রবিবার, ৩ আগস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২
রবিবার, ৩ আগস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২

ডিমলায় শিক্ষার্থীদের মাঝে গাছের চারা বিতরণ

মোঃ আমিনুর রহমান দুলাল, ডিমলা প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৮ জুলাই, ২০২৫, ১০:৫১ এএম | 59 বার পড়া হয়েছে
ডিমলায় শিক্ষার্থীদের মাঝে গাছের চারা বিতরণ

পরিবেশ সংরক্ষণ ও বৃক্ষরোপণ কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করতে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় এক হাজার দুইশত শিক্ষার্থীর মাঝে বিনামূল্যে ফলজ ও ওষুধি গাছের চারা বিতরণ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের বালাপাড়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে এবং ২০২৪-২৫ অর্থবছরের খরিফ/২০২৫-২৬ মৌসুমের প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে চারা বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন নীলফামারীর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমরানুজ্জামানের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) দীপঙ্কর রায়, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মীর হাসান আল বান্না, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফারজানা আক্তার, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. মাসুদুর হক, বালাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. জাহিদুল ইসলাম চৌধুরী, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সন্তোষ কুমার রায়, ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হামিদুল ইসলাম এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমন্বয় প্রতিনিধি রাশেদুজ্জামান রাশেদ প্রমুখ।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মীর হাসান আল বান্না জানান, ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত প্রতিটি শিক্ষার্থীকে চার ধরনের গাছের চারা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ওষুধি গাছ নিম এবং ফলজ গাছ বেল, জাম ও কাঁঠাল। তিনি বলেন, “এই উদ্যোগের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ছোটবেলা থেকেই গাছ লাগানোর অভ্যাস তৈরি হবে, যা ভবিষ্যতে একটি পরিবেশবান্ধব সমাজ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”

চারা বিতরণ শেষে শিক্ষার্থীরা উৎসাহের সঙ্গে চারা গ্রহণ করে এবং প্রতিজ্ঞা করে যে তারা নিজ নিজ বাড়িতে তা রোপণ করে নিয়মিত পরিচর্যা করবে।

অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান বলেন, “আমাদের শিশুরা হলো দেশের ভবিষ্যৎ। তাদের শুধু পাঠ্যপুস্তকে সীমাবদ্ধ না রেখে সহশিক্ষা কার্যক্রমেও সম্পৃক্ত করতে হবে। তাহলেই আমরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে পারব।”

একই অনুষ্ঠানে জেলা পরিষদের অর্থায়নে বিদ্যালয়ের প্রান্তিক ও দরিদ্র পরিবারের চার শতাধিক শিক্ষার্থীর মাঝে বিনামূল্যে মানসম্পন্ন স্কুলব্যাগ, টিফিন বক্স ও পানির বোতল বিতরণ করা হয়।

এর আগে উপজেলা সদরে প্রতিবন্ধী ও ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের মাঝে হুইলচেয়ার বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক। পরে তিনি উপজেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তর পরিদর্শন করেন এবং জেলা প্রশাসনের ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ ‘হিমোগ্লোবিন’ ব্লাড ক্যাম্পেইনে অংশ নেন।

পরিবেশ সচেতনতা এবং শিক্ষার্থীদের বৃক্ষরোপণে আগ্রহী করে তুলতে এ ধরনের উদ্যোগকে অভিভাবক, শিক্ষক ও স্থানীয় কৃষি বিভাগ কর্মকর্তারা সাধুবাদ জানান এবং ভবিষ্যতেও এমন কর্মসূচি অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান। উপস্থিত এক শিক্ষক বলেন, ”শিক্ষার্থীদের হাতে গাছের চারা, স্বপ্নে সবুজ বাংলাদেশ”।

দিনাজপুরে বাহাদুর বাজার কুলি শ্রমিক ইউনিয়নের নব-নির্বাচিত কার্য্যনির্বাহী সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ ও অভিষেক অনুষ্ঠিত

মো: মেহেদী হাসান ফুয়াদ দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি প্রকাশিত: শনিবার, ২ আগস্ট, ২০২৫, ৪:৫৫ পিএম
দিনাজপুরে বাহাদুর বাজার কুলি শ্রমিক ইউনিয়নের নব-নির্বাচিত কার্য্যনির্বাহী সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ ও অভিষেক অনুষ্ঠিত

