মোঃ ফরহাদুল ইসলাম জুয়েল
বরণ করিবো নীড়ে


পাখির কূজনে বিজনে বসিয়া পদ্য লেখিবার ছলে
চিত্ত পুড়িবার চিত্র আঁকিতে নানাবিধ কৌশলে,
পঙ্খি কূলে সাক্ষী রাখিয়া হাতে রাখিতে হাত
চন্দ্রিমা নিশি যাপন করিয়া করিয়াছি প্রভাত।
নিশুতি রাতে ডাহুকের ডাকে আঁধার করিয়া ভেদ
শাড়ির আঁচলে মুখ মুছিয়া বক্ষ করিলে ছেদ,
পশ্চিম আকাশে সূর্য ডুবিলে কথা বলিবার ছলে
ভীরু চোখে কাঁপা কাঁপা পায়ে আসিতে কদম তলে।
কদমের ডালে ফুটিলে কদম বসিয়া গাছের তলে
রুমালে আঁকিতে স্বপ্ন কতো ভালোবাসিবার ছলে,
বাবুইয়ের বাসা বাতাসে দুলিলে ঝরিতো নয়ন ধারা
জানিনা আমি সাধনা তোমার ভুলাইয়া দিলো কারা।
জলে থৈ থৈ পদ্মার বুকে প্রাণ সপিবার ছলে
ঘর বাঁধিয়া সুখী হইয়াছো ঐ পদ্মা নদীর কূলে,
আমি নরাধম সুখরথ সাজাইয়া সময় করিয়া পার
সন্ধ্যা নামিলে শুন্য হস্তে ভিজাইয়াছি চোখের পাড়।
এখনো আমি রাত্রি নিশিতে বসিয়া বকুলের তলে
কুঁড়িয়ে বকুল বিছাইয়া রাখি তুমি আসিবে বলে, জোনাকির আলোয় সাজিয়ে রাখি স্নিগ্ধ ভেজা পথ
ক্লান্ত জোনাকি জীবন হারায় আসেনা তোমার রথ।
কুঁড়ি বছর পর যৌবন শেষে আসিলে তুমি ফিরে
দু’হাতে জড়াইয়া হাত দু’খানা বরণ করিবো নীড়ে,
হৃদয়ের কোণে ভালোবাসা রাখিলাম না রাখিয়া ছল
আসিলে তুমি শুকাইতে পারে আঁখি যুগলের জল।