শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২ আশ্বিন ১৪৩২
শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২ আশ্বিন ১৪৩২

জমি বর্গা নিয়ে চাষ করে পড়েছেন গভীর দুশ্চিন্তায়

সার সংকটে দিশেহারা গোমস্তাপুরের আমন ধান চাষিরা

মোঃ তুহিন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধিঃ প্রকাশিত: শনিবার, ৯ আগস্ট, ২০২৫, ২:৫০ পিএম | 99 বার পড়া হয়েছে
সার সংকটে দিশেহারা গোমস্তাপুরের আমন ধান চাষিরা

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার সাধারণ কৃষকরা চলতি আমন মৌসুমে ধান চাষ করে কাঙ্ক্ষিত রাসায়নিক সার না পেয়ে চরম দুশ্চিন্তায় ভুগছেন। তারা কী করবেন, কিভাবে চাষাবাদ চালিয়ে যাবেন—তা বুঝে উঠতে পারছেন না। কারো নিজের জমি, কেউ নিয়েছেন বর্গা, কেউবা করছেন তেভাগা ভিত্তিতে—প্রতিটা ক্ষেত্রেই ধানের ফলন নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।

লাইনে দাঁড়িয়েও মিলছে না সার কৃষকরা অভিযোগ করছেন, সার সংগ্রহে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছে। তারপরও মিলছে না নির্দিষ্ট পরিমাণ ইউরিয়া, টিএসপি কিংবা ডিএপি। ফলে ধানের সঠিক বৃদ্ধিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে।

স্থানীয় কৃষক আব্দুল গফুর বলেন,
“ভোরে এসে সার ডিলারের লাইনে দাঁড়িয়েছি, দুপুর গড়িয়ে গেছে, এখনো বলা হচ্ছে—‘স্টক শেষ’। এইভাবে আমরা কীভাবে চাষ করবো?”

বর্গাচাষি রহিম উদ্দিন জানান,
“জমি বর্গা নিয়ে চাষ করেছি। টাকা ধার করে বীজ ও সেচ করেছি। এখন যদি সারের অভাবে ফলন না হয়, তাহলে দেনা শোধ করবো কীভাবে?”

তেভাগা ভিত্তিতে চাষ করা আরেক কৃষক কালাম শেখ বলেন,
“মালিকের সঙ্গে চুক্তি করে ধান ফলাতে নেমেছি। এখন সার না পেলে তো ধানই হবে না। আমি কী ভাগ দিবো আর কী রাখবো?”

এরই মধ্যে অনেক ধান চাষী অভিযোগ করেছে বাগান ও পুকুরে অতিরিক্ত সার ব্যবহারের ফলে সার সংকটের সৃষ্টি হচ্ছে এগুলো তারা কৃষি অফিসের তদারকির জন্য দাবি জানিয়েছেন।

এছাড়াও জানা যায় অনেক কৃষক বিঘা প্রতি এক বস্তা করে সার জমিতে ব্যবহার করছে, যেখানে কৃষি অফিসের ভাষ্যমতে বিঘা প্রতি ২০- ২৫ কেজি সার এক বিঘা জমির চাষাবাদের জন্য যথেষ্ট কিন্তু এই মাত্রাতিরিক্ত সার ব্যবহার কারণে অনেকাংশে সারের সংকট হয়ে উঠছে।

আবার অনেক কৃষক অভিযোগ করেছে যে বরাদ্দ আসে, তা তুলনামূলকভাবে অনেক কম। কিন্তু কিছু অসাধু লোক এই সুযোগে সার কালোবাজারে তুলছে, এটা সত্যি। প্রশাসন কঠোর হলে পরিস্থিতি কিছুটা উন্নত হতে পারে।”

এ বিষয়ে গোমস্তাপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাকলাইন হোসেন বলেন,
“আমরা সার বিতরণে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি।আমারা বিভিন্ন এলাকায় সেমিনার করে কৃষকদের জৈব সার ব্যবহারে উৎসাহিত করছি। তবে রাসায়নিক সারের ঘাটতি মেটাতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা করছি দ্রুত সারের সংকট কেটে যাবে।