২ আগষ্ট শনিবার বাহাদুর বাজার কুলি শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজিঃ নং- রাজ-২২৬৭) এর নব নির্বাচিত কার্য্যকরী কমিটির সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ ও অভিষেক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নব- নির্বাচিত সভাপতি- মোঃ আব্দুস সাত্তার, সহ সভাপতি- মোঃ শরিফুল ইসলাম সেলি, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আনিসুর রহমান, সহ সাধারণ সম্পাদক, আবুল কালাম (১), সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ এনামুল হক, অর্থ সম্পাদক- আবুস সালাম ও কার্র্য্যনির্বাহী পরিষোধের সদস্য মোঃ কমর আলী শেখ ও মোঃ বিশালকে ইউনিয়নের গঠনতন্ত্র অনুর্যায়ী শপথ বাক্য পাঠ করান জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশান দিনাজপুর জেলা শাখার সভাপতি রবিউল আউয়াল খোকা। এসময় উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়নের প্রধান উপদেষ্টা ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার হবিবর রহমান। উল্লেখ্য, বাহাদুর বাজার কুলি শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজিঃ নং- রাজ-২২৬৭) এর ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল গত ২ জুলাই ‘২০২৫। নির্বাচনে উপরোক্ত ৮জন প্রার্থী বিজয়ী হন।

দেশের উন্নয়ন ও ন্যায় বিচারে ধানের শীষের প্রতি জনগণের আস্থা : ফজলে রাব্বি মন্ডল ফিরোজ

বগুড়া থেকে মোঃ হাফিজুর রহমান প্রকাশিত: শনিবার, ২ আগস্ট, ২০২৫, ৪:৫১ পিএম
দেশের উন্নয়ন ও ন্যায় বিচারে ধানের শীষের প্রতি জনগণের আস্থা : ফজলে রাব্বি মন্ডল ফিরোজ

গাবতলী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, গাবতলী উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান জনাব ফজলে রাব্বি মন্ডল ফিরোজ জানিয়েছেন —
আমাদের দেশ চলে মানুষের ঘাম আর পরিশ্রমের করের টাকায়। প্রতিটি রাস্তা, স্কুল, হাসপাতাল, সরকারি সেবা ও অবকাঠামো জনগণের টাকায় গড়ে উঠেছে।
কিন্তু বিগত ফ্যাসিস্ট শাসন আর আজকের কর্তৃত্ববাদী মনোভাব দেশের মানুষের ন্যায্য অধিকারকে অবমূল্যায়ন করেছে — মানুষের ভোটাধিকার হরণ হয়েছে, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সীমিত হয়েছে, গণতন্ত্রকে পদদলিত করা হয়েছে। স্বজনপ্রীতি, লুটপাট আর দুর্নীতি সাধারণ মানুষের জীবনকে জিম্মি করে রেখেছে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) বিশ্বাস করে—গণতন্ত্র মানে শুধু ভোট নয়, মানুষের কথা শোনা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা আর সবার জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা।
আমাদের আপোষহীন নেত্রী, তিনবারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া দেশের গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার রক্ষায় আজও আপোষহীনভাবে সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। বিএনপি জনগণের অধিকার, অর্থনৈতিক মুক্তি এবং দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার লড়াইয়ে সবসময়ই জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে।
বিএনপি সরকারের সময় দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের পথে ছিল, গণতন্ত্র ও মানুষের কথা বলার অধিকার সুরক্ষিত ছিল — যা আজ হরণ হয়েছে।
আগামী নির্বাচন দেশের গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার রক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা জনগণকে আহ্বান জানাই—আপনাদের শক্তি ও অধিকারকে সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে দেশের উন্নয়ন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য বিজয়ের প্রতীক ধানের শীষে ভোট দিন, আপনার আস্থা ও বিশ্বাস প্রকাশ করুন।
বিএনপি জনগণের কাছে দায়বদ্ধ। আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সুশাসন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার পক্ষে। দেশের প্রতিটি টাকার যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে এবং জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় একযোগে কাজ করাই আমাদের অঙ্গীকার। অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকাটাই গণতন্ত্রের প্রকৃত শক্তি।
আমরা বিশ্বাস করি—ধানের শীষে জনগণের এই আস্থা গণতন্ত্র, উন্নয়ন আর ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার হাতিয়ার হয়ে উঠবে।

মধ্যবয়স্ক নারীর ভালবাসা এক নীরব নদীর মতো

Masud Parves প্রকাশিত: শনিবার, ২ আগস্ট, ২০২৫, ৪:৪৯ পিএম
মধ্যবয়স্ক নারীর ভালবাসা এক নীরব নদীর মতো

