শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২ আশ্বিন ১৪৩২
শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২ আশ্বিন ১৪৩২

লেখক: এ.কে.এম ওয়াহিদুজ্জামান, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক, বিএনপি

দূরে থেকে চিরদূরে চলে যাওয়া একজন ব্যাতিক্রমী মানুষ

লেখক: এ.কে.এম ওয়াহিদুজ্জামান, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক, বিএনপি প্রকাশিত: সোমবার, ১১ আগস্ট, ২০২৫, ১২:৫২ পিএম | 257 বার পড়া হয়েছে
দূরে থেকে চিরদূরে চলে যাওয়া একজন ব্যাতিক্রমী মানুষ

তাঁর জন্ম হয়েছিলো একটি সাধারণ সৈনিক পরিবারে। প্রথম সন্তান নন, তাই তাঁকে নিয়ে উচ্ছাসও খুব বেশি হয়নি। ছেলেবেলা থেকেই নিভৃতচারী, একাকী থাকতে পছন্দ করতেন। এমন একাকী সন্তানরা সাধারণত মা-বাবার সবচেয়ে প্রিয় হয়ে থাকেন, তিনিও তাই ছিলেন। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দুইজনেরই পরম আদরের সন্তান ছিলেন জনাব আরাফাত রহমান কোকো। নিজে রাজনীতি না করলেও প্রতিহিংসার রাজনীতির কারণে বাধ্য হয়ে তাঁকে দেশ থেকে দূরে চলে যেতে হয়েছিলো। আজ তিনি এই পৃথিবী থেকেই দূরে চলে গেলেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিঊন।
বাংলাদেশের উন্মাতাল রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে শহীদ জিয়াকে যখন বাধ্য হয়ে রাজনীতিতে আসতে হয়েছিলো, তখন তিনি খুব যত্ন করে তাঁর নিজের পরিবারকে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছিলেন। এমনকি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যখন নেতৃত্বহীন বিএনপির হাল ধরতে রাজনীতিতে নামলেন তখনো তিনি তাঁর এই ছেলেকে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছিলেন। হয়তো কোকো নিজেও রাজনীতিতে জড়াতে চাননি। তাই কখনোই তাঁকে কোন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে দেখা যায়নি। বিএনপির সমর্থকদের বেশিরভাগই উনাকে চেনেননা, জানেন না।
মিতবাক, সজ্জন এবং সাদাসিধা এই মানুষটার খুব ঘনিষ্টজননা জানেন তাঁর সাদাসিধে জীবন সম্পর্কে। একজন সাবেক রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর ছেলে হয়েও নব্বইয়ের দশকে তিনি বাকীতে মোটর সাইকেলের তেল কিনতেন। অবিশ্বাস্য মনে হতেই পারে। মাঝে মধ্যেই খেলনা আর চকলেট নিয়ে পথশিশুদের কাছে সারপ্রাইজ হিসেবে হাজির হতেন। তাদের সাথে ক্রিকেট খেলতেন।
খেলাধুলার প্রতি তাঁর আগ্রহ ছিলো। ক্রীড়া অনুরাগী ছিলেন এবং খুবই ভালো ক্রীড়া সংগঠক ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ও সিটি ক্লাবের সাথে যুক্ত ছিলেন। সেই সময়ে যেসব খেলোয়ার এবং সংগঠক উনার সাথে কাজ করেছেন, তাঁরা জানেন বাংলাদেশের ক্রিকেটের উন্নয়ন এবং খেলোয়ারদের কল্যানে তিনি নিরলস কাজ করে গেছেন, যার সুফল আজ খেলোয়াররা পাচ্ছেন। ব্যক্তিগতভাবে তিনি খেলোয়ারদের সাথে সুসম্পর্ক রাখতেন এবং তাঁদের সমস্যাগুলো মানবিকতার সাথে মোকাবেলা করার চেষ্টা করতেন। কাউকে পায়ে ধরিয়ে মাফ চাইয়ে বা বহিষ্কার করে নিজের ক্ষমতার প্রদর্শনী তিনি কখনোই করেননি।
২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারী মইন-ফখরুদ্দিনরা অবৈধভাবে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখলের পর যখন মাইনাস-টু ফরমুলা কার্যকর করার জন্য দুই নেত্রীকে বিদেশে পাঠাতে চাইলেন তখন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বিদেশে চলে গেলেও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দেশ ছাঁড়তে রাজী হননি। তাঁর ওপর মানষিক চাপ প্রয়োগের কৌশল হিসেবেই তাঁর দুই সন্তানকে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে নিয়ে নির্যাতন করা হয়। তারেক রহমানের মেরুদণ্ডে আঘাত করা হয় আর আরাফাত রহমান কোকোর হৃদযন্ত্রে সমস্যা দেখা দেয়। সে সময়ে সংবাদপত্রের ছবি এবং টিভির ভিডিওগুলোর কথা যাদের মনে আছে তারা হয়তো স্মরণ করতে পারবেন যে, কোকোকে সব সময়ই বুক চেপে ধরে থাকতে দেখা যেতো। সেই সময় থেকেই তিনি হৃদযন্ত্রের সমস্যায় ভুগছিলেন।
চিকিৎসার জন্য ২০০৮ সালের ১৭ জুলাই জামিনে মুক্তি পেয়ে থাইল্যান্ড গিয়েছিলেন কোকো। সেখান থেকে তিনি মালয়েশিয়ায় চলে যান। এরপর থেকে তিনি মালয়েশিয়াতেই অবস্থান করছিলেন। মালয়েশিয়াতেও তিনি খুবই সাদাসিধে জীবন যাপন করতেন। একটি দুই বেডের ভাড়া বাসায় স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে থাকতেন। নিজেই প্রতিদিন দুই মেয়েকে স্কুলে নিয়ে যেতেন এবং নিয়ে আসতেন। সেখানেও তিনি কোন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত করেননি। এমনকি গত বছর জনাব তারেক রহমান যখন মালয়েশিয়ায় একটি রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়েছিলেন, সেখানেও তিনি গরহাজির থেকেছেন।
১/১১ এর পর থেকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া অনেক কিছু হারিয়েছেন। নিজের জন্মদাত্রী মা’কে হারিয়েছেন, সহদোর বোন এবং ভাইকে হারিয়েছেন। ৪০ বছরের স্মৃতি বিজরিত শহীদ জিয়াউর রহমানের ক্যান্টেনমেন্টের বাড়ি থেকে এক কাপড়ে উচ্ছেদ হয়েছেন। তারপরও তিনি এই দেশের মানুষের টানে দুই সন্তান থেকে দূরে নিজের দেশের মানুষের কাছেই রয়ে গেছেন। আজ তিনি তাঁর প্রিয় সন্তানকে হারালেন। পরম করুনাময় আল্লাহ রাব্বুল আলামীন উনাকে এবং ইনার পরিবারকে এই শোক সহ্য করার শক্তি দিন। আর বিএনপি ও এই দলের নেতা-কর্মীদের এই শোককে শক্তিতে রূপান্তর করার ধৈর্য্য দিন। মরহুম আরাফাত রহমান কোকোর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি আল্লাহপাক যেন তাকে জান্নাতবাসী করেন।

