বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ১ কার্তিক ১৪৩২
বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ১ কার্তিক ১৪৩২

তৌহিদুর রহমান শেরপুর প্রতিনিধি

ঝিনাইগাতীর মহারশি নদীর দুই পাড়ে বাঁধ নির্মাণের দাবিতে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ

তৌহিদুর রহমান শেরপুর প্রতিনিধি প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৫, ৬:০৪ পিএম | 49 বার পড়া হয়েছে
ঝিনাইগাতীর মহারশি নদীর দুই পাড়ে বাঁধ নির্মাণের দাবিতে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ

শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার মহারশি নদীর দুই পাড়ে স্থায়ী ও টেকসই বাঁধ নির্মাণের দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করেছে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘ভয়েস অব ঝিনাইগাতী’। ১৬ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিকাল চারটার দিকে স্বাক্ষরনামাসহ এ-সংক্রান্ত একটি স্মারকলিপি জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমানের মাধ্যমে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরাবর জমা দেওয়া হয়েছে।
এর আগে সকাল নয়টা থেকে বিকাল তিনটা পর্যন্ত ঝিনাইগাতী সদর বাজারের প্রধান সড়কের পাশে গণস্বাক্ষর নেওয়া হয়। নদীর আশেপাশের কয়েকটি গ্রামের শত শত বাসিন্দা ও বাজারের ব্যবসায়ীসহ সর্বস্তরের প্রায় সাড়ে তিন হাজার মানুষ তাদের স্বাক্ষরের মাধ্যমে দীর্ঘদিনের এ দাবি তুলে ধরেন।
এসময় আয়োজক সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও ইউপি সদস্য মো. জাহিদুল হক মনিরের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন শেরপুরের বিশিষ্ট সমাজসেবী, শেরপুর ডায়াবেটিক হাসপাতালের সভাপতি রাজিয়া সামাদ ডালিয়া, জনউদ্যোগ আহবায়ক আবুল কালাম আজাদ, সদস্য সচিব হাকিম বাবুল, শেরপুর সরকারি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক আব্দুল কাদির, ঝিনাইগাতী ক্ষুদ্র বণিক সমবায় সমিতির সভাপতি মোখলেসুর রহমান খান, আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল কাশেম প্রমুখ।
পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরাবর দেওয়া স্মারকলিপি উল্লেখ করা হয়েছে, প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও মহারশি নদীর তীব্র ¯্রােতের কারণে নদীর দুই পাড়ে ব্যাপক ভাঙন দেখা দেয়, যা এলাকার ঘরবাড়ি, ফসলি জমি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় ভয়াবহ ক্ষতির সৃষ্টি করে। একইসাথে ঝিনাইগাতী উপজেলা পরিষদসহ সদর বাজার ক্ষতিগ্রস্থ হয়। বিগত কয়েক বছরে মহারশি নদীর ভাঙনে উপজেলার ঝিনাইগাতী সদর, রামেরকুড়া, খৈলকুড়া, দিঘিরপাড়, বনগাঁও, চতল, মরিয়মনগর, কালীনগর, বন্দভাটপাড়া, আহমদ নগর, গজারিকুড়া, ভাটপাড়া, রামনগর, বৈরাগীপাড়া গ্রামের শত শত পরিবার সরাসরি ক্ষতির মুখে পড়েছে। বিগত তথ্য অনুযায়ী গত এক দশকে ৫ শতাধিক ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন ও ভেঙে গেছে, প্রায় সহ¯্রাধিক মাছের খামার ও ঘের ভেসে গেছে। প্রায় ৫০ টি মুরগীর খামার ভেসে গেছে, প্রায় ১০ হাজার একরের বেশি আবাদি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, একাধিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও সড়ক ভেঙে গেছে, প্রতি বর্ষা মৌসুমে গড়ে ৫ হাজারের বেশি পরিবারের সদস্যরা মানবেতর জীবনযাপন করেন, ঝিনাইগাতী বাজার ও আশপাশের অন্তত শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান প্রতিবছর নদীভাঙনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এতে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, বর্তমানে মহারশি নদী এলাকার অনেক গ্রামের জন্য স্থায়ী হুমকিতে পরিণত হয়েছে। অস্থায়ী বালুর বস্তা বা কাঁচা বাঁধ দিয়ে কিছুদিনের জন্য পরিস্থিতি সামাল দেওয়া গেলেও তা দীর্ঘমেয়াদে কার্যকর নয়। প্রতিবছর একই দুর্ভোগে পড়া আমাদের পক্ষে আর সম্ভব নয়। নদীর তীর সংরক্ষণ ও জনজীবন রক্ষার্থে মহারশি নদীর উপর একটি স্থায়ী ও টেকসই বাঁধ নির্মাণ করা হলে ফসলি জমি ও ঘরবাড়ি নদীভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পাবে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নিরাপদ থাকবে, ঝিনাইগাতী বাজার ও আশপাশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রক্ষা পাবে, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন সাধিত হবে, জনগণের জীবনমান ও স্থানীয় অর্থনীতি টেকসই হবে।
আয়োজক সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও ইউপি সদস্য মো. জাহিদুল হক মনির বলেন, বর্ষা মৌসুমে মহারশি নদীর পানি বৃদ্ধি পেলে দুই পাড়ের কয়েকটি গ্রাম নিয়মিতভাবেই প্লাবিত হয়। এতে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, ফসল, ঘরবাড়ি ও যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক ক্ষতি হয়। এসব দুর্ভোগ থেকে রেহাই পেতে নদীর দুই পাড়ে টেকসই ও স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ অত্যন্ত জরুরি। এ নদীর টেকসই ও স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ ঝিনাইগাতীবাসীর প্রাণের দাবি। এ দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা ধারাবাহিকভাবে আরও কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন।
এ বিষয়ে শেরপুরের জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি ও স্বাক্ষরনামা প্রেরণ করে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, সর্বশেষ গত ১৮ সেপ্টেম্বর মহারশি নদীর ব্রীজ সংলগ্ন খৈলকুড়া এলাকায় নদীর বাঁধ ভেঙে অন্তত ১০টি গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। একই সঙ্গে নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পাড় উপচে ঝিনাইগাতী উপজেলা সদর বাজারে পানি প্রবেশ করে। এতে এক মুহূর্তে ভেসে যায় অন্তত ৯টি পরিবারের বসতভিটা। ভেঙে পড়ে বিদ্যুতের খুঁটি, ভেসে যায় ৫০টিরও বেশি মাছের ঘের। পানিতে সম্পূর্ণ নিমজ্জিত হয় ৩৪৫ হেক্টর জমির আমন ধান ও ১০ হেক্টর সবজি খেত এবং আংশিকভাকে নিমজ্জিত হয় ৫৭৫ হেক্টর জমির আমন ধান ও ২৫ হেক্টর সবজি খেত। এক দিনেই সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছেন অনেক পরিবার।

