রবিবার, ৩ আগস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২
রবিবার, ৩ আগস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২

জয় হোক তারেক রহমানের নেতৃত্বের, জয় হোক শহীদ জিয়ার আদর্শের

তারেক রহমান আসবে, বাংলাদেশ হাসবেঃ ফাহিম আল ইবনে রাব্বী

বগুড়া থেকে মোঃ হাফিজুর রহমান প্রকাশিত: শনিবার, ২৬ জুলাই, ২০২৫, ৪:২০ পিএম | 96 বার পড়া হয়েছে
তারেক রহমান আসবে, বাংলাদেশ হাসবেঃ ফাহিম আল ইবনে রাব্বী

বগুড়া জেলা ছাত্রদলের সহ-সম্পাদক ফাহিম আল ইবনে রাব্বী উজ্জ্বল বাংলাদেশ কে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে বলেছেন, আজকের বাংলাদেশে তারেক রহমানের নাম উচ্চারিত হলে লাখো কোটি দেশপ্রেমিক মানুষের হৃদয়ে এক অনন্য আশার আলো জ্বলে ওঠে। তিনি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের রক্তের উত্তরাধিকারী, তিনিই বেগম খালেদা জিয়ার হাতে গড়া স্বপ্নের বাংলাদেশকে পূর্ণতা দিতে পারেন বলে বিশ্বাস করে দেশের প্রতিটি জাতীয়তাবাদী শক্তি। তারেক রহমান আজ আর শুধুমাত্র বিএনপির নেতা নন, তিনি প্রমাণ করেছেন— এই দেশের গণতন্ত্র, মানুষের অধিকার আর স্বাধীন মত প্রকাশের এক শক্তিশালী প্রতীক।
দেশজুড়ে যখন মানুষের ভোটাধিকার হরণ, বাক-স্বাধীনতা হরণ আর মিথ্যা মামলার জালে হাজার হাজার নেতাকর্মী নিপীড়িত— তখনই মানুষ আবার নতুন করে তাকিয়ে থাকে তারেক রহমানের দিকে। এই নেতা দেশের মাটি থেকে দূরে থেকেও দিন-রাত দেশের জন্য, মানুষের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করে যাচ্ছেন। তিনি তারুণ্যের অদম্য প্রেরণা, সাহস আর স্বপ্নকে একসাথে বয়ে নিয়ে চলেছেন। তারেক রহমানই একমাত্র নেতা যিনি শত বাধা, শত ষড়যন্ত্র অতিক্রম করেও কোটি মানুষের মনে স্থায়ী আসন গড়ে নিতে পেরেছেন।
আজকের প্রজন্ম বিশ্বাস করে, তারেক রহমান ফিরলে এ দেশের রাজনীতিতে সত্য ও ন্যায় আবার ফিরবে। লুটপাট-দুর্নীতি-অনিয়মের রাজনীতির অবসান হবে, মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে। আমাদের পল্লীগ্রাম, শহর, উপজেলা, জেলা— সর্বত্রই নতুন করে উন্নয়নের ধারা শুরু হবে। দেশের অর্থনীতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান, শিল্প ও কৃষি— প্রতিটি ক্ষেত্রে তারেক রহমানের নেতৃত্বে গড়ে উঠবে নতুন বাংলাদেশ।
তারেক রহমান শুধু রাজনীতিক নন, তিনি একজন চিন্তাশীল, মানবিক নেতা। তার রাজনৈতিক দর্শন ‘জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন’— এই তিন ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে আছে। তিনি বিশ্বাস করেন, দেশের সবচেয়ে বড় শক্তি দেশের মানুষ আর দেশের যুবসমাজ। তাই তারেক রহমান বারবার নতুন প্রজন্মকে রাজনীতির মঞ্চে এনে দিয়েছেন নতুন শক্তি, নতুন স্বপ্ন।
আজ দেশের প্রতিটি ছাত্রদল নেতা, যুবদল কর্মী, শ্রমিকদল, স্বেচ্ছাসেবক দল— সবাই তারেক রহমানের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। দেশের অগণিত মানুষ এক কণ্ঠে উচ্চারণ করছে— “তারেক রহমান আসবে, বাংলাদেশ হাসবে।”
কারণ এই শ্লোগান কোনো ফাঁকা বুলি নয়, এটি কোটি মানুষের বুকের ভেতর জমে থাকা আর্তি ও বিশ্বাসের প্রতিধ্বনি। সময়ের প্রয়োজনে তারেক রহমানই এই দেশকে নতুন করে জাগিয়ে তুলবেন, এই দেশের মানুষের মুখে আবার হাসি ফোটাবেন, এটাই আজকের শপথ।
আসুন, আমরা সবাই একসাথে বলি— জয় হোক তারেক রহমানের নেতৃত্বের, জয় হোক শহীদ জিয়ার আদর্শের, জয় হোক এই দেশের আপামর জনতার অধিকার ও স্বাধীনতার। তারেক রহমানের হাত ধরেই বাংলাদেশ নতুন সূর্যোদয় দেখবে— বাংলাদেশ হাসবেই।

