বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ২৮ কার্তিক ১৪৩২
বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ২৮ কার্তিক ১৪৩২

বান্দরবান প্রতিনিধি

উপজাতি সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনার দাবি

বান্দরবান প্রতিনিধি প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর, ২০২৪, ৪:৩৬ পিএম | 125 বার পড়া হয়েছে
উপজাতি সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনার দাবি

পার্বত্য চট্টগ্রামে স্থায়ী শান্তি, শৃঙ্খলা ও সকল সম্প্রদায়ের জনগণের নিরাপত্তার জন্য সেনাবাহিনীকে যথাযথ ক্ষমতা দিয়ে ও অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীকে শক্তিশালী করে যৌথ অভিযানের মাধ্যমে সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী গুলোর হাত থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করে পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ফিরিয়ে আনতে বর্তমান সরকারকে কার্যকরী ভূমিকা গ্রহণের দাবি পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ বান্দরবান পার্বত্য জেলা শাখার।

বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) দুপুর ৩.০০টায় বান্দরবান জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবরে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের পক্ষে জেলা সভাপতি আসিফ ইকবাল ও সাধারণ সম্পাদক হাবিব আল মাহমুদের স্বাক্ষরিত স্মারকলিপি টি বান্দরবান জেলা প্রশাসকের নিকট প্রদান করা হয়।

স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, খাগড়াছড়ি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক আবুল হাসান মুহাম্মদ সোহেল রানা। ২০২১ সালে তার বিরুদ্ধে এক পাহাড়ি ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে খাগড়াছড়ির উপজাতীয় আঞ্চলিক সশস্ত্র সংগঠন ইউপিডিএফ সোহেল রানার বিচার দাবি করে।

ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষক সোহেল রানার বিরুদ্ধে ধর্ষিতা ছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে খাগড়াছড়ি সদর থানায় মামলা করে। মামলার প্রেক্ষিতে ২০২১ সালের ৩ মার্চ তারিখে সোহেল রানা ঢাকায় গ্রেফতার হন। এরপর তিনি কারাগারে ছিলেন।

খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল বাতেন মৃধার তথ্য অনুযায়ী, বেশ কিছুদিন ধরেই শিক্ষক সোহেল রানাকে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছিল পাহাড়ি ছাত্রছাত্রীরা। বেশ কয়েক বছর আগে সোহেল রানার বিরুদ্ধে এক পাহাড়ি ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে মামলা হয়েছিল। ওই ছাত্রী আদালতে এসে সাক্ষ্য দেয় তিনি কোন ধর্ষণের শিকার হননি। পাহাড়ি সংগঠন ইউপিডিএফ এর চাপে মামলা করেছে মর্মে সাক্ষ্য দিলে সোহেল রানা খালাস পান এবং চাকরিতে যোগদান করেন। সোহেল রানা চাকরিতে যোগদানের পর থেকে পাহাড়ি ছাত্ররা তার বিরুদ্ধে ছাত্রীদের যৌন হয়রানির নানা অভিযোগ এনে প্রত্যাহার দাবি করে আসছিল। ১ অক্টোবর মঙ্গলবার শিক্ষক সোহেল রানা বিদ্যালয় এলে ত্রিপুরা এক ছাত্রীকে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ এনে শিক্ষককে হত্যা করা হয়।

শিক্ষক সোহেল রানার পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, পাহাড়িদের প্রতিবাদের মুখে তিনি বিদ্যালয় রিলিজ অর্ডার নিতে এসেছিলেন। কিন্তু তাকে সেই সুযোগ দেয়া হলো না।

এবার বলুন রহস্যটা কোথায়? ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগ এনে উপজাতি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর চাপে এক অসহায় বাবা সোহেল রানার বিরুদ্ধে মামলা করেন। অথচ যাকে ধর্ষিতা বলা হচ্ছে তিনি নিজেই আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেন তিনি ধর্ষিতা নন। অভিযুক্ত ব্যক্তি নির্দোষ।

কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে যথাযথ প্রক্রিয়ায় সোহেল রানা চাকরিতে বহাল হন। কিন্তু, তাতে বাধা দিচ্ছিল সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন ইউপিডিএফ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তাকে অন্যত্র বদলি করা হয়। ১অক্টোবর মঙ্গলবার তিনি রিলিজ অর্ডার নিতে বিদ্যালয়ে যান। সেখানে একই সময়ে ছাত্রী ধর্ষণ কতটুকু যৌক্তিক? পূর্বেও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, কিন্তু তিনি আদালত কর্তৃক নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছেন। তাহলে মিথ্যা অভিযোগ এনে তাকে হত্যা করা এটি কিসের ইঙ্গিত বহন করে?

