শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২ আশ্বিন ১৪৩২
শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২ আশ্বিন ১৪৩২

তৌহিদুর রহমান শেরপুর প্রতিনিধি

ডাকসু নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে লড়ছেন ঝিনাইগাতীর তিন শিক্ষার্থী

তৌহিদুর রহমান শেরপুর প্রতিনিধি প্রকাশিত: বুধবার, ২৭ আগস্ট, ২০২৫, ১১:১৬ এএম | 92 বার পড়া হয়েছে
ডাকসু নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে লড়ছেন ঝিনাইগাতীর তিন শিক্ষার্থী

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার তিনজন উদীয়মান ও মেধাবী শিক্ষার্থী। তারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) তিনটি গুরুত্ব পদে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায় এবং তাদের পক্ষে কথা বলার লক্ষ্য নিয়ে তারা এই নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। পাশাপাশি নেতৃত্বের যোগ্যতা, শিক্ষাগত প্রজ্ঞা এবং সাহসী চিন্তাধারার কারণে ইতোমধ্যেই তারা আলোচনায়ও উঠে এসেছেন।
ঝিনাইগাতী উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের শালচূড়া গ্রামের সন্তান আহমেদ হোসেন জনি। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের স্নাতকোত্তর (এমএ) প্রথম বর্ষে অধ্যয়নরত। তিনি হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের আবাসিক ছাত্র এবং শেরপুর জেলা ছাত্র সংসদের সভাপতি। তিনি ডাকসুর সহসভাপতি (ভিপি) পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন। দীর্ঘদিন ধরেই ক্যাম্পাসের শিক্ষাবান্ধব আন্দোলন, গণতান্ত্রিক চর্চা ও ছাত্র-কল্যাণমূলক কার্যক্রমে তার সক্রিয় অংশগ্রহণ রয়েছে। আত্মবিশ্বাসী ও চিন্তাশীল এই প্রার্থী একজন দায়িত্বশীল নেতৃত্বের প্রতিচ্ছবি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২৮তম ব্যাচের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী নাহিদ হাসান। তিনি বিজয় একাত্তর হলের একজন আবাসিক ছাত্র। ডাকসুর কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন তিনি। তার বাড়ি ঝিনাইগাতী উপজেলা সদরেই। তরুণ প্রজন্মের স্বতন্ত্র কণ্ঠস্বর হিসেবে নাহিদ ইতোমধ্যে পরিচিতি পেয়েছেন। তাঁর সহজ ভাষায় কথা বলার ক্ষমতা, সংগঠনিক দক্ষতা ও ন্যায়ের পক্ষে অবিচল অবস্থান ছাত্রসমাজে আশার আলো জাগিয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হল থেকে পাঠকক্ষ সম্পাদক পদে আরাফাত আক্তার তামান্না স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের ছাত্রী আরাফাত আক্তার তামান্না। তিনি রোকেয়া হলের আবাসিক ছাত্রী ও ঝিনাইগাতী উপজেলার সদরের সন্তান। তিনি জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও পরবর্তী সব ধরনের প্রতিবাদে সোচ্চার ছিলেন। তার লক্ষ্য হল রোকেয়া হলে একটি আধুনিক, সুশৃঙ্খল ও অংশগ্রহণমূলক পাঠকক্ষ ব্যবস্থা গড়ে তোলা।
ভারতসীমান্ত ঘেঁষা এ উপজেলার এই তিন শিক্ষার্থী কেবল নিজেদের ব্যক্তিগত সাফল্যই নয়, বরং পুরো এলাকার জন্য এক অনন্য গৌরবের প্রতীক। তারা প্রমাণ করেছে, মফস্বলের প্রান্তিক অঞ্চল থেকেও দক্ষ নেতৃত্ব, সৎ সাহস এবং সামাজিক দায়বদ্ধতার মাধ্যমে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে প্রভাব বিস্তার করা সম্ভব। স্থানীয় রাজনৈতিক, সামাজিক ও শিক্ষাবিদরা তাদের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং আশা প্রকাশ করেছেন, তারা বিজয়ী হলে শুধু নিজেদের হল কিংবা বিভাগ নয়, গোটা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন ও শিক্ষার্থীদেও স্বার্থ রক্ষায় ভূমিকা রাখবে।
ডাকসুর সহসভাপতি (ভিপি) পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী আহমেদ হোসেন জনি বলেন, নির্দলীয় ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ভোট প্রদানের মাধ্যমে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচনের জন্য শিক্ষার্থীরা মুখিয়ে আছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে আমার কাজ করার একটি দীর্ঘ অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাই শিক্ষার্থীদের পালসকে প্রাধান্য দিয়ে আমি আসন্ন ডাকসু নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছি।
তিনি আরও বলেন, আমি নির্বাচিত হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দখলদারিত্বমুক্ত হল, এক শিক্ষার্থী এক সিট ব্যবস্থা বাস্তবায়ন, ন্যায্যমূল্যে মানসম্মত খাবার, সুষ্ঠু পড়াশোনার পরিবেশ, মশা ও ছারপোকামুক্ত হল, মননশীল সাহিত্য ও দেশীয় সংস্কৃতির বিকাশ, নতুন ভবন তৈরির কাজ ত্বরান্বিত করা, হলে একটি কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন, রিডিং রুম আধুনিকায়ন, হলের সার্বিক সেবার মান উন্নতকরণ, লিফট সমস্যার স্থায়ী সমাধানসহ শিক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করব।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হল থেকে পাঠকক্ষ সম্পাদক পদ প্রার্থী আরাফাত আক্তার তামান্না বলেন, আমি কখনও কোনো রাজনীতিতে যুক্ত ছিলাম না, এখনও নেই এবং কখনও যুক্ত হওয়ার বিন্দুমাত্র ইচ্ছাও নেই। শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের দাবি চাওয়াই আমার অঙ্গীকার। শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবিগুলো তুলে ধরার সুযোগ সৃষ্টি করতেই এ নির্বাচনে আমার অংশগ্রহণ। সবার কাছে দোয়া ও সমর্থন প্রত্যাশা করেছেন এ শিক্ষার্থী।
ঝিনাইগাতী উপজেলার সুশীল সমাজের প্রতিনিধি অধ্যাপক মো. আবুল হাশেম বলেন, ডাকসু নির্বাচনে আমাদের এ উপজেলার তিনজন মেধাবী শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ সত্যিই আমাদের গৌরবের বিষয়। এ নির্বাচনে জয়ী হলে এই নবীন মুখগুলো হয়তো একদিন দেশের নেতৃত্বেও অবদান রাখবে এমনটাই প্রত্যাশা করছি আমরা।

