শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২ আশ্বিন ১৪৩২
শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২ আশ্বিন ১৪৩২

৩ জনের ডিএনএ ব্যবহার করে জন্ম নেয়া শিশুরা বংশগত দুরারোগ্য রোগ থেকে মুক্ত

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই, ২০২৫, ৪:৩১ পিএম | 180 বার পড়া হয়েছে
৩ জনের ডিএনএ ব্যবহার করে জন্ম নেয়া শিশুরা বংশগত দুরারোগ্য রোগ থেকে মুক্ত

তিনজনের ডিএনএ ব্যবহার করে জন্ম নেওয়া শিশুরা বংশগত দুরারোগ্য রোগ থেকে মুক্ত। এমনটাই বলছেন চিকিৎসকরা। সম্প্রতি যুক্তরাজ্যে তিনজনের জেনেটিক উপাদান ব্যবহারের মাধ্যমে আটটি শিশু জন্ম নিয়েছে।
আর সেখানেই পাওয়া গেছে এমন প্রমাণ। বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, যুক্তরাজ্যে আটটি শিশু জন্ম নিয়েছে এমন এক বিশেষ পদ্ধতিতে, যেখানে তিনজনের জেনেটিক উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে। এই পদ্ধতির লক্ষ্য ছিল মারাত্মক ও সাধারণত মৃত্যুর কারণ হয়ে ওঠা মাইটোকন্ড্রিয়াল রোগ প্রতিরোধ করা। চিকিৎসকদের মতে, এই শিশুদের জন্মের মধ্য দিয়ে প্রমাণ মিলেছে প্রযুক্তিটি কার্যকর।
এই পদ্ধতিতে একজন মা ও বাবার ডিম্বাণু ও শুক্রাণুর সঙ্গে আরেক নারীর একটি সুস্থ ডিম্বাণুর অংশ ব্যবহার করা হয়। মূলত মায়ের দেহ থেকে আসা ত্রুটিপূর্ণ মাইটোকন্ড্রিয়া প্রতিস্থাপন করা হয় সুস্থ মাইটোকন্ড্রিয়া দিয়ে।
বিবিসি বলছে, যুক্তরাজ্যে এই চিকিৎসা পদ্ধতি ১০ বছর আগে আইনগত স্বীকৃতি পেলেও এবারই প্রথম দেখা গেল এর সফল প্রয়োগে সুস্থ শিশু জন্ম নিচ্ছে। এই রোগ মায়ের মাধ্যমে সন্তানের দেহে চলে যায়, যা শরীরের শক্তি উৎপাদনে মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটায়। ফলে শিশুর দেহে নানা জটিলতা দেখা দেয় এবং এতে করে হৃদযন্ত্র কাজ করা বন্ধ হয়ে যেতে পারে, মস্তিষ্কে ক্ষতি হয়, অন্ধত্ব, খিঁচুনি, পেশি দুর্বলতা এমনকি অঙ্গ বিকলও হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে শিশুরা জন্মের কয়েক দিনের মধ্যেই মারা যায়।
যেসব দম্পতির পরিবারে এর আগেও এ ধরনের রোগ দেখা গেছে বা মায়ের শরীরে এমন ত্রুটি রয়েছে, তারা ঝুঁকিতে থাকেন। এই পদ্ধতির মাধ্যমে জন্ম নেওয়া শিশুর প্রায় সব জেনেটিক উপাদান আসে তাদের মা-বাবার কাছ থেকে, তবে মাত্র ০.১ শতাংশ ডিএনএ আসে তৃতীয় নারীর কাছ থেকে। এই সামান্য পরিবর্তনও বংশপরম্পরায় চালিত হয়।
যুক্তরাজ্যের নিউক্যাসল ফার্টিলিটি সেন্টারে এই প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়া পরিবারগুলো নিজেদের পরিচয় গোপন রেখেছে, তবে তারা কিছু অনুভূতি প্রকাশ করেছে। একজন কন্যাশিশুর মা বলেন, “অনিশ্চয়তার এত বছর পর এই চিকিৎসাই আমাদের আশার আলো দেখায়, আর এখন আমরা আমাদের মেয়েকে কোলে পেয়েছি। ওকে প্রাণভরে বড় হতে দেখে আমরা কৃতজ্ঞতায় অভিভূত।”
এক পুত্রসন্তানের মা বলেন, “এই যুগান্তকারী চিকিৎসা ও সহায়তার জন্য আমরা একটি পূর্ণ পরিবার পেয়েছি। মাইটোকন্ড্রিয়াল রোগের যন্ত্রণা যেন দূর হয়ে গিয়ে এখন শুধু আশার আলো, আনন্দ আর কৃতজ্ঞতা।”
মাইটোকন্ড্রিয়া হলো কোষের ভেতরের ক্ষুদ্র গঠন, যা অক্সিজেন ব্যবহার করে খাবার থেকে শরীরের জ্বালানির মতো শক্তি তৈরি করে। এই মাইটোকন্ড্রিয়া কেবল মায়ের দিক থেকেই সন্তানের শরীরে আসে। তাই মায়ের ত্রুটিপূর্ণ মাইটোকন্ড্রিয়া বদলে অন্য এক নারীর সুস্থ মাইটোকন্ড্রিয়া ব্যবহার করা হয়।
নিউক্যাসল ইউনিভার্সিটি ও স্থানীয় হাসপাতালগুলোর গবেষণায় এক দশক আগে এ প্রযুক্তির বিকাশ ঘটে। এরপর ২০১৭ সালে এনএইচএস-এ একটি বিশেষায়িত ইউনিট চালু হয়।
এই পদ্ধতিতে প্রথমে মা ও ডোনার দু’জন নারীর ডিম্বাণু এবং বাবার শুক্রাণু ল্যাবরেটরিতে নিষিক্ত করা হয়। তারপর দুইটি ভ্রূণের প্রো-নিউক্লিয়াস (ডিএনএ ধারণকারী গঠন) থেকে বাবা-মায়ের ডিএনএ একত্রিত করে সুস্থ মাইটোকন্ড্রিয়া-যুক্ত ভ্রূণে স্থাপন করা হয়। ফলে শিশুটি জেনেটিকভাবে মা-বাবার সন্তান হলেও মাইটোকন্ড্রিয়াল রোগ থেকে মুক্ত থাকে।