মূলত ১ অক্টোবর (মঙ্গলবার) শিক্ষক হত্যার ঘটনাটি অত্যান্ত সুপরিকল্পিত। চুরির অপবাদে খাগড়াছড়ি সদরের শালবাগানের বাসিন্দা ফার্নিচার ব্যবসায়ী মামুনকে হত্যা, এই হত্যাকান্ড নিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হলেও স্বার্থ হাসিলে ব্যর্থ পাহাড়ি উপজাতীয় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। গতকাল মঙ্গলবার ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষক হত্যা। মোটকথা উপজাতি ষড়যন্ত্রকারীরা অত্যান্ত সুপরিকল্পিতভাবে পাহাড়কে অশান্ত রাখতে চাইছে। নচেৎ, এভাবে বিভিন্ন অপবাদ এনে বাঙালি হত্যার কোন অর্থ নেই।

চোর, ধর্ষক, খুনি- অপরাধী যাই হোক প্রত্যেক অপরাধের বিচারের জন্য দেশের সুনির্দিষ্ট আইন রয়েছে। কিন্তু হঠাৎ করে এভাবে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ায় উপজাতি একটি কুচক্রী মহল ও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের অংশ রয়েছে। এই ষড়যন্ত্রকে যদি রাষ্ট্র অবহেলা করে তবে সামনে পাহাড়ের সাধারণ মানুষের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

পাহাড়ে সাম্প্রতিক সময়ে বিরাজমান পরিস্থিতিকে আরও তুঙ্গে তুলে সাম্প্রদায়িকতার বেড়াজালে নিজেদের আবদ্ধ রেখে দেশভাগের ষড়যন্ত্রের নীলনকশা আরও সুদৃঢ় করতে পাহাড়ি উপজাতি সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী গুলো উঠেপড়ে লেগেছে। বাঙালিদের উপর একের পর এক মিথ্যা অভিযোগ আর অপবাদের মাধ্যমে বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ড গুলো যার প্রমাণ বহন করে।

তাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিকট আমাদের জোর দাবি সঠিক তদন্তের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামে চলমান সহিংসতা ও বিচারবহির্ভূত হত্যায় জড়িত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে হবে। খাগড়াছড়িতে ১৮ সেপ্টেম্বর মামুন হত্যা, ১৯ সেপ্টেম্বর দীঘিনালায় শিক্ষার্থীদের মিছিলে প্রথমে হামলাকারী ও ফাকা গুলি করা ইউপিডিএফের সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনা, ২০ সেপ্টেম্বর রাঙামাটি শহরে সংঘাত ও বৈষম্য বিরোধী পাহাড়ি ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারের আড়ালে সশস্ত্র সংগঠনগুলোর সন্ত্রাসী কর্তৃক প্রথমে বাঙালিদের দোকানপাটে হামলা, মসজিদে হামলাকারী ও বাস, ট্রাক, সিএনজি ভাংচুর ও জ্বালিয়ে দেওয়া উপজাতি সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনতে হবে। এবং পাহাড়ে চলমান অস্থিরতা তৈরিতে মূল উস্কানি দাতা চাকমা সার্কেল চীফ দেবাশীষ রায় ও তার ২য় স্ত্রী ইয়ান ইয়ান সহ সকল উস্কানিদাতের আইনের আওতায় আনতে হবে। অন্যথায় লাগাতার অবরোধ, হরতাল সহ কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম অচল করে দেওয়া হবে।

দিল্লীর ভয়াবহ গাড়ি বিস্ফোরণে,এন আই এ তদন্তের নির্দেশ কেন্দ্রের

কলকাতা থেকে নিউজ দাতা মনোয়ার ইমাম প্রকাশিত: বুধবার, ১২ নভেম্বর, ২০২৫, ১১:২০ পিএম
দিল্লীর ভয়াবহ গাড়ি বিস্ফোরণে,এন আই এ তদন্তের নির্দেশ কেন্দ্রের

 

