এস এম সালমান হৃদয়, বগুড়া
কাহালুর মুরইল ইউনিয়নে ভিডব্লিউবি কার্ড বিতরণে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ


বগুড়ার কাহালু উপজেলার ৫নং মুরইল ইউনিয়ন পরিষদের ভিডব্লিউবি কার্ড বিতরণ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রকৃত দুস্থদের বঞ্চিত রেখে জনপ্রতিনিধি ও তাদের পরিবারের সদস্যদের নাম সুবিধাভোগীর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
সুবিধাভোগীদের তালিকায় ৫নং মুরইল ইউনিয়ন পরিষদের ১, ২ ও ৩নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য রেলি বেগমের নাম রয়েছে। এ ছাড়াও ১নং ওয়ার্ডের মেম্বার ইমদাদুল হক মল্লিকের স্ত্রী লাভলী বেগম ও ছেলে-বউ মানাছুরা ইয়াসমিন জেমি (স্বামী ফেরদৌস হোসেন মল্লিক, সাং ভালতা, ডাকঘর মুরইল, থানা কাহালু, জেলা বগুড়া) ভিডব্লিউবি কার্ড গ্রহণ করেছেন।
প্রতিটি কার্ডে মাসে ৩০ কেজি করে চাল বরাদ্দ থাকলেও এ ধরনের বিতরণ প্রক্রিয়া নিয়ে ইউনিয়নে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। সাধারণ মানুষ বলছেন, সরকার গরিব ও অসহায় পরিবারের জন্য যে বরাদ্দ দিয়েছে, তা যেন প্রকৃত দরিদ্ররা না পেয়ে ক্ষমতাসীনদের আত্মীয়-স্বজনের হাতে চলে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে মুরইল ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান–২ এর সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, “কার্ড বিতরণের ক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম হয়নি। যদি কারও নাম তালিকায় এসে থাকে, তা যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে দেখা হবে। প্রকৃত দরিদ্ররাই যাতে সরকারি সুবিধা পান, ইউনিয়ন পরিষদ সে দিকেই গুরুত্ব দিচ্ছে।”
তবে স্থানীয় সচেতন মহল বলছেন, এভাবে বিতরণ চলতে থাকলে অসহায় পরিবারগুলো সরকারি সাহায্য থেকে বঞ্চিত হয়ে আরও বিপাকে পড়বে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত তদন্ত ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন তারা।