মধ্যবয়সী নারীকে বাইরে থেকে দেখে কেউ বুঝতে পারে না, তার ভেতর কতটা জীবন বয়ে চলে। তার মুখে হয়তো একরাশ শান্তি, চোখে একটুখানি ক্লান্তি—কিন্তু এই চেহারার ভেতরে আছে এক গভীর নদী, যেটা ধীরে ধীরে বয়ে যায়। এই নদী যেন নীরব, তবে থেমে নেই। প্রতিদিনের অভিজ্ঞতা, ভালোবাসা, হারানো-বিলুপ্ত কিছু স্মৃতি—সব মিলে তার কামনা তৈরি হয় এক নতুন রূপে, এক অনন্য ভাষায়।
এই বয়সে সে আর কারো মন জেতার জন্য হাসে না। সে নিজেকে লুকিয়ে রাখে না, সাজিয়ে তোলে না কেবল কারো নজর কাড়ার জন্য। বরং সে নিজেকে ভালোবাসে গভীরভাবে। জানে—তার শরীর ঠিক যেমন, তেমনটাই সুন্দর। তার যৌনতা এখন আর দেহের খেলায় সীমাবদ্ধ নয়, বরং তা হয়ে উঠেছে বোঝাপড়ার, সম্মান আর সংবেদনের জায়গা।
তরুণ বয়সের কামনা হঠাৎ জ্বলে ওঠে, হঠাৎ নিভেও যায়। সেখানে থাকে আবেগের ঝড়, না বুঝে ফেলার এক উন্মাদনা। কিন্তু মধ্যবয়সী নারীর কামনা অনেক বেশি ধৈর্যের, অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসের। সে জানে, কীভাবে তার শরীরের প্রতিটি প্রতিক্রিয়া বোঝে নিতে হয়। সে জানে, কখন আগলে রাখতে হয় নিজেকে, আর কখন খুলে দিতে হয় সমস্ত দরজা।
এই নারী কাউকে ছুঁতে চায়—কিন্তু ছোঁয়াটার আগে সে বোঝে নেয় সেই মানুষটার ভেতরটা। সে শুধু শরীর খোঁজে না—সে এমন একজন সঙ্গী খোঁজে, যার স্পর্শে থাকে শ্রদ্ধা, যার চোখে থাকে নিরাপত্তা। সে জানে কার পাশে ঘুমালে শান্তি নামে, আর কার পাশে থাকলে ভালোবাসা শুকিয়ে যায়।
তার কামনা আর শিশুর মতো নিষ্পাপ নয়। বরং তাতে এক ধরনের প্রাপ্তবয়স্ক মমতা থাকে, থাকে বোঝাপড়া। সে জানে কখন চাওয়া, কখন না বলা। সে জানে, ‘না’ বলাটাও নিজের প্রতি এক রকম ভালোবাসা। তার ভালোবাসা এখন আর পাগলামি নয়—তা গভীর, সযত্নে বাছাই করা, বোধসম্পন্ন।
সমাজ হয়তো ভাবে এই বয়সের নারী নিঃসাড়, নিঃস্পৃহ। কিন্তু তারা জানে না, তার ভেতরটায় প্রতিদিন ঢেউ খেলে যায়। তার চোখে জমে থাকা পুরনো গল্পের আলো ঝিলমিল করে, তার হাসিতে মিশে থাকে না বলা ভালোবাসার রেশ। এই নারী চাইলেই কারো জীবনে নীরবে ঢুকে যেতে পারে, আবার কাউকে বিদায়ও জানাতে পারে নিঃশব্দে—এক বিন্দু তিক্ততা ছাড়াই।
তার যৌনতা আজ আর কারো কাছ থেকে অনুমতি চায় না। সে নিজের শরীর, নিজের কামনা, নিজের মনের দায়িত্ব নিজেই নেয়। সে জানে—কে তার জলের গভীরে স্নান করার যোগ্য, আর কে কেবল পাথর ছুড়ে জল ঘোলা করতে চায়।
মধ্যবয়স মানে ক্ষয় নয়, সেটি এক নবজন্ম। একজন নারী এই বয়সে এসে হয়তো সবচেয়ে বেশি উজ্জ্বল হয়—যেন সন্ধ্যার আলোয় জ্বলে ওঠা দীপ, যা সারা দিনের ক্লান্তিকে শান্ত করে। তার কামনা আগুন নয়—তা আলো। তা জ্বলিয়ে দেয় না, তা গায়ে মেখে থাকে।
এক নদী, যে জানে কখন কার দিকে পথ খুলে দিতে হয়, আর কখন নিজেকে আগলে রাখতে হয়।
যে জানে, ভালোবাসা মানে কারো হাত ধরা নয়—বরং কারো হাতে নিজের হাত রাখার মতো আত্মবিশ্বাস অর্জন করা।

error: Content is protected !!