রবিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
রবিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

জমি বর্গা নিয়ে চাষ করে পড়েছেন গভীর দুশ্চিন্তায়

সার সংকটে দিশেহারা গোমস্তাপুরের আমন ধান চাষিরা

ডেস্ক নিউজ
ডেস্ক নিউজ প্রকাশিত: শনিবার, ৯ আগস্ট, ২০২৫, ২:৫০ পিএম | 139 বার পড়া হয়েছে
সার সংকটে দিশেহারা গোমস্তাপুরের আমন ধান চাষিরা

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার সাধারণ কৃষকরা চলতি আমন মৌসুমে ধান চাষ করে কাঙ্ক্ষিত রাসায়নিক সার না পেয়ে চরম দুশ্চিন্তায় ভুগছেন। তারা কী করবেন, কিভাবে চাষাবাদ চালিয়ে যাবেন—তা বুঝে উঠতে পারছেন না। কারো নিজের জমি, কেউ নিয়েছেন বর্গা, কেউবা করছেন তেভাগা ভিত্তিতে—প্রতিটা ক্ষেত্রেই ধানের ফলন নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।

লাইনে দাঁড়িয়েও মিলছে না সার কৃষকরা অভিযোগ করছেন, সার সংগ্রহে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছে। তারপরও মিলছে না নির্দিষ্ট পরিমাণ ইউরিয়া, টিএসপি কিংবা ডিএপি। ফলে ধানের সঠিক বৃদ্ধিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে।

স্থানীয় কৃষক আব্দুল গফুর বলেন,
“ভোরে এসে সার ডিলারের লাইনে দাঁড়িয়েছি, দুপুর গড়িয়ে গেছে, এখনো বলা হচ্ছে—‘স্টক শেষ’। এইভাবে আমরা কীভাবে চাষ করবো?”

বর্গাচাষি রহিম উদ্দিন জানান,
“জমি বর্গা নিয়ে চাষ করেছি। টাকা ধার করে বীজ ও সেচ করেছি। এখন যদি সারের অভাবে ফলন না হয়, তাহলে দেনা শোধ করবো কীভাবে?”

তেভাগা ভিত্তিতে চাষ করা আরেক কৃষক কালাম শেখ বলেন,
“মালিকের সঙ্গে চুক্তি করে ধান ফলাতে নেমেছি। এখন সার না পেলে তো ধানই হবে না। আমি কী ভাগ দিবো আর কী রাখবো?”

এরই মধ্যে অনেক ধান চাষী অভিযোগ করেছে বাগান ও পুকুরে অতিরিক্ত সার ব্যবহারের ফলে সার সংকটের সৃষ্টি হচ্ছে এগুলো তারা কৃষি অফিসের তদারকির জন্য দাবি জানিয়েছেন।

এছাড়াও জানা যায় অনেক কৃষক বিঘা প্রতি এক বস্তা করে সার জমিতে ব্যবহার করছে, যেখানে কৃষি অফিসের ভাষ্যমতে বিঘা প্রতি ২০- ২৫ কেজি সার এক বিঘা জমির চাষাবাদের জন্য যথেষ্ট কিন্তু এই মাত্রাতিরিক্ত সার ব্যবহার কারণে অনেকাংশে সারের সংকট হয়ে উঠছে।

আবার অনেক কৃষক অভিযোগ করেছে যে বরাদ্দ আসে, তা তুলনামূলকভাবে অনেক কম। কিন্তু কিছু অসাধু লোক এই সুযোগে সার কালোবাজারে তুলছে, এটা সত্যি। প্রশাসন কঠোর হলে পরিস্থিতি কিছুটা উন্নত হতে পারে।”

এ বিষয়ে গোমস্তাপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাকলাইন হোসেন বলেন,
“আমরা সার বিতরণে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি।আমারা বিভিন্ন এলাকায় সেমিনার করে কৃষকদের জৈব সার ব্যবহারে উৎসাহিত করছি। তবে রাসায়নিক সারের ঘাটতি মেটাতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা করছি দ্রুত সারের সংকট কেটে যাবে।

ভবিষ্যৎ শঙ্কা সচেতন মহলের অনেকে বলছেন, ধান উৎপাদনের মৌসুমে সার সংকট দীর্ঘস্থায়ী হলে এর প্রভাব শুধু কৃষকের ওপর নয়, দেশের খাদ্য নিরাপত্তার ওপরও পড়বে। ক্ষতিগ্রস্ত হবে প্রান্তিক কৃষক ও দিনমজুর শ্রেণি।

গোমস্তাপুরের কৃষকরা আজ শুধুই ধান নয়, ভবিষ্যৎ জীবনধারণের জন্য লড়ছেন। সরকার যদি সময়মতো পর্যাপ্ত সার সরবরাহ এবং কালোবাজার বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে আমন মৌসুমে ধানের ফলন ও কৃষকের জীবিকা—দুটোই চরম হুমকির মুখে পড়বে।

নির্বাহী সম্পাদকঃ অঞ্জনা চৌধুরী

কাজিপুর উপজেলায় যমুনা নদীতে নতুন চর জেগে ওঠায় নাব্যতা সংকট দেখা দিয়েছে

নির্বাহী সম্পাদকঃ অঞ্জনা চৌধুরী প্রকাশিত: রবিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১২:০২ পিএম
কাজিপুর উপজেলায় যমুনা নদীতে নতুন চর জেগে ওঠায় নাব্যতা সংকট দেখা দিয়েছে

সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলায় যমুনা নদীতে নতুন চর জেগে ওঠায় নাব্যতা সংকট দেখা দিয়েছে, যা মনসুরনগর চরের শিক্ষার্থীদেরসহ স্থানীয়দের যাতায়াতে চরম ভোগান্তি সৃষ্টি করছে; বিশেষ করে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যেতে ও স্কুলে যেতে তাদের ডুবোচরের উপর দিয়ে হেঁটে যেতে হচ্ছে, যা একটি বড় সমস্যায় পরিণত হয়েছে।
মূল সমস্যা: শুষ্ক মৌসুমে জেগে ওঠা অসংখ্য ডুবোচর যাতায়াতে বাধা দিচ্ছে।
প্রভাব: ছাত্রছাত্রী, রোগীসহ সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।
উদাহরণ: মনসুরনগর চরের লোকজন কাজিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যেতে ও শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে যেতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।

রুহুল আমিন রুকু, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ

কুড়িগ্রামে যথাযোগ্য মর্যাদায় হানাদার মুক্ত দিবস পালিত

রুহুল আমিন রুকু, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ প্রকাশিত: রবিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১১:৫০ এএম
কুড়িগ্রামে যথাযোগ্য মর্যাদায় হানাদার মুক্ত দিবস পালিত

কুড়িগ্রামে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে ৬ ডিসেম্বর হানাদার মুক্ত দিবস। এ দিবস পালন উপলক্ষ্যে সকালে হানাদার মুক্ত দিবসের বিজয় মিছিল,পুস্প্যমাল্য অর্পন ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ মূলক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জানা যায়, ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর কুড়িগ্রাম হানাদার মুক্ত হয়। এই দিন মুক্তিযোদ্ধাদের প্রবল চাপের মুখে পাকিস্তানি সেনারা পরাজয় মেনে নিয়ে কুড়িগ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যায়। ৬ ডিসেম্বর কুড়িগ্রাম হানাদার মুক্ত দিবস। কোম্পানি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুল হাই সরকার বীর প্রতীকের নেতৃত্বে কুড়িগ্রাম ওভারহেড পানির টাংকির উপর প্রথম স্বাধীনতার বিজয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
এই দিবসের শুরুতে সকাল ৯ টায় একটি বিজয় মিছিল কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স হতে বেড় হয়ে শহর পদক্ষিন করে। পরে কলেজ মোড় স্বাধীনতার বিজয় স্থম্ভে পুস্প্য মাল্য অর্পণ করে। বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের জেলা আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নুরুজ্জামানের সভাপতিত্বে এবং সদর কমান্ডের আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুল বাতেন সরকারের সঞ্চালনায় এক স্মৃতি চারণ মূলক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।এতে বক্তব্য রাখেন,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ মাসুদ রানা,কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইসমাইল হোসেন,এনডিসি এবিএম মেজবাহ উদ্দিন,সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হাবিবুল্যা, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুল হাই সরকার (বীর প্রতীক), বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর আব্দুস সালাম(অবঃ), বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন অর রশিদ,প্রবীন সাংবাদিক সফি খান,মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কুড়িগ্রাম জেলা সভাপতি মাহবুবুর রশীদ তালুকদার স্বপন,সহ সভাপতি নব কুমার সরখেল ববি,সাধারণ সম্পাদক আমানুর রহমান খোকন,উদীচী শিল্পিগোষ্ঠির অনিরুদ্ধ প্রণয় প্রান্তিক,১৯ সংগঠনের রাজ্য জ্যোতি,জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম সদস্য সচিব হেলাল আহমেদ,প্রাথমিক সহকারি শিক্ষক সমিতির সদস্য সচিব আব্দুল মুমিন বাবু প্রমুখ ।

জাবিতে সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির সভাপতি-সম্পাদক তাড়াশের মাসুদ ও মোন্নাফ

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ প্রকাশিত: রবিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১১:৪৬ এএম
জাবিতে সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির সভাপতি-সম্পাদক তাড়াশের মাসুদ ও মোন্নাফ

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) অধ্যয়নরত সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। সদ্য গঠিত কমিটিতে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০তম আবর্তনের রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী ও তাড়াশ উপজেলার তালম ইউনিয়নের কৃতী শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আব্দুল মোন্নাফ। একই সঙ্গে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন সরকার ও রাজনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী, তাড়াশের নাদোসৈয়দপুর গ্রামের মাসুদ রানা।

বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এক অনুষ্ঠানে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। দায়িত্বগ্রহণের পর খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশ করা হবে বলে জানান নবনির্বাচিত সভাপতি ও সম্পাদক।

সংগঠনের কার্যক্রম ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে সভাপতি শাহরিয়ার আব্দুল মোন্নাফ বলেন, “প্রতিবারের মতো এবারও সিরাজগঞ্জ থেকে আগত শিক্ষার্থী ও ভর্তি পরীক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করার পরিকল্পনা রয়েছে। ইনশাআল্লাহ, সংগঠনের কার্যক্রমে নতুন মাত্রা যোগ করে আমরা আরও নতুনত্বের প্রকাশ ঘটাবো।”

নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা বলেন, “সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পাওয়া আমার জন্য এক বিশেষ সম্মান। এই বিশ্বাস ও ভালোবাসাকে শক্তি হিসেবে নিয়ে আমরা সমিতিকে আরও সংগঠিত, কার্যকর ও শিক্ষার্থীবান্ধব একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে গড়ে তুলব। আগামী দিনে সিরাজগঞ্জের শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তির ব্যবস্থা, মেধাবী শিক্ষার্থীদের সহায়তা এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমাদের ক্যাম্পাসের সম্পর্ক জোরদার করাকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করে যাব।”

নতুন কমিটি ঘোষণায় জাবির সিরাজগঞ্জের শিক্ষার্থীদের মধ্যে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।