ভবিষ্যৎ শঙ্কা সচেতন মহলের অনেকে বলছেন, ধান উৎপাদনের মৌসুমে সার সংকট দীর্ঘস্থায়ী হলে এর প্রভাব শুধু কৃষকের ওপর নয়, দেশের খাদ্য নিরাপত্তার ওপরও পড়বে। ক্ষতিগ্রস্ত হবে প্রান্তিক কৃষক ও দিনমজুর শ্রেণি।

গোমস্তাপুরের কৃষকরা আজ শুধুই ধান নয়, ভবিষ্যৎ জীবনধারণের জন্য লড়ছেন। সরকার যদি সময়মতো পর্যাপ্ত সার সরবরাহ এবং কালোবাজার বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে আমন মৌসুমে ধানের ফলন ও কৃষকের জীবিকা—দুটোই চরম হুমকির মুখে পড়বে।

খ: আওয়াল জেলা প্রতিনিধি টাঙ্গাইল প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১০:১৭ পিএম

ঘর,প্রেম ও মানবতার গান

===================

    🖊️হায়দার খালীদ

মাটির ঘরে সকাল আসে, ধোঁয়া ওঠে চুলোর ধারে,

মায়ের গলায় ঘুমপাড়ানি গান, শিশুরা ঘুম ভাঙে কারে?

খেজুর পাতার খড়ের ছাওয়া, পুকুরঘাটে ভেজা জল,

গৃহস্থালীর মায়া-গন্ধে বেঁচে ওঠে প্রাণের দল।

চাষার ঘামে সোনার দানা, মাঠে জন্মে ফসলের গান,

স্ত্রীর চোখে নীল দিগন্তে স্বপ্ন রাখে সারা প্রাণ।

কিশোর কিশোরী প্রেমে ভেসে নদীর তীরে বাঁধে আশা,

চিঠির পাতায় অক্ষর হয়ে ফুটে ওঠে ভালবাসা।

কিন্তু সমাজ! হায় সমাজ! আঁধার মাখা দেয়াল ঘেরা,

সত্যকে করে তুচ্ছ তারা, মিথ্যা পায় সোনার সেরা।

অসঙ্গতির বিষাক্ত শ্বাসে নষ্ট হয় কত হৃদয়,

অন্যায়ের রুদ্র ঝড়ে কেঁদে ওঠে দিগন্তময়।

তবুও প্রেম থামে না কিছুতেই—

হাতে হাত রেখে দু’জন মানুষ

বলে যায় ধ্বনি—আহবান,

“মানুষের আগে ধর্ম নয়,

মানবতার আগুনে জ্বলে সব আলোর নিশান।”

পাহাড় ডাক দেয় শক্তির মতো,

তাদের বুকে দাঁড়িয়ে থাকে শত সহস্র বছর,

নদী গেয়ে যায় চিরন্তন স্রোতের সুরে—

কখনো শান্ত, কখনো প্রলয় ভরা মহাস্বর।

যখন বন্যা নেমে আসে—

চোখের জলে ভেসে যায় ঘর,

শিশুরা হারায় নৌকার খোঁজে,

ধানের খেতে জমে শুধু শোকের ঘোর।

আবার কখনো খরা এসে,

পুড়িয়ে দেয় ধানের স্বপ্ন,

ফেটে যায় মাটির বুক,

শুকিয়ে যায় নদীর কণ্ঠ।

তবু এই অন্ধকার ভেদ করে

মানুষ দাঁড়ায় মানুষের পাশে,

ভাঙা ঘরে, ক্ষুধার রাতে

এক মুঠো ভাতও ভাগ হয় ভালোবাসায়।

প্রেম তখন শুধু দেহের নয়,

প্রেম তখন মানুষ বাঁচানোর হাত,

মানবতার গান হয়ে ওঠে

দুর্ভিক্ষের বুক ভেদ করা শক্তির বাতাস।

যতই আঁধার নামুক সমাজে,

যতই অন্যায় ছড়াক বিষ,

ঘরের আলো, প্রেমের গান,

পাহাড়-নদীর ডাক, আর মানবতা—

সবাই মিলে হয়ে ওঠে এক মহাকাব্য,

জীবনকে শেখায়—

“মানুষের জন্য মানুষই আশ্রয়,

মানবতার আগুনেই বাঁচে আগামী।”

