনেড উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক: টেকনাফের হ্নীলায় নৌবাহিনীর বিশেষ অভিযানে বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার রাতে হ্নীলা ইউনিয়নের ৬নম্বর ওয়ার্ডের উলুচামারি কোনাপাড়া এলাকার শির্ষ সন্ত্রাসী মিজান ওরফে লম্বা মিজানের বাড়ীতে এ অভিযান চালানো হয়।
মিজান ওরফে লম্বা মিজানের বসতবাড়িতে বিপুল অস্ত্র মজুদ রয়েছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে নৌবাহিনীর বিশেষায়িত ফোর্স সোয়াডস এবং নৌবাহিনী কনটিনজেন্ট টেকনাফ যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করে।
১টি বিদেশি ও ২টি দেশি পিস্তল, ১টি একনলা বন্দুক,১০ টি গ্রেনেড,গোলাবারুদসহ দেশী ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধার করা অস্ত্র ও গোলাবারুদ পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য টেকনাফ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

ময়মনসিং জেলা প্রতিনিধি মোঃ আবুল কালাম

মুক্তাগাছায় জনতার মুখোমুখি এডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ

ময়মনসিং জেলা প্রতিনিধি মোঃ আবুল কালাম প্রকাশিত: রবিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১০:৫৩ এএম
মুক্তাগাছায় জনতার মুখোমুখি এডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ

ময়মনসিংহ-৫ (মুক্তাগাছা) আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের সেক্রেটারি এডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ শনিবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে মুক্তাগাছা পৌর শহরের লক্ষীখোলা এলাকায় জনতার মুখোমুখি হন। নারী-পুরুষসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ তাকে ঘিরে তাদের অভাব-অভিযোগ ও প্রত্যাশার কথা তুলে ধরেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা মৌখিকভাবে উন্নয়ন, শিক্ষা, কর্মসংস্থান, দুর্নীতি, জাতীয় রাজনৈতিক সংকট এবং মুক্তাগাছার দীর্ঘদিনের অবহেলিত সমস্যাগুলো নিয়ে প্রশ্ন করেন। প্রতিটি প্রশ্ন মনোযোগ দিয়ে শোনার পর তিনি তার পরিকল্পনা, প্রতিশ্রুতি ও বাস্তব সমস্যাগুলোর সমাধানে সম্ভাব্য কৌশল তুলে ধরেন।

এড. মতিউর রহমান আকন্দ বলেন—
“মুক্তাগাছার উন্নয়ন থেমে থাকবে না। দীর্ঘদিন ধরে যেসব সমস্যা অবহেলিত আছে, সেগুলোকে অগ্রাধিকার দিয়ে সমাধান করতে চাই। জনগণের সঙ্গে সরাসরি মতবিনিময়ই পরিবর্তনের পথ দেখায়।”

মাদক ও দুর্নীতি বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে তিনি বলেন—
“মাদক একটি পরিবারই নয়, পুরো সমাজকে ধ্বংস করে। এজন্য পরিবার, সমাজ এবং রাষ্ট্রকে সমন্বিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করাই আমার অবস্থান।”

শিক্ষা ও কর্মসংস্থান প্রসঙ্গে তিনি বলেন—
“যুব সমাজকে দক্ষ করে তোলা ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব নয়। মুক্তাগাছায় কারিগরি শিক্ষা সম্প্রসারণ ও তরুণদের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে হবে।”

জনতার সঙ্গে এ ধরনের উন্মুক্ত মতবিনিময় স্থানীয়দের মধ্যে ইতিবাচক সাড়া ফেলেছে। অনেকেই মনে করছেন, সাধারণ মানুষের সমস্যা ও প্রত্যাশাকে সামনে রেখে নেতার এভাবে সরাসরি কথা বলা রাজনৈতিক আস্থাকে আরও দৃঢ় করবে।