খ: আওয়াল জেলা প্রতিনিধি টাঙ্গাইল প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১০:১৭ পিএম

ঘর,প্রেম ও মানবতার গান

===================

    🖊️হায়দার খালীদ

মাটির ঘরে সকাল আসে, ধোঁয়া ওঠে চুলোর ধারে,

মায়ের গলায় ঘুমপাড়ানি গান, শিশুরা ঘুম ভাঙে কারে?

খেজুর পাতার খড়ের ছাওয়া, পুকুরঘাটে ভেজা জল,

গৃহস্থালীর মায়া-গন্ধে বেঁচে ওঠে প্রাণের দল।

চাষার ঘামে সোনার দানা, মাঠে জন্মে ফসলের গান,

স্ত্রীর চোখে নীল দিগন্তে স্বপ্ন রাখে সারা প্রাণ।

কিশোর কিশোরী প্রেমে ভেসে নদীর তীরে বাঁধে আশা,

চিঠির পাতায় অক্ষর হয়ে ফুটে ওঠে ভালবাসা।

কিন্তু সমাজ! হায় সমাজ! আঁধার মাখা দেয়াল ঘেরা,

সত্যকে করে তুচ্ছ তারা, মিথ্যা পায় সোনার সেরা।

অসঙ্গতির বিষাক্ত শ্বাসে নষ্ট হয় কত হৃদয়,

অন্যায়ের রুদ্র ঝড়ে কেঁদে ওঠে দিগন্তময়।

তবুও প্রেম থামে না কিছুতেই—

হাতে হাত রেখে দু’জন মানুষ

বলে যায় ধ্বনি—আহবান,

“মানুষের আগে ধর্ম নয়,

মানবতার আগুনে জ্বলে সব আলোর নিশান।”