খ: আওয়াল জেলা প্রতিনিধি টাঙ্গাইল প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১০:১৭ পিএম

ঘর,প্রেম ও মানবতার গান

===================

    🖊️হায়দার খালীদ

মাটির ঘরে সকাল আসে, ধোঁয়া ওঠে চুলোর ধারে,

মায়ের গলায় ঘুমপাড়ানি গান, শিশুরা ঘুম ভাঙে কারে?

খেজুর পাতার খড়ের ছাওয়া, পুকুরঘাটে ভেজা জল,

গৃহস্থালীর মায়া-গন্ধে বেঁচে ওঠে প্রাণের দল।

চাষার ঘামে সোনার দানা, মাঠে জন্মে ফসলের গান,

স্ত্রীর চোখে নীল দিগন্তে স্বপ্ন রাখে সারা প্রাণ।

কিশোর কিশোরী প্রেমে ভেসে নদীর তীরে বাঁধে আশা,

চিঠির পাতায় অক্ষর হয়ে ফুটে ওঠে ভালবাসা।

কিন্তু সমাজ! হায় সমাজ! আঁধার মাখা দেয়াল ঘেরা,

সত্যকে করে তুচ্ছ তারা, মিথ্যা পায় সোনার সেরা।

অসঙ্গতির বিষাক্ত শ্বাসে নষ্ট হয় কত হৃদয়,

অন্যায়ের রুদ্র ঝড়ে কেঁদে ওঠে দিগন্তময়।

তবুও প্রেম থামে না কিছুতেই—

হাতে হাত রেখে দু’জন মানুষ

বলে যায় ধ্বনি—আহবান,

“মানুষের আগে ধর্ম নয়,

মানবতার আগুনে জ্বলে সব আলোর নিশান।”