কুড়িগ্রামে রাজারহাটে পাওনা টাকা চাওয়ায় স্বামী ও ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারীর উপর ব্যাপক মারধর

মোঃ নাহিদ হাসান রাজারহাট কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৪:৩১ পিএম
কুড়িগ্রামে রাজারহাটে পাওনা টাকা চাওয়ায় স্বামী ও ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারীর উপর ব্যাপক মারধর

কুড়িগ্রামে রাজারহাটের, রাজারহাট ইউনিয়নের,দেবী চরণ গ্রামে আজ সকাল ১০ঃ৩০ মিনিটে এ ঘটনা ঘটে। মোহাম্মদ আনিসুর রহমান জানান, আমরা পাওনা টাকা চাইতে গেলে আমি ও আমার স্ত্রী পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা আফরোজা বেগমকে নির্মমভাবে মারধর করে লুৎফর রহমান ও তাঁর দুই ছেলে। আনিসুর রহমান বলেন, আমি ও আমার স্ত্রী কে রামদা দিয়ে হাত এবং মাথায় কুপিয়ে মারার চেষ্টা করে অভিযোগ এনে আনিসুর রহমান আরো বলেন, আমার মাথায় চোট লাগে এবং আমার স্ত্রী আমাকে বাঁচাতে গেলে তার আমার স্ত্রীর হাতে ব্যাপক মারধর করে, যদিও আমার স্ত্রী পাঁচ মাসের অন্তসত্ত্বা থাকায় পেটের মধ্যে পা দিয়ে লাথি মারার কারণে এখন হাসপাতালে অজ্ঞান অবস্থায় আছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, আনিসুর রহমানের কাছে থেকে ৫৫ হাজার টাকা কেড়ে নেয়। এবং পাওনা টাকা চাইতে গেলে, এই ঘটনাটির শিকার হয় আনিসুর রহমান ও তার পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর লুৎফা রহমান ও তার দুই ছেলে উপর অনেক ক্ষোভ প্রকাশ করে তাদের বিচারের দাবি করে ও আইনের আওতায় এনে দ্রুত শাস্তি দাবি জানায় এলাকাবাসী।

কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন: রবি সভাপতি, সাঈদ সম্পাদক, দেলোয়ার সাংগঠনিক সম্পাদক

ডেস্ক নিউজ প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৩:২১ পিএম
কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন: রবি সভাপতি, সাঈদ সম্পাদক, দেলোয়ার সাংগঠনিক সম্পাদক

বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বগুড়ার কাহালু রেল স্টেশনের সংলগ্ন কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের অস্থায়ী কার্যালয়ে প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও ৭১ ভিশনের স্টাফ রিপোর্টার মোঃ মোরশেদুল ইসলাম রবি। আলোচনার পর সর্বসম্মতিক্রমে ৯ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।

নবগঠিত কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন মোঃ মোরশেদুল ইসলাম রবি এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন দৈনিক দেশ সেবার কাহালু উপজেলা প্রতিনিধি মোঃ আবু সাঈদ। সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশের স্টাফ রিপোর্টার মোঃ দেলোয়ার হোসেন।

এছাড়াও অন্যান্য সদস্যরা হলেন—

সহ-সভাপতি: মোঃ নজরুল ইসলাম (কাহালু উপজেলা প্রতিনিধি, দৈনিক আমার সোনার দেশ)

দপ্তর সম্পাদক: মোঃ রাসেল হোসেন (কাহালু উপজেলা প্রতিনিধি, দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ)

কার্যকরী সদস্য: মোঃ আব্দুল মান্নান, মোঃ আলামিন হোসেন, সেলিম চৌধুরী।

সভা শেষে প্রেসক্লাবের উন্নয়ন ও সাংবাদিকদের পেশাগত মান উন্নয়নে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।