শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ২ কার্তিক ১৪৩২
শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ২ কার্তিক ১৪৩২

আশরাফুজ্জামান সরকার, গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ-

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে অপহরনের ৫ ঘন্টা পর নদগের ডিএসও উদ্ধার

আশরাফুজ্জামান সরকার, গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ- প্রকাশিত: বুধবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৫, ১০:১৬ এএম | 32 বার পড়া হয়েছে
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে অপহরনের ৫ ঘন্টা পর নদগের ডিএসও উদ্ধার

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার শাখাহার ইউনিয়নের রাজস এলাকা থেকে মোটরসাইকেল আরোহী এজেন্ট ব্যাংকিং নগদের ডিএসও জামিরুল ইসলামকে গতিরোধ করে মাইক্রোবাসে করে অপহরণ করা হয়। অপহরনের ৫ ঘন্টা পর কালাই উপজেলার ক্ষেতলাল নিচিন্তপুর এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। অপহরণ করার পর থেকেই তাকে বেধড়ক মারপিট করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানায়,আজ ১৪ অক্টোবর মঙ্গলবার দুপুর ১২ টার দিকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার শাখাহার ইউনিয়নের রাজস এলাকায় ওঁত পেতে থাকা একটি মাইক্রোবাস দিয়ে গতিরোধ করে নগদের ডিএসও জামিরুল ইসলামেকে মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে নিয়ে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। এসময় তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ফেলে রেখে যায়। পরে খবর পেয়ে শাখাহার ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আব্দুর রউফ গ্রাম পুলিশ নিয়ে মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করে পরিষদে নিয়ে যায়। পরে পুলিশ এসে মোরসাইকেলটি থানা হেফাজতে নিয়েছে বলে জানা যায়।

এদিকে নগদের ডিস্ট্রিবিউটর হাউজের লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজি করে বিকাল ৪টার দিকে তাকে আহত অবস্থায় জয়পুরহাট জেলার কালাই ক্ষেতলাল নিচিন্তপুর একটি ফাঁকা স্থান থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করান। বর্তমানে আহত জামিরুল চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ বুলবুল ইসলাম বলেন, অপহরণকারীদের দ্রুত আটক করতে তৎপর রয়েছে থানা পুলিশ।

অবিলম্বে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে মশাল প্রজ্জলন!!

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৫, ১১:২৬ পিএম
অবিলম্বে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে মশাল প্রজ্জলন!!

 

-মোঃআশিকুর সরকার (রাব্বি)
-রাজারহাট কুড়িগ্রামঃ

অবিলম্বে দেশীয় অর্থে তিস্তা মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবিতে কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়ন বুড়ির হাট,তিস্তা নদীর তীরে মশাল প্রজ্বলন করেছে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন।
বৃহস্পতিবার(১৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রংপুর বিভাগের তিস্তা নদীর দুই তীরের ১১টি স্থানে একযোগে এ মশাল প্রজ্বলন কর্মসুচির উদ্বোধন করেন তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক কেন্দ্রীয় বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক উপমন্ত্রী আসাদুল হাবিব দুলু।
এ মশাল প্রজ্বলন কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাই সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি নজরুল ইসলাম হাক্কানী।এছাড়াও রংপুর ডালিয়া এলাকায় কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার হাসান রাজীব প্রধান।
বক্তারা বলে,আগামী ফেব্রুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই নিজস্ব অর্থায়নে তিস্তা মেগা প্রকল্পের কাজ শুরু করতে হবে। অন্যথায় বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলে রংপুরকে অচল করে দেয়ার হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা। এ সময় উক্ত মশাল মিছিলে, লাখো মানুষের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।

‎লালমনিরহাটে জমি দখলে ব্যর্থ হামলাকারী জাহাঙ্গীর আলম মাস্টার গ্রেফতার!!

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৫, ১১:২২ পিএম
‎লালমনিরহাটে জমি দখলে ব্যর্থ হামলাকারী জাহাঙ্গীর আলম মাস্টার গ্রেফতার!!

 

 

চয়ন কুমার রায়
‎লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি

 

লালমনিরহাটে জমি দখলে ব্যর্থ হামলায় দুইজন আহত ও একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ৭ জনসহ ২০/২২ জন অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে লালমনিরহাট সদর থানায় একটি মামলা দায়ের হওয়ায় পুলিশ জাহাঙ্গীর আলম মাস্টারকে গ্রেফতার করেছেন।

‎মামলার বিবরণে জানা যায়, সদর উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়নের রতিপুর গ্রামের এরশাদুল হক দুদুর সাথে হাড়ীভাঙ্গা আরডিআরএস অফিসের পূর্ব পার্শ্বের জাহাঙ্গীর আলম মাস্টারের সাথে জমিজমা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল।