পাহাড় ডাক দেয় শক্তির মতো,

তাদের বুকে দাঁড়িয়ে থাকে শত সহস্র বছর,

নদী গেয়ে যায় চিরন্তন স্রোতের সুরে—

কখনো শান্ত, কখনো প্রলয় ভরা মহাস্বর।

যখন বন্যা নেমে আসে—

চোখের জলে ভেসে যায় ঘর,

শিশুরা হারায় নৌকার খোঁজে,

ধানের খেতে জমে শুধু শোকের ঘোর।

আবার কখনো খরা এসে,

পুড়িয়ে দেয় ধানের স্বপ্ন,

ফেটে যায় মাটির বুক,

শুকিয়ে যায় নদীর কণ্ঠ।

তবু এই অন্ধকার ভেদ করে

মানুষ দাঁড়ায় মানুষের পাশে,

ভাঙা ঘরে, ক্ষুধার রাতে

এক মুঠো ভাতও ভাগ হয় ভালোবাসায়।

প্রেম তখন শুধু দেহের নয়,

প্রেম তখন মানুষ বাঁচানোর হাত,

মানবতার গান হয়ে ওঠে

দুর্ভিক্ষের বুক ভেদ করা শক্তির বাতাস।

যতই আঁধার নামুক সমাজে,

যতই অন্যায় ছড়াক বিষ,

ঘরের আলো, প্রেমের গান,

পাহাড়-নদীর ডাক, আর মানবতা—

সবাই মিলে হয়ে ওঠে এক মহাকাব্য,

জীবনকে শেখায়—

“মানুষের জন্য মানুষই আশ্রয়,

মানবতার আগুনেই বাঁচে আগামী।”

কুড়িগ্রামে রাজারহাটে পাওনা টাকা চাওয়ায় স্বামী ও ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারীর উপর ব্যাপক মারধর

মোঃ নাহিদ হাসান রাজারহাট কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৪:৩১ পিএম
কুড়িগ্রামে রাজারহাটে পাওনা টাকা চাওয়ায় স্বামী ও ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারীর উপর ব্যাপক মারধর

কুড়িগ্রামে রাজারহাটের, রাজারহাট ইউনিয়নের,দেবী চরণ গ্রামে আজ সকাল ১০ঃ৩০ মিনিটে এ ঘটনা ঘটে। মোহাম্মদ আনিসুর রহমান জানান, আমরা পাওনা টাকা চাইতে গেলে আমি ও আমার স্ত্রী পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা আফরোজা বেগমকে নির্মমভাবে মারধর করে লুৎফর রহমান ও তাঁর দুই ছেলে। আনিসুর রহমান বলেন, আমি ও আমার স্ত্রী কে রামদা দিয়ে হাত এবং মাথায় কুপিয়ে মারার চেষ্টা করে অভিযোগ এনে আনিসুর রহমান আরো বলেন, আমার মাথায় চোট লাগে এবং আমার স্ত্রী আমাকে বাঁচাতে গেলে তার আমার স্ত্রীর হাতে ব্যাপক মারধর করে, যদিও আমার স্ত্রী পাঁচ মাসের অন্তসত্ত্বা থাকায় পেটের মধ্যে পা দিয়ে লাথি মারার কারণে এখন হাসপাতালে অজ্ঞান অবস্থায় আছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, আনিসুর রহমানের কাছে থেকে ৫৫ হাজার টাকা কেড়ে নেয়। এবং পাওনা টাকা চাইতে গেলে, এই ঘটনাটির শিকার হয় আনিসুর রহমান ও তার পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর লুৎফা রহমান ও তার দুই ছেলে উপর অনেক ক্ষোভ প্রকাশ করে তাদের বিচারের দাবি করে ও আইনের আওতায় এনে দ্রুত শাস্তি দাবি জানায় এলাকাবাসী।

কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন: রবি সভাপতি, সাঈদ সম্পাদক, দেলোয়ার সাংগঠনিক সম্পাদক

ডেস্ক নিউজ প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৩:২১ পিএম
কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন: রবি সভাপতি, সাঈদ সম্পাদক, দেলোয়ার সাংগঠনিক সম্পাদক

বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বগুড়ার কাহালু রেল স্টেশনের সংলগ্ন কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের অস্থায়ী কার্যালয়ে প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও ৭১ ভিশনের স্টাফ রিপোর্টার মোঃ মোরশেদুল ইসলাম রবি। আলোচনার পর সর্বসম্মতিক্রমে ৯ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।

নবগঠিত কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন মোঃ মোরশেদুল ইসলাম রবি এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন দৈনিক দেশ সেবার কাহালু উপজেলা প্রতিনিধি মোঃ আবু সাঈদ। সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশের স্টাফ রিপোর্টার মোঃ দেলোয়ার হোসেন।

এছাড়াও অন্যান্য সদস্যরা হলেন—

সহ-সভাপতি: মোঃ নজরুল ইসলাম (কাহালু উপজেলা প্রতিনিধি, দৈনিক আমার সোনার দেশ)

দপ্তর সম্পাদক: মোঃ রাসেল হোসেন (কাহালু উপজেলা প্রতিনিধি, দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ)

কার্যকরী সদস্য: মোঃ আব্দুল মান্নান, মোঃ আলামিন হোসেন, সেলিম চৌধুরী।

সভা শেষে প্রেসক্লাবের উন্নয়ন ও সাংবাদিকদের পেশাগত মান উন্নয়নে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।