রবিবার, ৩ আগস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২
রবিবার, ৩ আগস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২

প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি

ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ বগুড়াবাসী

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: রবিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৫, ৯:৪৮ এএম | 58 বার পড়া হয়েছে
ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ বগুড়াবাসী

বগুড়া জেলাজুড়ে আন্তঃজেলা ট্রাক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের নামে সড়কে চাঁদাবাজির অভিযোগ দিন দিন বাড়ছে। সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশপথে ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, পিকআপসহ পণ্যবাহী যানবাহন থেকে জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। এসব চাঁদা সাধারণ চালকদের পক্ষে বহন করা কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে, ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন পণ্য পরিবহনকারী ব্যবসায়ীরাও।

প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এসব পয়েন্টে একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠী চাঁদা আদায়ে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে চলেছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। এরা নিজেদের শ্রমিক সংগঠনের সদস্য পরিচয় দিয়ে প্রকাশ্যে টাকা আদায় করছে। কেউ টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে নানা ধরনের হুমকি-ধামকি, এমনকি গাড়ি আটকে রাখার ঘটনাও ঘটছে বলে জানা যায়।

বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য যে, বনানী শাকপালা, সাবগ্রাম, মানিকচক, মাটিডালি, বাঘোপাড়া, দুপচাঁচিয়া, বার মাইল, চৌমুহনী, সারপুকুর, আদমদিঘি, সান্তাহার, নসরৎপুর, চাপাপুর, তারোলা ও কাহালু—এই সব এলাকাগুলোতে সড়কপথে ঢোকার মুখেই ট্রাকচালকদের এমন ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। এসব জায়গা এখন যেন চাঁদাবাজদের অবাধ বিচরণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে।

একাধিক ট্রাকচালক অভিযোগ করে বলেন, ‘‘প্রতি ট্রিপে ২০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা দিতে হয়। না দিলে গাড়ির কাগজ দেখতে চাওয়া হয়, অযথা হয়রানি করা হয়, এমনকি গাড়ি দাঁড় করিয়ে রাখে ঘন্টার পর ঘণ্টা।’’ অনেকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, নির্ধারিত ইউনিয়নের ফি বা সদস্য চাঁদার বাইরে অতিরিক্ত অর্থ আদায় একটি নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এ বিষয়ে বগুড়া আন্তঃজেলা ট্রাক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রাসেল মণ্ডলের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। ফলে সংগঠনের অবস্থান জানার সুযোগ হয়নি।

এদিকে বাংলাদেশ হাইওয়ে পুলিশের বগুড়া রিজিয়নের সুপার সাংবাদিকদের জানান, “আমরা ইতোমধ্যে একাধিক মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি। কেউ যদি লিখিতভাবে অভিযোগ করেন, আমরা দ্রুত তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করব। সড়কে জবরদস্তিমূলক চাঁদা আদায় বরদাশত করা হবে না।”

এলাকাবাসী ও পণ্যবাহী যান চালকরা জানান, এই অবৈধ অর্থ আদায়ের কারণে শুধু সাধারণ মানুষ নয়, ভোক্তাপর্যায়েও এর প্রভাব পড়ছে। পণ্যের পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ায় বাজারেও মূল্যবৃদ্ধি হচ্ছে, যার বোঝা বহন করতে হচ্ছে সাধারণ জনগণকে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এমন পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে এটি শুধু ট্রান্সপোর্ট খাতে নয়, সামগ্রিক অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। ফলে প্রশাসনের উচিত বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখা এবং অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া।

এ বিষয়ে ট্রাকচালক ও মালিক সমিতিগুলোর পক্ষ থেকেও দৃষ্টিপাত করার আহ্বান জানানো হয়েছে, যেন একটি স্বচ্ছ ও হয়রানিমুক্ত পরিবেশে পণ্য পরিবহন নিশ্চিত করা যায়।

দিনাজপুরে বাহাদুর বাজার কুলি শ্রমিক ইউনিয়নের নব-নির্বাচিত কার্য্যনির্বাহী সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ ও অভিষেক অনুষ্ঠিত

মো: মেহেদী হাসান ফুয়াদ দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি প্রকাশিত: শনিবার, ২ আগস্ট, ২০২৫, ৪:৫৫ পিএম
দিনাজপুরে বাহাদুর বাজার কুলি শ্রমিক ইউনিয়নের নব-নির্বাচিত কার্য্যনির্বাহী সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ ও অভিষেক অনুষ্ঠিত