অবিলম্বে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে মশাল প্রজ্জলন!!

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৫, ১১:২৬ পিএম
অবিলম্বে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে মশাল প্রজ্জলন!!

 

-মোঃআশিকুর সরকার (রাব্বি)
-রাজারহাট কুড়িগ্রামঃ

অবিলম্বে দেশীয় অর্থে তিস্তা মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবিতে কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়ন বুড়ির হাট,তিস্তা নদীর তীরে মশাল প্রজ্বলন করেছে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন।
বৃহস্পতিবার(১৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রংপুর বিভাগের তিস্তা নদীর দুই তীরের ১১টি স্থানে একযোগে এ মশাল প্রজ্বলন কর্মসুচির উদ্বোধন করেন তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক কেন্দ্রীয় বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক উপমন্ত্রী আসাদুল হাবিব দুলু।
এ মশাল প্রজ্বলন কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাই সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি নজরুল ইসলাম হাক্কানী।এছাড়াও রংপুর ডালিয়া এলাকায় কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার হাসান রাজীব প্রধান।
বক্তারা বলে,আগামী ফেব্রুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই নিজস্ব অর্থায়নে তিস্তা মেগা প্রকল্পের কাজ শুরু করতে হবে। অন্যথায় বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলে রংপুরকে অচল করে দেয়ার হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা। এ সময় উক্ত মশাল মিছিলে, লাখো মানুষের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।

‎লালমনিরহাটে জমি দখলে ব্যর্থ হামলাকারী জাহাঙ্গীর আলম মাস্টার গ্রেফতার!!

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৫, ১১:২২ পিএম
‎লালমনিরহাটে জমি দখলে ব্যর্থ হামলাকারী জাহাঙ্গীর আলম মাস্টার গ্রেফতার!!

 

 

চয়ন কুমার রায়
‎লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি

 

লালমনিরহাটে জমি দখলে ব্যর্থ হামলায় দুইজন আহত ও একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ৭ জনসহ ২০/২২ জন অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে লালমনিরহাট সদর থানায় একটি মামলা দায়ের হওয়ায় পুলিশ জাহাঙ্গীর আলম মাস্টারকে গ্রেফতার করেছেন।

‎মামলার বিবরণে জানা যায়, সদর উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়নের রতিপুর গ্রামের এরশাদুল হক দুদুর সাথে হাড়ীভাঙ্গা আরডিআরএস অফিসের পূর্ব পার্শ্বের জাহাঙ্গীর আলম মাস্টারের সাথে জমিজমা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল।

‎এরেই জের ধরে বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ১০টায় জাহাঙ্গীর আলম মাস্টার (৫২), রতিপুর বসুনিয়াপাড়া গ্রামের আলমগীর (৪৭), মাহফুজ (৪৯), হাছান আলী (৩০), হাবিব (২৭), শফিকুল (৫০), ও জাহেদুল ইসলাম (৫০) সহ ২০/২২জন অজ্ঞাতনামা ব্যাক্তি হাতে লাঠিসোটা, লোহার রড, ধারালো ছোড়া, দেশীয় অস্ত্রে স্বস্ত্রে সজ্জিত হয়ে দলবদ্ধ ভাবে রতিপুর গ্রামে দুদুর ভোগ দখলীয় জমি দখলের চেষ্টায় টিনের চালা ঘর ভাংচুর চালান। এতে দুদু বাঁধা নিষেধ করলে তাকে এলোপাতাড়ীভাবে মারপিটে মাথা ও পা সহ শরীরের বিভিন্নস্থানে ছেলা ফুলা হাড় ভাঙ্গা জখম সৃষ্টি হয়। এমনকি তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গলাটিপে ধরায় তার আত্মচিৎকারে ছেলে হৃদয় বাবাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে তার দুই পায়ে এলোপাতাড়ীভাবে মারপিটে ছেলা ফুলা ও রক্তাক্ত জখম হয়।

‎ছেলে হৃদয়ের আত্মচিৎকারে তার মা বিথী বেগম এগিয়ে আসলে তাকেও চুলের মুঠি ধরিয়া টানাহেচরা করে এবং শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাত করে কাপড় টানাহেচরা করে শ্রীলতাহানী ঘটায়।

‎ওই সময় হামলাকারী জাহাঙ্গীর আলম মাস্টার গংরা বিথী বেগমের গলায় থাকা ১ভরি ওজনের স্বর্নের চেইন, যার মূল্য ২লক্ষ ১৫ হাজার টাকা। কানে থাকা ৮আনা ওজনের স্বর্নের দুল, যার মূল্য ১লক্ষ ৭হাজার ৫শত টাকা জোর পূর্বক ছিনাইয়া নেয়।

‎এতে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে চলে যান। পরে এলাকাবাসী আহত দুদু ও তার ছেলে হৃদয়কে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তৃতীয় তলা, বেড নং-৩৩ ও ৩৬, ভর্তির তারিখ-১৫/১০/২৫।

‎এ ঘটনায় এরশাদুল হক দুদুর ভাতিজা ওয়ালি উল্লাহ বাদী হয়ে ওই ৭ জনসহ ২০/২২ জন অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে লালমনিরহাট সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-জিআর ৬১২/২৫। তারিখ-১৫/১০/২৫। এ মামলা দায়ের পর ১নং আসামী জাহাঙ্গীর আলম মাস্টারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

‎এ বিষয়ে লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ নুরনবী বলেন, জমি নিয়ে মারামারির ঘটনায় জাহাঙ্গীর নামের একজনকে গ্রেফতার করে আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে। অন্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

সোনাতলায় পুলিশ ও র‌্যাবের যৌথ অভিযানে অপহরণের ১৬ দিন পর স্কুল ছাত্রী উদ্ধার, অভিযুক্ত জেল হাজতে

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৫, ৯:৪৬ পিএম
সোনাতলায় পুলিশ ও র‌্যাবের যৌথ অভিযানে অপহরণের ১৬ দিন পর স্কুল ছাত্রী উদ্ধার, অভিযুক্ত জেল হাজতে

 

ফয়সাল আহম্মেদ, সোনাতলা (বগুড়া):

বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার বালুয়া ইউনিয়নের মহিষাবাড়ী গ্রাম থেকে অপহৃত ১০ম শ্রেণির স্কুল ছাত্রীকে সিরাজগঞ্জ জেলা থেকে উদ্ধার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বুধবার (১৫ অক্টোবর) বিকেলে র‌্যাব-১২ সিরাজগঞ্জ ক্যাম্প ও সোনাতলা থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে ওই স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ৩০ সেপ্টেম্বর সকালে উপজেলার বালুয়াহাট নামক এলাকায় প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার পথে ওই ছাত্রীকে জোরপূর্বক অপহরণ করে নিয়ে যায় স্থানীয় মিল্লাত প্রাং ও তার সহযোগীরা। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীর পিতা মোঃ আব্দুল মতিন সোনাতলা থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করেন। অপহরনকারী মিল্লাত একই গ্রামের ঠান্ডু প্রামানিকের ছেলে।
এজাহারের ভিত্তিতে পুলিশ ও র‌্যাবের যৌথ অভিযান শুরু হয়। দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর অবশেষে সিরাজগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়।
আজ বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) মামলার প্রধান আসামি মিল্লাত প্রাং-কে আদালতে সোপর্দ করলে বিচারক তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
সোনাতলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রওশন কবির জানান, “র‌্যাব-১২ এর সহযোগিতায় মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে চিকিৎসা ও আইনগত প্রক্রিয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত আছে।”

অপহৃত কন্যার পরিবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে এবং দ্রুত বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে।
স্থানীয়দের মতে, এই ঘটনায় এলাকায় স্বস্তি ফিরে এসেছে, তবে স্কুল ছাত্রী ও তার পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের নজরদারি অব্যাহত রাখার প্রয়োজন রয়েছে।

সোনাতলা (বগুড়া) প্রতিনিধি
ফয়সাল আহম্মেদ
মোবা: ০১৯১২-৯৯৯২৪৭
তাং- ১৬/১০/২০২৫ ইং