মূল হোতা পলাতক
নাগেশ্বরীতে ৮ বছরের শিশুর লাশ উদ্ধার: আটক ৪


কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলায় ৮ বছরের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার রাত আটটার দিকে উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের ছিট মালিয়ানি এলাকায় প্রতিবেশীর বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
পরিবারের অভিযোগ, প্রতিবেশী যুবক মমিনুল ইসলাম (২২) শিশুটিকে বলাৎকারের পর হত্যা করে লাশ গোপন করার উদ্দেশ্যে সেপটিক ট্যাংকের ভেতর ফেলে রাখে। ঘটনার পর থেকেই সে পলাতক রয়েছে।
নিহত শিশুর নাম মুরসালিন মিয়া (৮)। তিনি স্থানীয় মশিউর রহমান মুছা ও মনজু দম্পতির ছোট ছেলে। অভিযুক্ত মমিনুল ইসলাম একই এলাকার ফরিদ উদ্দিনের ছেলে।
পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় অভিযুক্তের মা মহসেনা বেগম, বোন ফাহিমা খাতুন (১৮) এবং প্রতিবেশী নজরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী মনজু বেগমকে সহযোগিতার অভিযোগে আটক করা হয়েছে।
নিহত শিশুর পরিবার জানায়, শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মুরসালিনের বড় ভাইয়ের বিয়ের আলোচনা চলছিল। এ সময় মমিনুল একাধিকবার শিশুটিকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে সে তাকে নিজের ঘরে নিয়ে মোবাইলে ভিডিও দেখানোর প্রলোভন দেখিয়ে বলাৎকারের পর হত্যা করে।
সন্ধ্যায় মুরসালিনকে না পেয়ে তার মা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। মমিনুল ও তার মা শিশুটিকে না দেখার কথা বললেও রাতেই তারা ঘরে তালা ঝুলিয়ে আত্মগোপন করে। এরপর শিশুটিকে না পেয়ে পরিবার এলাকায় মাইকিং করে সংবাদ দেয়।
শনিবার রাতে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে মমিনুলের বাড়ির পেছনের সেপটিক ট্যাংক থেকে মুরসালিনের মরদেহ পাওয়া যায়। খবর পেয়ে ৯৯৯ এ ফোন করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
এ সময় ক্ষুব্ধ জনতা মমিনুলের নিজ বাড়ি ও নানার বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। পরে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও ঘরের সব আসবাব পুড়ে যায়।
পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে এবং চারজনকে আটক করা হয়। তবে মূল আসামি মমিনুল ইসলাম, তার বাবা ফরিদ উদ্দিন, ভায়রা আব্দুল্লাহ ও শ্যালক মাসুম মিয়া এখনও পলাতক রয়েছে।
ঘটনার বিষয়ে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।