গতকাল রাতে ভারতের রাজধানী দিল্লিতে ভয়াবহ গাড়ি বিস্ফোরণে প্রায় আটজন মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবং ছয়জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।এই ঘটনার পর কেন্দ্রীয় সরকার এন আই এ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। সেই সঙ্গে অন্যান্য কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা এজেন্টদের কে কাজে লাগিয়েছে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।এই ঘটনার পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও কেন্দ্রীয় স্বরাস্ট্র মন্ত্রী শ্রী অমিত শাহ এবং ভারতের জাতীয় কংগ্রেস এর নেতা শ্রী রাহুল গান্ধী ও পশ্চিম বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়,আর জে ডি নেতা শ্রী তেজস্বী যাদব ও এস পি নেতা অখিলেশ যাদব সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ কড়া নিন্দা জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে দিল্লীর লালকেল্লা এলাকায় গাড়ি বিস্ফোরণের ঘটনায় যুক্ত ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। তবে এই ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত রয়েছে এখনো পর্যন্ত পস্ট নয়। তবে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান জড়িত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করা হয়েছে।এই ঘটনার পর গোটা এলাকা ঘিরে রেখেছে দিল্লি পুলিশ। দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
আহত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছেন। এখনো পর্যন্ত এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সবধরনের সহযোগিতা কামনা করেছেন কেন্দ্রীয় সরকার।

নিয়ামতপুরে ইটভাটা চালু রাখার দাবিতে মালিক-শ্রমিকের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান

মিলন হোসেন (নওগাঁ প্রতিনিধি) প্রকাশিত: বুধবার, ১২ নভেম্বর, ২০২৫, ১১:১৮ পিএম
নিয়ামতপুরে ইটভাটা চালু রাখার দাবিতে মালিক-শ্রমিকের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান

নওগাঁর নিয়ামতপুরে ইটভাটা চালু রাখার দাবিতে মালিক ও শ্রমিকদের অংশগ্রহণে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
‎‎বুধবার (১২ নভেম্বর) সকাল ১১ টায় উপজেলা চত্বর এলাকায় এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
‎‎মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ইটভাটা বন্ধ হয়ে গেলে হাজারো শ্রমিকের জীবিকা বিপন্ন হবে। গ্রামীণ অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি ইটভাটা শিল্প এটি বন্ধ হয়ে গেলে বহু পরিবার কর্মহীন হয়ে পড়বে। সরকার যদি যথাসময়ে অনুমোদন না দেয়, তাহলে শ্রমজীবী মানুষের জীবনযাত্রা কঠিন হয়ে পড়বে।
‎‎মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন দেশ বিকস্ ইটভাটার মালিক মোসাদ্দেক হোসেন, স্টার হাওয়া ইটভাটার মালিক মদিন, আঁখি ব্রিকসের মালিক আঞ্জুমান পাভেল, তিন ভাই ব্রিকসের মালিক রেজাউল ইসলামসহ শ্রমিকবৃন্দ ।
‎‎বক্তারা দ্রুত ইটভাটা চালুর অনুমোদন প্রদানের জন্য সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন, যাতে শীত মৌসুমে উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করে শ্রমিকরা আবারও জীবিকার চাকা ঘুরাতে পারেন।

লালমনিরহাটে কলেজ ছাত্রলীগ নেতা নারায়ণ চন্দ্র রায় গ্রেফতার

চয়ন কুমার রায় লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি প্রকাশিত: বুধবার, ১২ নভেম্বর, ২০২৫, ১১:১৩ পিএম
লালমনিরহাটে কলেজ ছাত্রলীগ নেতা নারায়ণ চন্দ্র রায় গ্রেফতার

 

লালমনিরহাট সদর উপজেলার রাজপুর ইউনিয়নের কলেজ ছাত্রলীগ নেতা নারায়ণ চন্দ্র রায়কে গ্রেফতার করেছে সদর থানা পুলিশ।

বুধবার (১২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজপুর ইউনিয়নের নিজ এলাকার বাজারে বাবার কীটনাশক দোকান থেকে তাকে আটক করা হয়।

গ্রেফতার হওয়া নারায়ণ চন্দ্র রায় মতিলান চন্দ্র রায়ের ছেলে। তিনি লালমনিরহাট সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বলে জানা গেছে। ছাত্র রাজনীতি ও স্থানীয় পর্যায়ে তিনি পরিচিত মুখ।

পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বুধবার সন্ধ্যায় লালমনিরহাট সদর থানার একটি বিশেষ দল অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। তবে কোন অভিযোগ বা মামলার ভিত্তিতে তাকে আটক করা হয়েছে, এ বিষয়ে পুলিশ আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি।