রবিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
রবিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

মো. শাহজাহান বাশার, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার

মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফে গাউসুল আযম বাবাভাণ্ডারী (ক:)’র ১৬০তম খোশরোজ শরীফে লাখো মানুষের ঢল

ডেস্ক নিউজ
ডেস্ক নিউজ প্রকাশিত: বুধবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৫, ৩:৫৮ পিএম | 143 বার পড়া হয়েছে
মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফে গাউসুল আযম বাবাভাণ্ডারী (ক:)’র ১৬০তম খোশরোজ শরীফে লাখো মানুষের ঢল

উপমহাদেশের প্রখ্যাত আধ্যাত্মিক সাধক হযরত গাউসুল আযম শাহসুফি সৈয়দ গোলামুর রহমান বাবাভাণ্ডারী (ক.)-এর ১৬০তম খোশরোজ শরীফ চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির ঐতিহাসিক মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফে তিনদিনব্যাপী ব্যাপক কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। আঞ্জুমানে রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়াসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও ধর্মীয় সংগঠনের ব্যবস্থাপনায় কর্মসূচির মধ্যে ছিল:খতমে কোরআন, খতমে গাউসিয়া ও রওজায় গিলাফ ছড়ানো,ফ্রি চিকিৎসা সেবা,ছেমা কাওয়ালী,ওয়াজ-মিলাদ মাহফিল,তবারক বিতরণ তিনদিনব্যাপী আয়োজনে পুরো দরবার প্রাঙ্গণ মুখরিত হয়ে ওঠে ‘নারায়ে তাকবীর–আল্লাহু আকবার’, ‘নারায়ে রিসালাত–ইয়া রাসুলাল্লাহ (দঃ)’ ও ‘আল্লাহু আল্লাহু’ ধ্বনিতে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত ধর্মীয় আবেগে উদ্বেল ভক্তরা আধ্যাত্মিক পরিবেশে আত্মনিবেদনে মগ্ন থাকেন।

আজ মঙ্গলবার, খোশরোজ শরীফের শেষ দিনে আখেরি মোনাজাতে আল্লাহর দরবারে ক্ষমা, হেদায়েত ও শান্তির আকুতি জানিয়ে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর মঙ্গল কামনার পাশাপাশি ফিলিস্তিনসহ বিশ্বের নির্যাতিত মানুষের শান্তি, নিরাপত্তা ও মুক্তি কামনা করা হয়। আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীন হযরত শাহ সুফি সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী (মা.জি.আ.)। এই সময় লাখো কন্ঠে উচ্চারিত হয় আমীন আমীন ধ্বনী।

মাহফিলে সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি-বিএসপি চেয়ারম্যান হযরত শাহ সুফি সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী (মা.জি.আ.) বলেন, হাজার বছরের ধর্মীয় সহনশীলতা ও সম্প্রীতির ঐতিহ্য ধারন করে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে। এই সম্প্রীতির ভিত্তি রচনা করেছেন আউলিয়ায়ে কেরাম। তাঁরা জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে ভালোবাসার শিক্ষা দিয়েছেন। তাসাউফের আলোকে তাঁরা এমন একটি সমাজ গঠন করেছেন, যেখানে হিংসা নেই, বিদ্বেষ নেই—আছে মানবতা, ভালোবাসা ও নিরাপত্তাবোধ।

তিনি আরও বলেন, মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফের মাশায়েখগণ তিন শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে মানুষের আত্মিক উন্নয়ন ও সামাজিক শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছেন। যতদিন এ তাসাউফের দর্শন টিকে থাকবে, ততদিন সমাজে শান্তি থাকবে এবং উগ্রবাদ মাথাচাড়া দিতে পারবে না।

তিনি এই মাহফিলকে কেবল একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয় বরং একটি “আধ্যাত্মিক আন্দোলন” হিসেবে উল্লেখ করে বলেন,
এখানে আগত লাখো ভক্ত কেবল প্রার্থনায় অংশ নেন না, বরং আত্মশুদ্ধি ও নৈতিক উন্নয়নের অঙ্গীকারে নিজেকে সমর্পণ করেন। এ দরবারে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলে এক আত্মিক বন্ধনে আবদ্ধ হন, যেখানে শুধু ভালোবাসা, সহমর্মিতা ও মানবতার বাণী উচ্চারিত হয়।

খোশরোজ শরীফ মাহফিলে বিশেষ অতিথি ছিলেন মইনীয়া যুব ফোরামের প্রধান উপদেষ্টা শাহজাদা সৈয়দ মেহবুবে মইনুদ্দীন (মা.জি.আ.),সভাপতি শাহজাদা সৈয়দ মাশুক এ মইনুদ্দীন, আঞ্জুমানে রহমানিয়া মইনিয়া মাইজভাণ্ডারীয়ার সাধারণ সম্পাদক খলিফা শাহ মোহাম্মদ আলমগীর খান মাইজভাণ্ডারী।

মাহফিল সঞ্চালনা করেন মাওলানা রুহুল আমিন ভূঁইয়া। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের নেতৃবৃন্দ, দেশবরেণ্য পীর-মাশায়েখ, আলেম-ওলামা।

নির্বাহী সম্পাদকঃ অঞ্জনা চৌধুরী

কাজিপুর উপজেলায় যমুনা নদীতে নতুন চর জেগে ওঠায় নাব্যতা সংকট দেখা দিয়েছে

নির্বাহী সম্পাদকঃ অঞ্জনা চৌধুরী প্রকাশিত: রবিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১২:০২ পিএম
কাজিপুর উপজেলায় যমুনা নদীতে নতুন চর জেগে ওঠায় নাব্যতা সংকট দেখা দিয়েছে

সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলায় যমুনা নদীতে নতুন চর জেগে ওঠায় নাব্যতা সংকট দেখা দিয়েছে, যা মনসুরনগর চরের শিক্ষার্থীদেরসহ স্থানীয়দের যাতায়াতে চরম ভোগান্তি সৃষ্টি করছে; বিশেষ করে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যেতে ও স্কুলে যেতে তাদের ডুবোচরের উপর দিয়ে হেঁটে যেতে হচ্ছে, যা একটি বড় সমস্যায় পরিণত হয়েছে।
মূল সমস্যা: শুষ্ক মৌসুমে জেগে ওঠা অসংখ্য ডুবোচর যাতায়াতে বাধা দিচ্ছে।
প্রভাব: ছাত্রছাত্রী, রোগীসহ সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।
উদাহরণ: মনসুরনগর চরের লোকজন কাজিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যেতে ও শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে যেতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।

রুহুল আমিন রুকু, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ

কুড়িগ্রামে যথাযোগ্য মর্যাদায় হানাদার মুক্ত দিবস পালিত

রুহুল আমিন রুকু, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ প্রকাশিত: রবিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১১:৫০ এএম
কুড়িগ্রামে যথাযোগ্য মর্যাদায় হানাদার মুক্ত দিবস পালিত

কুড়িগ্রামে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে ৬ ডিসেম্বর হানাদার মুক্ত দিবস। এ দিবস পালন উপলক্ষ্যে সকালে হানাদার মুক্ত দিবসের বিজয় মিছিল,পুস্প্যমাল্য অর্পন ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ মূলক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জানা যায়, ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর কুড়িগ্রাম হানাদার মুক্ত হয়। এই দিন মুক্তিযোদ্ধাদের প্রবল চাপের মুখে পাকিস্তানি সেনারা পরাজয় মেনে নিয়ে কুড়িগ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যায়। ৬ ডিসেম্বর কুড়িগ্রাম হানাদার মুক্ত দিবস। কোম্পানি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুল হাই সরকার বীর প্রতীকের নেতৃত্বে কুড়িগ্রাম ওভারহেড পানির টাংকির উপর প্রথম স্বাধীনতার বিজয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
এই দিবসের শুরুতে সকাল ৯ টায় একটি বিজয় মিছিল কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স হতে বেড় হয়ে শহর পদক্ষিন করে। পরে কলেজ মোড় স্বাধীনতার বিজয় স্থম্ভে পুস্প্য মাল্য অর্পণ করে। বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের জেলা আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নুরুজ্জামানের সভাপতিত্বে এবং সদর কমান্ডের আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুল বাতেন সরকারের সঞ্চালনায় এক স্মৃতি চারণ মূলক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।এতে বক্তব্য রাখেন,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ মাসুদ রানা,কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইসমাইল হোসেন,এনডিসি এবিএম মেজবাহ উদ্দিন,সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হাবিবুল্যা, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুল হাই সরকার (বীর প্রতীক), বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর আব্দুস সালাম(অবঃ), বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন অর রশিদ,প্রবীন সাংবাদিক সফি খান,মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কুড়িগ্রাম জেলা সভাপতি মাহবুবুর রশীদ তালুকদার স্বপন,সহ সভাপতি নব কুমার সরখেল ববি,সাধারণ সম্পাদক আমানুর রহমান খোকন,উদীচী শিল্পিগোষ্ঠির অনিরুদ্ধ প্রণয় প্রান্তিক,১৯ সংগঠনের রাজ্য জ্যোতি,জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম সদস্য সচিব হেলাল আহমেদ,প্রাথমিক সহকারি শিক্ষক সমিতির সদস্য সচিব আব্দুল মুমিন বাবু প্রমুখ ।

জাবিতে সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির সভাপতি-সম্পাদক তাড়াশের মাসুদ ও মোন্নাফ

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ প্রকাশিত: রবিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১১:৪৬ এএম
জাবিতে সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির সভাপতি-সম্পাদক তাড়াশের মাসুদ ও মোন্নাফ

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) অধ্যয়নরত সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। সদ্য গঠিত কমিটিতে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০তম আবর্তনের রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী ও তাড়াশ উপজেলার তালম ইউনিয়নের কৃতী শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আব্দুল মোন্নাফ। একই সঙ্গে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন সরকার ও রাজনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী, তাড়াশের নাদোসৈয়দপুর গ্রামের মাসুদ রানা।

বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এক অনুষ্ঠানে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। দায়িত্বগ্রহণের পর খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশ করা হবে বলে জানান নবনির্বাচিত সভাপতি ও সম্পাদক।

সংগঠনের কার্যক্রম ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে সভাপতি শাহরিয়ার আব্দুল মোন্নাফ বলেন, “প্রতিবারের মতো এবারও সিরাজগঞ্জ থেকে আগত শিক্ষার্থী ও ভর্তি পরীক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করার পরিকল্পনা রয়েছে। ইনশাআল্লাহ, সংগঠনের কার্যক্রমে নতুন মাত্রা যোগ করে আমরা আরও নতুনত্বের প্রকাশ ঘটাবো।”

নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা বলেন, “সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পাওয়া আমার জন্য এক বিশেষ সম্মান। এই বিশ্বাস ও ভালোবাসাকে শক্তি হিসেবে নিয়ে আমরা সমিতিকে আরও সংগঠিত, কার্যকর ও শিক্ষার্থীবান্ধব একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে গড়ে তুলব। আগামী দিনে সিরাজগঞ্জের শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তির ব্যবস্থা, মেধাবী শিক্ষার্থীদের সহায়তা এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমাদের ক্যাম্পাসের সম্পর্ক জোরদার করাকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করে যাব।”

নতুন কমিটি ঘোষণায় জাবির সিরাজগঞ্জের শিক্ষার্থীদের মধ্যে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।