মুনসুর নগরের ২ নম্বর ওয়ার্ডে কাবিখা-কাবিটা ও টিআর প্রকল্পে ভয়াবহ অনিয়ম!
ইউপি সদস্য আবদুল হাই মিলনের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ


সিরাজগঞ্জ জেলার কাজিপুর উপজেলার ১২ নম্বর মুনসুর নগর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডে সরকার ঘোষিত কাবিখা (কাজের বিনিময়ে খাদ্য), কাবিটা (কাজের বিনিময়ে টাকা) ও টিআর (টেস্ট রিলিফ) প্রকল্পে ভয়াবহ অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এসব প্রকল্পের উদ্দেশ্য ছিল দরিদ্র জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন ও অবকাঠামো উন্নয়ন, অথচ বাস্তবে তা হয়ে উঠেছে লুটপাটের হাতিয়ার—এমনটাই অভিযোগ স্থানীয়দের।
স্থানীয়রা জানান, ওয়ার্ডের নির্বাচিত ইউপি সদস্য আবদুল হাই মিলনের প্রত্যক্ষ তদারকিতে এসব প্রকল্পের বরাদ্দকৃত অর্থের অপব্যবহার করা হয়েছে। কাগজে-কলমে রাস্তা সংস্কার, ড্রেন নির্মাণ, ইট বিছানোসহ নানা প্রকল্প দেখানো হলেও বাস্তবে সেসব কাজের তেমন কোনো অস্তিত্ব নেই। প্রকল্পের সাইনবোর্ড লাগানো হয়নি অনেক জায়গায়। কোথাও কাজের নাম, উল্লেখ না করেই চলে যাচ্ছে লক্ষ টাকার কাজ।
অভিযোগ রয়েছে, কিছু কিছু প্রকল্পে কার্যত কোনো কাজই হয়নি, অথচ বিল উত্তোলন করে টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। একাধিক এলাকার বাসিন্দা অভিযোগ করে জানান, প্রকল্পের কাজে অত্যন্ত নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহৃত হয়েছে, কোনো তদারকি নেই, নেই কোনো স্বচ্ছতা।
স্থানীয় সচেতন মহলের দাবি, এসব অনিয়ম শুধুমাত্র দুর্নীতির বহিঃপ্রকাশ নয়, এটি জনসেবার নামে বিশ্বাসঘাতকতা। তারা বলেন, “সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানোর কথা ছিল, কিন্তু দুর্নীতিগ্রস্ত জনপ্রতিনিধিদের কারণে তা জনগণের ভাগ্যে জোটে না। এইসব অপকর্মের সঙ্গে জড়িতদের কঠোর বিচার হওয়া উচিত।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য আবদুল হাই মিলনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তিনি ফোন ধরেননি এবং সরাসরি সাক্ষাৎকার থেকেও বিরত থাকেন।
এলাকাবাসী বিষয়টি তদন্ত করে দেখার জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), উপজেলা প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। অনেকে লিখিত অভিযোগ দাখিলের প্রস্তুতিও নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
সচেতন নাগরিকদের আহ্বান: আপনার এলাকায় এমন অনিয়ম দেখলে তা লুকিয়ে রাখবেন না। সরাসরি লিখিত অভিযোগ জানান, প্রমাণসহ স্থানীয় গণমাধ্যম, প্রশাসন ও দুর্নীতি দমন কমিশনে প্রতিবেদন দিন। আপনার সচেতনতাই পারে একটি দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়ে তুলতে।