খ: আওয়াল জেলা প্রতিনিধি টাঙ্গাইল প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১০:১৭ পিএম

ঘর,প্রেম ও মানবতার গান

===================

    🖊️হায়দার খালীদ

মাটির ঘরে সকাল আসে, ধোঁয়া ওঠে চুলোর ধারে,

মায়ের গলায় ঘুমপাড়ানি গান, শিশুরা ঘুম ভাঙে কারে?

খেজুর পাতার খড়ের ছাওয়া, পুকুরঘাটে ভেজা জল,

গৃহস্থালীর মায়া-গন্ধে বেঁচে ওঠে প্রাণের দল।

চাষার ঘামে সোনার দানা, মাঠে জন্মে ফসলের গান,

স্ত্রীর চোখে নীল দিগন্তে স্বপ্ন রাখে সারা প্রাণ।

কিশোর কিশোরী প্রেমে ভেসে নদীর তীরে বাঁধে আশা,

চিঠির পাতায় অক্ষর হয়ে ফুটে ওঠে ভালবাসা।

কিন্তু সমাজ! হায় সমাজ! আঁধার মাখা দেয়াল ঘেরা,

সত্যকে করে তুচ্ছ তারা, মিথ্যা পায় সোনার সেরা।

অসঙ্গতির বিষাক্ত শ্বাসে নষ্ট হয় কত হৃদয়,

অন্যায়ের রুদ্র ঝড়ে কেঁদে ওঠে দিগন্তময়।

তবুও প্রেম থামে না কিছুতেই—

হাতে হাত রেখে দু’জন মানুষ

বলে যায় ধ্বনি—আহবান,

“মানুষের আগে ধর্ম নয়,

মানবতার আগুনে জ্বলে সব আলোর নিশান।”