দিনাজপুরে বাহাদুর বাজার কুলি শ্রমিক ইউনিয়নের নব-নির্বাচিত কার্য্যনির্বাহী সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ ও অভিষেক অনুষ্ঠিত

মো: মেহেদী হাসান ফুয়াদ দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি প্রকাশিত: শনিবার, ২ আগস্ট, ২০২৫, ৪:৫৫ পিএম
দিনাজপুরে বাহাদুর বাজার কুলি শ্রমিক ইউনিয়নের নব-নির্বাচিত কার্য্যনির্বাহী সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ ও অভিষেক অনুষ্ঠিত

২ আগষ্ট শনিবার বাহাদুর বাজার কুলি শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজিঃ নং- রাজ-২২৬৭) এর নব নির্বাচিত কার্য্যকরী কমিটির সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ ও অভিষেক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নব- নির্বাচিত সভাপতি- মোঃ আব্দুস সাত্তার, সহ সভাপতি- মোঃ শরিফুল ইসলাম সেলি, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আনিসুর রহমান, সহ সাধারণ সম্পাদক, আবুল কালাম (১), সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ এনামুল হক, অর্থ সম্পাদক- আবুস সালাম ও কার্র্য্যনির্বাহী পরিষোধের সদস্য মোঃ কমর আলী শেখ ও মোঃ বিশালকে ইউনিয়নের গঠনতন্ত্র অনুর্যায়ী শপথ বাক্য পাঠ করান জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশান দিনাজপুর জেলা শাখার সভাপতি রবিউল আউয়াল খোকা। এসময় উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়নের প্রধান উপদেষ্টা ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার হবিবর রহমান। উল্লেখ্য, বাহাদুর বাজার কুলি শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজিঃ নং- রাজ-২২৬৭) এর ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল গত ২ জুলাই ‘২০২৫। নির্বাচনে উপরোক্ত ৮জন প্রার্থী বিজয়ী হন।

দেশের উন্নয়ন ও ন্যায় বিচারে ধানের শীষের প্রতি জনগণের আস্থা : ফজলে রাব্বি মন্ডল ফিরোজ

বগুড়া থেকে মোঃ হাফিজুর রহমান প্রকাশিত: শনিবার, ২ আগস্ট, ২০২৫, ৪:৫১ পিএম
দেশের উন্নয়ন ও ন্যায় বিচারে ধানের শীষের প্রতি জনগণের আস্থা : ফজলে রাব্বি মন্ডল ফিরোজ

গাবতলী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, গাবতলী উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান জনাব ফজলে রাব্বি মন্ডল ফিরোজ জানিয়েছেন —
আমাদের দেশ চলে মানুষের ঘাম আর পরিশ্রমের করের টাকায়। প্রতিটি রাস্তা, স্কুল, হাসপাতাল, সরকারি সেবা ও অবকাঠামো জনগণের টাকায় গড়ে উঠেছে।
কিন্তু বিগত ফ্যাসিস্ট শাসন আর আজকের কর্তৃত্ববাদী মনোভাব দেশের মানুষের ন্যায্য অধিকারকে অবমূল্যায়ন করেছে — মানুষের ভোটাধিকার হরণ হয়েছে, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সীমিত হয়েছে, গণতন্ত্রকে পদদলিত করা হয়েছে। স্বজনপ্রীতি, লুটপাট আর দুর্নীতি সাধারণ মানুষের জীবনকে জিম্মি করে রেখেছে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) বিশ্বাস করে—গণতন্ত্র মানে শুধু ভোট নয়, মানুষের কথা শোনা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা আর সবার জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা।
আমাদের আপোষহীন নেত্রী, তিনবারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া দেশের গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার রক্ষায় আজও আপোষহীনভাবে সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। বিএনপি জনগণের অধিকার, অর্থনৈতিক মুক্তি এবং দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার লড়াইয়ে সবসময়ই জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে।
বিএনপি সরকারের সময় দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের পথে ছিল, গণতন্ত্র ও মানুষের কথা বলার অধিকার সুরক্ষিত ছিল — যা আজ হরণ হয়েছে।
আগামী নির্বাচন দেশের গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার রক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা জনগণকে আহ্বান জানাই—আপনাদের শক্তি ও অধিকারকে সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে দেশের উন্নয়ন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য বিজয়ের প্রতীক ধানের শীষে ভোট দিন, আপনার আস্থা ও বিশ্বাস প্রকাশ করুন।
বিএনপি জনগণের কাছে দায়বদ্ধ। আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সুশাসন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার পক্ষে। দেশের প্রতিটি টাকার যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে এবং জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় একযোগে কাজ করাই আমাদের অঙ্গীকার। অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকাটাই গণতন্ত্রের প্রকৃত শক্তি।
আমরা বিশ্বাস করি—ধানের শীষে জনগণের এই আস্থা গণতন্ত্র, উন্নয়ন আর ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার হাতিয়ার হয়ে উঠবে।

মধ্যবয়স্ক নারীর ভালবাসা এক নীরব নদীর মতো

Masud Parves প্রকাশিত: শনিবার, ২ আগস্ট, ২০২৫, ৪:৪৯ পিএম
মধ্যবয়স্ক নারীর ভালবাসা এক নীরব নদীর মতো

মধ্যবয়সী নারীকে বাইরে থেকে দেখে কেউ বুঝতে পারে না, তার ভেতর কতটা জীবন বয়ে চলে। তার মুখে হয়তো একরাশ শান্তি, চোখে একটুখানি ক্লান্তি—কিন্তু এই চেহারার ভেতরে আছে এক গভীর নদী, যেটা ধীরে ধীরে বয়ে যায়। এই নদী যেন নীরব, তবে থেমে নেই। প্রতিদিনের অভিজ্ঞতা, ভালোবাসা, হারানো-বিলুপ্ত কিছু স্মৃতি—সব মিলে তার কামনা তৈরি হয় এক নতুন রূপে, এক অনন্য ভাষায়।
এই বয়সে সে আর কারো মন জেতার জন্য হাসে না। সে নিজেকে লুকিয়ে রাখে না, সাজিয়ে তোলে না কেবল কারো নজর কাড়ার জন্য। বরং সে নিজেকে ভালোবাসে গভীরভাবে। জানে—তার শরীর ঠিক যেমন, তেমনটাই সুন্দর। তার যৌনতা এখন আর দেহের খেলায় সীমাবদ্ধ নয়, বরং তা হয়ে উঠেছে বোঝাপড়ার, সম্মান আর সংবেদনের জায়গা।
তরুণ বয়সের কামনা হঠাৎ জ্বলে ওঠে, হঠাৎ নিভেও যায়। সেখানে থাকে আবেগের ঝড়, না বুঝে ফেলার এক উন্মাদনা। কিন্তু মধ্যবয়সী নারীর কামনা অনেক বেশি ধৈর্যের, অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসের। সে জানে, কীভাবে তার শরীরের প্রতিটি প্রতিক্রিয়া বোঝে নিতে হয়। সে জানে, কখন আগলে রাখতে হয় নিজেকে, আর কখন খুলে দিতে হয় সমস্ত দরজা।
এই নারী কাউকে ছুঁতে চায়—কিন্তু ছোঁয়াটার আগে সে বোঝে নেয় সেই মানুষটার ভেতরটা। সে শুধু শরীর খোঁজে না—সে এমন একজন সঙ্গী খোঁজে, যার স্পর্শে থাকে শ্রদ্ধা, যার চোখে থাকে নিরাপত্তা। সে জানে কার পাশে ঘুমালে শান্তি নামে, আর কার পাশে থাকলে ভালোবাসা শুকিয়ে যায়।
তার কামনা আর শিশুর মতো নিষ্পাপ নয়। বরং তাতে এক ধরনের প্রাপ্তবয়স্ক মমতা থাকে, থাকে বোঝাপড়া। সে জানে কখন চাওয়া, কখন না বলা। সে জানে, ‘না’ বলাটাও নিজের প্রতি এক রকম ভালোবাসা। তার ভালোবাসা এখন আর পাগলামি নয়—তা গভীর, সযত্নে বাছাই করা, বোধসম্পন্ন।
সমাজ হয়তো ভাবে এই বয়সের নারী নিঃসাড়, নিঃস্পৃহ। কিন্তু তারা জানে না, তার ভেতরটায় প্রতিদিন ঢেউ খেলে যায়। তার চোখে জমে থাকা পুরনো গল্পের আলো ঝিলমিল করে, তার হাসিতে মিশে থাকে না বলা ভালোবাসার রেশ। এই নারী চাইলেই কারো জীবনে নীরবে ঢুকে যেতে পারে, আবার কাউকে বিদায়ও জানাতে পারে নিঃশব্দে—এক বিন্দু তিক্ততা ছাড়াই।
তার যৌনতা আজ আর কারো কাছ থেকে অনুমতি চায় না। সে নিজের শরীর, নিজের কামনা, নিজের মনের দায়িত্ব নিজেই নেয়। সে জানে—কে তার জলের গভীরে স্নান করার যোগ্য, আর কে কেবল পাথর ছুড়ে জল ঘোলা করতে চায়।
মধ্যবয়স মানে ক্ষয় নয়, সেটি এক নবজন্ম। একজন নারী এই বয়সে এসে হয়তো সবচেয়ে বেশি উজ্জ্বল হয়—যেন সন্ধ্যার আলোয় জ্বলে ওঠা দীপ, যা সারা দিনের ক্লান্তিকে শান্ত করে। তার কামনা আগুন নয়—তা আলো। তা জ্বলিয়ে দেয় না, তা গায়ে মেখে থাকে।
এক নদী, যে জানে কখন কার দিকে পথ খুলে দিতে হয়, আর কখন নিজেকে আগলে রাখতে হয়।
যে জানে, ভালোবাসা মানে কারো হাত ধরা নয়—বরং কারো হাতে নিজের হাত রাখার মতো আত্মবিশ্বাস অর্জন করা।

error: Content is protected !!