২ আগষ্ট শনিবার বাহাদুর বাজার কুলি শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজিঃ নং- রাজ-২২৬৭) এর নব নির্বাচিত কার্য্যকরী কমিটির সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ ও অভিষেক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নব- নির্বাচিত সভাপতি- মোঃ আব্দুস সাত্তার, সহ সভাপতি- মোঃ শরিফুল ইসলাম সেলি, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আনিসুর রহমান, সহ সাধারণ সম্পাদক, আবুল কালাম (১), সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ এনামুল হক, অর্থ সম্পাদক- আবুস সালাম ও কার্র্য্যনির্বাহী পরিষোধের সদস্য মোঃ কমর আলী শেখ ও মোঃ বিশালকে ইউনিয়নের গঠনতন্ত্র অনুর্যায়ী শপথ বাক্য পাঠ করান জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশান দিনাজপুর জেলা শাখার সভাপতি রবিউল আউয়াল খোকা। এসময় উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়নের প্রধান উপদেষ্টা ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার হবিবর রহমান। উল্লেখ্য, বাহাদুর বাজার কুলি শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজিঃ নং- রাজ-২২৬৭) এর ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল গত ২ জুলাই ‘২০২৫। নির্বাচনে উপরোক্ত ৮জন প্রার্থী বিজয়ী হন।

দেশের উন্নয়ন ও ন্যায় বিচারে ধানের শীষের প্রতি জনগণের আস্থা : ফজলে রাব্বি মন্ডল ফিরোজ

বগুড়া থেকে মোঃ হাফিজুর রহমান প্রকাশিত: শনিবার, ২ আগস্ট, ২০২৫, ৪:৫১ পিএম
দেশের উন্নয়ন ও ন্যায় বিচারে ধানের শীষের প্রতি জনগণের আস্থা : ফজলে রাব্বি মন্ডল ফিরোজ

গাবতলী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, গাবতলী উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান জনাব ফজলে রাব্বি মন্ডল ফিরোজ জানিয়েছেন —
আমাদের দেশ চলে মানুষের ঘাম আর পরিশ্রমের করের টাকায়। প্রতিটি রাস্তা, স্কুল, হাসপাতাল, সরকারি সেবা ও অবকাঠামো জনগণের টাকায় গড়ে উঠেছে।
কিন্তু বিগত ফ্যাসিস্ট শাসন আর আজকের কর্তৃত্ববাদী মনোভাব দেশের মানুষের ন্যায্য অধিকারকে অবমূল্যায়ন করেছে — মানুষের ভোটাধিকার হরণ হয়েছে, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সীমিত হয়েছে, গণতন্ত্রকে পদদলিত করা হয়েছে। স্বজনপ্রীতি, লুটপাট আর দুর্নীতি সাধারণ মানুষের জীবনকে জিম্মি করে রেখেছে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) বিশ্বাস করে—গণতন্ত্র মানে শুধু ভোট নয়, মানুষের কথা শোনা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা আর সবার জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা।
আমাদের আপোষহীন নেত্রী, তিনবারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া দেশের গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার রক্ষায় আজও আপোষহীনভাবে সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। বিএনপি জনগণের অধিকার, অর্থনৈতিক মুক্তি এবং দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার লড়াইয়ে সবসময়ই জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে।
বিএনপি সরকারের সময় দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের পথে ছিল, গণতন্ত্র ও মানুষের কথা বলার অধিকার সুরক্ষিত ছিল — যা আজ হরণ হয়েছে।
আগামী নির্বাচন দেশের গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার রক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা জনগণকে আহ্বান জানাই—আপনাদের শক্তি ও অধিকারকে সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে দেশের উন্নয়ন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য বিজয়ের প্রতীক ধানের শীষে ভোট দিন, আপনার আস্থা ও বিশ্বাস প্রকাশ করুন।
বিএনপি জনগণের কাছে দায়বদ্ধ। আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সুশাসন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার পক্ষে। দেশের প্রতিটি টাকার যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে এবং জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় একযোগে কাজ করাই আমাদের অঙ্গীকার। অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকাটাই গণতন্ত্রের প্রকৃত শক্তি।
আমরা বিশ্বাস করি—ধানের শীষে জনগণের এই আস্থা গণতন্ত্র, উন্নয়ন আর ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার হাতিয়ার হয়ে উঠবে।

মধ্যবয়স্ক নারীর ভালবাসা এক নীরব নদীর মতো

Masud Parves প্রকাশিত: শনিবার, ২ আগস্ট, ২০২৫, ৪:৪৯ পিএম
মধ্যবয়স্ক নারীর ভালবাসা এক নীরব নদীর মতো