পাহাড় ডাক দেয় শক্তির মতো,

তাদের বুকে দাঁড়িয়ে থাকে শত সহস্র বছর,

নদী গেয়ে যায় চিরন্তন স্রোতের সুরে—

কখনো শান্ত, কখনো প্রলয় ভরা মহাস্বর।

যখন বন্যা নেমে আসে—

চোখের জলে ভেসে যায় ঘর,

শিশুরা হারায় নৌকার খোঁজে,

ধানের খেতে জমে শুধু শোকের ঘোর।

আবার কখনো খরা এসে,

পুড়িয়ে দেয় ধানের স্বপ্ন,

ফেটে যায় মাটির বুক,

শুকিয়ে যায় নদীর কণ্ঠ।

তবু এই অন্ধকার ভেদ করে

মানুষ দাঁড়ায় মানুষের পাশে,

ভাঙা ঘরে, ক্ষুধার রাতে

এক মুঠো ভাতও ভাগ হয় ভালোবাসায়।

প্রেম তখন শুধু দেহের নয়,

প্রেম তখন মানুষ বাঁচানোর হাত,

মানবতার গান হয়ে ওঠে

দুর্ভিক্ষের বুক ভেদ করা শক্তির বাতাস।

যতই আঁধার নামুক সমাজে,

যতই অন্যায় ছড়াক বিষ,

ঘরের আলো, প্রেমের গান,

পাহাড়-নদীর ডাক, আর মানবতা—

সবাই মিলে হয়ে ওঠে এক মহাকাব্য,

জীবনকে শেখায়—

“মানুষের জন্য মানুষই আশ্রয়,

মানবতার আগুনেই বাঁচে আগামী।”

কুড়িগ্রামে রাজারহাটে পাওনা টাকা চাওয়ায় স্বামী ও ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারীর উপর ব্যাপক মারধর

মোঃ নাহিদ হাসান রাজারহাট কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৪:৩১ পিএম
কুড়িগ্রামে রাজারহাটে পাওনা টাকা চাওয়ায় স্বামী ও ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারীর উপর ব্যাপক মারধর

কুড়িগ্রামে রাজারহাটের, রাজারহাট ইউনিয়নের,দেবী চরণ গ্রামে আজ সকাল ১০ঃ৩০ মিনিটে এ ঘটনা ঘটে। মোহাম্মদ আনিসুর রহমান জানান, আমরা পাওনা টাকা চাইতে গেলে আমি ও আমার স্ত্রী পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা আফরোজা বেগমকে নির্মমভাবে মারধর করে লুৎফর রহমান ও তাঁর দুই ছেলে। আনিসুর রহমান বলেন, আমি ও আমার স্ত্রী কে রামদা দিয়ে হাত এবং মাথায় কুপিয়ে মারার চেষ্টা করে অভিযোগ এনে আনিসুর রহমান আরো বলেন, আমার মাথায় চোট লাগে এবং আমার স্ত্রী আমাকে বাঁচাতে গেলে তার আমার স্ত্রীর হাতে ব্যাপক মারধর করে, যদিও আমার স্ত্রী পাঁচ মাসের অন্তসত্ত্বা থাকায় পেটের মধ্যে পা দিয়ে লাথি মারার কারণে এখন হাসপাতালে অজ্ঞান অবস্থায় আছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, আনিসুর রহমানের কাছে থেকে ৫৫ হাজার টাকা কেড়ে নেয়। এবং পাওনা টাকা চাইতে গেলে, এই ঘটনাটির শিকার হয় আনিসুর রহমান ও তার পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর লুৎফা রহমান ও তার দুই ছেলে উপর অনেক ক্ষোভ প্রকাশ করে তাদের বিচারের দাবি করে ও আইনের আওতায় এনে দ্রুত শাস্তি দাবি জানায় এলাকাবাসী।

কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন: রবি সভাপতি, সাঈদ সম্পাদক, দেলোয়ার সাংগঠনিক সম্পাদক

ডেস্ক নিউজ প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৩:২১ পিএম
কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন: রবি সভাপতি, সাঈদ সম্পাদক, দেলোয়ার সাংগঠনিক সম্পাদক

বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বগুড়ার কাহালু রেল স্টেশনের সংলগ্ন কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের অস্থায়ী কার্যালয়ে প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও ৭১ ভিশনের স্টাফ রিপোর্টার মোঃ মোরশেদুল ইসলাম রবি। আলোচনার পর সর্বসম্মতিক্রমে ৯ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।

নবগঠিত কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন মোঃ মোরশেদুল ইসলাম রবি এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন দৈনিক দেশ সেবার কাহালু উপজেলা প্রতিনিধি মোঃ আবু সাঈদ। সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশের স্টাফ রিপোর্টার মোঃ দেলোয়ার হোসেন।

এছাড়াও অন্যান্য সদস্যরা হলেন—

সহ-সভাপতি: মোঃ নজরুল ইসলাম (কাহালু উপজেলা প্রতিনিধি, দৈনিক আমার সোনার দেশ)

দপ্তর সম্পাদক: মোঃ রাসেল হোসেন (কাহালু উপজেলা প্রতিনিধি, দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ)

কার্যকরী সদস্য: মোঃ আব্দুল মান্নান, মোঃ আলামিন হোসেন, সেলিম চৌধুরী।

সভা শেষে প্রেসক্লাবের উন্নয়ন ও সাংবাদিকদের পেশাগত মান উন্নয়নে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।