‎এরেই জের ধরে বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ১০টায় জাহাঙ্গীর আলম মাস্টার (৫২), রতিপুর বসুনিয়াপাড়া গ্রামের আলমগীর (৪৭), মাহফুজ (৪৯), হাছান আলী (৩০), হাবিব (২৭), শফিকুল (৫০), ও জাহেদুল ইসলাম (৫০) সহ ২০/২২জন অজ্ঞাতনামা ব্যাক্তি হাতে লাঠিসোটা, লোহার রড, ধারালো ছোড়া, দেশীয় অস্ত্রে স্বস্ত্রে সজ্জিত হয়ে দলবদ্ধ ভাবে রতিপুর গ্রামে দুদুর ভোগ দখলীয় জমি দখলের চেষ্টায় টিনের চালা ঘর ভাংচুর চালান। এতে দুদু বাঁধা নিষেধ করলে তাকে এলোপাতাড়ীভাবে মারপিটে মাথা ও পা সহ শরীরের বিভিন্নস্থানে ছেলা ফুলা হাড় ভাঙ্গা জখম সৃষ্টি হয়। এমনকি তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গলাটিপে ধরায় তার আত্মচিৎকারে ছেলে হৃদয় বাবাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে তার দুই পায়ে এলোপাতাড়ীভাবে মারপিটে ছেলা ফুলা ও রক্তাক্ত জখম হয়।

‎ছেলে হৃদয়ের আত্মচিৎকারে তার মা বিথী বেগম এগিয়ে আসলে তাকেও চুলের মুঠি ধরিয়া টানাহেচরা করে এবং শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাত করে কাপড় টানাহেচরা করে শ্রীলতাহানী ঘটায়।

‎ওই সময় হামলাকারী জাহাঙ্গীর আলম মাস্টার গংরা বিথী বেগমের গলায় থাকা ১ভরি ওজনের স্বর্নের চেইন, যার মূল্য ২লক্ষ ১৫ হাজার টাকা। কানে থাকা ৮আনা ওজনের স্বর্নের দুল, যার মূল্য ১লক্ষ ৭হাজার ৫শত টাকা জোর পূর্বক ছিনাইয়া নেয়।

‎এতে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে চলে যান। পরে এলাকাবাসী আহত দুদু ও তার ছেলে হৃদয়কে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তৃতীয় তলা, বেড নং-৩৩ ও ৩৬, ভর্তির তারিখ-১৫/১০/২৫।

‎এ ঘটনায় এরশাদুল হক দুদুর ভাতিজা ওয়ালি উল্লাহ বাদী হয়ে ওই ৭ জনসহ ২০/২২ জন অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে লালমনিরহাট সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-জিআর ৬১২/২৫। তারিখ-১৫/১০/২৫। এ মামলা দায়ের পর ১নং আসামী জাহাঙ্গীর আলম মাস্টারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

‎এ বিষয়ে লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ নুরনবী বলেন, জমি নিয়ে মারামারির ঘটনায় জাহাঙ্গীর নামের একজনকে গ্রেফতার করে আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে। অন্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

সোনাতলায় পুলিশ ও র‌্যাবের যৌথ অভিযানে অপহরণের ১৬ দিন পর স্কুল ছাত্রী উদ্ধার, অভিযুক্ত জেল হাজতে

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৫, ৯:৪৬ পিএম
সোনাতলায় পুলিশ ও র‌্যাবের যৌথ অভিযানে অপহরণের ১৬ দিন পর স্কুল ছাত্রী উদ্ধার, অভিযুক্ত জেল হাজতে

 

ফয়সাল আহম্মেদ, সোনাতলা (বগুড়া):

বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার বালুয়া ইউনিয়নের মহিষাবাড়ী গ্রাম থেকে অপহৃত ১০ম শ্রেণির স্কুল ছাত্রীকে সিরাজগঞ্জ জেলা থেকে উদ্ধার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বুধবার (১৫ অক্টোবর) বিকেলে র‌্যাব-১২ সিরাজগঞ্জ ক্যাম্প ও সোনাতলা থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে ওই স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ৩০ সেপ্টেম্বর সকালে উপজেলার বালুয়াহাট নামক এলাকায় প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার পথে ওই ছাত্রীকে জোরপূর্বক অপহরণ করে নিয়ে যায় স্থানীয় মিল্লাত প্রাং ও তার সহযোগীরা। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীর পিতা মোঃ আব্দুল মতিন সোনাতলা থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করেন। অপহরনকারী মিল্লাত একই গ্রামের ঠান্ডু প্রামানিকের ছেলে।
এজাহারের ভিত্তিতে পুলিশ ও র‌্যাবের যৌথ অভিযান শুরু হয়। দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর অবশেষে সিরাজগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়।
আজ বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) মামলার প্রধান আসামি মিল্লাত প্রাং-কে আদালতে সোপর্দ করলে বিচারক তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
সোনাতলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রওশন কবির জানান, “র‌্যাব-১২ এর সহযোগিতায় মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে চিকিৎসা ও আইনগত প্রক্রিয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত আছে।”

অপহৃত কন্যার পরিবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে এবং দ্রুত বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে।
স্থানীয়দের মতে, এই ঘটনায় এলাকায় স্বস্তি ফিরে এসেছে, তবে স্কুল ছাত্রী ও তার পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের নজরদারি অব্যাহত রাখার প্রয়োজন রয়েছে।

সোনাতলা (বগুড়া) প্রতিনিধি
ফয়সাল আহম্মেদ
মোবা: ০১৯১২-৯৯৯২৪৭
তাং- ১৬/১০/২০২৫ ইং