শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২ আশ্বিন ১৪৩২
শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২ আশ্বিন ১৪৩২

লেখক: শায়রুল কবির খান সদস্য, বিএনপি মিডিয়া সেল।

সময়ের প্রত্যাশায় বিএনপি ও তারেক রহমান

লেখক: শায়রুল কবির খান সদস্য, বিএনপি মিডিয়া সেল। প্রকাশিত: বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১২:১১ পিএম | 103 বার পড়া হয়েছে
সময়ের প্রত্যাশায় বিএনপি ও তারেক রহমান

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক অমোঘ নাম সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান। মুক্তিযুদ্ধে তাঁর বীরত্বগাথা, স্বাধীনতার ঘোষণা, আর পরবর্তী সময়ে রাষ্ট্র গঠনের দর্শন—সবকিছু মিলে শহীদ জিয়া কেবল একজন রাষ্ট্রনায়কই নন, বরং একটি যুগের প্রতীক। তাঁর হাতে গড়া বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) আজও কোটি মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার জায়গা হয়ে আছে। সেই ধারাবাহিকতায় রক্তের উত্তরাধিকার ও রাজনৈতিক আদর্শের উত্তরসূরি হিসেবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সময়ের বাস্তবতায় হয়ে উঠেছেন দলটির প্রত্যাশার কেন্দ্রবিন্দু।
তারেক রহমানকে ঘিরে রাজনীতির ভেতর-বাহিরে নানা বিতর্ক থাকলেও অস্বীকার করা যায় না, গত দেড় যুগে দূরদেশ থেকে তিনি যেভাবে বিএনপিকে সাংগঠনিকভাবে বাঁচিয়ে রেখেছেন, তা নিছক রাজনৈতিক কৌশল নয়—বরং দীর্ঘমেয়াদি একটি দৃষ্টিভঙ্গির অংশ। আওয়ামী লীগ সরকারের দমননীতি, মামলা, গ্রেফতার আর দমন-পীড়নের মধ্যেও বিএনপি আন্দোলনের রাজনীতিতে টিকে আছে, আর তারেক রহমানের নেতৃত্বকে কেন্দ্র করেই এই স্থিতি বজায় রয়েছে।
২০০৫ সালে ইউনিয়ন প্রতিনিধি সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি যেভাবে তৃণমূলভিত্তিক সাংগঠনিক কাঠামো শক্ত করার উদ্যোগ নেন, তা ছিল এক নতুন দিগন্তের সূচনা। পরবর্তীতে লন্ডনে অবস্থান করেও বিভাগীয় গণসমাবেশ থেকে শুরু করে যুগপৎ আন্দোলনের প্রতিটি ধাপে তাঁর কৌশলগত নির্দেশনা বিএনপিকে সক্রিয় রেখেছে। বিশেষ করে গত জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান—যেখানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনে বিএনপি একটি কেন্দ্রীয় ভূমিকা রাখে—সে আন্দোলনের পেছনে তারেক রহমানের ধৈর্যশীল ও ধাপে ধাপে এগোনোর কৌশলই ছিল প্রধান চালিকাশক্তি।
এখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, বিএনপির রাজনীতিতে তারেক রহমান ‘ঐকমত্যের প্রতীক’। বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কারাবাস, অসুস্থতা ও কার্যত রাজনীতি থেকে দূরে সরে যাওয়ার পর বিএনপির ভেতরে কোনও দ্বন্দ্ব-সংঘাত দেখা যায়নি। নেতাকর্মীরা তাঁর নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলেননি, যা বাংলাদেশের প্রধান রাজনৈতিক দলের প্রেক্ষাপটে বিরল। এমনকি তাঁর ওপর নেমে আসা নানা মামলা, সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত’র আদেশ কিংবা রাজনৈতিক চরিত্রহননের প্রচেষ্টা তাঁকে দলের ভেতর থেকে বিচ্ছিন্ন করতে পারেনি। বরং উল্টোভাবে এগুলো নেতাকর্মীদের কাছে তাঁকে আরও অবিচল প্রতীকে পরিণত করেছে।
কেন তারেক রহমান আজ বিএনপির প্রত্যাশার নাম?
কারণ, তিনি শুধু দলের উত্তরসূরি নন, বরং দলের ভবিষ্যৎ কৌশলের নকশাকার। তাঁর নেতৃত্বে বিএনপি কেবল ক্ষমতায় ফেরার জন্য নয়, বরং একটি ‘কল্যাণ রাষ্ট্র’ নির্মাণের লক্ষ্য সামনে রেখে রাজনীতি করছে। তাঁর বক্তৃতা, বার্তা কিংবা রাজনৈতিক রূপরেখায় বারবার ফিরে আসে—বাংলাদেশকে আধুনিক, আত্মনির্ভর ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে পুনর্গঠনের অঙ্গীকার।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে তাঁর উপস্থিতি নিয়ে যে আতঙ্ক বিদ্যমান ছিল, সেটিও রাজনৈতিক বাস্তবতার প্রতিফলন। তাঁরা জানতেন, তারেক রহমান দেশে ফেরার দিনই রাজনীতির চিত্রপট বদলে যাবে। তাই তাঁকে রাজনীতির মাঠ থেকে দূরে রাখার জন্য নানা ধরনের আইনগত ও রাজনৈতিক কৌশল অবলম্বন করা হয়েছিল। কিন্তু এর মাধ্যমে তাঁকে রাজনৈতিকভাবে অকার্যকর করার চেষ্টা সফল হয়নি।
সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, দীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা থেকে তিনি বুঝেছেন, বাংলাদেশের রাজনীতি আর অতীতের ধ্বংসাত্মক আন্দোলনের ধারায় চলতে পারবে না। শান্তিপূর্ণ গণসমাবেশ, গণআন্দোলনের মধ্য দিয়েই গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনা সম্ভব—এই বাস্তবতাকে তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন। ফলে বিএনপির আন্দোলন আজ আগের চেয়ে বেশি গণমুখী, বেশি অন্তর্ভুক্তিমূলক।
শেষ পর্যন্ত প্রশ্নটা বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিয়েই। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান যেমন জাতিকে ‘বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ’ দিয়ে নতুন পরিচয় দিয়েছিলেন, তেমনি তাঁর উত্তরসূরি তারেক রহমানও সময়ের বাস্তবতায় নতুন এক প্রত্যাশা হয়ে উঠেছেন। তিনি দলের ভেতরে ঐক্যের প্রতীক, আন্দোলনের কৌশলগত নকশাকার এবং ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের আলোকবর্তিকা। ইতোমধ্যে তিনি ধর্ম, মতাদর্শ, দলনির্বিশেষে একটি ঐক্যবদ্ধ জাতি নির্মাণে রাষ্ট্রের গুরুত্ব সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করছেন। তার কণ্ঠে উচ্চকিত হয়েছে উগ্রবাদবিহীন এক দেশের কথা। যা চিরায়ত বাংলাকে আরও বেশি প্রাণিত করে। সব জাতিগোষ্ঠী নিয়ে নিরাপদ বাংলাদেশ গড়বে বিএনপি, এই বাক্যটিতেই তিনি ভবিষ্যৎ রাষ্ট্র নির্মাণে তার সমস্ত স্বপ্নের বিভূতি এঁকেছেন।
তাই বলা যায়, সময়ের বিএনপি মানেই আজ তারেক রহমান। তিনি কেবল দলের নয়, কোটি মানুষের প্রত্যাশার নাম। আগামী বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভাগ্য নির্ধারণে তার ভূমিকা অনিবার্য হয়ে উঠছে। আর সেই পথেই, হয়তো নতুন করে লেখা হবে বিএনপির ইতিহাস—যেখানে তারেক রহমান হবেন এক অগ্রজ প্রজন্মের নেতৃত্বের প্রতীক।