মধ্যবয়সী নারীকে বাইরে থেকে দেখে কেউ বুঝতে পারে না, তার ভেতর কতটা জীবন বয়ে চলে। তার মুখে হয়তো একরাশ শান্তি, চোখে একটুখানি ক্লান্তি—কিন্তু এই চেহারার ভেতরে আছে এক গভীর নদী, যেটা ধীরে ধীরে বয়ে যায়। এই নদী যেন নীরব, তবে থেমে নেই। প্রতিদিনের অভিজ্ঞতা, ভালোবাসা, হারানো-বিলুপ্ত কিছু স্মৃতি—সব মিলে তার কামনা তৈরি হয় এক নতুন রূপে, এক অনন্য ভাষায়।
এই বয়সে সে আর কারো মন জেতার জন্য হাসে না। সে নিজেকে লুকিয়ে রাখে না, সাজিয়ে তোলে না কেবল কারো নজর কাড়ার জন্য। বরং সে নিজেকে ভালোবাসে গভীরভাবে। জানে—তার শরীর ঠিক যেমন, তেমনটাই সুন্দর। তার যৌনতা এখন আর দেহের খেলায় সীমাবদ্ধ নয়, বরং তা হয়ে উঠেছে বোঝাপড়ার, সম্মান আর সংবেদনের জায়গা।
তরুণ বয়সের কামনা হঠাৎ জ্বলে ওঠে, হঠাৎ নিভেও যায়। সেখানে থাকে আবেগের ঝড়, না বুঝে ফেলার এক উন্মাদনা। কিন্তু মধ্যবয়সী নারীর কামনা অনেক বেশি ধৈর্যের, অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসের। সে জানে, কীভাবে তার শরীরের প্রতিটি প্রতিক্রিয়া বোঝে নিতে হয়। সে জানে, কখন আগলে রাখতে হয় নিজেকে, আর কখন খুলে দিতে হয় সমস্ত দরজা।
এই নারী কাউকে ছুঁতে চায়—কিন্তু ছোঁয়াটার আগে সে বোঝে নেয় সেই মানুষটার ভেতরটা। সে শুধু শরীর খোঁজে না—সে এমন একজন সঙ্গী খোঁজে, যার স্পর্শে থাকে শ্রদ্ধা, যার চোখে থাকে নিরাপত্তা। সে জানে কার পাশে ঘুমালে শান্তি নামে, আর কার পাশে থাকলে ভালোবাসা শুকিয়ে যায়।
তার কামনা আর শিশুর মতো নিষ্পাপ নয়। বরং তাতে এক ধরনের প্রাপ্তবয়স্ক মমতা থাকে, থাকে বোঝাপড়া। সে জানে কখন চাওয়া, কখন না বলা। সে জানে, ‘না’ বলাটাও নিজের প্রতি এক রকম ভালোবাসা। তার ভালোবাসা এখন আর পাগলামি নয়—তা গভীর, সযত্নে বাছাই করা, বোধসম্পন্ন।
সমাজ হয়তো ভাবে এই বয়সের নারী নিঃসাড়, নিঃস্পৃহ। কিন্তু তারা জানে না, তার ভেতরটায় প্রতিদিন ঢেউ খেলে যায়। তার চোখে জমে থাকা পুরনো গল্পের আলো ঝিলমিল করে, তার হাসিতে মিশে থাকে না বলা ভালোবাসার রেশ। এই নারী চাইলেই কারো জীবনে নীরবে ঢুকে যেতে পারে, আবার কাউকে বিদায়ও জানাতে পারে নিঃশব্দে—এক বিন্দু তিক্ততা ছাড়াই।
তার যৌনতা আজ আর কারো কাছ থেকে অনুমতি চায় না। সে নিজের শরীর, নিজের কামনা, নিজের মনের দায়িত্ব নিজেই নেয়। সে জানে—কে তার জলের গভীরে স্নান করার যোগ্য, আর কে কেবল পাথর ছুড়ে জল ঘোলা করতে চায়।
মধ্যবয়স মানে ক্ষয় নয়, সেটি এক নবজন্ম। একজন নারী এই বয়সে এসে হয়তো সবচেয়ে বেশি উজ্জ্বল হয়—যেন সন্ধ্যার আলোয় জ্বলে ওঠা দীপ, যা সারা দিনের ক্লান্তিকে শান্ত করে। তার কামনা আগুন নয়—তা আলো। তা জ্বলিয়ে দেয় না, তা গায়ে মেখে থাকে।
এক নদী, যে জানে কখন কার দিকে পথ খুলে দিতে হয়, আর কখন নিজেকে আগলে রাখতে হয়।
যে জানে, ভালোবাসা মানে কারো হাত ধরা নয়—বরং কারো হাতে নিজের হাত রাখার মতো আত্মবিশ্বাস অর্জন করা।

error: Content is protected !!