পাহাড় ডাক দেয় শক্তির মতো,

তাদের বুকে দাঁড়িয়ে থাকে শত সহস্র বছর,

নদী গেয়ে যায় চিরন্তন স্রোতের সুরে—

কখনো শান্ত, কখনো প্রলয় ভরা মহাস্বর।

যখন বন্যা নেমে আসে—

চোখের জলে ভেসে যায় ঘর,

শিশুরা হারায় নৌকার খোঁজে,

ধানের খেতে জমে শুধু শোকের ঘোর।

আবার কখনো খরা এসে,

পুড়িয়ে দেয় ধানের স্বপ্ন,

ফেটে যায় মাটির বুক,

শুকিয়ে যায় নদীর কণ্ঠ।

তবু এই অন্ধকার ভেদ করে

মানুষ দাঁড়ায় মানুষের পাশে,

ভাঙা ঘরে, ক্ষুধার রাতে

এক মুঠো ভাতও ভাগ হয় ভালোবাসায়।

প্রেম তখন শুধু দেহের নয়,

প্রেম তখন মানুষ বাঁচানোর হাত,

মানবতার গান হয়ে ওঠে

দুর্ভিক্ষের বুক ভেদ করা শক্তির বাতাস।

যতই আঁধার নামুক সমাজে,

যতই অন্যায় ছড়াক বিষ,

ঘরের আলো, প্রেমের গান,

পাহাড়-নদীর ডাক, আর মানবতা—

সবাই মিলে হয়ে ওঠে এক মহাকাব্য,

জীবনকে শেখায়—

“মানুষের জন্য মানুষই আশ্রয়,

মানবতার আগুনেই বাঁচে আগামী।”

কুড়িগ্রামে রাজারহাটে পাওনা টাকা চাওয়ায় স্বামী ও ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারীর উপর ব্যাপক মারধর

মোঃ নাহিদ হাসান রাজারহাট কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৪:৩১ পিএম
কুড়িগ্রামে রাজারহাটে পাওনা টাকা চাওয়ায় স্বামী ও ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারীর উপর ব্যাপক মারধর

কুড়িগ্রামে রাজারহাটের, রাজারহাট ইউনিয়নের,দেবী চরণ গ্রামে আজ সকাল ১০ঃ৩০ মিনিটে এ ঘটনা ঘটে। মোহাম্মদ আনিসুর রহমান জানান, আমরা পাওনা টাকা চাইতে গেলে আমি ও আমার স্ত্রী পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা আফরোজা বেগমকে নির্মমভাবে মারধর করে লুৎফর রহমান ও তাঁর দুই ছেলে। আনিসুর রহমান বলেন, আমি ও আমার স্ত্রী কে রামদা দিয়ে হাত এবং মাথায় কুপিয়ে মারার চেষ্টা করে অভিযোগ এনে আনিসুর রহমান আরো বলেন, আমার মাথায় চোট লাগে এবং আমার স্ত্রী আমাকে বাঁচাতে গেলে তার আমার স্ত্রীর হাতে ব্যাপক মারধর করে, যদিও আমার স্ত্রী পাঁচ মাসের অন্তসত্ত্বা থাকায় পেটের মধ্যে পা দিয়ে লাথি মারার কারণে এখন হাসপাতালে অজ্ঞান অবস্থায় আছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, আনিসুর রহমানের কাছে থেকে ৫৫ হাজার টাকা কেড়ে নেয়। এবং পাওনা টাকা চাইতে গেলে, এই ঘটনাটির শিকার হয় আনিসুর রহমান ও তার পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর লুৎফা রহমান ও তার দুই ছেলে উপর অনেক ক্ষোভ প্রকাশ করে তাদের বিচারের দাবি করে ও আইনের আওতায় এনে দ্রুত শাস্তি দাবি জানায় এলাকাবাসী।

কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন: রবি সভাপতি, সাঈদ সম্পাদক, দেলোয়ার সাংগঠনিক সম্পাদক

ডেস্ক নিউজ প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৩:২১ পিএম
কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন: রবি সভাপতি, সাঈদ সম্পাদক, দেলোয়ার সাংগঠনিক সম্পাদক

বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বগুড়ার কাহালু রেল স্টেশনের সংলগ্ন কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের অস্থায়ী কার্যালয়ে প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও ৭১ ভিশনের স্টাফ রিপোর্টার মোঃ মোরশেদুল ইসলাম রবি। আলোচনার পর সর্বসম্মতিক্রমে ৯ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।

নবগঠিত কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন মোঃ মোরশেদুল ইসলাম রবি এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন দৈনিক দেশ সেবার কাহালু উপজেলা প্রতিনিধি মোঃ আবু সাঈদ। সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশের স্টাফ রিপোর্টার মোঃ দেলোয়ার হোসেন।

এছাড়াও অন্যান্য সদস্যরা হলেন—

সহ-সভাপতি: মোঃ নজরুল ইসলাম (কাহালু উপজেলা প্রতিনিধি, দৈনিক আমার সোনার দেশ)

দপ্তর সম্পাদক: মোঃ রাসেল হোসেন (কাহালু উপজেলা প্রতিনিধি, দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ)

কার্যকরী সদস্য: মোঃ আব্দুল মান্নান, মোঃ আলামিন হোসেন, সেলিম চৌধুরী।

সভা শেষে প্রেসক্লাবের উন্নয়ন ও সাংবাদিকদের পেশাগত মান উন্নয়নে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।