খ: আওয়াল জেলা প্রতিনিধি টাঙ্গাইল প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১০:১৭ পিএম

ঘর,প্রেম ও মানবতার গান

===================

    🖊️হায়দার খালীদ

মাটির ঘরে সকাল আসে, ধোঁয়া ওঠে চুলোর ধারে,

মায়ের গলায় ঘুমপাড়ানি গান, শিশুরা ঘুম ভাঙে কারে?

খেজুর পাতার খড়ের ছাওয়া, পুকুরঘাটে ভেজা জল,

গৃহস্থালীর মায়া-গন্ধে বেঁচে ওঠে প্রাণের দল।

চাষার ঘামে সোনার দানা, মাঠে জন্মে ফসলের গান,

স্ত্রীর চোখে নীল দিগন্তে স্বপ্ন রাখে সারা প্রাণ।

কিশোর কিশোরী প্রেমে ভেসে নদীর তীরে বাঁধে আশা,

চিঠির পাতায় অক্ষর হয়ে ফুটে ওঠে ভালবাসা।

কিন্তু সমাজ! হায় সমাজ! আঁধার মাখা দেয়াল ঘেরা,

সত্যকে করে তুচ্ছ তারা, মিথ্যা পায় সোনার সেরা।

অসঙ্গতির বিষাক্ত শ্বাসে নষ্ট হয় কত হৃদয়,

অন্যায়ের রুদ্র ঝড়ে কেঁদে ওঠে দিগন্তময়।

তবুও প্রেম থামে না কিছুতেই—

হাতে হাত রেখে দু’জন মানুষ

বলে যায় ধ্বনি—আহবান,

“মানুষের আগে ধর্ম নয়,

মানবতার আগুনে জ্বলে সব আলোর নিশান।”

পাহাড় ডাক দেয় শক্তির মতো,

তাদের বুকে দাঁড়িয়ে থাকে শত সহস্র বছর,

নদী গেয়ে যায় চিরন্তন স্রোতের সুরে—

কখনো শান্ত, কখনো প্রলয় ভরা মহাস্বর।

যখন বন্যা নেমে আসে—

চোখের জলে ভেসে যায় ঘর,

শিশুরা হারায় নৌকার খোঁজে,

ধানের খেতে জমে শুধু শোকের ঘোর।

আবার কখনো খরা এসে,

পুড়িয়ে দেয় ধানের স্বপ্ন,

ফেটে যায় মাটির বুক,

শুকিয়ে যায় নদীর কণ্ঠ।

তবু এই অন্ধকার ভেদ করে

মানুষ দাঁড়ায় মানুষের পাশে,

ভাঙা ঘরে, ক্ষুধার রাতে

এক মুঠো ভাতও ভাগ হয় ভালোবাসায়।

প্রেম তখন শুধু দেহের নয়,

প্রেম তখন মানুষ বাঁচানোর হাত,

মানবতার গান হয়ে ওঠে

দুর্ভিক্ষের বুক ভেদ করা শক্তির বাতাস।

যতই আঁধার নামুক সমাজে,

যতই অন্যায় ছড়াক বিষ,

ঘরের আলো, প্রেমের গান,

পাহাড়-নদীর ডাক, আর মানবতা—

সবাই মিলে হয়ে ওঠে এক মহাকাব্য,

জীবনকে শেখায়—

“মানুষের জন্য মানুষই আশ্রয়,

মানবতার আগুনেই বাঁচে আগামী।”

কুড়িগ্রামে রাজারহাটে পাওনা টাকা চাওয়ায় স্বামী ও ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারীর উপর ব্যাপক মারধর

মোঃ নাহিদ হাসান রাজারহাট কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৪:৩১ পিএম
কুড়িগ্রামে রাজারহাটে পাওনা টাকা চাওয়ায় স্বামী ও ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারীর উপর ব্যাপক মারধর

কুড়িগ্রামে রাজারহাটের, রাজারহাট ইউনিয়নের,দেবী চরণ গ্রামে আজ সকাল ১০ঃ৩০ মিনিটে এ ঘটনা ঘটে। মোহাম্মদ আনিসুর রহমান জানান, আমরা পাওনা টাকা চাইতে গেলে আমি ও আমার স্ত্রী পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা আফরোজা বেগমকে নির্মমভাবে মারধর করে লুৎফর রহমান ও তাঁর দুই ছেলে। আনিসুর রহমান বলেন, আমি ও আমার স্ত্রী কে রামদা দিয়ে হাত এবং মাথায় কুপিয়ে মারার চেষ্টা করে অভিযোগ এনে আনিসুর রহমান আরো বলেন, আমার মাথায় চোট লাগে এবং আমার স্ত্রী আমাকে বাঁচাতে গেলে তার আমার স্ত্রীর হাতে ব্যাপক মারধর করে, যদিও আমার স্ত্রী পাঁচ মাসের অন্তসত্ত্বা থাকায় পেটের মধ্যে পা দিয়ে লাথি মারার কারণে এখন হাসপাতালে অজ্ঞান অবস্থায় আছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, আনিসুর রহমানের কাছে থেকে ৫৫ হাজার টাকা কেড়ে নেয়। এবং পাওনা টাকা চাইতে গেলে, এই ঘটনাটির শিকার হয় আনিসুর রহমান ও তার পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর লুৎফা রহমান ও তার দুই ছেলে উপর অনেক ক্ষোভ প্রকাশ করে তাদের বিচারের দাবি করে ও আইনের আওতায় এনে দ্রুত শাস্তি দাবি জানায় এলাকাবাসী।

কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন: রবি সভাপতি, সাঈদ সম্পাদক, দেলোয়ার সাংগঠনিক সম্পাদক

ডেস্ক নিউজ প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৩:২১ পিএম
কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন: রবি সভাপতি, সাঈদ সম্পাদক, দেলোয়ার সাংগঠনিক সম্পাদক

বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বগুড়ার কাহালু রেল স্টেশনের সংলগ্ন কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের অস্থায়ী কার্যালয়ে প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও ৭১ ভিশনের স্টাফ রিপোর্টার মোঃ মোরশেদুল ইসলাম রবি। আলোচনার পর সর্বসম্মতিক্রমে ৯ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।

নবগঠিত কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন মোঃ মোরশেদুল ইসলাম রবি এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন দৈনিক দেশ সেবার কাহালু উপজেলা প্রতিনিধি মোঃ আবু সাঈদ। সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশের স্টাফ রিপোর্টার মোঃ দেলোয়ার হোসেন।

এছাড়াও অন্যান্য সদস্যরা হলেন—

সহ-সভাপতি: মোঃ নজরুল ইসলাম (কাহালু উপজেলা প্রতিনিধি, দৈনিক আমার সোনার দেশ)

দপ্তর সম্পাদক: মোঃ রাসেল হোসেন (কাহালু উপজেলা প্রতিনিধি, দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ)

কার্যকরী সদস্য: মোঃ আব্দুল মান্নান, মোঃ আলামিন হোসেন, সেলিম চৌধুরী।

সভা শেষে প্রেসক্লাবের উন্নয়ন ও সাংবাদিকদের পেশাগত মান উন্নয়নে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।